বুড়িগঙ্গায় ভাসছিল স্কুলছাত্রের লাশ
১০ জুন ২০২৩, ১০:২৫ পিএম | আপডেট: ১১ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর খোলামুড়া এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদী থেকে এক স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ওই শিক্ষার্থীর নাম ইয়াসমিন মাহমুদ মাহিম (১৫)। সে স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। এছাড়া মাওয়া রোডে ঘুরতে গিয়ে বাসের ধাক্কায় নিহত হয়েছেন প্রাইভেটকার আরোহী ছাত্রী ফাতেমাতুজ জোহরা রাত্রী (২৫)। লাশ দু’টি ময়না তদন্তের জন্য মিটফোর্ড ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নৌ পুলিশের বসিলা ফাঁড়ির পরিদর্শক অনিমেষ হালদার বলেন, গতকাল শনিবার সকালে বুড়িগঙ্গা নদীতে লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে ওই শিক্ষার্থী কিশোরের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নিহতের শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে শরীর কাদা লাগানো ছিল। এই ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মর্গে নিহতের মামা রেজাউল করিম সোহাগ বলেন, মাহিম গত শুক্রবার সকালে বাসা থেকে চুল কাটার কথা বলে বের হয়। এর পর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও কোথাও না পেয়ে কামরাঙ্গীচর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি।’ ‘চুল কাটা শেষে আজিমপুরে মাহিমের এক বন্ধুর দাদির কুলখানিতে যাওয়ার জন্য তার সে তার মাকে রাজি করায়। কিন্তু সেখানে সে যায়নি। পরে তার মোবাইল ফোন চেক করে আমার ভাগনের এক সহপাঠীর সঙ্গে দেখা করার তথ্য পাই। তার কাছে জানতে চাইলে সে মাহিমের সঙ্গে দেখা করার কথা অস্বীকার করে।’
গতকাল মর্গে আমরা লাশ সনাক্ত করি। তার শরীর ও মুখে অনেক কাদা লাগানো। তবে শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখিনি।’ নিহত সামির তার মায়ের এক মাত্র সন্তান। বাবা মাসুদুর রহমানের সঙ্গে ১০ বছর আগে মায়ের ডিভোর্স যায়। এরপর থেকে কামরাঙ্গীচর বাগানবাড়ি এলাকায় সে তার মায়ের সঙ্গে থাকতো। মা সাবিনা ইয়াসমিন স্থানীয় একটি স্কুলের সহকারী শিক্ষক।
এদিকে গতকাল শনিবার সকালে ঢাকা মাওয়া রোডে বাসের ধাক্কায় প্রাইভেটকারে থাকা ফাতেমাতুজ জোহরা রাত্রী নামে এক শিক্ষার্থীর নিহত হয়েছে।
ওই শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া বন্ধু ফারহা ইসলাম জানান, তারা সাভার ব্যাংক কলোনি এলাকায় থাকে। রাত্রীর বাবার নাম লতিফুর রহমান। গতকাল (শনিবার) মিরপুরের একটি কলেজে তার ভর্তি হওয়ার কথা ছিল। ভোরে রাত্রীসহ আরেক বন্ধু নুর হোসেন মিলে একটি প্রাইভেটকারে করে মাওয়া ঘুরতে যায়। সেখান থেকে ঢাকায় ফেরার পথে রোডে পাশে গাড়ি থামায়। এসময় পিছন দিক থেকে একটি বাস প্রাইভেটকারের পিছনে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে গাড়িতে থাকা রাত্রী দরজা খুলে বাইরে রাস্তায় পরে গুরুতর আহত হয়। আমরা দুজনও হালকা আহত হই। রাত্রীকে দ্রুত মুন্সিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পেলেক্সে নিয়ে যাই। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে সে মারা যায়।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
মেসির সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন সেই সাংবাদিক
দেশের মানুষ হাসিনার ফাঁসি চায় :ভোলায় সারজিস আলম
জীবনযাত্রা ব্যয় আরো বাড়তে পারে
সাবেক ওসি শাহ আলমকে ধরতে সারা দেশে রেড অ্যালার্ট
মনে হচ্ছে পারমাণবিক বোমা ফেলা হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেসে
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ভালোভাবেই হচ্ছে
চাল ও মুরগির বাজার অস্থিতিশীল
সামরিক খাতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় তুরস্ক
মানুষ জবাই করা আর হাত-পা ভেঙে দেয়ার নাম তাবলিগ নয় :জুমার খুৎবা-পূর্ব বয়ান
মুজিব কোট এখন ‘বাচ্চাদের পটি’
সীমান্তে প্রতিরোধ ব্যূহ
গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আরও ৬ জনের লাশ ঢামেক মর্গে
মালয়েশিয়ায় এনআইডি ও স্মার্ট কার্ড সেবা কার্যক্রম চালু হচ্ছে
সাংবাদিক মিজানুর রহমান খানের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ শনিবার
ক্র্যাবের সভাপতি তমাল, সাধারণ সম্পাদক বাদশাহ্
মুকসুদপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’গ্রুপে সংঘর্ষ : আহত ২৫
ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সহযোগী মনে করে তালেবান
মাইনাস টু ফর্মুলার আশা কখনো পূরণ হবে না : আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী
গাজীপুর কারাগারে শ্রমিক লীগ নেতার মৃত্যু
ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে শীর্ষ পর্যায়ের দূত পাঠাবে চীন