আইএমএফের ঋণ তো আমরা কয়েকজনই শোধ করতে পারব : অর্থমন্ত্রী
০৬ জুলাই ২০২৩, ০৯:৫১ পিএম | আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৩, ১২:০৩ এএম
আইএমএফ বাংলাদেশকে যে ঋণ দিয়েছে, তা কয়েকজন মিলেই শোধ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) এক্সিকিউটিভ সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ইয়ামাদা জুনিচিসহ একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইএমএফের এখানে কী? তারা যে ঋণ দিয়েছে, তা এই যে কয়েকজন আছেন এখানে, আমরা নিজেরাই শোধ দিতে পারব। আমরা কয়েকজন মিলেই শোধ দিতে পারব। আইএমএফ নামটা অনেক বড়। কিন্তু কী দিয়েছে, জানেন? সেটা আমাদের দুই মাসের রেমিট্যান্সের পরিমাণ। দুই মাসের রেমিট্যান্স হলো তাদের কাছ থেকে পাওয়া আমাদের ঋণ। তাহলে ঋণ নেওয়ার কোনো প্রয়োজন ছিল কি সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, এটা আমরা বুঝতে পারিনি। যুদ্ধ কতদিন থাকবে যেভাবে আমাদের ঘাটতি পড়ছিল, আমরা যেসব জিনিস নিয়মিত ব্যবহার করি। তাতে আমরা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আমরা তো তখন এটা বুঝতে পারিনি। বৈশ্বিক বিনিয়োগ প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমাদের গেল কয়েক বছরের সামষ্টিক অর্থনীতির দৃশ্যপট আপনারা দেখতে পারেন। যেমন প্রবৃদ্ধির হারের গেল তিন বছরের ফিগার আছে। গত ২০২০-২০২১, ২০২১-২০২২ ও ২০২২-২০২৩। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ, ২০২১-২০২২ সালে ৭ দশমিক ১০ শতাংশ, ২০২২-২০২৩ সালে ৬ দশমিক ০৩ শতাংশ। এ ছাড়া পার ক্যাপিটা ন্যাশনাল ইনকাম, যেটা নিয়ে সবাই সবসময় উদ্বিগ্ন থাকেন। তিনি বলেন, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ছিল এটা ২ হাজার ৫৯১ মার্কিন ডলার। পরের অর্থবছরে এসে হয় ২ হাজার ৭৯৩ ডলার। ২০২২-২০২৩ সালে এসে ২ হাজার ৭৬৫ মার্কিন ডলার হয়েছে।
মুস্তফা কামাল বলেন, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে রপ্তানি অনেকটা পড়ে গিয়েছিল। তখন এটি ছিল ৩৮ বিলিয়ন ডলার। পরের বছরে সেটা ছিল ৫২ বিলিয়ন ডলার। ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে সেই রপ্তানি হয়েছে ৫৫ বিলিয়ন ডলারের। রেমিট্যান্স আসাও বেড়েছে। ২০২০-২০২১ বছরে আমাদের রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ২৪ বিলিয়ন ডলার। মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার যখন ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসে তখন মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ। বর্তমানে সারাবিশ্ব মূল্যস্ফীতিতে ভুগছে। বাংলাদেশেও মূল্যস্ফীতি বেড়েছে তবে তা এখনো ১২ শতাংশ ক্রস করেনি। এসময় তিনি পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, মূল্যস্ফীতি বাড়লেও মানুষ কি না খেয়ে আছে?
মন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতিতে যাতে নি¤œ আয়ের মানুষ সমস্যায় না পড়ে সে জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে ১ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে ১ লাখ পরিবারকে কম মূল্যে নিত্যপণ্য দেওয়া হচ্ছে। এসব কর্মসূচির মাধ্যমে যাদের কাছে খাবার নেই তাদেরকে সাশ্রয়ী মূল্যে খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এভাবেই মূল্যস্ফীতির চাপ মোকাবিলা করা হচ্ছে। তাহলে সরকার কি আইএমএফের ঋণ কর্মসূচি থেকে বের হয়ে যাবে› এসময় এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দেননি।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ব্যাংকিং সেবা খাতে এখনো ভারতীয় আধিপত্য
পরিষ্কার বার্তা চায় জনগণ
অবশেষে টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগ
কারাগারে এস কে সুর
‘গ্রিনল্যান্ডকে সামরিক এলাকা বানাতে চান ট্রাম্প’
ছাত্রলীগ নেত্রী নিশি দুই দিনের রিমান্ডে
অভি খালাস! তাহলে খুনী কে?
জল্পনা উড়াল চীনা সংস্থা টিকটক কিনছেন না মাস্ক
ধামরাইয়ে খাদ্যদ্রব্য তৈরির কারখানায় ফের আবার ডাকাতির চেষ্টা
রাজউক জোনাল অফিস স্থানান্তর আদেশের প্রতিবাদে মানববন্ধন
দ্বিতীয় দিনের মতো অনশনে অব্যাহতি পাওয়া এসআইরা
বন্ধ বেক্সিমকো খুলে দেয়ার দাবিতে শ্রমিকদের মানববন্ধন
আধুনিক ডেটা ওয়্যারহাউজ স্থাপন করবে বিবিএস
পরিবারসহ জ্যাকব ও ছেলেসহ সাবেক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন শুনানির নতুন তারিখ
সামাজিক ও আচরণ পরিবর্তনের বিষয় পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্তির আহ্বান ইউজিসি’র
চুক্তিতে নিয়োগের দৌড়ে নওফেলের জালাল উদ্দিন চৌধুরী
পুলিশের চাকরি হারিয়ে ছিনতাইয়ে নামেন হাকিম
ভোটার তালিকা হালনাগাদে সহায়তা করবে ইউএনডিপি
সাকরাইনে মেতেছে পুরান ঢাকা