বরিশালে ছয় মাসের শিশুর শরীর থেকে সুই অপসারণ করতে গিয়ে মৃত্যু
০২ আগস্ট ২০২৩, ০৬:১০ পিএম | আপডেট: ০২ আগস্ট ২০২৩, ০৬:১০ পিএম
বরিশাল মহানগরীর বাঁধ রোডে একটি বেসরকারী হাসপাতালে নিতম্ব থেকে সুঁই বের করতে গিয়ে অস্ত্রোপচারের সময় ছয় মাসের শিশু তানজিমের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার নগরীর বাধ রোডে বেসরকারি রাহাত আনোয়ার হাসপাতালে শিশুটি মারা যায় বলে জানান মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. ফজলুল হক সাংবাদিকদের জানান। শিশু তানজিম পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার ডাউকা গ্রামের ফিরোজ খানের ছেলে।
শিশুর মামা সাংবাদিকদের বলেন, “গলাচিপায় এক্স-রে করে তানজিমের নিতম্বে একটি সুইয়ের অস্তিত্ব পেলে তাকে পটুয়াখালী নিয়ে আসি। সেখানে এক চিকিৎসক বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক তৌহিদুল ইসলামের কাছে গিয়ে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন। তিনি জানান, “সোমবার তানজিমকে নিয়ে ওই চিকিৎসকের কাছে গেলে সেখানে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি হওয়ার চিকিৎসক তৌহিদুলের পরামর্শ অনুযায়ী তানজিমকে নগরীর আগরপুর রোডের মিডটাউন হাসপাতালে ভর্তি করাই।”
কিন্তু মিডটাউন হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের ভালো ব্যবস্থা নেই জানিয়ে রাতে ডা. তৌহিদুল রোগীর স্বজনদের রাহাত আনোয়ার হাসপাতালে ভর্তি করতে বলেন। সেই অনুযায়ী মঙ্গলবার সকালে শিশু তানজিমকে সেখানে ভর্তি করা হয় বলে জানান রাকিব। “অস্ত্রোপচার কক্ষে নেওয়ার আগেও তানজিম খেলা করছিল। অস্ত্রোপচারের সময় আমি ভেতরে ছিলাম। তানজিমের শরীরে ৭-৮বার সুঁই ফুটানো হয়। এরপর কোমরে ইনজেকশন দিলে সে অচেতন হয়ে পড়ে।
“অজ্ঞান করার পর তানজিমকে অক্সিজেন দিতে দেখিনি। বারবার অনুরোধ করার পরও তার শরীরের কাটা স্থানটি চিকিৎসকরা সেলাই করেননি।”
ভুল চিকিৎসায় তানজিমকে মেরে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন রাকিব।
শিশুটির বাবা ফিরোজও ভুল চিকিৎসায় ছেলের মৃত্যুর অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, “চিকিৎসক তৌহিদুল নিজে বলেছেন, আমার ছেলের নিতম্বে একটি সুঁই ঢুকেছে। এটা মেশিনে অপারেশন হবে। এটা কোনো বিষয়ই নয়।”
জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে এ ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালটিতে যান অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ফজলুল হক। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “শিশু তানজিমের বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শিশুটির অস্ত্রোপচার করেছেন চিকিৎসক তৌহিদুল ইসলাম। আর অচেতন করেছেন চিকিৎসক মনিরুল ইসলাম। মনিরুল সাংবাদিকদের জানান, “বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত ও হৃদয় বিদারক। ৬ মাস বয়সি শিশুকে অজ্ঞান করা ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু শিশুটির জরুরি অস্ত্রোপচারও জরুরি ছিল। তাই ঝুঁকি নিতে হয়েছে। ‘ ১৬ বছরের চিকিৎসা পেশায় সর্বোচ্চ চেষ্টার কথা জানিয়ে তিনিস বলেন, অস্ত্রোপচারের শেষ মুহূর্তে শিশুটির হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।
তবে এ বিষয়ে জানতে অস্ত্রপচারকারী চিকিৎসক তৌহিদুল ইসলামের সেল ফোনে বিভিন্ন গনমাধ্যম কমী কল করলেও তিনি সারা দেননি।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ব্যাংকিং সেবা খাতে এখনো ভারতীয় আধিপত্য
পরিষ্কার বার্তা চায় জনগণ
অবশেষে টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগ
কারাগারে এস কে সুর
‘গ্রিনল্যান্ডকে সামরিক এলাকা বানাতে চান ট্রাম্প’
ছাত্রলীগ নেত্রী নিশি দুই দিনের রিমান্ডে
অভি খালাস! তাহলে খুনী কে?
জল্পনা উড়াল চীনা সংস্থা টিকটক কিনছেন না মাস্ক
ধামরাইয়ে খাদ্যদ্রব্য তৈরির কারখানায় ফের আবার ডাকাতির চেষ্টা
রাজউক জোনাল অফিস স্থানান্তর আদেশের প্রতিবাদে মানববন্ধন
দ্বিতীয় দিনের মতো অনশনে অব্যাহতি পাওয়া এসআইরা
বন্ধ বেক্সিমকো খুলে দেয়ার দাবিতে শ্রমিকদের মানববন্ধন
আধুনিক ডেটা ওয়্যারহাউজ স্থাপন করবে বিবিএস
পরিবারসহ জ্যাকব ও ছেলেসহ সাবেক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন শুনানির নতুন তারিখ
সামাজিক ও আচরণ পরিবর্তনের বিষয় পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্তির আহ্বান ইউজিসি’র
চুক্তিতে নিয়োগের দৌড়ে নওফেলের জালাল উদ্দিন চৌধুরী
পুলিশের চাকরি হারিয়ে ছিনতাইয়ে নামেন হাকিম
ভোটার তালিকা হালনাগাদে সহায়তা করবে ইউএনডিপি
সাকরাইনে মেতেছে পুরান ঢাকা