আমেরিকা যদি কেয়ারটেকার সরকার না চায় তাহলে রোল মডেল নির্বাচনের রোড ম্যাপ কী?
১৭ এপ্রিল ২০২৩, ০৮:০৬ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৩৮ এএম
গত ১০ এপ্রিল ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ও আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের অসাধারণ গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সম্পর্কে আজ লিখবো। তার আগে মরহুম ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এবং গত ১৪ এপ্রিল পালিত ১ বৈশাখ অর্থাৎ নববর্ষ উদ্যাপন সম্পর্কেও দুটি কথা অতি সংক্ষেপে বলবো। প্রথমে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর কথা।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সম্পর্কে দেশের সমস্ত প্রিন্ট মিডিয়ায় ব্যাপক লেখালেখি হয়েছে। তার ৮১ বছরের জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিদগ্ধজনেরা অনেক কথা বলেছেন। আমি যতদূর সম্ভব, প্রায় সবগুলো লেখা পড়েছি এবং অধিকাংশ লেখায় বর্ণিত মরহুমের গুণাবলী সঠিকভাবেই বিধৃত হয়েছে বলে মনে করি। তবে আমার আফসোস লাগে এই ভেবে যে, জীবিতকালে তার এত বহুমুখী প্রতিভা এবং অনেক বৈশিষ্ট ও গুণ সম্পর্কে কেন বলা হলো না? যাই হোক, আমি তার একটি দিক নিয়ে খুব সংক্ষেপে একটি কথা বলবো।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মরহুম প্রেসিডেন্ট এরশাদের আমলে ঔষধ নীতি প্রণয়নের অগ্রপথিক ছিলেন। এই একটি কাজের জন্য তিনি বাংলাদেশে অমর হয়ে থাকবেন। সেই সময় বাংলাদেশ প্রায় ৮০ শতাংশ ঔষধের জন্য বিদেশি আমদানির ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল ছিল। জাফরুল্লাহর ঔষধ নীতিতে বলা হয় যে, যেসব ঔষধ দেশে তৈরি করা হয় সেসব ঔষধের আমদানি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হবে। আর যেসব ঔষধ সেই মুহূর্তে আমদানি না করলেই নয়, সেগুলোও যত দ্রুত সম্ভব দেশেই বানাতে হবে। সেই ঔষধ নীতির ফলেই আজ বাংলাদেশের প্রয়োজন মোতাবেক সব ঔষধ দেশেই তৈরি হয়। শুধু তাই নয়, ঔষধ বাংলাদেশের একটি ভাইব্র্যান্ট সেক্টর। এখন অন্তত ১৫০ টি দেশে বাংলাদেশের ঔষধ রপ্তানি করা হয়। এদেশের অর্ধ শতাধিকেরও বেশি ঔষধ শিল্প কারখানার মালিকদেরকে চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করতে হবে ডা. জাফরুল্লাহকে।
তবে এখানে একটি পরিতাপের বিষয়ও আছে। ঐ ঔষধ নীতিতে ডাক্তারদের কনসালটেশন ফি বা সাধারণ কথায় ভিজিটও নির্ধারণ করা হয়েছিল। ডাক্তারদের সর্বোচ্চ ফি নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩০০ টাকা। আর সর্বনি¤œ ১০০ টাকা। সরকারি ডাক্তারদের প্রাইভেট প্র্যাক্টিস নিয়ন্ত্রিত করা হয়। এখন ঔষধ নীতির এই অংশটির কবর রচিত হয়েছে। ডাক্তাররা এখন বল্গাহীন কনসালটেশন ফি আদায় করেন। বড় বড় ডাক্তারদের ফি এখন ২ হাজার টাকা। মধ্যম স্তরের ডাক্তারদের ফি ১ হাজার টাকা। এদের সম্পর্কে আজ এটুকুই বলতে পারি যে মহান আল্লাহ তায়ালা এইসব ডাক্তারদের সুমতি দিন।
॥দুই॥
এবার ১ বৈশাখ পালন প্রসঙ্গ। ১ বৈশাখ তো প্রতিটি বাঙ্গালী বা বাংলাদেশীর নিজস্ব উৎসব। শুধুমাত্র বাংলাদেশি বলি কেন, সেই স¤্রাট আকবরের আমলে নববর্ষ পালন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আমার মতো শিশু কিশোর বা যুবকরা দেখতাম ১ বৈশাখের হালখাতা খোলা। সেই সাথে মিষ্টান্ন বিতরণ। অনেক দোকানপাটে হালখাতা খোলার পর মিলাদ শরীফ পড়ানো হতো। তারপর মিঠাই মন্ডা খাওয়ানো হতো। দোকনের যারা খরিদ্দার তাদের কাছে শুভেচ্ছা কার্ড পাঠানো হতো। যে দোকান থেকে আমার বিয়ের গহনাগাটি কেনা হয়েছিল তারা পরবর্তী ১০ বছর নিয়মিত আমাদের কাছে শুভেচ্ছা কার্ড পাঠাতেন এবং ১০ বছর না হলেও পরবর্তী ২/৩ বছর নিয়মিত মিষ্টান্ন পাঠাতেন।
কিন্তু কোথায় হারিয়ে গেল সেই বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন? একজন বাঙ্গালী বা বাংলাদেশীও এই ১ বৈশাখ নববর্ষ উদ্যাপনের বিরোধী নন। কিন্তু এখন নববর্ষ পালনের নামে এসব কি দেখছি? মঙ্গল শোভাযাত্রা? ভাল কথা। কিন্তু সেই শোভাযাত্রার মানুষগুলোর মুখে ভূত, পেতœী, হাতি, ঘোড়া, ডাহুক, পেঁচা ইত্যাদি জন্তু জানোয়ারের মুখোশ পরে শোভাযাত্রা কেন? এটি কোন্ দেশের সংস্কৃতি? বাংলাদেশের এই অঞ্চলে, যেটিকে বলা হতো পূর্ব বাংলা, সেখানে তো এই সব বিদ্ঘুটে জন্তু জানোয়ার সেজে মঙ্গল শোভাযাত্রার চল ছিল না। অনেক কথা আছে। আজ সেগুলো লেখার মতো জায়গা নাই। নববর্ষে মানুষজন পবিত্র এবং সূচী ¯িœগ্ধ হবেন। কিন্তু ‘অগ্নি¯œানে ধরাকে সূচী ¯িœগ্ধ’ করতে হবে কেন? পূর্ব বাংলার ৯০ শতাংশ মানুষ কোনোদিন কি অগ্নি উপাসক ছিলেন যে তাদেরকে অগ্নি¯œানে শুদ্ধ হতে হবে?
সাম্প্রদায়িকতাকে আমরা মোটেই প্রশ্রয় দেই না। কিন্তু মঙ্গল শোভাযাত্রায় এমন সব প্রতীক ব্যবহার করা হয় যার মধ্য দিয়ে হিন্দুদের দেবী লক্ষ্মী বা স্বরসতীর চেহারা মানশ্চক্ষে আবছাভাবে ভেসে ওঠে। তাহলে ১ বৈশাখ উদ্যাপনে প্রগতিবাদী বন্ধুদের ভাষায় একটি অসাম্প্রদায়িক উৎসবে সাম্প্রদায়িকতা সুক্ষ্মভাবে কারা ঢুকাচ্ছে?
আমাদের কপাল ভাল যে, পবিত্র মাহে রমজানের মধ্যে বাংলা নববর্ষ পড়েছে। তাই এবছর পান্তা ভাত আর ইলিশ খাওয়ার আদিখ্যেতা দেখতে হয়নি। সনজিদা খাতুন একটি নিবন্ধে লিখেছেন যে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান মঞ্চের পেছন থেকে নাকি ‘ধর্মান্ধরা’ উলুধ্বনি দিত। উদ্দেশ্য, ছায়ানটকে কলঙ্কিত করা। ‘ধর্মান্ধদের’ ঘাড়ে কয়টি মাথা আছে যে, ওরা শত শত শিল্পীতে ঠাসা মঞ্চের পেছন থেকে উলুধ্বনি দেবে? তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেখা যাচ্ছে যে ছায়ানটের মঞ্চে শুধুমাত্র একজন কবির গানের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে অন্যান্য কবির গান এবং জারি, সারি, মুর্শিদী, ভাটিয়ালি এবং বাউল গানও গাওয়া হচ্ছে। এসব গান গেয়ে এখন তারা মাটির কাছে আসার চেষ্টা করছেন।
॥তিন॥
এবার মূল প্রসঙ্গ। গত ১০ এপ্রিল ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ্যান্থনি ব্লিংকেনের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠক। এই বৈঠকটি ছিল দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক মহলের মতে, ঈৎঁপরধষষু রসঢ়ড়ৎঃধহঃ বা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশ সহ বিশে^র অন্যান্য দেশ এই বৈঠক সম্পর্কে যে সংবাদ প্রকাশ করেছে তার শিরোনাম মোটামুটি নিম্মরূপ: ডড়ৎষফ ষড়ড়শং ধঃ ইধহমষধফবংয ভড়ৎ ভৎবব, ভধরৎ বষবপঃরড়হং. অর্থাৎ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পৃথিবী বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে আছে। কিন্তু সামাজিক মাধ্যমে বিশেষ করে ইউটিউবে ভাইরাল হওয়া ব্লিংকেনের উদ্বোধনী বক্তৃতা সচিত্র দেখা ও শোনা যাচ্ছে। আরো একটি বিষয় লক্ষ্য করার আছে। সেটি হলো, দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকের পর তারা স্ব স্ব অফিস বা হেটেলে ফিরে গেছেন। হোটেলে ফিরে গিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন কিছু কথা বলেছেন। কিন্তু মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন এখন পর্যন্ত গণমাধ্যমের সামনে আসেননি। অথচ নিজ নিজ টিম সহ আনুষ্ঠানিক বৈঠকের পূর্বে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী একান্ত বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন। এই বৈঠক নিয়ে দুই দেশেই তেমন উল্লেখযোগ্য কিছুই বলা হয়নি। অভিজ্ঞ মহলের কাছে মনে হয়েছে যে, এই বৈঠকের খবর উড়হি ঢ়ষধু করা হয়েছে।
ব্লিংকেনের উদ্বোধনী ভাষণটি ছিল সংক্ষিপ্ত এবং স্ট্রেইট টু দ্য পয়েন্ট। তিনি প্রথমে জনাব মোমেন এবং তার টিমকে স্বাগত জানিয়েছেন। যেভাবে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে তার প্রশংসা করেছেন। দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের প্রশংসা করেছেন।
এটা ভাবতে অবাক লাগে যে, ড. মোমেনের ওয়াশিংটন গমনের কয়েক দিন আগে কয়েকটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। দেশের মধ্যে জাতীয় সংসদে আমেরিকার তীব্র সমালোচনা করা হয়। বলা হয় যে, আমেরিকা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সরকার ওলট পালটের ক্ষমতা রাখে। তারা বাংলাদেশেও ক্ষমতার ওলট-পালট করে অগণতান্ত্রিক সরকার বসাতে চায়। ঐ দিকে ওয়াশিংটনে সরকার প্রধানের আইটি উপদেষ্টা বলেন যে, মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর কতিপয় ভন্ডের স্থান। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমেরিকা যাওয়ার পূর্বেই সুইডেনভিত্তিক নিউজ পোর্টাল ‘নেত্র নিউজের’ সহযোগিতায় জার্মান টেলিভিশন ডয়চে ভ্যালে বাংলাদেশে র্যাবের ওপর একটি ডকুমেন্টারি নির্মাণ করে এবং সেটি ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়। ঐ ডকুমেন্টারিতে যা কিছু বলা হয়েছে, তা নাকচ করে দেন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র সেহলি সাবরিন।
॥চার॥
এই পটভূমিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াশিংটন যান। তার যাওয়ার আগের দুই মাসে ৩/৪ জন ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তা বাংলাদেশ সফর করেন। এদের মধ্যে ছিলেন আফরিন আক্তার, ডোনাল্ড লু, আইরিন লেবাউচার, ডেরেক শোলে প্রমুখ। দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকের ক্ষেত্র এভাবেই প্রস্তুত হয়। ওপরের ছবিতে মার্কিন পক্ষে এ্যান্থনি ব্লিংকেন ছাড়াও আফরিন আক্তার এবং ডেরেক শোলেকে দেখা যাচ্ছে।
এসব ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাদের বাংলাদেশ সফর শেষে আমেরিকা যাত্রার পূর্বাহ্নে জানিয়েছিলেন যে, তারা দেশে ফিরে গিয়ে তাদের সফর সম্পর্কে রিপোর্ট দেবেন। ঐসব রিপোর্টের ভিত্তিতে ১০ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে আলোচনা হবে। যে ৪ জন কর্মকর্তা এরমধ্যে বাংলাদেশ সফর করে গেছেন তারা, অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা প্রত্যেকে বলে গেছেন। এছাড়া বাংলাদেশে কর্মরত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলেই যাচ্ছেন। সেই সাথে তারা সকলেই বাংলাদেশে মানবাধিকার সমুন্নত করার কথাও বলেছেন। এদের মধ্যে ডেরেক শোলে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ্যান্থনি ব্লিংকেনের স্পেশাল এ্যাসিসট্যান্ট বা বিশেষ সহকারী। তিনি বাংলাদেশ ত্যাগের পূর্বে সাংবাদিকদের বলেন যে, বাংলাদেশ কিভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করবে সে সম্পর্কে বাংলাদেশের নিকট থেকে একটি রোডম্যাপ চেয়েছে আমেরিকা। সেই রোডম্যাপ এখনো পাওয়া যায়নি।
এই পটভূমিতে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অতি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুই জনের আনুষ্ঠানিক বৈঠকে খুব স্পষ্ট ভাষায় এ্যান্থনি ব্লিংকেন বলেছেন যে, এটি শুধুমাত্র আমেরিকা নয়, বরং সমগ্র বিশ^ এখন বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে আছে। তারা দেখতে চায় যে, বাংলাদেশ এই এলাকায় এবং বিশে^ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জ¦লন্ত নজির সৃষ্টি করবে। তারা আরো দেখতে চায় যে, বাংলাদেশের এই নির্বাচন হবে এই এলাকা ও বিশে^র নিকট অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের একটি মডেল।
হোটেলে ড. মোমেন সাংবাদিকদের বলেছেন যে, বাংলাদেশ আগামীতে যে নির্বাচন করবে, সেটি হবে একটি মডেল। ইতোমধ্যেই আগামী নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত থেকে নির্বাচন কমিশন সরে এসেছে। কোনো কোনো পর্যবেক্ষক এটিকে বাইরের চাপের মুখে সরকারের পিছু হটার একটি পদক্ষেপ বলে ব্যাখ্যা করছেন।
ব্লিংকেন যা বলেছেন, সেটি আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার অবস্থান বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে। মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা বিশে^র এই অবস্থানের পর ২০১৪ বা ২০১৮ সালের মতো তীব্র বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠান করা তত সহজ বলে পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন না। এখন একটি মডেল নির্বাচন করার জন্য সরকার কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে সেটি দেখার জন্য রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল গভীর আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছেন।
এই কলাম লেখার পর দৈনিক প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে দেখা গেল যে, পরররাষ্ট্রমন্ত্রী দেশে ফিরেছেন এবং সিলেট গেছেন। সিলেটে তিনি বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উন্নয়নে খুবই খুশি। আমাদের উন্নয়নের সহযোগী হতে চায় তারা। সে জন্য আমাদের প্রতি তাদের বিশেষ নজর। আমরা একটা আদর্শ মডেল দেশ হয়েছি। তারা চায়, আমাদের যে নির্বাচন হবে, সেটা যেন ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার (সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ) হয়। তারা কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায় না। তারা আমাদের যে নিয়ম আছে, আমাদের দেশের আইন অনুযায়ী ইলেকশন চায়। স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য আমরা কী কী তৈরি করেছি, ভোটার লিস্ট তৈরি করেছি, ফটো আইডি দিয়ে, ব্যালট বাক্স তৈরি করেছি স্বচ্ছ। আমরা স্ট্রং একটা ইলেকশন কমিশন করেছি- এগুলোতে তারা খুশি হয়েছে।’ আমেরিকা যদি কেয়ারটেকার সরকার না চায় তাহলে রোল মডেল নির্বাচনের রোড ম্যাপ কি?
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বাংলাদেশের বিপক্ষে যে একাদশ দিয়ে মাঠে নামছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
কিশোরগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার কামালসহ তিনজন গ্রেফতার
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ
বেইজিং সংস্কৃতি ও পর্যটন ব্যুরো ও আটাবের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত
উইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
গাজায় যুদ্ধবিরতি ছাড়া বন্দী বিনিময় হবে না : হামাস
শান্তিরক্ষা মিশন মোতায়েন করতে চায় জাতিসংঘ হাইতিতে
চকরিয়ার বিএনপি নেতা আবু তাহের চৌধুরীর মৃত্যুতে সালাহউদ্দিন আহমদ ও হাসিনা আহমদের শোক
পুতিন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে দ্বিধা করবেন না : সার্বিয়া
ক্লাইমেট অর্থায়ন ইস্যুতে দেশগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব
লালমোহনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত যুবদল নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু
ট্রাম্পের অ্যাটর্নির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন আটকে গেল
‘ফিলিস্তিনের পর ইরান, সউদী ও তুরস্ক হবে পরবর্তী টার্গেট’
প্রতি বছর ৩ লাখ নথিবিহীন অভিবাসীকে বৈধতা দানের ঘোষণা স্পেনের
প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে সবচেয়ে অসুখী দেশ জাপান-কোরিয়া
মুসলিম চিকিৎসক
শীর্ষে দিল্লি
সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সংবর্ধনা
ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বোর্ড অব গভর্নর সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সম্বর্ধনা
বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান