বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণামূলক শিক্ষা চাই

Daily Inqilab ইনকিলাব

১৮ এপ্রিল ২০২৩, ০৭:১৭ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০৭:১৮ পিএম

বিশ্ববিদ্যালয় শুধু পড়াশুনার জন্য নয়, মুক্তবুদ্ধি চর্চারও কেন্দ্র। বাস্তবে কতটুকু গবেষণামূলক শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে? এখানে পড়াশোনা হয়ে গেছে শিট ভিত্তিক, নির্দিষ্ট কোনো বই নেই। শিক্ষাকে সীমাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে ক্লাস আর পরীক্ষার মধ্যে। অনেকেই পরীক্ষার আগে শিট পড়ে ভালো সিজিপিএ অর্জন করলেও বাস্তবে এরা যোগ্যতা সম্পূর্ণ না। যোগ্যতা সম্পূর্ণ না হওয়ার কারণে, ভালো সিজিপিএ থাকা সত্ত্বেও পাচ্ছে না চাকরি। ফলে তারাও যোগ দেয় বেকারত্বের খাতায়। এভাবেই দেশে বেকারত্বের হার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর পেছনে আরেকটি কারণ হচ্ছে, দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনেক ক্ষেত্রে যে সকল শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, তাদের উল্লেখযোগ্য কোনো গবেষণা নেই। নেই কোনো মৌলিক গ্রন্থ। এছাড়াও বেশিরভাগ শিক্ষকের পিএইচডি ডিগ্রি নেই। রাজনৈতিক প্রভাব ও ধামাধরা ধারায় চলছে পদোন্নতি ও নিয়োগ বাণিজ্য। যেখানে শিক্ষকদের গবেষণামূলক শিক্ষাই নেই, সেখানে তারাই বা কেমন করে শিক্ষার্থীদের গবেষণামূলক শিক্ষা দেবে? উন্নত দেশগুলোর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এ দেশেও গবেষণা হোক, শিক্ষার্থীরাও গবেষণামূলক শিক্ষা গ্রহণ করুক এবং যোগ্যতা সম্পন্ন হিসেবে গড়ে উঠুক। সর্বোপরি বলতে চাই, যোগ্য শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়া হোক এবং শিট ভিত্তিক পড়াশোনা উঠিয়ে গবেষণামূলক শিক্ষাব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে।

মো. আমিনুল ইসলাম
শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

মুসলিম শাসকরা কি ইহুদিদের দাসে পরিণত হয়েছেন?
হাসিনার পতনের পর বিএনপির আট মাস
ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল : বৈরিতার বহিঃপ্রকাশ
প্রতিবন্ধীবান্ধব অবকাঠামোর অপ্রতুলতা
ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের বিকাশে জোর দিতে হবে
আরও
X

আরও পড়ুন

ভারতজুড়ে ওয়াকফ আইন নিয়ে তীব্র বিক্ষোভ ও আইনি লড়াই

ভারতজুড়ে ওয়াকফ আইন নিয়ে তীব্র বিক্ষোভ ও আইনি লড়াই

ভক্ত, দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখোরিত মোরেলগঞ্জের লক্ষীখালি বারুনী স্নানোৎসব ও ধর্মীয় মাতুয়া মেলা

ভক্ত, দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখোরিত মোরেলগঞ্জের লক্ষীখালি বারুনী স্নানোৎসব ও ধর্মীয় মাতুয়া মেলা

ইসরায়েলি অবরোধে ত্রাণহীন গাজায় মানবিক বিপর্যয়

ইসরায়েলি অবরোধে ত্রাণহীন গাজায় মানবিক বিপর্যয়

ড. ইউনূসের নেতৃত্ব বাংলাদেশের সমৃদ্ধি আনবে, প্রত্যাশা আমিরাত প্রেসিডেন্টের

ড. ইউনূসের নেতৃত্ব বাংলাদেশের সমৃদ্ধি আনবে, প্রত্যাশা আমিরাত প্রেসিডেন্টের

নদীতে গোসল করতে নেমে প্রাণ গেল দুই বোনের

নদীতে গোসল করতে নেমে প্রাণ গেল দুই বোনের

জীবিত অভিবাসীদের ‘মৃত’ ঘোষণা করে তাড়াচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন

জীবিত অভিবাসীদের ‘মৃত’ ঘোষণা করে তাড়াচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন

বঙ্গোপসাগরে ৪ ট্রলারে ডাকাতি, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৮

বঙ্গোপসাগরে ৪ ট্রলারে ডাকাতি, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৮

এক সপ্তাহে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার ৬০৮

এক সপ্তাহে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার ৬০৮

নিউইয়র্কে নদীতে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, শিশুসহ নিহত ৬

নিউইয়র্কে নদীতে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, শিশুসহ নিহত ৬

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ৪০ ফিলিস্তিনি

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ৪০ ফিলিস্তিনি

রামগতিতে চাঁদা না দেয়ায় কিশোর গ্যাং সদস্যদের হামলায় দিনমজুর আহত, আটক ১

রামগতিতে চাঁদা না দেয়ায় কিশোর গ্যাং সদস্যদের হামলায় দিনমজুর আহত, আটক ১

দোয়ারাবাজার সীমান্তে ভারতীয় খাসিয়ার গুলিতে বাংলাদেশী নিহত

দোয়ারাবাজার সীমান্তে ভারতীয় খাসিয়ার গুলিতে বাংলাদেশী নিহত

ছাগলনাইয়ায় অস্ত্রসহ যুবক আটক

ছাগলনাইয়ায় অস্ত্রসহ যুবক আটক

এবার এসএসসিতে পরীক্ষার্থী কমেছে ময়মনসিংহ শিক্ষাবোর্ডে

এবার এসএসসিতে পরীক্ষার্থী কমেছে ময়মনসিংহ শিক্ষাবোর্ডে

যাত্রী বেশে সিএনজি অটোরিকশা ছিনতাই, গ্রেফতার ২

যাত্রী বেশে সিএনজি অটোরিকশা ছিনতাই, গ্রেফতার ২

নগরকান্দায় বৃষ্টিতে কাঁদায় পিচ্ছিল সড়কে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

নগরকান্দায় বৃষ্টিতে কাঁদায় পিচ্ছিল সড়কে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

সউদীতে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন ট্রাম্প

সউদীতে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন ট্রাম্প

ভারতের চেয়ে বেশি কেউ বাংলাদেশের মঙ্গল চায় না

ভারতের চেয়ে বেশি কেউ বাংলাদেশের মঙ্গল চায় না

জার্মানিতে গঠিত হচ্ছে নতুন জোট সরকার

জার্মানিতে গঠিত হচ্ছে নতুন জোট সরকার

সদরঘাটের ব্যবসায়ীকে হত্যা: স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

সদরঘাটের ব্যবসায়ীকে হত্যা: স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড