প্রশাসন, পররাষ্ট্র ও পুলিশে কেন এত ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার?

Daily Inqilab সাইফুল ইসলাম

১৩ আগস্ট ২০২৩, ০৯:৩০ পিএম | আপডেট: ১৪ আগস্ট ২০২৩, ১২:০১ এএম

ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়াররা নিজেদের মেধা দিয়ে প্রশাসন, পুলিশ বা পররাষ্ট্র ক্যাডারে চাকরি পেলে বা নিলে দোষের কিছু নাই। কিন্তু জাতি যে আস্তে আস্তে মেধাবীদের হারাবে সেকথা অনেকেই চিন্তা করেন। যে শিক্ষার্থীর হওয়া উচিত ছিল সবচাইতে নামকরা ডাক্তার বা যার হাত ধরে গড়ে উঠতে পারতো আধুনিক নগর বা বড় বড় মনোমুগ্ধকর স্থাপনা, সেই শিক্ষার্থীই আজ প্রশাসন কিংবা পুলিশ ক্যাডার। তাহলে চার বছর ধরে যে শিক্ষার্থী প্রশাসন পরিচালনায় জ্ঞান অর্জন করেছে, তার ঠিকানা কোথায় হবে? আর ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার যদি প্রশাসনে বা পুলিশেই চাকরি করবে তাহলে তাদের পিছনে সরকারের কোটি কোটি টাকা খরচ করার দরকার কী?

সম্প্রতি বহুল প্রতিক্ষিত ৪১তম বিসিএসের ফল প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন। এবছর ২৫৩৬ শূন্য পদের বিপরীতে ২৫২০ জনকে বিভিন্ন পদের জন্য নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিসিএস ক্যাডার হওয়া অনেক সম্মানের আর চাকরির বাজারে প্রতি বছর যে হারে শিক্ষার্থী পাশ করে বের হয় তার তুলনায় সরকারি শূন্য পদ খুবই অপ্রতুল। তাই সরকারি চাকরি যেন সোনার হরিণ। যেমন কদর বেড়েছে সরকারি চাকরিজীবীর, ঠিক তেমনি বিসিএস ক্যাডারদেরও কদর দ্বিগুণ বেড়েছে। গত কয়েক বছর ধরে বিসিএসের প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বেড়েছে, তা বেশ কয়েকটি বিসিএসের আবেদন সংখ্যার দিকে তাকালেই বুঝা যায়। ২০১০-১২ সালেও বিসিএসের আবেদন সংখ্যা ছিল লাখের ঘরে আর এখন তা কয়েকগুণ বেড়ে ৪-৫ লাখ হয়েছে। এবার আসি ঘোষিত বিসিএসের ফলাফল প্রসঙ্গে। এবারের বিসিএসে প্রশাসনের ৩২৩ জন, পুলিশে ১০০ জন, পররাষ্ট্রে ২৫ জন সহ সাধারণ ক্যাডারসমূহে প্রায় ৮০০ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করেছে পিএসসি। বিসিএসকেন্দ্রিক বিভিন্ন ফেইসবুক গ্রুপ এবং বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক বিভিন্ন গ্রুপ থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, সাধারণ ক্যাডারে ডাক্তার ও ইঞ্জিনিয়ারদের জয়জয়কার। শুধু এ বিসিএসে নয়, বিগত ৪-৫টি বিসিএসেও একই চিত্র।

এবারের ফলাফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বিসিএস পররাষ্ট্র ক্যাডারে সুপারিশ প্রাপ্ত প্রথম থেকে সপ্তম মেধা তালিকা পর্যন্ত বুয়েটের দখলে আর মোট ২৫ জনের মধ্য ১৫ জনেরও বেশি বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ের। এ সংখ্যাটা যদি এমন হতো ২০ জনই আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী, তাহলে কেমন হতো, এর উত্তর আমরা পরে পাবো। এবার প্রশাসন ক্যাডারে দিকে একটু নজর দেয়া যাক। এখানেও ইঞ্জিনিয়াদের আধিক্য বেশি। বুয়েট থেকে প্রশাসন ক্যাডারে ৪৫ জন, চুয়েট থেকে ২০ জন, বুটেক্স ও কুয়েট থেকে ২০ জন, শাবিপ্রবি থেকে ৮ জন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়রিং বিভাগগুলো থেকে প্রায় ৩০ জন, এমআইএসটি থেকে ৩ জন, হাবিপ্রবি থেকে ৩ জন। এছাড়া বাকিদের সম্পর্কে এখনো জানা যায়নি। এ তথ্য থেকে সহজেই অনুমেয় পুলিশ, প্রশাসন, পররাষ্ট্র, করসহ রাষ্ট্রের নানান গুরুত্বপূর্ণ পদে আগামী কয়েক বছর ইঞ্জিনিয়ারদের জয়জয়কার অবস্থা থাকবে। একথা অকপটে স্বীকার করতে হবে যে, দেশের সবচেয়ে মেধাবীরা ইঞ্জিনিয়ারিং ও ডাক্তারি পড়াশোনা করে। যেহেতু তারা সবচাইতে মেধাবী তারা স্বাভাবিকভাবেই যেকোন পরীক্ষায় ভালো করবে। কিন্তু সমস্য সেখানে না, সমস্যা হয়তোবা আমরা এখন উপলব্ধি করতে পারবোও না, কেননা যারা গত কয়েকবছর ধরে বিসিএসে জয়েন করছে তাদের নেতৃত্ব পর্যায়ে যেতে আরো কিছুদিন সময় লাগবে।

বাংলাদেশে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে ইঞ্জিনিয়ারিং ও ডাক্তারি পড়ানো হয়, সরকার প্রতিজনের পেছনে গড়ে ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকা খরচ করে। চার-পাঁচ বছর ধরে ইঞ্জিনিয়ারিং বা ডাক্তারি পড়ে যদি পরে বিসিএস ক্যাডারে অন্য পেশায় জয়েন করে তাহলে রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় হয়। কারণ, তার শিক্ষালব্ধ ডাক্তারি জ্ঞান জাতির জন্য কোনো কাজে আসে না, আর যারা এ পেশায় থাকে তাদের বেশিরভাগই পাড়ি জমায় উন্নত বিশ্বে। বাংলাদেশ স্বাধীনের ৫০ বছর পার হলেও এখনো বড় বড় গুরুত্বপূর্ণ নির্মাণ কাজের জন্য উন্নত রাষ্ট্র থেকে ইঞ্জিনিয়ারদের আনতে হয়, পদ্মাসেতু, মেট্রো রেল যে প্রকল্পের কথাই বলুন না কেন, দেশের চাইতেও বিদেশিদের আধিক্য বেশি। আর চিকিৎসা ব্যবস্থার কথা বলার কিছুই নেই, সেটা জাতির সামনে স্পষ্ট। বছরের পর বছর উন্নত চিকিৎসার জন্য এমপি, মন্ত্রী, ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষও পাড়ি জমায় ভারত, সিঙ্গাপুরসহ উন্নত বিশ্বে চিকিৎসার জন্য। আর এ প্রচলন বর্তমানে সবচাইতে বেশি। বিশেষ করে, প্রতিদিন কয়েক হাজার লোক ভারতে চিকিৎসার জন্য পাড়ি জমায়। এতে অর্থ ও সময় দুটোই নষ্ট হয়। কেন এত সংখ্যক লোক বাইরে চিকিৎসা নিচ্ছে? তার কারণ খুঁজে বের করতে খুব বেশি বেগ পেতে হবে না। অপ্রতুল চিকিৎসক, যন্ত্রপাতির সংকটসহ নানা সংকটে ভুগছে চিকিৎসা খাত। ভোগারই কথা, কেননা দেশের মেধাবী ডাক্তাররা যে আজ প্রশাসন ক্যাডারে বা পুলিশ ক্যাডারে চাকরি করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে আর অনেকেই বিদেশে পাড়ি জমায়। বর্তমান সরকার সবকিছুতেই স্পেশালাইজদের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। অর্থাৎ যে যে কাজের জন্য পারদর্শী তাকে সে কাজে নিয়োগ দেয়া।

একজন ডাক্তারের বা ইঞ্জিনিয়ারের কাজ যেমন সমাজবিজ্ঞানী করতে পারবে না, তেমনি একজন প্রশাসকের বা পররাষ্ট্রের কাজও ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ারের চাইতে ঐ বিষয়ে দক্ষ বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পড়ালেখা করা শিক্ষার্থী ভালোভাবে সামলাতে পারবে। বর্তমানে একটি ১৩ গ্রেডের কম্পিউটার অপারেটর নিয়োগ দিতে গেলেও সরকার বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী খোঁজ করে। সাথে কম্পিউটারের দক্ষতা পরীক্ষা করা হয়। সহকারী জজ নিয়োগেও শুধুমাত্র আইন ছাত্রদের নিয়োগ দেয়া হয়। তাহলে কেন প্রশাসনে লোক প্রশাসন বা জন প্রশাসন বা সমাজ বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের আধিক্য থাকবে না? আপত দৃষ্টিতে মনে হতে পারে যে, যেকেউই প্রশাসন পরিচালনা করতে পারবে। কিন্তু একজন প্রশাসনের শিক্ষার্থী চার বছর ধরে ম্যাক্স ওয়েবারের আমলাতন্ত্র, টেইলরের বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা বা মোটিভেশন তত্ত্বসহ মানুষকে চালনা করার নানান বিষয়ে জ্ঞান লাভ করে। তারপর তাকে নন-ক্যাডারেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়।

শুধু লোকপ্রশাসন নয় রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, সমাজকর্ম এসকল বিভাগের শিক্ষার্থীরা পাঁচ বছর ধরে এসব বিষয়ে পড়ালেখা করে পরে খালি হাতে পিএসসি থেকে ফেরে। কয়েক বছরের ফল দেখলে বুঝা যায় যে, প্রশাসন ক্যাডারে লোকপ্রশাসনের বা সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীর সংখ্যা দুই তিন শতাংশের বেশি হবে না। যদি ইঞ্জিনিয়ার বা ডাক্তাররা প্রশাসন বা পররাষ্ট্র ভালো পরিচালনা করতে পারতো তাহলে রাষ্ট্রবিজ্ঞান, আইআর বা লোকপ্রশাসনের উদ্ভব হতো না। অবশ্য এজন্য শিক্ষার্থীদের দোষ নেই, কারণ বর্তমান পরীক্ষা ব্যবস্থা হয়ে গেছে বিজ্ঞান নির্ভর, যেখানে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা বেশি সুবিধা করতে পারে। যদি ১৩ গ্রেডের একজন কম্পিউটার অপারেটর নিয়োগে তার দক্ষতা যাচাই করা হয় তাহলে, যারা সামনে জাতির রাষ্ট্রনীতি, পররাষ্ট্রনীতি বা প্রশাসন চালাবে তাদের প্রশাসনিক জ্ঞানেরও পরীক্ষা নেয়া উচিত। বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা বর্তমানে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের জন্য সুবিধাজনক। তাই পিএসসির উচিত হবে, ভবিষ্যতের বিসিএসগুলোতে প্রশাসন ও পররাষ্ট্র বিষয়ক লিখিত পরীক্ষায় আরো বেশি মার্কস বরাদ্দ করা, যাতে সেখানে তত্ত্ব ও প্রায়োগিক বিষয়গুলোর মেধা যাচাই করা সম্ভব হয়।

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে যেমন ইঞ্জিনিয়ার ছাড়া নিয়োগ দেয়া হয় না, সহকারী সিভিল সার্জনে যেমন এমবিবিএস ডিগ্রি ছাড়া নিয়োগ দেয়া হয় না, তেমনি আমরাও চাই প্রশাসনে লোক প্রশাসনের শিক্ষার্থীদের আধিপত্য থাকুক এবং পিএসসির উচিত হবে, এ নিয়ে নতুন করে ভাবার। তা না হলে একটা সময় দেশ যেমন ডাক্তার ও ইঞ্জিনিয়ার হারাবে, ঠিক তেমনি এরা প্রশাসনে গিয়েও অব্যশই যে চার বছর ধরে প্রশাসন নিয়ে পড়ে আসলো তার চাইতে ভালো বুঝবে না। আমরা দেখেছি, লোকপ্রশাসন থেকে অনেক শিক্ষার্থী পিএসসিতে ভাইবা দিয়ে খালি হাতে ফিরেছে, হয়তোবা পিএসসির কাছে তাদের মেধাকে তুলে ধরার সুযোগ পায়নি তারা। কিন্তু বিপরীতে ঠিকই দেখেছি ইঞ্জিনিয়ার এবং ডাক্তারদের প্রশাসন, পররাষ্ট্র ক্যাডের আধিক্য। পিএসসির উচিত হবে, অনতিবিলম্বে পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনে যুগোপযোগী করে তোলা, যাতে করে, যার যে কাজে পারদর্শিতা রয়েছে, তাকে সে পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করতে পারে। এতে করে দেশ ও জাতি লাভবান হবে।

লেখক: প্রভাষক, লোকপ্রশাসন বিভাগ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

বেপরোয়া গাড়ি চালানো বন্ধ হোক
জিয়া : স্বাধীনতার ঘোষক
আমাদের পথ
পাহাড়িদের নিয়ে ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে
স্মার্টফোনের দাসত্ব থেকে মুক্তির উপায়
আরও

আরও পড়ুন

মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে : তারেক রহমান

মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে : তারেক রহমান

ঋণখেলাপিরা যাতে মনোনয়ন না পায় চেষ্টা করবো : মির্জা ফখরুল

ঋণখেলাপিরা যাতে মনোনয়ন না পায় চেষ্টা করবো : মির্জা ফখরুল

অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর না হলে রাজনৈতিক সংস্কার টেকসই হবে না : বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি

অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর না হলে রাজনৈতিক সংস্কার টেকসই হবে না : বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি

টিসিবি’র এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর মধ্যে ৩৭ লাখই ভুয়া: বাণিজ্য উপদেষ্টা

টিসিবি’র এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর মধ্যে ৩৭ লাখই ভুয়া: বাণিজ্য উপদেষ্টা

ভোজ্যতেলের সরবরাহ নিশ্চিতে কারখানা পরিদর্শন ভোক্তা অধিকারের

ভোজ্যতেলের সরবরাহ নিশ্চিতে কারখানা পরিদর্শন ভোক্তা অধিকারের

গণপরিবহনে শৃঙ্খলায় কাউন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা

গণপরিবহনে শৃঙ্খলায় কাউন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা

রাজধানীর তিন পার্কে ভেন্ডারের চুক্তি : শর্ত ভঙ্গের তদন্তে ডিএনসিসি

রাজধানীর তিন পার্কে ভেন্ডারের চুক্তি : শর্ত ভঙ্গের তদন্তে ডিএনসিসি

বাবা-মায়ের পুরোনো বাড়িতে যাই : শফিকুল আলম

বাবা-মায়ের পুরোনো বাড়িতে যাই : শফিকুল আলম

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসায় ১৫০ কোটি টাকা অনুদান

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসায় ১৫০ কোটি টাকা অনুদান

২০২৪ সালে ৩১০ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

২০২৪ সালে ৩১০ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

ভারতীয় ৭২ গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে অপতথ্য প্রচার

ভারতীয় ৭২ গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে অপতথ্য প্রচার

লেবানন থেকে দেশে ফিরলেন আরো ৪৭

লেবানন থেকে দেশে ফিরলেন আরো ৪৭

প্লাটফর্ম বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

প্লাটফর্ম বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

শক্তিশালী অর্থনীতি ও গর্বিত জাতি গড়তে শহীদ জিয়ার দর্শন ধারণ করতে হবে : আমির খসরু

শক্তিশালী অর্থনীতি ও গর্বিত জাতি গড়তে শহীদ জিয়ার দর্শন ধারণ করতে হবে : আমির খসরু

কী আছে তৌফিকার লকারে?

কী আছে তৌফিকার লকারে?

ঘটনার তিনদিন পর থানায় মামলা

ঘটনার তিনদিন পর থানায় মামলা

অনিয়ম ঢাকতে তড়িঘড়ি করে নির্বাচনের পাঁয়তারা

অনিয়ম ঢাকতে তড়িঘড়ি করে নির্বাচনের পাঁয়তারা

শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের দুরবস্থা

শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের দুরবস্থা

৯৬টি সিএনজি ভাঙ্গাড়ি হিসাবে সাড়ে ১১ লাখ টাকায় বিক্রি

৯৬টি সিএনজি ভাঙ্গাড়ি হিসাবে সাড়ে ১১ লাখ টাকায় বিক্রি

৩১ দফা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে রূপগঞ্জে বিএনপির সমাবেশ

৩১ দফা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে রূপগঞ্জে বিএনপির সমাবেশ