মোড়ক পরিবর্তন করে কি হচ্ছে সাইবার নিরাপত্তা আইন?

Daily Inqilab মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম

১৫ আগস্ট ২০২৩, ০৯:০৭ পিএম | আপডেট: ১৬ আগস্ট ২০২৩, ১২:০১ এএম

বাংলাদেশের বহুল আলোচিত-সমালোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ বাতিল করে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’ করা হচ্ছে। গত ৭ আগস্ট আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গণমাধ্যমকে বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করা হচ্ছে। নতুন আইনে মোট ধারা ৬০টি। এটি আগামী সেপ্টেম্বরে সংসদে বিল আকারে পাসের জন্য উত্থাপন করা হবে। সেখানে এটি অনুমোদিত হবে। এ আইনের বহু ধারা নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইনে যুক্ত করা হবে। কিছু ধারায় বড় সংশোধনী আনা হবে। তিনি বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করে নতুন যে সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হবে, সেখানে মানহানির মামলায় সাংবাদিককে কারাদ-ের বিধান থাকবে না। এতে কেউ কেউ সমালোচনা করে বলছেন যে, আইনমন্ত্রীর ভাষ্য অনুযায়ী সন্দেহের সৃষ্টি হচ্ছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ নতুন মোড়কে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’ নতুন নামে আসবে নাতো? মূলত: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কয়েকটি ধারা পরিবর্তন ও সংস্কার করে এর নতুন নাম রাখা হয়েছে সাইবার নিরাপত্তা আইন। এই সংস্কারের মূল পরিবর্তন মনে করা হচ্ছে, শাস্তির পরিমাণ কমানোকে অর্থাৎ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৯ ধারায় মানহানিকর কিছু প্রচার প্রকাশ করলে সাজা ছিল তিন বছরের। এখন মানহানির ক্ষেত্রে ফৌজদারি শাস্তির বিধান বাতিল করা হয়েছে। সেই স্থলে জরিমানা বৃদ্ধি করার বিধান সংযুক্ত হয়েছে। অর্থাৎ, মানহানির যে ধারাটা ছিল, সেই ধারায় আগে শাস্তি ছিল কারাদ-। সেই কারাদ-ের জায়গায় এখন জরিমানার বিধান করা হয়েছে। এখন জরিমানা যদি না দেওয়া হয়, তাহলে কারাদ- থাকবে। সেটাও জরিমানার ওপর ভিত্তি করে তিন মাস বা ছয় মাসের কারাদ- থাকবে। কিন্তু মূল শাস্তি হচ্ছে জরিমানা। জরিমানা আগে সর্বোচ্চ ছিল ৫ লাখ টাকা, এখন তা বাড়িয়ে ২৫ লাখ টাকা করা হয়েছে।’

তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৪, ৫৫, ৫৬, ৫৭ ও ৬৬ সহ মোট ৫টি ধারা বিলুপ্ত করে ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তে, বাংলাদেশের সংসদে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ পাস হয়। এ আইনটি প্রস্তাবের পর গণমাধ্যমকর্মী এবং সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীসহ বিভিন্ন মহল তীব্র সমালোচনা করে। পশ্চিমা দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকরা আইনের ২১, ২৫, ২৮ ও ৩২ ধারা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই আইনকে সংবিধানের মূলনীতির পরিপন্থী আখ্যা দিয়ে টিআইবি আইনটি পাস না করতে অনুরোধ জানিয়েছিল। সংবিধান বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ ও আইনজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ বাকস্বাধীনতাবিরোধী এ আইনকে মধ্যযুগে ফিরে যাওয়ার আইন বলে অভিহিত করেন। সারা দেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে মোট ৭ হাজার ১টি মামলা দায়ের হয়। এ আইনে বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার করা হয় সাংবাদিক, গণমাধ্যমকর্মী, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে। সরকার বারবার অস্বীকার করলেও এই আইনটি সাংবাদিক ও সরকারের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিদের নিপীড়ন ও দমন করার জন্য হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ ওঠে। ফলশ্রুতিতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মুক্তচিন্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা অক্ষুন্ন রাখা, সর্বোপরি মানুষের মৌলিক অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ বাতিলের জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিলেন গণমাধ্যম ও মানবাধিকারকর্মীসহ সংশ্লিষ্ট অনেকে। জাতিসংঘ থেকে এই আইনের দুটি ধারা সম্পূর্ণরূপে বাতিল এবং আটটি ধারাকে সংশোধন করার সুপারিশ করা হয়েছিলো। গত এপ্রিল মাসে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টার্ক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগ স্থগিত ও এই আইনকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে সংশোধন করার আহ্বান জানান। সরকার শেষ পর্যন্ত এ বিতর্কিত আইনটি বাতিল করেছে। আইন বাতিল হলেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে চলমান মামলাগুলোর বিচার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ বাতিল করার কথা বলা হলেও বাস্তবে সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩ কতটা নতুন রূপে আসছে, তা নিয়েও আলোচনা সমালোচনা চলছে। যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন সংস্থা-সংগঠন ও ব্যক্তিবর্গ এ বিষয়ে সাধুবাদ জানালেও অনেকে ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন।

নতুন আইনে যেসব পরিবর্তন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণে দেখা যায়, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ২১ ধারা। এই ধারা অনুযায়ী, যদি কোন ব্যক্তি ডিজিটাল মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতির পিতা, জাতীয় সংগীত বা জাতীয় পতাকার বিরুদ্ধে কোনো রকম প্রোপাগান্ডা ও প্রচারণা চালায় বা তাতে মদদ দেয়, তাহলে সেটি অপরাধ বলে গণ্য হতো এবং এর জন্য ১০ বছরের কারাদ- বা এক কোটি টাকা জরিমানার বিধান ছিল। এই একই অপরাধ কেউ দ্বিতীয়বার করলে তার সাজা দ্বিগুণ করার বিধান ছিল। আর বারবার একই অপরাধের ক্ষেত্রে যাবজ্জীবন কারাদ- বা তিন কোটি টাকা জরিমানার বিধান ছিল। এই ধারাটিতে পরিবর্তন এনে সাজার মেয়াদ ৭ বছর করা হয়েছে। আর দ্বিতীয়বার একই অপরাধ করলেও সাজা দ্বিগুণ হবে না।

পরোয়ানা ছাড়া গ্রেপ্তার থাকছে সাইবার নিরাপত্তা আইনেও। ৪৩ ধারা নিয়ে বড় বিতর্ক থাকলেও সেটি অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। ৪৩ ধারা অনুযায়ী, যদি কোনো পুলিশ কর্মকর্তা মনে করেন যে, কোনো স্থানে এই আইনের অধীনে কোনো অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তাহলে সাক্ষ্য প্রমাণাদি হারানো, নষ্ট হওয়া, মুছে ফেলা, পরিবর্তন হওয়ার বা করার সম্ভাবনা রয়েছে, তাহলে কোন পরোয়ানা ছাড়াই সেখানে তল্লাশি, সরঞ্জাম জব্দ, দেহ তল্লাশি এবং পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেপ্তারের এখতিয়ার রয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৮, ২৯, ৩০ ধারাগুলো বাতিলের বিষয়ে নানা সময়ে আলোচনা ও দাবি জানানো হলেও তা বাতিল না করে জামিনযোগ্য করা হয়েছে। ৩১ ধারায় পরির্বতন এনে সাজার সময়সীমা কমানো হয়েছে। আগে সাত বছরের কারাদ-ের পরিবর্তে এটা কমিয়ে পাঁচ বছর করা হয়েছে। বারবার একই অপরাধ করলে সাজা বাড়ানোর বিষয়টি বাতিল করা হয়েছে। তবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩৩ ধারা ( বেআইনিভাবে তথ্য-উপাত্ত ধারণ, স্থানান্তর, ইত্যাদির দ-) ও ৫৭ ধারা (সরল বিশ্বাসে কৃত কাজকর্ম) নতুন আইনে বাতিল করা হয়েছে। ৩২ ধারায় সরকারি গোপনীয়তা ভঙ্গের অপরাধের শাস্তি আগে ছিল ১৪ বছর, সেটি কমিয়ে ৭ বছর করা হয়েছে। বারবার এই অপরাধ করলে সাজা বাড়ার বিধান বাতিল করা হয়েছে। ৩৩ ধারা সম্পূর্ণ বিলুপ্ত করে হ্যাকিং সম্পর্কিত অপরাধ নামে নতুন ধারা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এই অপরাধের শাস্তি অনধিক ১৪ বছরের কারাদ- বা এক কোটি টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।

নতুন আইন হলেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে চলমান মামলাগুলো বাতিল হবে না বলে বলা হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা যে মামলাগুলোর বিরুদ্ধে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষকে হয়রানি ও নিপীড়নের অভিযোগ আছে, সে মামলাগুলো নতুন আইনের দ্বারা যদি চলমান থাকে, তাহলে নতুন আইনটি নিয়েও সমালোচনা জারি থাকবে। যেসব ধারা নিয়ে বিতর্ক ছিল সেগুলো এখনো রয়েছে। ডিজিটাল আইনের যেসব বিষয় নিয়ে আপত্তি ছিল সাইবার নিরাপত্তা আইনেও রয়ে গেছে। বিশেষ করে এই আইনেও বিদ্যমান ‘ভাবমূর্তি’ নষ্ট করা বা অনুভূতিতে আঘাতের মতো বিষয়গুলো ফৌজদারি আইনে অপরাধ হিসেবে অন্যান্য দেশে প্রায় শত বছর আগে উঠে গেলেও সেগুলো এখনো আমাদের দেশে ব্যবহার হচ্ছে। যার ফলে এটি অপপ্রয়োগেরও সুযোগ রয়েছে এবং এটি দিয়ে নিবর্তনমূলক কার্যক্রম করারও সুযোগ রয়ে গেছে।

সচেতন জনগণ প্রত্যাশা করে, মতের অমিল হলে বা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হলেই আইনের বেড়াজালে বন্দি করে নির্যাতন করার হাতিয়ার হিসেবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর মতো যেন সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩ ব্যবহার না হয়। জনগণের অধিকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মুক্তচিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা অক্ষুণœ রাখা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের বিকাশের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।

লেখক: প্রাবন্ধিক ও সংগঠক
[email protected]


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

বেপরোয়া গাড়ি চালানো বন্ধ হোক
জিয়া : স্বাধীনতার ঘোষক
আমাদের পথ
পাহাড়িদের নিয়ে ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে
স্মার্টফোনের দাসত্ব থেকে মুক্তির উপায়
আরও

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া কোরের '৯ম কর্ণেল কমান্ড্যান্ট' অভিষেক অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া কোরের '৯ম কর্ণেল কমান্ড্যান্ট' অভিষেক অনুষ্ঠিত

দ. কোরিয়ায় ইয়ুনের আটক বাড়ানোর পর আদালতে হামলা ও বিক্ষোভ

দ. কোরিয়ায় ইয়ুনের আটক বাড়ানোর পর আদালতে হামলা ও বিক্ষোভ

শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ওয়াশিংটনে ট্রাম্প

শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ওয়াশিংটনে ট্রাম্প

ইয়েমেন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, ইসরাইলি বিমানবন্দর বন্ধ

ইয়েমেন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, ইসরাইলি বিমানবন্দর বন্ধ

৬০০ টাকা কেজি দরে ইলিশ বেচবে সরকার, পাওয়া যাবে যেখানে

৬০০ টাকা কেজি দরে ইলিশ বেচবে সরকার, পাওয়া যাবে যেখানে

লাইফ সাপোর্টে কাজী নজরুল ইসলামের নাতি বাবুল

লাইফ সাপোর্টে কাজী নজরুল ইসলামের নাতি বাবুল

স্পেনের এনজিওগুলো ইলন মাস্কের বিরোধিতায় এক্স ছেড়ে যাচ্ছে

স্পেনের এনজিওগুলো ইলন মাস্কের বিরোধিতায় এক্স ছেড়ে যাচ্ছে

যে দেশ বা সমাজে ন্যায়বিচার নেই, সে জাতিকে ধ্বংস করে দেন আল্লাহ: আল্লামা মামুনুল হক

যে দেশ বা সমাজে ন্যায়বিচার নেই, সে জাতিকে ধ্বংস করে দেন আল্লাহ: আল্লামা মামুনুল হক

গাজায় প্রতিদিন ঢুকবে ৬০০ ট্রাক ত্রাণ

গাজায় প্রতিদিন ঢুকবে ৬০০ ট্রাক ত্রাণ

যুদ্ধবিরতির আনন্দে গাজায় কর্মরত সাংবাদিকদের আবেগ-উল্লাস

যুদ্ধবিরতির আনন্দে গাজায় কর্মরত সাংবাদিকদের আবেগ-উল্লাস

ফের শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস দিলো আবহাওয়া অফিস

ফের শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস দিলো আবহাওয়া অফিস

লিমায় স্প্যানিশ বিজয়ী ফ্রান্সিসকো পিজারোর মূর্তি পুনঃস্থাপন

লিমায় স্প্যানিশ বিজয়ী ফ্রান্সিসকো পিজারোর মূর্তি পুনঃস্থাপন

আবারও পেছাল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে রিভিউ শুনানি

আবারও পেছাল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে রিভিউ শুনানি

‘প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ বাধ্যতামূলকভাবে করতে হবে’

‘প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ বাধ্যতামূলকভাবে করতে হবে’

রাজনীতির মধ্যে ঢুকতে চায় না ইসি, ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু সোমবার

রাজনীতির মধ্যে ঢুকতে চায় না ইসি, ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু সোমবার

টিকটকের যুক্তরাষ্ট্রে পরিষেবা বন্ধ, আইনি নিষেধাজ্ঞার প্রভাব

টিকটকের যুক্তরাষ্ট্রে পরিষেবা বন্ধ, আইনি নিষেধাজ্ঞার প্রভাব

ইউল্যাবের হাল্ট প্রাইজ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ

ইউল্যাবের হাল্ট প্রাইজ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ

স্পিকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের পরিকল্পনা করছিলেন হাসিনা : দ্য হিন্দু

স্পিকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের পরিকল্পনা করছিলেন হাসিনা : দ্য হিন্দু

আওয়ামী দুঃশাসনের যেন পুনরাবৃত্তি না হয়: রিজভী আহমেদ

আওয়ামী দুঃশাসনের যেন পুনরাবৃত্তি না হয়: রিজভী আহমেদ

সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবি, আ.লীগের জয়জয়কার

সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবি, আ.লীগের জয়জয়কার