ধর্ম, রাষ্ট্র এবং আধুনিকতা
৩০ মার্চ ২০২৪, ১২:০৬ এএম | আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৪, ১২:০৬ এএম

পৃথিবীতে ধর্মের সংখ্যা চার হাজারের বেশি। এর মধ্যে খ্রিষ্ঠধর্ম, ইসলাম ধর্ম ও ইহুদিধর্ম আল্লাহ প্রদত্ত আসমানী ধর্ম। এ তিন ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী, পৃথিবীর প্রথম মানব আদম (আ.)। এই ধর্মগুলো অধ্যায়ন করলে জানা যায়, পৃথিবীর প্রথম মানব ধার্মিক ছিলেন। প্রতিটি ধর্মের মৌলিক বক্তব্য ও বিশ্বাস ছিল একত্ববাদ ও মানবতাবাদ। আগে মানুষের কাছে রাষ্ট্রের কোনো ধারণা ছিল না। রাষ্ট্রের আগেই পৃথিবীতে ধর্ম ও ধার্মিকের আবির্ভাব ঘটে। আর এটা বুঝতে বড় ধরনের কোনো প্রমাণ ও গবেষণার প্রয়োজন নাই। আসমানী ধর্ম হিসেবে ইহুদি, খ্রিস্টান ও ইসলাম আদম (আ.) কে প্রথম মানব ও নবী হিসেবে বিশ্বাস করে। হযরত আদম (আ.) এর ধর্মীয় বিশ্বাস ও আচরণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো: একত্ববাদ, প্রত্যাদেশপ্রাপ্ত পুরুষের প্রতি বিশ্বাস, আত্মিক পরিশুদ্ধতা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, সহিষ্ণুতা, ব্যভিচার নিষিদ্ধ করা, সহনশীলতা প্রদর্শন, সুদ পরিহার করে চলা, পিতা-মাতার প্রতি শ্রদ্ধা, ব্যক্তিত্ববোধ ও অপরের প্রতি শ্রদ্ধা, প্রতিশোধ না নেয়া, ধর্ম শিক্ষা দেয়া, ক্রোধ সংবরণ ও শোকরানার জন্য প্রভুর উপাসনা, উদারতা, রুচিশীলতা, ভদ্রতা ও উন্নত সুশাসন উপহার, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, লুণ্ঠন পরিহার ইত্যাদি।
ইতিহাস সাক্ষী, পৃথিবীর সকল ধর্ম প্রবর্তকই ছিলেন আরাম-আয়েসবিবর্জিত মহান ব্যক্তিত্বের অধিকারী। ত্যাগ ও কুরবানির দৃষ্টান্ত দিয়ে পরিপূর্ণ ছিল তাদের নেতৃত্ব। তাদের ইতিহাস, নিজেদের সব সুখ শান্তি জলাঞ্জলি দেয়ার ইতিহাস। তাদের ইতিহাস, অন্যের সুখের জন্য জীবন বিলিয়ে দেয়ার ইতিহাস। তাদের ইতিহাস, স্বার্থপূজারীদের রক্তচক্ষুর রোষানলে পড়ে কারাগারে অন্তরীণ হওয়ার ইতিহাস। ঘর ত্যাগ, স্বজন ত্যাগ আর দেশত্যাগ হওয়া ছিলো তাদের জীবনের স্বাভাবিক ঘটনা। আর এই মহিমান্বিত নেতৃত্বের সবচেয়ে উজ্জ্বল ভাস্কর ছিলেন মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.)। তাঁর প্রচারিত একত্ববাদ আর মানবতাবাদী চেতনায় উজ্জীবিত হয়েছিলো মরু আরব। তাঁর সীমাহীন ত্যাগ হৃদয়হীন আরবদের বশীভূত করেছিলো। অতি অল্পদিনের ব্যবধানে তিনি আরবের বাধাহীন ও স্বাধীন এক বর্বর জাতিকে বশ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। প্রাচীন অন্ধকার, বিশৃংখল আর বর্বর সমাজে আগত মহানবী (সা.) রুচিবোধ, জীবনবোধ, মানবতাবোধ, লোভহীনতা, সমাজতত্ত্ব, রাষ্ট্রতত্ত্ব, দেশপ্রেম, সততা, নিষ্ঠা, ধর্মের প্রতি অবিচল বিশ্বাস, এর অনুশীলন আর তা প্রচারের সুনিপুণ কৌশল দুনিয়ার সর্বত্রই নন্দিত ও প্রশংসিত হয়েছিলো। এখনো তিনি সারা দুনিয়ার গবেষকদের কাছে নন্দিত এক নেতৃত্ব হিসেবেই বিবেচিত।
ধর্ম থেকে রাষ্ট্রকে বিচ্ছিন্ন করার প্রবণতাটা সৃষ্টি হয়েছে মুক্তমনা দর্শন চর্চার মানসিকতা থেকে, কিছু অবিশ্বাসের মাধ্যমে। অথচ দর্শনের ইতিহাস চর্চা করলে দেখা যাবে যে, দর্শনের সাথে ধর্মের কোনো বিরোধ কখনো ছিল না। দর্শন চর্চার প্রাণপুরুষ ছিলেন সক্রেটিস, প্লেটো এবং এরিস্টটল। তারা সবাই একেশ্বরবাদী ছিলেন। তারা কখনো ধর্মের বিরুদ্ধে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করতেন না। নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টিও করতেন না। তারা কখনো ধর্মের নেতিবাচক ব্যাখ্যা প্রদান করেননি। তাদের জীবনী পাঠ করলে দেখা যায়, সামগ্রিক জীবনে তারা ধর্ম পালনের যৌক্তিকতা তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। সক্রেটিসের ছাত্র প্লেটো, প্লেটোর ছাত্র এরিস্টটল আর এরিস্টটলের ছাত্র ছিলেন আলেকজান্ডার। মহাবীর আলেকজান্ডার বহু ঈশ্বরবাদে বিশ্বাসী হলেও ধর্মের প্রতি ছিল শ্রদ্ধাশীল। তার সময়ে রাষ্ট্র চলেছে স্বাধীনভাবে আর ধর্ম চলেছিলো তার নিজস্ব গতিতে। এটা নিয়ে কখনো কারো মাথাব্যথা ছিল না। ধর্ম ও রাষ্ট্রের বিরোধ নিয়ে যত তর্কবিতর্ক সেটা আধুনিক মুক্তমনা দর্শনচর্চার ফল। কিন্তু এই মুক্তমনা দর্শন চর্চার এবং মুক্তমনের মত প্রকাশে বাঁধ সাধলো তৎকালীন বাইজান্টাইন সম্রাট জাস্টিনিয়ান। জাস্টিনিয়ান ক্ষমতার মোহে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন। নিজের ক্ষমতাকে দীর্ঘ ও পোক্ত করতে ফন্দি-ফিকির করতে থাকেন।
৫২৯ সালের ঘটনা। জাস্টিনিয়ান সব গ্রিক স্কুল ভেঙে দেন। জাস্টিনিয়ানের উদ্দেশ্য ছিলো, সবাইকে মূর্খ বানিয়ে ক্ষমতা প্রলম্বিত করা। জাস্টিনিয়ান প্রজাদের উপর শাসনের নামে শোষণের স্টিমরোলার চালাতে লাগলো। দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে চললো জাস্টিনিয়ানের এই শাসন। এতে মানুষের মুক্ত মনের ভাবনার পথ রুদ্ধ ও শৃঙ্খলিত হয়ে গেল। শোষিত জনগণ জাস্টিনিয়ানের জুলুম এবং শোষণে অতিষ্ঠিত হয়ে উঠলো। মনের গভীরে তারা সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে উঠলো। কিন্তু কিছুই করার ছিল না। এ সময়ে চার্চও আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করে। এভাবে চার্চ তথা ধর্মের সাথে রাষ্ট্রের তথা শাসকগোষ্ঠীর সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। ধূর্ত জাস্টিনিয়ান গদি রক্ষার্থে ধার্মিক সাজার ভান করে। সে চার্চের কাছে নিজেকে সমর্পণ করে। ক্ষুদ্ধ জনতার ক্ষোভ প্রশমন করতেই জাস্টিনিয়ান গির্জার দ্বারস্থ হয়। সে নতুনভাবে ধান্দাবাজিতে লিপ্ত হয়। এই ধান্দাবাজিতে ধূর্ত জাস্টিনিয়ান সফলতা লাভ করে। জাস্টিনিয়ান ধর্মের লেবাস ও মুখোশ পরিধান করে। সে তার ধূর্ততা আর ক্ষমতাকে দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহার করে ধর্মীয় নেতাদের বশ করে। এরই এক পর্যায়ে ধর্ম গুরুদের শাসকগণ দরবারী ধর্মযাজকে পরিণত করে। ধর্মযাজকরা রাষ্ট্রের অনুচর ও সেবাদাসে পরিণত হয়। অত্যাচারী শাসক ও দরবারী ধর্মযাজক একে অপরের সহায়ক শক্তিতে পরিণত হয়। ধর্মযাজকদের সহায়তায় জাস্টিনিয়ান নতুনভাবে শক্তি ও ক্ষমতা সঞ্চয় করে। এভাবে ক্ষমতাধর জাস্টিনিয়ন জোর প্রতাপের সাথে উত্তর আফ্রিকা, সিসিল এবং ইতালির একটি অংশের শাসন কার্য পরিচালনা করেন।
ফরাসি সমাজবিজ্ঞানী জ্যঁ বদ্রিয়াঁ বলেছেন, আধুনিকতার খাসলত হলো যা কিছু ঐতিহ্য ও প্রাচীন সংস্কৃতি তার সাথে দুশমনি করা। মডার্ন কথাটি বর্তমানকে প্রতিনিধিত্ব করতে চায়। পঞ্চদশ শতকের শেষ দিকে এর ব্যবহার ঘটেছিলো বর্তমানকে ব্যক্ত করার জন্যই। পরে তা যুগের এমন সচেতনতাকে ব্যক্ত করতে থাকে, যা পুরনো থেকে নতুনে বিবর্তনের ফসল হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে চায়। পুরাতনকে এবং মানব ঐতিহ্যকে বাদ দেয়ার ফলাফল কি ইতিবাচক হয়েছে? মোটেও তা হয়নি; বরং এর ফলে ব্যক্তি ও বস্তুচিন্তা মানুষের চালক হয়েছে, মুনাফালোভ মানবমনের কর্তৃত্ব গ্রহণ করেছে, ভোগলিস্পা আপন হাতে তুলে নিয়েছে জীবনের লাগাম। কিন্তু ব্যাপারগুলো ঘটেছে মানবতাবাদ, ব্যক্তিস্বাধীনতাবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতার মোড়কে। মানুষ যা হারিয়েছে, তা হলো সত্যবোধ, সত্যলগ্নতা। হারিয়েছে প্রশান্তি ও নির্ভরতা। হারিয়েছে আত্মজয় ও আধ্যাত্মিকতা। সবকিছু সে জয় করতে চেয়েছে শুধু নিজেকে ছাড়া। যখনই নিজেকে জয় করতে চেয়েছে, তখনই নিজেকে নিজে খুঁজে পায়নি কোথাও। কারণ, সে ঠিকানাহীন চোরাবালিতে হারিয়ে গিয়েছিলো। মানবীয় পবিত্রতার বোধকে সে চিনতে পারেনি। সে একে কামনা করতেও ভুলে যায়। সে চলেছে বিপরীত পথে। যার ফলে সামাজিক ধ্বংসের ইতিকতা হয়ে উঠেছে তার পথের পৃষ্ঠাসমূহ। নিজের ভেতরে সে নিজেকে ধ্বংস করেছে প্রতিনিয়ত। ফলে বাইরের ধ্বংসকর্মও ছিলো তার নিয়তির অংশ। সে হিউম্যানিটির কথা বলেছে সবচেয়ে বেশি। কিন্তু তার হাতে হিউম্যানিটি হয়েছে সবচেয়ে বেশি ধ্বংসের শিকার।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে কমপক্ষে ৯০ লাখ লাখ সৈন্য ও ৫০ লাখ সাধারণ মানুষের মৃত্যু এবং তিন কোটি মানুষের আহত, পঙ্গু ও যখমই হওয়ার মধ্য দিয়ে থামলেও তার গর্ভে নিহত ছিলো দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের বারুদ। ১৯৩৯ সালে শুরু হওয়া এ যুদ্ধ ইউরোপে ১৯৪৫ সালে শেষ হয় বটে; কিন্তু এশিয়ায় পরবর্তী সংঘর্ষগুলোকে হিসেবে ধরলে এ যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটে ১৯৩৯ সালে। ত্রিশটি দেশের দশ কোটিরও বেশি সামরিক সদস্য অংশ নেয় এই যুদ্ধে। কেবল ১৯৩৯ সাল থেকে ১৯৪৫ সালের মধ্যে মারা যায় ৮ কোটি মানুষ। এই দুই মহাযুদ্ধ ছাড়াও ঘটিয়েছে মানবসংহারই বহু যুদ্ধ। কোন মহান কল্যাণকে আমন্ত্রণ করা এবং কোন শান্তিকে নিশ্চিত করার কাজ করেনি যুদ্ধগুলো। এগুলো মূলত শুরু হয়েছিলো জাতিগত শ্রেষ্ঠত্বের অহংকার, পররাজ্য ও পরস্বত্বগ্রাস ও নিকৃষ্ট বর্ণবাদ থেকে। আধুনিকতার শক্তি অনুসন্ধান করেছে শিল্প ও পুঁজিবাদে। কিন্তু অবাধ পুঁজিবাদই তাকে শেষ অবধি পতনের দ্বারপ্রান্তে টেনে নিচ্ছে। পুঁজিবাদ তার শক্তি ও পুঁজিবাদ তার দুর্বলতা। এই শক্তি প্রান্তিক কিন্তু এই দুর্বলতা সর্বগ্রাসী। আধুনিক বিজ্ঞানের বিপুল ও বহুব্যাপ্ত মদদ, জ্ঞান ও উদ্ভাবনের গ্রহ অতিক্রমী জোয়ার, তথ্যপ্রযুক্তির বিস্ময়কর বিপ্লবও আধুনিক সভ্যতার গভীর এবং অমোচনীয় ক্ষতস্থানগুলোকে ঢাকতে পারছে না। আজকাল অবশ্য ধর্মবিশ্বাসের পথে বেশ কিছু অন্তরায় লক্ষ করা যায়। ধর্মের যেসব আচার অনুষ্ঠান রক্ষণশীল প্রকৃতির, সেগুলো সময়ের অগ্রগতির সঙ্গে ক্রমশ সেকেল হয়ে যায়। এ জন্যই ধর্মবিশ্বাসকে, অর্থাৎ ধর্মের মৌল ধারণাবলীকে অগ্রসরমাণ মানব জ্ঞানের আলোকে নতুন করে ব্যাখ্যা করতে হয়।
আজ সারাবিশ্বে এক ধর্মবিরোধী ভাবধারা বিদ্যমান রয়েছে। কিন্তু এ সত্ত্বেও নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, ধর্ম তার বিকাশের প্রতিটি পর্যায়ে মানুষকে মূল্যবোধপুষ্ট মহৎ জীবন পরিচালনায় সাহায্য করে আসছে। এদিক থেকে ধর্মের মূল ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা সহজেই অনুমান করা যায়।
লেখক: প্রভাষক, সরকারি ইস্পাহানী ডিগ্রি কলেজ, কেরাণীগঞ্জ, ঢাকা।
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত

ওষুধের দাম কমাতে পদক্ষেপ ট্রাম্পের

চীনা বিমানের কাছে পরাস্ত রাফাল সোশ্যাল মিডিয়ায় হাসির খোরাক ভারত

এরদোগানের সঙ্গে ফোনালাপ পুতিনের

ফের বিটকয়েনের দাম ১ লাখ ৫ হাজার ডলার ছাড়াল

মার্কিন-চীন বাণিজ্যের অবনতি রোধ করতে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে নেক্স গ্লোবাল

গাজা যুদ্ধ সামরিক আগ্রাসনের মাধ্যমে সমাধানযোগ্য নয় : জার্মানি

ইউরোপে বন্দি থেকেও ফিলিপাইনে জয়ী হতে যাচ্ছেন দুতার্তে

ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সংলাপ চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা

ফ্যাসিস্ট এমপি মমতাজ বেগম গ্রেফতার

কোটচাঁদপুরে আম সংগ্রহ শুরু

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় অচল: দক্ষিণাঞ্চল অচলের ঘোষণা

সুন্দরবনের চারপাশে ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপনে নিষেধাজ্ঞা জারী করে প্রজ্ঞাপন

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির এক দশক পূর্তিতে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজন

করিডোর নিয়ে গোটা দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ, বিপন্ন হতে পারে সার্বভৌমত্ব: দরকার জাতীয় ঐক্য

সিলেটে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এক নেতাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ

মাগুরায় আওয়ামী লীগ এর সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ায় জামায়াতের শুকরানা মিছিল

নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের কোরআন বিরোধী প্রস্তাব বাতিল করতে হবে

জকিগঞ্জে আ. লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ২৬ নেতা কারাগারে

জেপি মরগান পেমেন্টসের ‘ওয়্যার ৩৬৫’ চালু করলো ব্র্যাক ব্যাংক