মুসলমানরাই জ্ঞান-বিজ্ঞানে বিশ্বকে আলোকিত করেছিল
২২ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৯ এএম | আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৯ এএম
পবিত্র কুরআন ও হাদীসে জ্ঞান ও বিদ্যাচর্চার কথা বলা হয়েছে অসংখ্যবার। এ জন্য মুসলমানরা তাদের স্বর্ণযুগে বিজিত দেশসমূহে জ্ঞানের বিভিন্ন শাখা-প্রশাখায় ব্যাপক উৎকর্ষ সাধন করেছিলেন। মুসলিম শাসকদের পৃষ্ঠপোষকতায় বহু দার্শনিক, বৈজ্ঞানিক, চিকিৎসক, সাহিত্যিক, জোতির্বিদ প্রভৃতি মনীষী জ্ঞানবিজ্ঞানের সর্বক্ষেত্রে অপূর্ব উন্নতি সাধন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। আমরা নির্দ্বিধায় বলতে পারি যে, ইউরোপের নবজাগরণ এবং আধুনিক বিজ্ঞানের উন্নতি সাধন তাদেরই সুচিন্তিত গবেষণা ও দূরদর্শিতার ফসল। বিশ^ কৃষ্টি ও সভ্যতার ইতিহাস সর্বাধিক মানসিক জাগরণ ও বৈজ্ঞানিক উন্নতি সাধন একমাত্র ইসলামের দ্বারাই সংঘটিত হয়েছিল। নানান উত্থান ও পতনের মধ্য দিয়ে মানবজাতি যখন ইতিহাসের পথ অতিক্রম করছিল, বিশে^র মানুষ যখন নানা অত্যাচার ও অনাচারে জর্জরিত হচ্ছিল, জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চা যখন ছিল অবহেলিত ও অন্যায় কাজ, সেই যুগসন্ধিক্ষণে ইসলাম শান্তি ও সভ্যতার আলোকবর্তিকা নিয়ে পৃথিবীর বুকে আবির্ভূত হয়। ইসলাম মানবজাতিকে অধঃপতনের অন্ধকূপ হতে তুলে মান-মর্যাদার উচ্চতম স্থানে স্থাপন করেছিলÑ শিক্ষার আলো দিয়ে সারা পৃথিবীকে আলোকিত করেছিল। বিশে^র সব জায়গা থেকে শিক্ষার্থী ও গবেষক আরব পণ্ডিত বিশেষজ্ঞদের বাণী শ্রবণ করার জন্য কর্ডোভা, বাগদাদ ও কায়রোতে ভিড় জমাতেন। ‘কর্ডোভার মসজিদসমূহ দার্শনিক ও বৈজ্ঞানিক অনুশীলনের সক্রিয় কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল, যেখানে সমবেত ছাত্রদের সংখ্যা হাজারের মাধ্যমে গণনা করা হতো।’ প্রখ্যাত ঐতিহাসিক লেনপুল বলেন, ‘আমরা দশম শতাব্দীর কর্ডোভার গৌরবোজ্জ্বল দিনগুলোর কথা এমন সময় স্মরণ করি যখন স্যাক্সন (ইংল্যান্ড) পূর্বপুরুষেরা কাঠের কুঠিরে বাস করতো এবং নোংরা কর্দমাক্ত পথে চলাফেরা করতো, যখন ইংরেজি ভাষার প্রচলন হয়নি এবং যখন লেখাপড়ার মতো গুণাবলি কেবল যাজক সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল, তখনই আমরা স্পেনের মুসলমানদের অভূতপূর্ব সভ্যতার কথা উপলদ্ধি করতে পারি এবং তাদের প্রতিভালোকে নিখিল বিশ^ আলোকিত করে।’ এতদসত্ত্বেও কোনো কোনো মহল প্রায়শই অভিযোগ করে থাকেন যে, ইসলাম বিজ্ঞান বিরোধী কিংবা আধুনিক বিজ্ঞানে এর কোনো অবদান নেই। তাদের মতে, ইসলাম নিতান্তই একটি পুরনো রীতি-নীতি এবং এজন্যই সমকালীন বৈজ্ঞানিক যুগে এর কোনো উপযোগিতা বা প্রয়োজন থাকতে পারে না। অনেকেই আবার বলেন, ইসলামী শিক্ষা ও আদর্শ অনুসরণ করলে বর্তমান সভ্য সমাজ কমপক্ষে এক হাজার বছর পিছিয়ে যাবে; সেখানে থাকবে না কোনো শিক্ষার আলো, আর হবে না সেখানে কোনো প্রকারের উন্নতি। কেউ কেউ এমন কথাও বলে থাকেন যে, ইসলাম হয়তো ১৪০০ বছর পূর্বে বিশেষ কোনো সমাজের জন্য উপযুক্ত ছিল, কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞানের যুগে তা আর চলতে পারে না। কিন্তু ইসলামে জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চার ইতিহাস সত্য ও বস্তুনিষ্ঠভাবে আলোচনা করলে সুস্পষ্ঠ প্রতীয়মান হয় যে, তাদের এই ধারণা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত অথবা ইসলাম ধর্মে জ্ঞানচর্চার প্রতি কঠোরতা সম্পর্কে জ্ঞানের অভাব। ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে তাদের ভুল বুঝাবুঝির কারণেই কেবল এমন মন্তব্য করা সম্ভব। যারা ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে এমন মন্তব্য করেন, তাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, ইসলামের পূর্বপুরুষরা ধর্মের ভিত্তিতে প্রায় হাজার বছর যাবৎ পৃথিবীতে শুধু সর্বপ্রধান শক্তিশালী শাসক হিসাবে রাজত্ব পরিচালনা করেননি বরং বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় চরম উৎকর্ষ সাধন করেছিলেন। ইসলামের আবির্ভাবের পূর্বে যে কয়টি জাতি বিজ্ঞানের চর্চা করেছিল তাদের মধ্যে পারস্য, গ্রিক, রোমান, মিসর, সিরিয়া ও ভারতবর্ষ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞান বলতে আমরা যেটা বুঝি, তৎকালীন যুগে সেটা ছিল না। ৫ম থেকে দশম শতাব্দী পর্যন্ত ইউরোপ অন্ধকার যুগে পতিত ছিল। ঐ যুগের অধিবাসীরা আদিম যুগের বর্বর মানুষের মত বসবাস করতো। তাদের না ছিল কোনো সমাজ ব্যবস্থা, না ছিল কোনো সঠিক ধর্মীয় মতবাদ। ব্যক্তি হিসাবে তারা ছিল অপরিচ্ছন্ন এবং মনের দিক দিয়ে ছিল অজ্ঞান-তিমিরাচ্ছান্ন। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর আবির্ভাবের সময় গ্রিস, পারস্য, রোম, সিরিয়া, মিসর ও ভারতে বিজ্ঞান ও দর্শন চর্চা অনেকটা স্তিমিত হয়ে যায়। তার কারণ এ যুগে খ্রিস্টান জাহানে নতুন ভ্রান্ত ধারণার উন্মেষ ঘটে। সে যুগের খ্রিস্টান পাদ্রীদের বিশ^াস ছিল, বিজ্ঞানচর্চা করলে মানুষের মধ্যে ধর্মের অস্তিত্ব লোপ পেয়ে যায়; ‘অজ্ঞানতা ধর্মনিষ্ঠার জননী’ এই যাজকীয় নীতিবাক্যের মাধ্যেমে মানবীয় শিক্ষার প্রতি যাজকতন্ত্রের ঘৃণা রূপায়িত হয়েছিল।
কনস্ট্যানটাইন ও তার গোড়া উত্তরাধীকারীদের শাসনামলে এসকেলিপিউন চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আদিম পৌত্তলিক সম্রাটদের উদারতার ফলে যে সব পাঠাগার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তা ছিন্নভিন্ন বা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল। শিক্ষাকে ম্যাজিক হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল বা রাজদ্রোহিতা বলে গণ্য করা হয়েছিল। দর্শন ও বিজ্ঞান সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা হয়েছিল। যাজকীয় সাবর্ভৌমত্বের প্রতিষ্ঠান পোপ গ্রেগরি রোম থেকে সব বৈজ্ঞানিক পঠন-পাঠনকে নির্বাসিত করে। অগাস্টিন সিজার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত প্যালেস্টাইন পাঠাগার ভস্মিভূত করে এই জ্ঞানবিরোধী নীতিকে কার্যকর করেছিলেন। তিনি গ্রিস ও রোমের লেখকদের রচনা পাঠ নিষিদ্ধ করে দিয়েছিলেন। গোড়া খ্রিস্টধর্ম সাহিত্য ও বিজ্ঞানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।
যারা জ্ঞানচর্চা করতো তাদের অমানুষিক নির্যাতন করা হতো, এমন কি নির্বিচারে হত্যা করা হতো। খ্রিস্টান পাদ্রীদের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে যারা বিজ্ঞানচর্চায় আত্মনিয়োগ করতেন, তাদের প্রতি কি অমানুষিক নির্যাতন করা হতো এর একটি জলন্ত উদাহরণ হলো ভ্যানিনাস বৈজ্ঞানিকের মৃত্যু। খ্রিস্টান পাদ্রীদের হাতে ক্ষমতা কুক্ষিগত ছিল। তারা ধর্মের দোহাই দিয়ে বলে বেড়াত, ‘বিদ্যা অর্জন শয়তানের কাজ’ জ্ঞান অর্জন করা শুধু নিচ জাতের কাজ এবং নিকৃষ্ট ধর্মাবলম্বীদের কাজ। মূলত এসব ইঙ্গিত দ্বারা মুসলমানদের বুঝানো হতো। প্রকৃত কথা হলো, ইউরোপের অন্ধকার যুগে জনসাধারণের নিকট বিজ্ঞান ছিল ঘুমন্ত ও নিষ্ক্রিয়। যদিও বিজ্ঞানচর্চা কিছুটা ছিল, তবে তা সীমাবদ্ধ ছিল পুরোহিতদের মধ্যে। অন্যদিকে পবিত্র মহাগ্রন্থ আল কুরআনের প্রথম শিক্ষা হলো জ্ঞান-অর্জন করা। ‘পড়ুন, আপনার রবের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন।’ কুরআনের বিষয়বস্তু হলো জ্ঞান। জ্ঞানের ঝাণ্ডা নিয়ে শুরু হয়েছিল মুহাম্মদ (সা.) এর নবুয়াত ও রিসালাতের জীবন। শুরু হয় ইসলামের নতুন অভিযাত্রা। ইসলামের আবির্ভাবের পূর্বে সমগ্র আরব জাহান ছিল অজ্ঞতার তিমিরে অন্ধকারাচ্ছন্ন। সেই জাতি নবী মহাম্মদ (সা.) এর সংস্পর্শে এসে প্রায় সমগ্র বিশ্বে নেতৃত্ব অর্জন করে এবং জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করে; যখন খ্রিস্টান ধর্ম তমসার সাম্রাজ্ঞী ছিল, তখন মহানবী (সা.) ছিলেন কুরআনের মূর্ত প্রতীক। তিনি ঘোষণা করেন, জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক নর-নারীর জন্য অবশ্য কর্তব্য। তিনি আরো বলেন, জ্ঞান অর্জন করার জন্য সুদূর চীন দেশে যাওয়া প্রয়োজন হলে তবুও যাও। বলা বাহুল্য মুহাম্মদ (সা.) এর প্রচেষ্টায় ইসলামের প্রথমদিকে মদিনা জ্ঞান-বিজ্ঞানচর্চার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল। তারপর খোলাফায়ে রাশিদিনের আমলে (৬৩২-৬৬১) শিক্ষা পদ্ধতির উন্নতি হয় এবং জ্ঞানচর্চা ব্যাপক হারে প্রসার লাভ করে।
৭৫০ সালের পর থেকে পরবর্তী সাড়ে তিনশত বছর মুসলমানরা জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রত্যেক শাখায় চরম উন্নতি লাভ করে। এ সময় বিখ্যাত রসায়ন বিজ্ঞানী যাবির ইবনে হাইয়ান, গাণিতিক মুহাম্মদ আল খাওয়ারিজমি, দার্শনিক-চিকিৎসাবিজ্ঞানী আল রাযী, ইতিহাসবীদ আল মাসুদি, বিখ্যাত গাণিতিক আবুল ওয়াফা, গাণিতিক দার্শনিক আল বিরুনী এবং জ্যোর্তিবিজ্ঞানী উমার আল খাইয়াম প্রমুখ মনীষী বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখেন। বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কারের সাথে জ্যোতির্বিজ্ঞান, গণিত, চিকিৎসা শাস্ত্রের বহুগ্রন্থ অনুবাদ করেন।
আরব জ্যোতির্বিজ্ঞানে সবচেয়ে প্রাচীনতম মনীষী, মাশা আল্লাহ এবং আহমদ ইবনে মুহাম্মাদ আল নেহা বন্দি। মাশা আল্লাহ গোলকের মণ্ডল, গ্রহ নক্ষত্রের প্রকৃতি ও গতি স¤পর্কে বহু গ্রন্থ রচনা করেছেন। আহমদ-আল নেহা বন্দি তার নিজস্ব নিরীক্ষণের উপর নির্ভর করে জ্যোতিষ্কের একটি ছক ‘আল-মাস্তামাল’ তৈরি করেছিলেন যা গ্রিক ও হিন্দু পণ্ডিতদের ধারণাসমূহের উপর অবিসংবাদিতভাবে অগ্রগামী পদক্ষেপ ছিল। আল খাওয়ারিজমী টিকা ও নিরীক্ষণ সহকারে ভারতীয় ছকের নতুন অনুবাদ করেছিলেন। গণিত, জ্যামিতি, দর্শন, আবহাওয়াবিজ্ঞান এবং চিকিৎসা বিজ্ঞান প্রভৃতি বিষয়ের উপর আল কিন্দি দুইশত গ্রন্থ রচনা করেন। আবু মা-শার ছক সব সময়ে জ্যোতির্বিদ্যা বিষয়ক জ্ঞানের অন্যতম প্রধান উৎস বলে বিবেচিত হয়েছে। আবুল হাসান দূরবীক্ষণ যন্ত্র উদ্ভাবন করেছিলেন। গ্রিকদের যেমন টলেমি আরবদের তেমনি আল বাতানী। তাঁর জ্যোতির্বিদ্যা বিষয়ক ছক লাতিন ভাষায় অনুবাদ হয়েছিল। তিনি জ্যামিতি- ত্রিকোণমিতির সাইন ও কোসাইনের প্রবর্তক হিসেবে অধিক পরিচিতি লাভ করেন। তাছাড়াও ইবনে ইউনুস, আবুল ওয়াফা, আল-কোহি এবং আব্দুর রহমান জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ে বহু গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। (চলবে)
লেখক: প্রভাষক, সরকারি ইস্পাহানী ডিগ্রি কলেজ, কেরাণীগঞ্জ, ঢাকা।
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
প্রবাসীদের যে জন্য সুখবর দিলো মালয়েশিয়া
জাবি শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় মামলা, তদন্ত কমিটি গঠন, ফটকে তালা, মশাল মিছিল
মাদকের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে থাকবে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল
"নতুন সিনেমা নিয়ে ফিরছেন গ্লোবাল তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি"
ড. ইউনূসকে নিয়ে খালেদা জিয়ার পুরোনো যে বক্তব্য ভাইরাল
নতুন নির্বাচন কমিশনের প্রতি ইসলামী আন্দোলনের শুভ কামনা
আলোচনায় ফ্যাসিস্ট হাসিনার ‘টুস করে ফেলে দেয়ার’ হুমকি
দীর্ঘ ১৫ বছর সাংবাদিকরা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে পারেনি: খোকন
'ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে রয়েছে অভিনেতা তারিক আনাম খানের নাটক'
বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান
ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বোর্ড অব গভর্নর সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সম্বর্ধনা
সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সংবর্ধনা
লালমোহনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত যুবদল নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু
চকরিয়ার বিএনপি নেতা আবু তাহের চৌধুরীর মৃত্যুতে সালাহউদ্দিন আহমদ ও হাসিনা আহমদের শোক
উইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
বেইজিং সংস্কৃতি ও পর্যটন ব্যুরো ও আটাবের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ
দেশের বাজারে ফের বাড়ল সোনার দাম
সবচেয়ে কম মূল্যে বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ দিচ্ছে নেপাল: নেপাল রাষ্ট্রদূত
আগামী নির্বাচন নিয়ে দিল্লি ভয়ংকর পরিকল্পনা করছে: যুক্তরাষ্ট্র জাগপা