জেন জি’র দৃষ্টিভঙ্গি ও বাস্তবতা
১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৬ এএম | আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৬ এএম
বিশ্বজুড়ে তরুণ প্রজন্ম, বিশেষত জেনারেশন জি বা জেন জি, রাজনীতির প্রতি এক নতুন মনোভাব ও চিন্তাধারা নিয়ে আবির্ভূত হচ্ছে। তাদের এই চিন্তাধারা বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতাকেও প্রভাবিত করছে। বিশ্বায়ন, প্রযুক্তি, সামাজিক মাধ্যমের প্রসার এবং রাজনৈতিক তথ্যের সহজলভ্যতার যুগে বেড়ে ওঠা এই প্রজন্ম রাজনৈতিক পরিবর্তন এবং সামাজিক ন্যায়ের কথা আগের তুলনায় অনেক বেশি উচ্চকণ্ঠে প্রকাশ করছে। তবে, বাস্তবতাটা সহজ নয়; জেন জি-এর রাজনীতিচিন্তা বাস্তবায়নের পথে একাধিক বাধা ও চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। জেন জি প্রজন্মের রাজনৈতিক চেতনার ভিত্তি গড়ে উঠেছে প্রযুক্তির হাতে, যেখানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে তারা বিশ্বজুড়ে অন্য দেশের তরুণদের আন্দোলন, রাজনৈতিক কর্মসূচি ও বৈপ্লবিক চেতনার সঙ্গে পরিচিত হচ্ছে। ফেসবুক, টুইটার, টিকটক এবং অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম তাদের কাছে একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দাঁড়িয়েছে, যেখানে তারা নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে, প্রতিবাদ জানাতে এবং সমাজের বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারছে। বাংলাদেশের জেন জি-ও সেই বৈশ্বিক তরঙ্গের অংশ হয়ে উঠেছে এবং দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। তবে এই প্রযুক্তিগত সুবিধাগুলো তাদের রাজনৈতিক চেতনা ও জ্ঞানের প্রসারে সহায়তা করলেও বাংলাদেশের বাস্তবতা অনেকাংশেই তাদের চেতনার বিপরীতে। যখন তারা রাজনৈতিক অসামঞ্জস্য ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়, তখন অনেক সময় সেই স্বপ্নগুলি বাস্তবায়িত করার উপযুক্ত ক্ষেত্র খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তদুপরি, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রতিকূলতাও তাদের আশা ও চেতনার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নকে প্রায়শই বাধাগ্রস্ত করে তোলে। বাংলাদেশের জেন জি প্রজন্ম এমন এক সমাজে বেড়ে উঠেছে, যেখানে পুরনো প্রথা এবং মূল্যবোধ এখনো দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে। এমনকি রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও পূর্ববর্তী প্রজন্মের মানসিকতার প্রচুর প্রভাব রয়েছে, যা তুলনামূলকভাবে জেন জি-এর উদার ও স্বাধীন মতাদর্শের সঙ্গে মেলে না। তারা যে প্রথাগত রাজনৈতিক সংস্কৃতি দেখছে, তা মূলত নির্দিষ্ট দলের আনুগত্য, পারিবারিক প্রভাব এবং ক্ষমতার দুষ্টচক্রের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। ফলে, তাদের আদর্শবাদী মানসিকতা এখানে যথেষ্ট জটিলতার মুখোমুখি হয়। জেন জি প্রজন্ম যেখানে সমাজে স্বাধীন মতামত, রাজনৈতিক মুক্তি এবং উন্নয়ন চায়, সেখানে তাদের পরিবারের বড়রা এবং সমাজের প্রবীণরা অনেক ক্ষেত্রে সেই পরিবর্তনকে সহজভাবে নিতে পারে না। এই প্রজন্মের অনেকেই রাজনৈতিক দুর্নীতি, বৈষম্য এবং সামাজিক অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান গ্রহণ করতে চায়। কিন্তু বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কাঠামো তাদের প্রথাগত ধ্যানধারণার বিপক্ষে দাঁড়ানোর পথে অনেক বাধা সৃষ্টি করে।
জেন জি প্রজন্মের রাজনৈতিক চিন্তা অনেক ক্ষেত্রেই নিরপেক্ষ ও গঠনমূলক। তারা দেশের রাজনৈতিক সমস্যা এবং রাষ্ট্রের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প সম্পর্কে নিজেদের স্বচ্ছ ধারণা তৈরি করতে চায়। তবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় নিরপেক্ষতা রক্ষা করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এখানে রাজনীতি প্রায়শই বিভক্তিকরণ এবং প্রতিযোগিতামূলক দৃষ্টিভঙ্গির শিকার, যেখানে নিরপেক্ষতার চর্চা অনেক কঠিন। রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি তাদের দৃঢ় দৃষ্টিভঙ্গি এবং বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে কথা বলার সাহস তাদের এই প্রজন্মের প্রতি একধরনের ভীতি এবং শঙ্কা সৃষ্টি করে। ফলে, তারা স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশ করার সুযোগ পেলেও সেটা একসময়ে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়তে পারে। এমনকি, এই প্রজন্মের মধ্যে যারা নিরপেক্ষ থেকে দেশের উন্নয়নের কথা চিন্তা করে, তাদেরও মাঝেমধ্যে বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হতে হয়। জেন জি প্রজন্মের একটি বড় অংশ রাজনীতির প্রতি আগ্রহী এবং দেশের উন্নয়নের জন্য নিজেকে নিয়োজিত করতে চায়। তাদের মধ্যে নেতৃত্বের আকাক্সক্ষা রয়েছে এবং তারা পরিবর্তনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে চায়। তবে এই প্রজন্মের নেতৃত্ব গ্রহণের ইচ্ছা বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কতটা বাস্তবায়নযোগ্য, তা নিয়ে একধরনের অনিশ্চয়তা রয়েছে। রাজনীতিতে প্রবেশের পথে তাদের জন্য বিভিন্ন স্তরে চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। এখানে রাজনৈতিক ক্ষমতার জন্য যে প্রতিযোগিতামূলক এবং নিষ্ঠুর পরিবেশ রয়েছে, তা জেন জি প্রজন্মের জন্য এক প্রকার হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তদুপরি, বর্তমান রাজনৈতিক কাঠামোতে তরুণ প্রজন্মের জন্য উন্নত সুযোগ বা সহায়ক কাঠামো নেই। বরং তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং নেতৃত্বের ক্ষেত্রে প্রায়শই প্রবীণদের পরামর্শ ও অনুমোদনের প্রয়োজন হয়, যা তাদের নিজেদের আত্মবিশ্বাসে প্রভাব ফেলে এবং রাজনৈতিক স্থিরতায় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। জেন জি প্রজন্ম সামাজিক ন্যায়বিচারের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করে। তারা গরিব ও সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য কাজ করতে আগ্রহী এবং সমাজে সাম্য ও সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে। তবে এই প্রজন্মের অনেকেই দেশের প্রথাগত ব্যবস্থার কারণে প্রায়ই হতাশা বোধ করে। তারা নারীর অধিকার, পরিবেশ সচেতনতা এবং সমান অধিকার নিয়ে কাজ করতে চায়, কিন্তু সমাজের কিছু পুরনো দৃষ্টিভঙ্গি তাদের এই পথে বাধাগ্রস্ত করে। বাংলাদেশে রাজনৈতিক অসাম্য ও ক্ষমতার অপব্যবহার, সামাজিক অবিচার ও অর্থনৈতিক বৈষম্যের যে অবস্থা চলছে, তা জেন জি প্রজন্মের সামাজিক সচেতনতা এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ইচ্ছাকে প্রায়শই দুর্বল করে দেয়। তবুও তারা এইসব সংকটের মধ্য দিয়েও নিজ নিজ সামর্থ্যে কিছু না কিছু পরিবর্তন আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের জেন জি প্রজন্ম রাজনীতিতে স্বচ্ছতা, সাম্য এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রতি আগ্রহী। তারা দুর্নীতিমুক্ত এবং জবাবদিহির রাজনীতি দেখতে চায়, যেখানে সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য কমে আসবে। তাদের অনেকেই বিশ্বাস করে যে, সামাজিক ন্যায়বিচার ও সমানাধিকারের জন্য রাজনীতি একটি শক্তিশালী মাধ্যম। বিশেষ করে, নারীর অধিকার, পরিবেশ সচেতনতা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সমান সুযোগ এবং বাকস্বাধীনতা নিয়ে তারা অত্যন্ত সচেতন। তারা মনে করে, পরিবর্তনের মাধ্যমেই সমাজে ইতিবাচক প্রভাব আনা সম্ভব এবং সেজন্য তরুণদের এগিয়ে আসা প্রয়োজন। সামাজিক মাধ্যমে তাদের মতামত প্রকাশ, অন্যায়ের প্রতিবাদ এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে একাত্মতা প্রকাশ করতে তারা এগিয়ে আসছে। তাদের এই স্বপ্নগুলো রাজনীতিতে এক নব জাগরণের প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়েছে। তবে, এই প্রজন্মের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেওয়া সহজ নয়। বাংলাদেশের প্রথাগত রাজনীতি এখনো পুরনো ধারায় পরিচালিত হচ্ছে, যেখানে ব্যক্তিস্বার্থ, ক্ষমতার লড়াই এবং দলীয় আনুগত্যের প্রভাব প্রবল। দেশের রাজনৈতিক ক্ষেত্রটি এখনও অধিকাংশ তরুণদের জন্য সীমাবদ্ধ। এমনকি, তাদের স্বাধীন মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রেও তারা প্রায়ই বাধার সম্মুখীন হয়। এই প্রজন্মের মধ্যে যারা রাজনীতিতে সত্যিকারের পরিবর্তন আনার চেষ্টা করে, তাদের প্রায়শই পরিবার, সমাজ ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান থেকে চাপ সহ্য করতে হয়। তাছাড়া, রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রবীণদের প্রভাব এতটাই প্রখর যে তরুণদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব গ্রহণের সুযোগ সীমিত হয়ে থাকে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে প্রবীণ প্রজন্মের দৃঢ় অবস্থান এবং তাদের রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গি তরুণদের জন্য এক বড় বাধা। জেন জি প্রজন্মের উদার ও আধুনিক চিন্তা এই প্রথাগত চিন্তার সঙ্গে সংঘর্ষে আসে। তারা রাজনীতিতে স্বচ্ছতা ও জনদরদি দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিষ্ঠা করতে চায়, কিন্তু তাদের সেই আকাক্সক্ষা অনেক সময় প্রবীণদের প্রভাবের কাছে হার মানে। জেন জি প্রজন্ম নিজেদের মত প্রকাশে সাহসী হলেও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মত প্রকাশের স্বাধীনতা অনেক সময় সীমিত। অন্যায় বা বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য তারা বাধার সম্মুখীন হয়। বিশেষ করে, সামাজিক মাধ্যমে তারা তাদের মতামত প্রকাশ করতে চাইলেও কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠী বা রাজনৈতিক দলের প্রতি সমালোচনা করলে তাদের কটাক্ষ বা নির্যাতনের শিকার হতে হয়। এই প্রজন্মের অনেকেই রাজনীতিতে নিজেদের ভূমিকা রাখতে চায় কিন্তু রাজনীতিতে প্রবেশের পথ তাদের জন্য যথেষ্ট প্রশস্ত নয়। প্রথাগত রাজনৈতিক দলগুলিতে নেতৃত্বের জায়গাগুলো সাধারণত প্রবীণদের হাতে থাকে এবং তরুণদের অংশগ্রহণ প্রায়শই সীমিত হয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে তরুণ প্রজন্ম একদিকে রাজনৈতিক সচেতন হলেও তাদের মধ্যে অর্থনৈতিক উন্নয়নের চাহিদাও প্রবল। দেশের বেকারত্বের হার এবং কর্মসংস্থানের সীমাবদ্ধতা এই প্রজন্মের জন্য একটি বড় সমস্যা। তারা রাজনীতিতে পরিবর্তন আনতে চায়, কিন্তু তাদের ব্যক্তি জীবনের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এখনো নিশ্চিত হয়নি।
বাংলাদেশের জেন জি প্রজন্মের রাজনৈতিক চিন্তা ও স্বপ্ন একটি নতুন ধারা ও সম্ভাবনার প্রতীক। তাদের চেতনা এবং উদ্যমের মধ্যেই লুকিয়ে আছে সমাজের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। তবে, প্রথাগত রাজনীতি এবং সামাজিক চেতনার কারণে তারা এখনও প্রচুর চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। বাংলাদেশে জেন জি প্রজন্ম উদারবাদী চিন্তাধারার প্রতি আকৃষ্ট, এবং তারা নিজেদের স্বকীয়তায় বিশ্বাসী। তবে দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক চাপে এই প্রজন্ম প্রায়শই মানসিক চাপের মধ্যে থাকে। তাদের রাজনৈতিক চিন্তা ও মতাদর্শ অনেক সময় সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় তারা মানসিকভাবে বিভ্রান্তিতে পড়ে। তারা যখন সমাজে তাদের আদর্শগত চিন্তাধারাকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়, তখন নানা ধরনের বাধা তাদের সামনে এসে দাঁড়ায়, যা তাদের মনোবল ও মানসিক স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এই প্রজন্ম সামাজিক চাপ এবং মানসিক অস্বস্তির কারণে বিভিন্ন সময়ে মানসিক স্বাস্থ্য সংকটের মধ্যে পড়ে। রাজনৈতিক দিক থেকে অসমর্থিত হওয়া, পরিবারের বিপরীতমুখী মানসিকতা এবং সামাজিক রক্ষণশীলতার কারণে তারা নিজেদের সঠিকভাবে প্রকাশ করতে পারে না। ফলে, মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সহানুভূতিশীল সমর্থন এই প্রজন্মের জন্য এক অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের জেন জি প্রজন্মের রাজনৈতিক চিন্তা ও চেতনা এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। তারা উদার ও স্বাধীন মনোভাব নিয়ে দেশের উন্নয়নে আগ্রহী কিন্তু পুরনো সামাজিক কাঠামো এবং প্রথাগত রাজনৈতিক ব্যবস্থার চাপে তারা নিজেদের অবস্থান নিয়ে প্রায়শই উদ্বিগ্ন হয়। তবুও এই প্রজন্ম রাজনীতিতে সামগ্রিক পরিবর্তনের আশায় অটল। তাদের সাহসী পদক্ষেপ এবং নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলতে পারে। তাদের আশা ও বাস্তবতার মধ্যে এক কঠিন দ্বন্দ্ব রয়েছে, কিন্তু সঠিক দিকনির্দেশনা ও সহায়তার মাধ্যমে জেন জি প্রজন্ম বাংলাদেশের রাজনৈতিক এবং সামাজিক পরিম-লে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারবে। দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য তাদের উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা এবং নেতৃত্বের ইচ্ছা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তাদের রাজনৈতিক চেতনার সঠিক বিকাশের জন্য সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে সহায়তা প্রয়োজন। তাদের আদর্শবাদী মানসিকতা, সামাজিক ও রাজনৈতিক সমতা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন এবং পরিবর্তনের আকাক্সক্ষা একদিন হয়তো তাদের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে পারবে।
লেখক: কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট।
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
তিলক-স্যামসন 'তান্ডবের' পর বোলারদের নৈপুণ্যে ভারতের রেকর্ড জয়
প্রত্যেকটা অফিসের কেরানি পর্যন্ত ফ্যাসিবাদের দোসর: উপদেষ্টা আসিফ
সিরাজগঞ্জে ডাকাত দলের ৯ সদস্য আটক
বিশ্বব্যাপী ২২ টি দেশে মুক্তি পেল শাকিব খানের 'দরদ'
ইসলামে পাঁঠার গোশত খাওয়া প্রসঙ্গে।
অন্তর্বর্তী সরকার অধ্যাদেশ কি আবশ্যক?
ভারতের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে
শ্রীলঙ্কার সংসদ নির্বাচনে দিশানায়েকের বামপন্থী জোটের জয়
সংসদের অন্দরে আদিবাসী নৃত্য প্রদর্শন
দিল্লিতে ভয়াবহ বায়ুদূষণ : সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, নির্মাণকাজ স্থগিত
পাপুয়া নিউগিনিতে ৬.৫ মাত্রার ভূমিকম্প, তবে সুনামির আশঙ্কা নেই
ইসরাইলি হামলায় লেবাননে সাংবাদিকসহ ১৫ জন নিহত
ভ্যাকসিনবিরোধী কেনেডি জুনিয়রকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বানালেন ট্রাম্প : সমালোচনার ঝড়
ইউক্রেন যুদ্ধ : উ. কোরিয়ার পদক্ষেপে দ. কোরিয়ার নতুন কৌশল
আত্মঘাতী ড্রোনের উৎপাদন বাড়ানোর নির্দেশ দিলেন কিম
বৈঠকে বসছেন ভারত ও চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী
স্পেনে বৃদ্ধাশ্রমে অগ্নিকাণ্ডে ১০ জনের প্রাণহানি
ইরান নিয়ে সুর নরম করতে চান ট্রাম্প?
গাজায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ভিডিও ভাইরাল
কূটনৈতিক সমাধানে পৌঁছাতে ইরানে জাতিসংঘের পরমাণু প্রধান