পরিকল্পিত নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা রুখতে হবে
০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ এএম
গণঅভ্যুত্থানের আকাক্সক্ষা ভ-ুল এবং দেশে চরম নৈরাজ্য সৃষ্টি করে পতনের প্রতিশোধ নেওয়ার অপচেষ্টা করছে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগ। হাসিনা ভারতের আশ্রয়ে থেকে দলীয় এক নেতার সাথে টেলিফোনে কথা বলার সময় বলেছেন, ‘সব কিছু জ্বালিয়ে পুড়িয়ে শেষ করে দাও’। তারপর থেকেই আওয়ামী লীগ সারাদেশে নৈরাজ্য শুরু করেছে। তাতে সহায়তা করছে ভারত। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের ক্ষমতাকালে ভয়ে কেউ দাবি নিয়ে আন্দোলন করতে পারেনি। তাই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে দেশে নিত্য নতুন দাবি উত্থাপনের হিড়িক পড়েছে। যার অন্যতম হচ্ছে, আনসার বিদোহ, শ্রমিকদের বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলন, ব্যাটারিচালিত রিকশাওলাদের আন্দোলন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স সীমা ৩৫ বছর করার আন্দোলন, কতিপয় কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় করার আন্দোলন, ধর্মীয় সংগঠনের আন্দোলন, সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়ানোর আন্দোলন ইত্যাদি। সেসব আন্দোলনের মধ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র লীগের নেতাকর্মী ও আওয়ামী লীগের নেতারা ঢুকে পড়ে পরিস্থিতিকে চরম উত্তপ্ত করছে। ফলে কোথাও কোথাও রাস্তা অবরোধ, সহিংসতা সৃষ্টি হচ্ছে। তাতে জান-মালের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। উপরন্তু দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য নষ্ট করারও চেষ্টা চলছে, যা দেশের গ-ি পেরিয়ে বহু দেশে আলোচিত হচ্ছে, উদ্বেগ জানাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা, বিশেষ করে হিন্দুরা নির্যাতিত হচ্ছে বলে বিবৃতি দিয়েছেন কিছুদিন আগে। তাই তিনি ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলে বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের অবনতি হতে পারে বলে অনেকে আশংকা প্রকাশ করছেন। অথচ, বাংলাদেশে কখনো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়নি। কখনো কখনো হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ, মারামারি হয়েছে। কিন্তু সেটা রাজনৈতিক কারণে কিংবা সম্পদ নিয়ে হয়েছে। তাকেই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার রং লাগিয়েছে অনেকেই। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে একজন হিন্দু নিহত-আহত হলে বলা হয়েছে, একজন হিন্দুকে হত্যা করা হয়েছে। আর বিএনপির কোনো মুসলিম নিহত-আহত হলে বলা হয়েছে বিএনপির লোক নিহত-আহত হয়েছে। সেখানে কিন্তু মুসলিম বলা হয়নি। অর্থাৎ বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিশ্বখ্যাত সুখ্যাতি নষ্ট করার জন্য পরিকল্পনা মাফিক ষড়যন্ত চলছে দীর্ঘদিন থেকে। হালে সেটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করছে ভারত। অথচ, ভারত হচ্ছে সাম্প্রদায়িক সংঘাতের ক্ষেত্রে বিশ্বের প্রধান দেশ। উগ্রহিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি ও তার ঘরানার দলগুলো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে সংখ্যালঘুরা, বিশেষ করে মুসলিমরা নিহত-আহত হচ্ছে, সম্পদ ধ্বংস হচ্ছে অনেক। উপরন্তু বহু প্রতিষ্ঠান ও স্থানের মুসলিম নাম বাদ দিয়ে হিন্দুকরণ করা হয়েছে ও হচ্ছে। সেই ভারতই বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের অভিযোগ তুলেছে। উপরন্তু রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় চিন্ময় কৃঞ্চ দাস আসামী হয়ে আদালতের নির্দেশে কারাগারে গেলেও তার মুক্তি দাবি করেছে। শেখ হাসিনাও চিস্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তি চেয়েছেন। স্মরণীয় যে, চিন্ময় কৃঞ্চ দাস হচ্ছেন বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোটের মুখপাত্র। উপরন্তু তিনি পু-রীক ধামের অধ্যক্ষ। তিনি ইসকনের সাথেও সংশ্লিষ্ট। তিনি চট্টগ্রামের একসভায় বলেছিলেন, ‘তিনি ও তার লোকজন শেখ হাসিনার পক্ষে রয়েছেন। তারা আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করবেন।’ এ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে শিশুদের যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠার কারণে তাকে ইসকন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে পৃথক ৩টি মামলা হয়েছে। তাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি বলেছে, তাকে মুক্তি দেওয়া না হলে ভারত থেকে পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে কোনো পরিষেবা বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না। উপরন্তু বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে বিভিন্ন হামলা ও সহিংসতার ঘটনার তদন্ত দাবি করে গত ২৭ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে পৃথকভাবে চিঠি দিয়েছে ফাউন্ডেশন ফর ইন্ডিয়া অ্যান্ড ইন্ডিয়ান ডায়াসপোরা। বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের সংসদে আলোচনা হয়েছে। কংগ্রেসও বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের জানমাল রক্ষায় দিল্লির হস্তক্ষেপ চেয়ে এক বিবৃতি দিয়েছে গত ২৭ নভেম্বর। এ অবস্থায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারতীয় সাংবাদিকদের বাংলাদেশে এসে সরেজমিন প্রতিবেদন করার আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু তার আহ্বানে কারো সাড়া পাওয়া যায়নি। লাগাতার ভারতের মিডিয়া অপপ্রচার অব্যাহত রেখেছে। রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে সম্প্রতি তিন কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ঐ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হিন্দু বিরোধী সহিংসতার দৃশ্য বলে অপপ্রচার চালিয়েছে ভারতের কতিপয় মিডিয়া। ইতোপূর্বে তারা বাংলাদেশের হিন্দু কার্ড নিয়ে অনেক খেলেছে। কিন্তু বিবিসির ফ্যাক্টচেক প্রকৃত ঘটনা দিয়ে বিস্তারিত খবর প্রকাশ করেছে। সে মতে, ভারতের অভিযোগের অধিকাংশই মিথ্যা। তবুও ভারতের বেশিরভাগ মিডিয়া বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচার অব্যাহত রেখেছে। ভারতের নেতারা প্রায়ই বাংলাদেশের মানুষকে নিয়ে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে বক্তব্য দেন। এসব দু’দেশের সম্পর্কোন্নয়নের চরম অন্তরায়।
যা’হোক, দেশে একটি সরকার রয়েছে। রয়েছে প্রয়োজনীয় আইন, বিচার ব্যবস্থা ও আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী। মাঠ পর্যায়ে সেনাবাহিনীও আছে। তাদের ম্যাজেস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তবুও বিভিন্ন দাবি আদায়ের নামে সহিংস আন্দোলন চলছে যত্রতত্র। ওদিকে উপরন্তু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে মূল্যস্ফীতি বিশ্বের মধ্যে সর্বাধিক চলছে অনেক দিন থেকে। তাতে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এদিকে সরকারের খেয়াল নেই। এটা কি সরকারের অদক্ষতা, অযোগ্যতা নাকি উদারতা? উদারতা বলেই প-িতদের অভিমত। সরকার পরিচালনায় অধিক উদারতা দেশের শান্তি ও উন্নতির চরম অন্তরায় বলে প্রমাণিত হয়েছে বহু দেশে। তাই দেশের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা এবং উন্নতির স্বার্থে আইনের শাসন কঠোরভাবে প্রতিষ্ঠা করা আবশ্যক। নতুবা পরাজিত শক্তি এবং তার প্রভুরা আরো অপতৎপরতা চালাবে। তাতে ক্ষতি হবে। গণতন্ত্রও নস্যাৎ হতে পারে, যা গতন্ত্রপ্রিয় ও দেশপ্রেমিক মানুষের কাম্য নয়।
গত সাড়ে ১৫ বছর ভারতের সার্বিক সহায়তায় প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে জোর করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকা, বিশ্বখ্যাত অপশাসন পরিচালনা করে অবাধ লুটপাট, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং আর্থিকসহ সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস, গণতন্ত্র দুর্বল করা ইত্যাদি কারণে গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে পতন হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের। দলের প্রধান শেখ হাসিনাসহ বহু নেতাকর্মী ভারতে পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে, অনেকে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছে, অনেকে পালিয়ে রয়েছে। তবুও দলটির লোকদের কোনো শিক্ষা হয়নি। কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চায়নি। এমনকি এ নিয়ে তাদের কোনো নেতাকর্মী ও সমর্থকের মধ্যে বিন্দুমাত্র অনুশোচনাও নেই। বরং তারা এখন দেশে চরম নৈরাজ্য সৃষ্টির নানা অপতৎপরতা চালাচ্ছে। সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ গত ২৮ নভেম্বর বলেছেন, বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং তার দলের লোকেরা ছাত্র-জনতার ঝাঁটাপেটা খেয়ে পালিয়ে গিয়ে এখন দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছেন। তাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা এবং কিছু দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে। ইতোপূর্বে ছাত্রলীগকে সরকার নিষিদ্ধ করেছে নজিরবিহীন অপকর্মের দায়ে।
যা’হোক, আওয়ামী লীগ ও ভারত সৃষ্ট পরিকল্পিত নৈরাজ্য মোকাবেলা করার জন্য দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এখন দেশ বাঁচাতে জরুরি ভিত্তিতে ঐক্য সৃষ্টি করে এবং সব মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গত ২৭ নভেম্বর এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘অবৈধ ক্ষমতা আর অবৈধ সুবিধা হারানো পলাতক স্বৈরাচারের দোসররা সরকারকে অস্থিতিশীল করতে জনগণের দাবি আদায়ের আন্দোলনকে সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে। আন্দোলনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মিশে গিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। সারাদেশে একটি পরিকল্পিত নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা ক্রমেই দৃশ্যমান হয়ে উঠছে। উপরন্তু তিনি চলমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশের পক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে এবং শক্ত হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির পেছনে যারা ইন্ধন জুগিয়েছেন, তাদের খুঁজে বের করা হবে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।’ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনের নেতারাও আওয়ামী লীগ ও ভারত সৃষ্ট নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রয়াসকে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। জামায়াতের আমির বলেছেন, অস্থিতিশীলতাকে জাতীয়ভাবে মোকাবেলা করতে হবে। দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ৩৪ ছাত্রসংগঠন একমত হয়েছে। বাংলাদেশের স্থিতিশীলতার স্বার্থে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। আধুনিক মালয়েশিয়ার রূপকার মাহাথির মোহাম্মদ বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে বিভক্তি এড়িয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ যে, ইসকনকে নিষিদ্ধ করার জন্য বিভিন্ন দল দাবি জানিয়েছে। এ নিয়ে তারা দেশব্যাপী আন্দোলন করছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারাও ইসকন নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন। ইসকনের বিষয়ে সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। দেশের হিন্দুদের কয়েকজন নেতা বলেছেন, ইসকন বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের কল্পকাহিনী প্রচার করছে। চিন্ময়সহ ইসকন সংশ্লিষ্ট ১৭ জনের ব্যাংক হিসাবে লেনদেন স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। হিন্দু উগ্রবাদিতার অভিযোগে রাশিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, আফগানিস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, কাজাখিস্তান এবং তুর্কমেনিস্তানে ইসকন নিষিদ্ধ রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধের আদেশ দিতে রাজি হয়নি হাইকোর্ট। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ১৯৬৬ সালের ১৩ জুলাই ইসকন প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় শতাধিক দেশে ইসকনের অস্তিত্ব রয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশ প্রতিবেশী। প্রতিবেশী পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। তাই এই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক যত ভালো হবে ততই মঙ্গল দু’দেশেরই। ভারতের উচিত, শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ প্রীতি ত্যাগ করে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করা।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
[email protected]
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
কলকাতায় বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনের নিরাপত্তা জোরদার
‘সাইবার মানডে’ উপলক্ষে ওয়েব হোস্টিংয়ে লিমডা হোস্টে চলছে ৬০% পর্যন্ত ছাড়!
ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রী
ফ্যাসিস্ট সরকারের ৮ বছরের নিষেধাজ্ঞার পর অবশেষে মঞ্চে আসছে থিয়েট্রিক্যাল বাহাস ও কন্ঠনালীতে সূর্য
মিলেছে ‘হারিছ চৌধুরী’র ডিএনএ, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনের নির্দেশ
নাম পরিবর্তনের দাবি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের
গলায় ফাঁস দিয়ে বৃদ্ধের আত্মহত্যা
আইএসের নৃশংসতার বিচারে জাতিসংঘ ব্যর্থ : নাদিয়া মুরাদ
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে হেফাজতের মানববন্ধন
মানিকগঞ্জে হাঙ্গার প্রজেক্টের গণতন্ত্র অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত
এবার ভারতের মালদহে বাংলাদেশিদের জন্য হোটেল ভাড়া বন্ধ ঘোষণা
কিশোরগঞ্জের হাওর-অর্থনীতি বেগবান করতে চলছে কয়েকশ কোটি টাকার প্রকল্প
প্লাস্টিক ব্যবহার রোধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে: অতিরিক্ত সচিব ফাহমিদা খানম
দেশের ৬৯ কারাগারের ১৯টি ঝুঁকিপূর্ণ, ৭০ জঙ্গিসহ ৭০০ বন্দি এখনো পলাতক
পায়রার রাজস্ব আয় বাড়বে তিনগুণ, দেশের অর্থনীতিতে রাখবে বড় ভূমিকা
মমতা ব্যানার্জির মনে গভীর কট্টরপন্থি হিন্দুত্ববাদ : রিজভী
কঠিন সময় পার করছে বাংলাদেশ : প্রধান উপদেষ্টা
কুড়িগ্রামে সাবেক এমপি পুত্র সবুজ গ্রেফতার
ভারতে ৫.৩ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প
অমৃতসরে স্বর্ণ মন্দিরে পাঞ্জাবের সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রী সুখবীর সিং বাদালের ওপর গুলিবর্ষণ