ট্রাম্পের সমরাস্ত্রনীতি আরো শক্তিশালী হতে যাচ্ছে

Daily Inqilab ড. বি এম শহীদুল ইসলাম

২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০১ এএম | আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০১ এএম

ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পর সে দেশের সমরাস্ত্র সেক্টর আরো শক্তিশালী হতে যাচ্ছে বলে সকলের ধারণা। জো বাইডেনের নীতি আর ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতি অনেকটা ভিন্ন স্টাইলের। আগামী দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ও তার সামরিক শক্তি ও সমরাস্ত্র নীতি আরো শক্তিশালী হতে যাচ্ছে মনে করা হচ্ছে। Global Firepower Index প্রতি বছর একটি রিপোর্ট তৈরি ও উপস্থাপন করে থাকে। সম্প্রতি Global Firepower Index-এর রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া যায়। সংস্থার এক সূচকে সামরিক সক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে বিশ্বের ১৪০টি দেশের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, বিগত বছরের মতো এবারও বিশ্বের সবচেয়ে সামরিক শক্তিধর দেশের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সূচকে যুক্তরাষ্ট্রের পরের অবস্থানগুলোতে রয়েছে যথাক্রমে রাশিয়া, চীন, ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, পাকিস্তান ও ব্রাজিল। এ ছাড়া সূচকে শীর্ষ দশ দেশের বাইরে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়া। আশপাশের দেশগুলোর মধ্যে মিয়ানমার ৩৯, বাংলাদেশ ৪৬ থাকলেও সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ৩৭ এ এসেছে। শ্রীলঙ্কা ৭৯, আফগানিস্তান ১১৮ এবং নেপাল ১১৯তম অবস্থানে রয়েছে বলে জানা যায়। তালিকার সবচেয়ে নিচের দেশ হিসেবে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার ছোট্ট একটি দেশ ভুটান। দেশটির অবস্থান ১৪০তম। শেখ হাসিনার পতনের পর ড. ইউনূস সরকারের মাত্র ৬ মাস অতিবাহিত হলেও ট্রাম্পের শপথের পর পূর্বের তুলনায় বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের কোনোরূপ ঘাটতি না হয়ে অগ্রগতি হবে বলে বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা। অনেকের ধারণা, বাংলাদেশের সাথে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পর্ক পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের তুলনায় অনেক উন্নত হবে।

প্রতি বছরই ‘জিএফআই’ নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা ও গুরুত্বের বিষয় হয়ে উঠে তালিকায় অবস্থিত দেশগুলোর প্রতিরক্ষা বাজেট। সে ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষা ব্যয়ের হিসাব অনুযায়ীও শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত রিপোর্টে দেশটি বছরে প্রতিরক্ষা খাতে ৭০ হাজার ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় হলেও এ বছর ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার প্রেক্ষিতে আরো বেশি ব্যয় করবে বলে মনে করা হচ্ছে। ব্যয়ের হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের পরে যথাক্রমে রয়েছে চীন, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সৌদি আরব ও অস্ট্রেলিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের একার যে ব্যয় হয়ে থাকে পরের নয়টি দেশের প্রতিরক্ষা ব্যয় যোগ করেও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাজেটের সমান হয় না কোনো বছর। যুক্তরাষ্ট্র বাদে শীর্ষ দশটি দেশের বাকি দেশগুলো প্রতিরক্ষা ব্যয়ের যোগফল ৭৫ হাজার ৬৫৬ কোটি মার্কিন ডলার থাকলেও ২০২৫ সালে সে বাজেট আরো বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে ট্রাম্পের। তার মানে হচ্ছে তালিকার শীর্ষ দশ দেশের মোট সামরিক ব্যয়ের প্রায় কাছাকাছি যুক্তরাষ্ট্র একাই করে থাকে। তাহলে এ বছর তো বহুগুণে বাড়বে সেটাই স্বাভাবিক। কারণ, ডোনাল্ড ট্রাম্প সামরিক শক্তিধর হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে কখনোই নিচে নামাতে চান না। তাছাড়া অনেকটা একগুঁয়েমি মনোভাবের কারণে ট্রাম্প বরাবরই ঝুঁকি নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চান।

শুধু ব্যয়ের দিক থেকে যেমন যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষে, তেমনি জিএফআই মোট ৪৭টি ক্যাটাগরিতে, আলাদা আলাদাভাবে দেশগুলোর যে সক্ষমতা র‌্যাঙ্কিং করে থাকে তার মধ্যেও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান অনেক বিস্তৃত। এর মধ্যে মোট জনসংখ্যা, সৈন্যসংখ্যা, মোট পুরুষসংখ্যা, মোট স্ত্রী লোকের সংখ্যা, মোট শিশুসংখ্যা এবং মোট সামরিক সরঞ্জামের সংখ্যাসহ নানা ক্যাটাগরি রয়েছে। ৪৭টি ক্যাটাগরির মধ্যে ১৮টিতে যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষে রয়েছে। আর, চীন শীর্ষে রয়েছে ১১টি ক্যাটাগরিতে; যদিও সেগুলোর অনেকগুলোই হয়েছে চীনের সামরিক সরঞ্জামের ওপর ভিত্তি করে চীনের জনসংখ্যার বিশালতার কারণে, যেমন: মোট জনসংখ্যা এবং সেনাবাহিনীর কাজের জন্য উপযুক্ত বয়সী মানুষের সংখ্যা রয়েছে। এ দিক বিবেচনায় চীন অনেক এগিয়ে রয়েছে।

সামরিক ব্যয়ের মতো আরেকটি ক্যাটাগরিতেও যুক্তরাষ্ট্র একক আধিপত্য বিস্তার করে চলেছে। সেটি হলো- বিমান বহনকারী রণতরী বা এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ারের সংখ্যার হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় অন্যরা তলানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। তথ্য অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের মোট ১১টি এমন বিমান ক্যারিয়ার রয়েছে। অথচ, বিশ্বে মোট বিমান ক্যারিয়ারের সংখ্যা ২১টি। তার মানে, বিশ্বের বাকি সব দেশের মোট যতগুলো ক্যারিয়ার রয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের একারই তার চেয়ে একটি বেশি ক্যারিয়ার রয়েছে। এছাড়া আরও একটি ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে রয়েছে বলে জানা যায়। তাদের ক্যারিয়ারগুলো প্রত্যেকটিই ‘সুপার ক্যারিয়ার’ নামে পরিচিত। এগুলো আকৃতিতে অনেক বড় এবং অনেক বেশি যুদ্ধবিমান বহন করতে পারদর্শী। অথচ, অন্য কোনো দেশের একটিও সুপার ক্যারিয়ার নেই। যুক্তরাষ্ট্রের সুপার ক্যারিয়ারগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি সার্বক্ষণিক বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মোতায়েন করা হয়ে থাকে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নয়টি শক্তিশালী হেলিকপ্টারবাহী ক্যারিয়ার রয়েছে। বিশ্বের অন্য সব দেশ মিলিয়ে এমন ক্যারিয়ারের সংখ্যা মাত্র ১৬টি। অর্থাৎ বিশ্বে এমন ক্যারিয়ারের অন্য দেশগুলোর মোট সংখ্যার চেয়ে দুটি বেশি রয়েছে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের নিকট। বিমান ক্যারিয়ার ছাড়াও সমুদ্রে আধিপত্যের দিক থেকে, ‘ডেস্ট্রয়ার’ নৌজাহাজের ক্ষেত্রেও যুক্তরাষ্ট্র অন্যদের চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ডেস্ট্রয়ারের সংখ্যা ৯২টি। যা চীন, জাপান ও রাশিয়ার ডেস্ট্রয়ারের মোট সংখ্যার সমান। আর অন্যান্য দেশ তো অনেক পিছিয়ে। সামরিক ট্রান্সপোর্টের ক্ষেত্রেও যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য অনেক বেশি। তাদের অ্যাটাক্ট বা সামরিক হেলিকপ্টারের সংখ্যা, মোট হেলিকপ্টার সংখ্যা, ফাইটার প্লেন, ট্যাংকার বা তেলবাহী প্লেন, মোট বিমান ইত্যাদি অনেক বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের মোট সামরিক বিমান রয়েছে ১৩ হাজার ২৪৭টি। যেখানে এ ক্যাটাগরিতে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে থাকা রাশিয়া ও চীনের মোট বিমান সংখ্যা যথাক্রমে চার হাজার ১৭৩ ও তিন হাজার ২৮৬টি। অর্থাৎ, রাশিয়া ও চীনের প্রতি ১০০টি বিমানর বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের ১৭৭টি উড়োজাহাজ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উড়োজাহাজের মধ্যে ট্যাংকার উড়োজাহাজ রয়েছে ৬২৭টি। এ উড়োজাহাজগুলো আকাশ পথে অন্য উড়োজাহাজকে উড়ন্ত অবস্থায় জ্বালানি তেল সরবরাহ করতে সক্ষম। যার ফলে কোনো উড়োজাহাজ জ্বালানির জন্য অবতরণ করা ছাড়াই আকাশে থাকতে পারে। পৃথিবীর অন্য সব দেশ মিলিয়ে এমন উড়োজাহাজের মোট সংখ্যা মাত্র ১৮৩টি। এসব উড়োজাহাজ মার্কিন যুদ্ধ-বিমানগুলোকে মধ্য আকাশে তেল ভরে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আক্রমণ করার সুযোগ করে দিয়েছে। যে কারণে, বিশ্বের কোনো প্রান্তই যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শক্তি প্রয়োগের আওতার বাইরে নেই। সকল প্রান্তই তাদের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

সংস্থাটির রিপোর্টে ২০১১ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে রাশিয়া, চীন ও ভারত যথাক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থান ধরে রেখেছে বলে জানা যায়। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা রাশিয়া অবশ্য সামরিক খাতে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি ডলার বাজেট নিয়ে সামরিক ব্যয়ের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ঐ রিপোর্টে। এছাড়া ১২ হাজার ৪২০টি ট্যাংক নিয়ে রাশিয়া ট্যাংকের সংখ্যার বিবেচনায় শীর্ষে রয়েছে। কামানের সংখ্যার দিক বিবেচনায় রাশিয়ার সংখ্যা বেশি। এক কোটি ৭০ লাখ বর্গকিলোমিটারের রাশিয়া আয়তনের দিক থেকে পৃথিবীর বৃহত্তম দেশ। এক্ষেত্রে রাশিয়া অগ্রবর্তী অবস্থানে রয়েছে। অন্যদিকে জিএফআই-এর রিপোর্টে তৃতীয় অবস্থানে থাকা চীন ২৫ হাজার ২৪ কোটি ডলার বাজেট নিয়ে সামরিক ব্যয়ের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। চীন প্রায় ১৪০ কোটি মানুষ নিয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল দেশটি বিপুল জনসংখ্যার কারণে কর্মক্ষম মানুষ, সামরিক বাহিনীতে নিয়োগযোগ্য মানুষ, কর্মীর সংখ্যা এবং মোট সৈন্যসংখ্যার দিক থেকে শীর্ষে অবস্থান করছে। চীনে বর্তমানে ২০ লাখ সেনাসদস্য রয়েছে, যা নিয়ে তারা রীতিমতো সাহসিকতার সাথে গর্ব করতে পারে।

চীন অবশ্য অন্য দেশগুলোর তুলনায় দুই বিবেচনায় এগিয়ে রয়েছে। সেটি হলো, মোট ৭৭৭টি জাহাজ এবং ৭৯টি সাবমেরিন নিয়ে এ দুই ক্যাটাগরিতেও শীর্ষে রয়েছে চীন। অন্য সব দেশের চেয়ে চীনের স্থলসীমান্ত সবচেয়ে দীর্ঘ। দেশটিতে মোট ২২ হাজার ৪৫৭ কিলোমিটারের স্থলসীমান্ত রয়েছে। ২২ হাজার ৪০৮ কিলোমিটার স্থলসীমান্ত নিয়ে রাশিয়া এ ক্যাটাগরিতে রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে। দক্ষিণ এশিয়া এবং এর আশপাশের দেশগুলোর মধ্যে, এ বছর চার হাজার ৯৬০ কোটি মার্কিন ডলার সামরিক বাজেট নিয়ে সামরিক ব্যয়ের তালিকায় ভারতের অবস্থান ষষ্ঠ। তবে ভারত ২০০৬ সাল থেকে মূল সূচকে অর্থাৎ সামরিক সক্ষমতা সূচকে টানা চতুর্থ অবস্থান ধরে রেখেছে। অন্যদিকে ৭৬৯ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি বাজেট নিয়ে সামরিক ব্যয়ের দিক থেকে পাকিস্তান রয়েছে ৩১তম অবস্থানে। দেশটি ২০০৬ সালের পর প্রায় ১৪ বছর শীর্ষ দশটি দেশের বাইরে ছিল। ২০২১ সাল থেকে আবার মূল সূচকে শীর্ষ দশে প্রবেশ করেছে পাকিস্তান।
সামরিক ব্যয় ক্যাটাগরিতে ৩৮৯ কোটি ডলারের কিছু বেশি বাজেট নিয়ে বাংলাদেশ ৪৯তম, ২২৮ কোটি ডলারের বেশি বাজেট নিয়ে মিয়ানমার ৬২তম, ১৮৬ কোটি ডলার বাজেট নিয়ে শ্রীলঙ্কা ৬৯তম, ৪৩ কোটি ডলারের বেশি বাজেট নিয়ে নেপাল ৯৯তম, প্রায় ১০ কোটি ডলার বাজেট নিয়ে আফগানিস্তান ১২৮তম এবং প্রায় তিন কোটি ডলার বাজেট নিয়ে ভুটান ১৩৮তম অবস্থান দখল করে আছে। তালিকাভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে প্রতিরক্ষা খাতে সবচেয়ে কম ব্যয় করে লাইবেরিয়া। সর্বশেষ তাদের প্রতিরক্ষা বাজেট এক কোটি ১৯ লাখ ডলার। ২০০৫ সালে মূল সূচকে সপ্তম অবস্থানে থাকা ইরান, এ বছর ১৪তম অবস্থানে রয়েছে। পাঁচশ কোটি মার্কিন ডলার বাজেটে সামরিক ব্যয়ের তালিকায় দেশটির অবস্থান ৪৩তম।

তবে, জিএফআই রিপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রে, শুধু দেশগুলোর প্রচলিত বা সাধারণ সামরিক সক্ষমতার বিষয়গুলোই বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা এবং প্রযুক্তিগত মান, সামরিক প্রশিক্ষণের মান, সমরাস্ত্রের ক্ষেত্রে উন্নততর প্রযুক্তির প্রাচুর্যতা, সামরিক গবেষণা, ভৌগলিক অবস্থান, ভূ-রাজনৈতিক সক্ষমতা, কূটনৈতিক কৌশল, অর্থনৈতিক সক্ষমতা, অস্ত্র উৎপাদনে ক্ষমতা সম্পন্ন বিষয়গুলো বিবেচনায় নেয়া হয়নি। এগুলো অনেক ক্ষেত্রেই যুদ্ধকালীন সামরিক সক্ষমতার ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। এ বিষয়গুলো বিবেচনা করলে, সেগুলোর অনেকগুলোতেই যুক্তরাষ্ট্র অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে।

যুক্তরাষ্ট্রের এগিয়ে থাকার বিষয়ে অন্যতম কারণ হচ্ছে, বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের সমরাস্ত্রের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এছাড়া বিশ্বের সকল দেশেই এ দেশটি বহু বছর ধরে সমরাস্ত্র রপ্তানিকারক দেশের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। সামরিক যন্ত্রপাতি উৎপাদন ও সরবরাহের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো বিকল্প ভাবা সত্যিকার অর্থে কঠিন। কারণ, তার সমরাস্ত্রের গুণগত মান ও সাসটেইনেবল ক্যাপাসিটি অনেক উন্নত। এমতাবস্থায়, ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সেক্টর আরো শক্তিশালী হতে যাচ্ছে বলে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকগণ মনে করছেন।

লেখক: শিক্ষাবিদ, গবেষক ও কলামিস্ট।


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

স্কাউট আন্দোলন জোরদার করতে হবে
ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র : শহীদ জিয়া ও বেগম জিয়ার বিএনপি এবং আজকের বিএনপি
গাজাবাসীর ডাকে নো ওয়ার্ক নো স্কুল কর্মসূচি
মিয়ানমারে ভূমিকম্প এবং আমাদের ভয়
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উচিৎ কথা
আরও
X

আরও পড়ুন

ইসরায়েলের হামলা বন্ধে জাতিসংঘকে কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে-কাজী শিপন

ইসরায়েলের হামলা বন্ধে জাতিসংঘকে কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে-কাজী শিপন

সিরিয়া ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল ও তুরস্ক চুক্তি করবে, আশাবাদ ট্রাম্পের

সিরিয়া ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল ও তুরস্ক চুক্তি করবে, আশাবাদ ট্রাম্পের

বনফুল শোরুমে ইসরায়েলি পণ্য বিক্রি না করার সিদ্ধান্ত

বনফুল শোরুমে ইসরায়েলি পণ্য বিক্রি না করার সিদ্ধান্ত

৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা পেছাতে পিএসসিতে পরীক্ষার্থীদের অবস্থান

৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা পেছাতে পিএসসিতে পরীক্ষার্থীদের অবস্থান

নাসার সঙ্গে আর্টেমিস চুক্তি সাক্ষর করল বাংলাদেশ

নাসার সঙ্গে আর্টেমিস চুক্তি সাক্ষর করল বাংলাদেশ

রাজশাহীর চারঘাটে মদপানে দু’জনের মৃত্যু

রাজশাহীর চারঘাটে মদপানে দু’জনের মৃত্যু

১১ জেলেকে ট্রলারসহ অপহরণ আরাকান আর্মির

১১ জেলেকে ট্রলারসহ অপহরণ আরাকান আর্মির

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে ভাঙচুর-লুটপাটে চার মামলা, গ্রেপ্তার ৫৬

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে ভাঙচুর-লুটপাটে চার মামলা, গ্রেপ্তার ৫৬

আনফিল্ডেই থাকছেন ফন ডাইক

আনফিল্ডেই থাকছেন ফন ডাইক

সব সরকারি হাসপাতালে চালু হবে ফার্মেসি, স্বল্পমূল্যে মিলবে ওষুধ

সব সরকারি হাসপাতালে চালু হবে ফার্মেসি, স্বল্পমূল্যে মিলবে ওষুধ

স্যাট ফুটসাল চ্যাম্পিয়নশিপে উজবেকিস্তানকে হারাল ইরান

স্যাট ফুটসাল চ্যাম্পিয়নশিপে উজবেকিস্তানকে হারাল ইরান

ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে নোবিপ্রবিতে সংহতি সমাবেশ ও মানববন্ধন

ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে নোবিপ্রবিতে সংহতি সমাবেশ ও মানববন্ধন

বান্দরবানে গভীর রাতে বিএনপির অফিস ভাংচুর করেছে সন্ত্রাসারী

বান্দরবানে গভীর রাতে বিএনপির অফিস ভাংচুর করেছে সন্ত্রাসারী

শিশু গুলিবিদ্ধের ঘটনা আইয়্যামে জাহেলিয়াতের বর্বরতাকে হার মানিয়েছে: রেজাউল করিম

শিশু গুলিবিদ্ধের ঘটনা আইয়্যামে জাহেলিয়াতের বর্বরতাকে হার মানিয়েছে: রেজাউল করিম

‘গাজার মুসলিমরা আজ অভিভাবক শূন্য, মুসলিম নেতারা ইসরায়েলের হাতে জিম্মি’

‘গাজার মুসলিমরা আজ অভিভাবক শূন্য, মুসলিম নেতারা ইসরায়েলের হাতে জিম্মি’

বৈষম্য বিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কার্য-নিবাহী কমিটি ঘোষণা

বৈষম্য বিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কার্য-নিবাহী কমিটি ঘোষণা

দাউদকান্দিতে বসতঘর ও রান্নাঘর দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়ে ছাই

দাউদকান্দিতে বসতঘর ও রান্নাঘর দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়ে ছাই

নগরকান্দায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্র সহ গ্রেফতার-৪

নগরকান্দায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্র সহ গ্রেফতার-৪

১১ দিন পর কড়ইতলী-গোবরাকুড়া স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু

১১ দিন পর কড়ইতলী-গোবরাকুড়া স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু

পাঁচবিবিতে ফিলিস্থিনে ইসরাইলী হামলার প্রতিবাদে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

পাঁচবিবিতে ফিলিস্থিনে ইসরাইলী হামলার প্রতিবাদে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ