গণতন্ত্র চাইলে রাজনৈতিক দলগুলোকে গণতন্ত্রী হতে হবে
০৬ মার্চ ২০২৫, ১২:০২ এএম | আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২৫, ১২:০২ এএম

গণতন্ত্রের মেইন স্টেকহোল্ডার হলো রাজনৈতিক দল। রাজনৈতিক দল জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে। সভা-সমাবেশ, দাবি-দাওয়া, বিবৃতির মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র লালন-পালন করে এবং সমাজে সকল ধর্ম-মত-পথের নাগরিকদের অধিকার সুরক্ষিত করে। স্বৈরাচার শেখ মুজিব ও তাঁর কন্যা ১৯ বছর বাংলাদেশকে গণতন্ত্রহীন রেখে দেশে আইয়ামে জাহেলিয়া প্রতিষ্ঠা করেছিল। স্বৈরাচার জেনারেল এরশাদ আরও ৯ বছর গণতন্ত্রকে বিকশিত হতে দেননি। শেখ পরিবার ও এরশাদের যৌথ প্রযোজনায় এদেশে গণতন্ত্রের কবর রচিত হয়। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, ‘শেখ মুজিব তার ৫৫ বছর জীবনের প্রায় ১২ বছর পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী ছিলেন শুধুমাত্র পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের অধিকার আদায় ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য।’
গণতন্ত্র, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার বা ইনসাফ প্রতিষ্ঠার জন্য দেশের মানুষ দীর্ঘ ৯ মাস মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিল। অতঃপর সকল দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক দল, মানবাধিকার সংগঠন ভেবেছিল শেখ মুজিব দেশে ফিরে তাদের সকলের সাথে ম্যারাথন আলোচনায় বসবেন ও সকলের মতামত নিয়ে দেশ পুনর্গঠন ও পরিচালনার জন্য একটি যুগোপযোগী সংবিধান তৈরি করবেন। কিন্তু তা না করে আওয়ামী লীগ এককভাবে অত্যন্ত সুকৌশলে শেখ মুজিবকে রাষ্ট্রের এক নম্বর ম্যান ও বাকী সবাইকে তার প্রজা বানায়। ফলে জনগণের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার, মত প্রকাশের অধিকার, মানবাধিকার, আইনের শাসন, ন্যায়বিচার, সামাজিক সংহতি ও রাজনৈতিক অধিকার শেখ মুজিবের কব্জায় চলে যায়। ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ থেকে ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালের মধ্যকার সকল এপিসুড প্রমাণ করে যে, দেশে ‘মুজিববাদ’ প্রতিষ্ঠাই ছিল একমাত্র মিশন ও ভিশন। মুজিববাদ হলো ‘এক নেতা, এক দল, এক দেশ’ এবং তারই রূপান্তর ‘বাকশাল’ গঠন। অন্যদিকে আরেক ঘৃণীত স্বৈরাচার এরশাদ ছিলেন নেতা শূন্য ও তাদেরকে বিতর্কিত (শেখ হাসিনা-জাতীয় বেঈমান) করার মাস্টার মাইন্ড।
স্বৈরাচার এরশাদের ৯ বছর শাসনামলে (১৯৮২-১৯৯০) রাজনীতির ব্যাপক পোলারাইজেশন হয়েছে। নেতাদের টাকা দিয়ে কেনা, গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই ও এনএসআই দিয়ে ভয় দেখানো ও জোর করে দলে ভিড়ানো বা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করানো ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। সত্যিকার অর্থে রাজনৈতিক দলগুলোর ভিতরকার গণতন্ত্র পুরো নষ্ট করে দেয় এরশাদ। তবে বেসামরিক বা সামরিক আমলাদের মধ্যে তেমন একটা রাজনৈতিক গ্রুপিং ছিল না। উল্লেখ্য যে, আজকে আমলাদের ভিতর যে রাজনৈতিক বিভাজন হয়েছে তার জন্য এককভাবে দায়ী তোফায়েল আহমেদ ও আব্দুর রাজ্জাক জুটি। এই ‘তো-রা’ জুটি ১৯৭৩ সালে প্রশাসনে ‘মুজিববাদ’ প্রতিষ্ঠাকরণে কোনো ধরনের পরীক্ষা বা বাছ-বিচার ছাড়াই (প্রিলি-রিটেন-ভাইবা-রাজনৈতিক ডিএনএ বাছাই) বিসিএস কর্মকর্তা নিয়োগ দেন আওয়ামী লীগের কর্মীদের (যেমন ২০২৪ এর ডামি নির্বাচনের প্রধান কমিশনার কে এম নুরুল হুদা)।
একথা অস্বীকার করা যাবে না যে, ১৯৯৬ সালের মার্চ মাসে বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে আমলা বিদ্রোহে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সিনিয়র আমলা ম খা আলমগীর। তাঁকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছিলেন সেই ‘৭৩ ব্যাচের তোফায়েল-রাজ্জাক ক্যাডারের কর্মকর্তারা এবং তাদের ক্ষমতা প্রশাসনে, রাজনীতিতে, ব্যবসায় এবং লুটপাটে প্রসার ঘটে ২০০৯ সালের পর থেকে। প্রসঙ্গত বলা দরকার, আমলাদের প্রাথমিক পোস্টিং হয় উপজেলায় এসি ল্যান্ড অথবা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে এবং পরের ধাপ ইউএনও। একটি উপজেলার সকল রাজনৈতিক দল, সামাজিক সমস্যা, জমিসংক্রান্ত বিরোধ এবং স্থানীয় প্রশাসনের সকল স্টেকহোল্ডার ম্যানেজ ও মেইনটেন করতে করতে মোটাদাগে তারা নিজেরাই রাজনীতির অনেক কিছু ওযাকিবহাল হয়ে যান। ফলে রাজনীতিবিদদের ম্যানেজ অপশনগুলো তারা জ্ঞাত। এই আমলারাই পরবর্তীতে সচিব হন এবং কোনো একজন মন্ত্রীর আন্ডারে কাজ করতে হয়। যেহেতু আমাদের দেশের বেশিরভাগ রাজনীতিবিদ অতটা শিক্ষিত নন যতটা একজন সচিব।
খোলা চোখে দেখলে বুঝা যাবে, শেখ হাসিনা কেন আমলাদের উপর নির্ভর করে দেশটাকে আবার মুজিববাদে ব্যাক করিয়েছিলেন? কারণ, হাসিনা জানতেন, রাজনীতিবিদরা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ, আমলারা তার কাছে! ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে তার বাবার হত্যাকান্ডের সাথে তার বাবার সবচেয়ে বিশ^স্ত রাজনীতিবিদ এবং জননেতারা জড়িত ছিলেন। তাই শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে তার বাবার সাথে যারা রাজনীতি করতেন, যাদের ধমকে প্রশাসন কাঁপত, তাদেরকে দূরে ঠেলে দেন। নতুন, অনবিজ্ঞ, বট-তলার উকিল ও পাড়া-মহল্লার মাস্তান টাইপের লোকজন নিয়ে নবযাত্রা শুরু করেন। নবযাত্রার নৌকার মাঝিরা না জানত পলিটিক্স, না ছিল দু-একটা আমলা সামলানোর যোগ্যতা। ফলে আমলানির্ভর প্রশাসন সেট-আপ করে শেখ হাসিনা একটা ফ্যাসিস্ট রেজিম চালু করে।
২০১৩-২০২৪ এই এগারো বছর একটা থানার ওসি ছিল রাজা এবং ডিসি ছিল ক্ষমতায় যাওয়ার মেইন ফটক। ফ্যাসিস্ট হাসিনা রেজিমে কেউ মন খুলে কথা বলতে, লেখতে ও সমালোচনা করে কার্টুনও ছাপাতে পারত না। রাষ্ট্রকাঠামোর সকল অর্গান যেমন বিচার, আইন, পুলিশ, ইউএনও টু সচিব, র্যাব, বিজিবি, আর্মি ও গোয়েন্দা সংস্থাকে ব্যবহার করে বিভাজনের রাজনীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া হয়েছিল। ‘রাজাকার’, ‘৭১-এর পরাজিত শক্তি’, ‘ক্যান্টনমেন্টে বিএনপি’র জন্ম’, ‘মৌলবাদ’ ‘জঙ্গী’ ইত্যাদি প্রচারণা চালিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভাজন জিইয়ে রাখা হয়েছিল। মাঠে সক্রিয় সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে দৌড়ের ওপর রাখা হয়েছিল। দেশে বিদ্যমান পলিটিক্যাল পার্টিগুলোর একটা অলিখিত রুল অব কন্ডাক্ট ছিল। রাখা হয়েছিল পার্টির শীর্ষ পর্যায়ের কাউকে অ্যারেস্ট করত না। কিন্তু বিগত সাড়ে পনের বছর পলিটিক্যাল সেটেলমেন্ট এবং আন্ডারস্ট্যান্ডিং কবর দিয়ে শীর্ষ নেতাদের জেলে পোরে। গণতন্ত্রের সকল ধরজা-জানালা বন্ধ করে রাজনীতিশূন্য ও মাঠশূন্য করে দলীয় মার্কায় একক প্রার্থী নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করে। গুম, খুন, ধর্ষণ, হত্যা, হামলা, মামলা, গায়েবী মামলা, সভা-সমাবেশ করার অধিকার শূন্য করে কার্যত দেশের গণতন্ত্রের গলা কাটা হয়।
বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণীয় ভোটারবিহীন নির্বাচন, পৃথিবীতে প্রথম নিশিরাতের নির্বাচনের ব্যবস্থা এবং সর্বশেষ আমি-ডামি নির্বাচন করে গণতন্ত্রের কবর রচনা করে ফ্যাসিস্ট হাসিনা। তারপর জাতি ও বিশ^ দেখল মাত্র ৩৬ দিনে ফ্যাসিস্ট হাসিনা তার অনুগত প্রশাসন, আমলা, পুলিশ বাহিনী, র্যাব, বিজিবি, গোয়েন্দা সংস্থার দ্বারা দেড় হাজার মানুষের জান কেড়ে নেয়া, হাজার-হাজার মানুষের আহত হওয়া এবং পাঁচ শতাধিক মানুষের দৃষ্টিশক্তি কেড়ে নেয়া এবং সবশেষে পলায়ন। মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন থেকে যায় তার পলায়নে গণতন্ত্র কী ফিরে আসবে? লর্ড অ্যাক্টন বলে গেছেন, ‘ক্ষমতা মানুষকে কলুষিত করে এবং একচেটিয়া ক্ষমতা একচেটিয়াভাবে কলুষিত করে’। অনেকের বিশ^াস, বেশির ভাগ জনগণ গণতন্ত্রকে পরিত্যাগ করেছেন। কারণ, তারা বারবার প্রতারিত হয়েছেন রাজনীতিবিদদের বিশ^াস করে। হয়তো গণতন্ত্রই তাদের পরিত্যাগ করেছে। কারণ, ১৫ বছর যাবত জনগণ দেখেছে শেখ হাসিনা কীভাবে গণতন্ত্রকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করে ‘আমিই রাষ্ট্র’ বানিয়ে ফেলেছিলেন। আরও দেখেছে, একজন গর্বিত, বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন প্রধানকে, যিনি অসহায় নাগরিকদের কষ্ট বোঝার প্রয়োজনও না করা বোধকে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় না রেখে কীভাবে কর আরোপ করা ও করের নতুন পরিধি বৃদ্ধি, সিন্ডিকেট প্রথা না ভাঙ্গা, এক কথায় ঐ সমস্যাগুলোর গভীরে না গিয়ে সহজ সমাধানের আশ্বাস দেন অথবা ডাইভার্সন করে দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেন।
ঋণের ভারে জর্জরিত শ্রমজীবী ও মধ্য বা নি¤œ মধ্যবিত্ত শ্রেণি দেখল সরকার কেবল প্রশাসন ও ধনিকশ্রেণিকে খুশি রাখছে, যারা তাকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে চলছেন। এমনকি দেশে ‘ল এন্ড অর্ডার, অ্যাকাউন্টেবিলিটি অ্যান্ড চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স অব পাওয়ার অবশিষ্ট নেই। সামাজিক আদব-কায়দা আর নেই। হাসিনা দেশে দ্বিস্তর বিশিষ্ট বিচার ব্যবস্থা চালু করলেন, যেখানে গরিবদের বা বিরোধীমতের রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের কঠোর শাস্তি আর ধনীদের রাখা হয় সুরক্ষিত। ফ্যাসিস্ট হাসিনা গরিব, বেকার ও মধ্যবিত্ত তরুণদের ভাগ্য নিয়ে খেলেছেন শেয়ারবাজার ধ্বংস করে। ব্যাংকগুলিকে দেওলিয়া করেছেন, রিজার্ভের টাকা সরিয়েছেন এবং ব্যাংক লুটেরাদের কোন বিচারও করেননি। এভাবে দেশের সকল প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহির বাইরে রেখে অবাধ লুটপাটের বন্দোবস্ত করেছেন। শেখ মুজিব বাংলাদেশকে গণতন্ত্র থেকে প্রজাতন্ত্র করেছিলেন আর তার কন্যা করলেন হাসিনাতন্ত্র। দেশটির ৫৪ বছরের মধ্যে মাত্র ২৫ বছর ছিল গণতন্ত্রের একটা আবহ বাকী ২৯ বছর জাতি ন্যায্য ভোট-ভাত-বিচার-মর্যাদা থেকে বঞ্চিত ছিল। পরিশেষে বলব জনগণ ও রাজনীতিবিদ উভয়পক্ষ টেকসই গণতন্ত্র চাইলে দরকার জবাবদিহি, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা, সুস্থ ও মেধাবী জাতি গঠন, দুর্নীতির প্রতি জিরো টলারেন্স, কৃষি ও কৃষকের উন্নয়ন, প্রশাসন বিকেন্দ্রীকরণ, মানবাধিকার সংরক্ষণ ও জাতির সঠিক ইতিহাস লিখন।
লেখক: অধ্যাপক ও গবেষক, বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয়, ময়মনসিংহ।
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে নোবিপ্রবিতে সংহতি সমাবেশ ও মানববন্ধন

বান্দরবানে গভীর রাতে বিএনপির অফিস ভাংচুর করেছে সন্ত্রাসারী

শিশু গুলীবিদ্ধের ঘটনা আইয়্যামে জাহেলিয়াতের বর্বরতাকে হার মানিয়েছে: রেজাউল করিম

‘গাজার মুসলিমরা আজ অভিভাবক শূন্য, মুসলিম নেতারা ইসরায়েলের হাতে জিম্মি’

বৈষম্য বিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কার্য-নিবাহী কমিটি ঘোষণা

দাউদকান্দিতে বসতঘর ও রান্নাঘর দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়ে ছাই

নগরকান্দায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্র সহ গ্রেফতার-৪

১১ দিন পর কড়ইতলী-গোবরাকুড়া স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু

পাঁচবিবিতে ফিলিস্থিনে ইসরাইলী হামলার প্রতিবাদে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

বিরলে একটি রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের বিরোধ চরমে যে কোন মহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা

প্রশিক্ষণ সঠিক ভাবে গ্রহন করলে দক্ষ গ্রাম পুলিশ গড়া সম্ভব- সিলেটে মহাপরিচালক আব্দুল কাইয়ূম

মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের বাংলাদেশ কান্ট্রি ম্যানেজার হিসেবে যোগ দিলেন স্বর্ণা দাস

ঝিনাইদহে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারককে অবরুদ্ধ করে যাত্রীকে মারধর ১০ শ্রমিক বহিস্কার

বন্দরে অস্ত্র ঠেকিয়ে সাংবাদিক ব্যবসায়ীকে অপহরনের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন

জকিগঞ্জে যুবদলের উদ্যোগে ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবীতে বিক্ষোভ

বরগুনায় পুলিশ কনস্টেবল চাকরিতে ঘুষ বাণিজ্য, ২ প্রতারক কারাগারে

কুলাউড়ায় পুলিশের উপর হামলা ও আসামী ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ,আটক ৪

প্রতিবেশীকে বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার-থানায় অভিযোগ

নাগেশ্বরী উপজেলা ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নেই তাসকিন, নতুন মুখ তানজিম