ভাঙন প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আল্টিমেটাম
০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৭ এএম | আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৭ এএম
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের মুন্সিবাজার এলাকায় ভয়াবহ নদীভাঙন দেখা দিয়েছে।
ভাঙন প্রতিরোধে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় নদীর পাড়ে মানববন্ধন রচনা করে।
মানববন্ধন হতে তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সেই সাথে ভাঙন প্রতিরোধে আগামি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কার্যকরী ব্যবস্থা না নিলে মহাসড়ক অবরোধসহ অনশন কর্মসূচি গ্রহণের ঘোষণা দেয়া হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, গত ৪ দিন ধরে দেবগ্রামের মন্সিবাজার এলাকায় নদী ভাঙন চলছে। ভাঙনে ইতোমধ্যে ১০টি পরিবারের ভিটেমাটি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। আতঙ্কে ৬/৭টি পরিবার ঘরবাড়ি ভেঙে অনত্র সরিয়ে নিয়েছেন। আরো অনেকে সরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। দেবগ্রামের নদীপাড়ের সর্বস্তরের জনগনের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে দেবগ্রাম ইউনিয়নের মুন্সীবাজার, কাওয়ালজানী এলাকার সাধারণ জনগন ও ঝুঁকির মুখে থাকা দুইটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সহস্রাধিক মানুষ অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় বাসিন্দা ডা. আবুল হোসেন, জামাল মুন্সি, গফুর আলী শেখ, মাজেদ সরদার, কেছমত মোল্লা, মোহন শেখ, মো. ফরহাদ খান, ফেলি বেগম, কমেলা বেগমসহ অনেকেই। তারা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমরা প্রত্যেকে ৪/৫ বারের বেশি ভাঙনের শিকার হয়েছি। এবার ভেঙে গেলে আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই।
অচিরেই নদী ভাঙন রোধ করা না হলে আমাদের বসত-বাড়ি, তিন ফসলী জমি, স্থানীয় দুইটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
দেবগ্রাম মুন্সীপাড়া এলাকার বাসিন্দা জামাল মুন্সী বলেন, বিগত ১৫/১৬ বছর আ.লীগ শাষনামলে রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী ভাঙন প্রতিরোধে কিছুই করেননি। তিনি শুধু আশ্বাসই দিয়ে গেছেন।
আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে নদী ভাঙন প্রতিরোধে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় মহাসড়ক অবরোধসহ অনশন কর্মসূচি গ্রহণ করতে বাধ্য হবো।
নদীর নিকটবর্তী কুশাহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, গত বছরে এই এলাকায় তেমন ভাঙেনি। হঠাৎ চারদিন ধরে ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে। এ নদীতে প্রায় ৪টি মৌজার ৪০ বিঘা জমি ইতোমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কেউ আমাদের কোন ব্যবস্থা করেনি। ভাঙন দেখা দিলে জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন নেতাকে দেখা যায়। শুকনো মৌসুমে কাউকে দেখা যায় না।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, ভাঙনের খবর শোনা মাত্রই আমি ভাঙন কবলিত স্থানগুলো পরিদর্শন করেছি। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে অনেক ফসলী জমি ও বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। ভাঙন রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আমি উদ্ধর্তন কতৃপক্ষকে অবহিত করেছি।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
শেষ বিকেলে লুইস-অ্যাথানেজের 'আক্ষেপে' ম্যাচে ফিরল বাংলাদেশে
রানআউট হজ,লুইসের ব্যাটে এগোচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
জমকালো 'কনটেনন্ডার সিরিজ',কে কার বিপক্ষে লড়বেন?
তারেক রহমানের আর্থিক সহায়তা নিয়ে সিয়ামের বাড়িতে মীর হেলাল
অবশেষে ২৬ মামলার আসামি কুমিল্লার শীর্ষ সন্ত্রাসী আল-আমিন গ্রেফতার
'জুলাই অনির্বাণ’ এ রক্তপিপাসু হাসিনার নির্মমতা দেখে কাঁদছেন নেটিজেনরা
দেশনেত্রীর প্রতি অপরিসীম শ্রদ্ধা ও সম্মান
বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনসহ সরকারের কাজের পরিধি বিশাল
অদক্ষ ফার্মাসিস্ট দ্বারাই চলছে ফার্মেসি
নির্বাচন কমিশন গঠন : গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু
বেনাপোল দিয়ে যাত্রী পারাপার কমেছে অর্ধেক, রাজস্ব আয় ও ব্যবসা বাণিজ্যে ধস
দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম
মসজিদে পরে এসে ঘাড় ডিঙিয়ে সামনের কাতারে যাওয়া জায়েজ নেই
দুনিয়া ও আখেরাতের জন্য সুন্দর জীবন এবং কৃতজ্ঞতাবোধ
যুগে যুগে জুলুম ও জালিমের পরিণতি
সালাম ইসলামী সম্ভাষণ রীতির এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ
করিমগঞ্জের নাম কি আদৌ শ্রীভূমি দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ?
বিশাল স্বর্ণখনির সন্ধান পেলো চীন
মাছ ধরার নৌকার সঙ্গে ভারতীয় সাবমেরিনের সংঘর্ষ
যৌন পর্যটনের নতুন কেন্দ্র হয়ে উঠছে টোকিও : বাড়ছে ভিড়