শিমুলিয়া ঘাটে খানাখন্দে বেহাল সড়ক
০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৭ এএম | আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৭ এএম
পদ্মা সেতু চালুর আগে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাট ছিল দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার। ঘাট দিয়ে ফেরি লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ হয়ে গেলেও এখানে অনেক অভিজাত রেস্তোরা বাণিজ্য জমে ওঠেছে। পদ্মা নদীর তীরে বসে পদ্মার ইলিশের স্বাদ নিতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা ছুটে আসেন। ঘাটে ২০টির মতো উন্নত মানের রেস্তোরা ছাড়াও পার্কিং ইয়ার্ডে শতাধিক ছোট-ছোট নানা পসরার দোকান রয়েছে। ঘাট এলাকায় ইলিশের স্বাদ নেয়া ছাড়াও পদ্মার সৌন্দর্য উপভোগ করতে হাজারো ভ্রমণপিপাসুদের ভিড় জমে। কিন্তু বর্তমানে ঘাটের প্রবেশমুখের সড়ক খানাখন্দে ভরে গেছে। বৃষ্টি হলে দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়। এতে দর্শনার্থীরা পড়ছেন বিপাকে। সড়কে বৃষ্টির পানি জমে খানাখন্দ দেখতে না পাওয়ায় অনেক সময় গাড়ি উল্টে পড়ছে। ফলে দর্শনার্থীদের কাদাপানিতে ভিজে নাকাল হতে হচ্ছে। ঢোকার মুখে খানাখন্দ থাকায় সড়ক বিভাজক (ডিভাইডার) থাকা সত্ত্বেও একপাশ দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। দিনের পর দিন সড়কটি সংস্কার না করায় দর্শনার্থী ও রেস্তোরা ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
দর্শনার্থী ও রেস্তোরাঁ মালিকরা জানান, জয়বাংলা মোড় থেকে শিমুলিয়াঘাট পর্যন্ত সড়কটি বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) মালিকানাধীন। পার্কিং ইয়ার্ড, স্পিডবোট ঘাট ও মাছের আড়ৎ ১ কোটি ৬০ লাখ টাকায় ইজারা দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। এ ছাড়া পার্কিং ইয়ার্ডে দোকান ভাড়া দিয়ে টাকা কামাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এরপরেও ঘাটের প্রবেশ মুখে খানাখন্দ থাকবে কেন- এ প্রশ্ন পর্যটক ও রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের। বন্ধুদের নিয়ে মোটরসাইকেলে ঢাকা থেকে ঘাটে ঘুরতে আসা তরুণ নাজমুল হোসেন বলেন, ঘাটে ঢোকার আগে সড়কে বৃষ্টির পানিতে ডুবে থাকা গর্তে বাইক নিয়ে পড়ে যাচ্ছিলাম, কিন্তু অল্পের জন্য রক্ষা পাই। যেখানে প্রতিদিন শত শত পর্যটক ঘুরতে আসেন, সেখানে এ রকম দুর্বস্থা কাম্য নয়।
মাওয়া কুটুমবাড়ি রেস্তোরাঁর পরিচালক রাসেল আলম রাজু ইনকিলাবকে বলেন, প্রায়ই ছোট ছোট যানবাহন গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। বৃষ্টি হলে দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়। শিমুলিয়াঘাট রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি মো. মুরাদ খান জানান, শিমুলিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কাজ হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাকির হোসেন বলেন, সড়কটি স্থানীয় সরকার কিংবা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নয়, এটির মালিক বিআইডব্লিউটিএ। তাই এর সংস্কার কিংবা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও তাদের। এরপরেও সড়কটি মেরামতের জন্য আমি বন্দর কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি।
শিমুলিয়া বন্দর কর্মকর্তা নিয়াজ মোহাম্মদ খান বলেন, সড়কটির মেরামতের বিষয়ে হেড অফিসকে জানিয়েছি। তবে তাৎক্ষণিকভাবে অস্থায়ী সংস্কার হবে। পরবর্তীতে প্রকল্প বরাদ্দের মাধ্যমে সড়কের টেকসই উন্নয়ন করা হবে।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
আবারও ইসরাইলি হামলায় লেবাননে ২৪ ঘন্টায় নিহত ৫৯
শেষ বিকেলে লুইস-অ্যাথানেজের 'আক্ষেপে' ম্যাচে ফিরল বাংলাদেশে
রানআউট হজ,লুইসের ব্যাটে এগোচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
জমকালো 'কনটেনন্ডার সিরিজ',কে কার বিপক্ষে লড়বেন?
তারেক রহমানের আর্থিক সহায়তা নিয়ে সিয়ামের বাড়িতে মীর হেলাল
অবশেষে ২৬ মামলার আসামি কুমিল্লার শীর্ষ সন্ত্রাসী আল-আমিন গ্রেফতার
'জুলাই অনির্বাণ’ এ রক্তপিপাসু হাসিনার নির্মমতা দেখে কাঁদছেন নেটিজেনরা
দেশনেত্রীর প্রতি অপরিসীম শ্রদ্ধা ও সম্মান
বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনসহ সরকারের কাজের পরিধি বিশাল
অদক্ষ ফার্মাসিস্ট দ্বারাই চলছে ফার্মেসি
নির্বাচন কমিশন গঠন : গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু
বেনাপোল দিয়ে যাত্রী পারাপার কমেছে অর্ধেক, রাজস্ব আয় ও ব্যবসা বাণিজ্যে ধস
দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম
মসজিদে পরে এসে ঘাড় ডিঙিয়ে সামনের কাতারে যাওয়া জায়েজ নেই
দুনিয়া ও আখেরাতের জন্য সুন্দর জীবন এবং কৃতজ্ঞতাবোধ
যুগে যুগে জুলুম ও জালিমের পরিণতি
সালাম ইসলামী সম্ভাষণ রীতির এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ
করিমগঞ্জের নাম কি আদৌ শ্রীভূমি দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ?
বিশাল স্বর্ণখনির সন্ধান পেলো চীন
মাছ ধরার নৌকার সঙ্গে ভারতীয় সাবমেরিনের সংঘর্ষ