ঢাকা   শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪ | ১৮ কার্তিক ১৪৩১

শেরপুরে তারে জড়িয়ে বন্য হাতির মৃত্যু

Daily Inqilab শেরপুর জেলা সংবাদদাতা

০২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ধানখেত ও পাহাড়ের ঢালে কৃষকদের দেওয়া জেনারেটরের তারে জড়িয়ে একটি বন্য হাতির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল ৩১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাত ৯ টার দিকে উপজেলার সীমান্তবর্তী পোড়াগাও ইউনিয়নের বাতকুচি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সেখান থেকে গতকাল রাতেই বন বিভাগ ঘটনাস্থল থেকে একজনকে জেনারেটরসহ আটক করেছেন।
আটককৃতর শহিদুল ইসলাম জেনেরেটরের অপারেটর। আর জেনেরেটরটি জব্দ করে মধুটিলা রেঞ্জ অফিসে রাখা হয়েছে। শুক্রবার সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ বন বিভাগের মধুটিলা ইকোপার্কের রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম।
বন বিভাগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এক সপ্তাহ ধরে ২৫–৩০টি বন্য হাতির পাল উপজেলার সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ের বিভিন্ন টিলায় ও জঙ্গলে অবস্থান করছে। দিনে বেলায় টিলা বা জঙ্গলে অবস্থান করলেও সন্ধ্যা নামার পর হাতির পাল দল বেঁধে ধানখেতে, লোকালয়ে নেমে আসে। এ জন্য কৃষকেরা ফসলরক্ষায় ধানক্ষেত ও তার আশেপাশে জেনেরেটরের লাইন দিয়ে পুরো এলাকা বৈদ্যুতিক জিআই তারের মাধ্যমে ঘিরে রাখে। আবার মশাল জ্বালিয়ে, ঢাক-ঢোল পিটিয়ে হাতির পাল প্রতিরোধের চেষ্টা করছেন।
বাতকুচি গ্রামের টিলাপাড়া এলাকায় পাহাড়ের ঢালে গতকাল রাতে হাতির পাল ফসল খেতে হানা দেয়। এসময় একটি হাতি পাহাড়ে ঢালে ধানক্ষেতের পাশে পাহাড়ের উঁচু স্থানে বৈদ্যুতিক জিআই তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়। এ সময় অন্য হাতিগুলো মৃত হাতিটিকে ঘিরে রাখে। রাত ১২টার দিকে বন বিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে জেনারেটর জব্দ করে নিয়ে যান। শুক্রবার সকালে মৃত হাতিটি রেখে অন্য হাতিগুলো জঙ্গলে ফিরে যায়।
শেরপুরের সহকারী বন সংরক্ষণ মোঃ সাদেকুল ইসলাম খান জানান, বন্যহাতি যেন মারা না যান এজন্য আমাদের জনসচেতনতা কার্যক্রম অব্যহত আছে। আমাদের শেরপুর জেলায় ৩৪ টি এআরটি টিম আছে। আমরা এআরটি টিমের মাধ্যমে জনসচেতনতা তৈরি করছি। যেন হাতি মানুষের দন্দ কমানো যায়। গতকাল রাত নয়টার সময় আমরা জানতে পারি বাতকুচি নামক স্থানে হাতি মারা গেছে। পরে আমরা এসে দেখি ধানক্ষেত রক্ষা করার জন্য এখানে জেনেরেটর দিয়ে একটা লাইন দিয়েছে সেখানে তারে পেচিয়ে একটা হাতি মারা গেছে। আমরা সাথে সাথে একজনকে আটক করি এবং জেনেরেটর ও তার জব্দ করি। এঘটনার সাথে ১০ থেকে ১২ জন জড়িত। তাদের খোঁজা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। হাতিটা কিছুদিন আগে একটা বাচ্চা দিয়েছে। এটা মাদি হাতি। মৃত হাতির ময়নাতদন্ত করা হবে।

 


বিভাগ : অভ্যন্তরীণ


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

কন্যার নাম প্রকাশ করলেন রণবীর-দীপিকা দম্পতি,দিয়েছেন মিষ্টি ছবি

কন্যার নাম প্রকাশ করলেন রণবীর-দীপিকা দম্পতি,দিয়েছেন মিষ্টি ছবি

তুরস্কে বিজয়ী বাংলাদেশের হাফেজ মুয়াজকে অভিনন্দন জানালেন পীর সাহেব চরমোনাই

তুরস্কে বিজয়ী বাংলাদেশের হাফেজ মুয়াজকে অভিনন্দন জানালেন পীর সাহেব চরমোনাই

সিলেট মহানগর ‘বৈষম্য বিরোধী হকার ঐক্য পরিষদ’র ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন

সিলেট মহানগর ‘বৈষম্য বিরোধী হকার ঐক্য পরিষদ’র ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন

কাঁচা সড়কে জনদুর্ভোগ

কাঁচা সড়কে জনদুর্ভোগ

দেরি করে ভাত দেওয়ায় হত্যা

দেরি করে ভাত দেওয়ায় হত্যা

গ্রামে প্রবেশের সড়ক নেই

গ্রামে প্রবেশের সড়ক নেই

বন্য হাতি হামলা

বন্য হাতি হামলা

পলো বাওয়া উৎসব

পলো বাওয়া উৎসব

গোদাগাড়ীর মহিশালবাড়ী হাটে ময়লার স্তূপ

গোদাগাড়ীর মহিশালবাড়ী হাটে ময়লার স্তূপ

কুয়াকাটায় ব্যবসা বাণিজ্যে গতি ফিরছে

কুয়াকাটায় ব্যবসা বাণিজ্যে গতি ফিরছে

গারো পাহাড়ে কলার আবাদ

গারো পাহাড়ে কলার আবাদ

সেতুর পনেরো শতাংশ কাজ করতেই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ

সেতুর পনেরো শতাংশ কাজ করতেই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ

ডেঙ্গুতে ১০ মাসে মৃত্যু ৩০০

ডেঙ্গুতে ১০ মাসে মৃত্যু ৩০০

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্ন এবং বাস্তবতা

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্ন এবং বাস্তবতা

স্বেচ্ছায় রক্ত ও চক্ষু দানকে উৎসাহিত করতে হবে

স্বেচ্ছায় রক্ত ও চক্ষু দানকে উৎসাহিত করতে হবে

অনন্য চিন্তক-দার্শনিক দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ

অনন্য চিন্তক-দার্শনিক দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে

বিদ্যুৎ সংকট আর্থ-সামাজিক অস্থিরতার কারণ হতে পারে

বিদ্যুৎ সংকট আর্থ-সামাজিক অস্থিরতার কারণ হতে পারে

শার্শায় আফিল জুট উইভিং ফ্যাক্টরি শ্রমিক নিহত

শার্শায় আফিল জুট উইভিং ফ্যাক্টরি শ্রমিক নিহত

আফগান সিরিজের বাংলাদেশ দল ঘোষণা,আছে চমক

আফগান সিরিজের বাংলাদেশ দল ঘোষণা,আছে চমক