রাষ্ট্রদ্রোহের সংজ্ঞা বদল ভারতে
১৪ আগস্ট ২০২৩, ০৮:২২ পিএম | আপডেট: ১৫ আগস্ট ২০২৩, ১২:০৭ এএম
প্রস্তাবিত নতুন আইনে রাষ্ট্রদ্রোহের বিষয়টি রয়েছে ন্যায় সংহিতার ১৫০ নম্বর ধারায়। চলতি আইনে রাষ্ট্রদ্রোহের যে সংজ্ঞা রয়েছে, প্রস্তাবিত আইনে সংজ্ঞাটি দীর্ঘতর হয়েছে। এখানে রাষ্ট্রদ্রোহের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি ‘জেনেশুনে মুখে বা লিখে, অথবা কোনো আকার-ইঙ্গিতে বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে কিংবা অর্থনৈতিকভাবে অথবা যেকোনোভাবে উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করে বিচ্ছিন্নতাবাদী কাজকর্ম, সশস্ত্র বিদ্রোহ বা অন্তর্ঘাতমূলক কোনো কাজ করলে, যা ভারতের একতা, সার্বভৌমত্ব বা অখ-তার জন্য বিপদ হয়ে উঠতে পারে,’ এমন অপরাধের ক্ষেত্রে কমপক্ষে সাত বছর আর সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন জেলের সাজার কথা বলা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনে রাষ্ট্রদ্রোহের সংজ্ঞায় যে শব্দগুলো যোগ করা হয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘বিচ্ছিন্নতা’, ‘সশস্ত্র বিদ্রোহ’, ‘অন্তর্ঘাতমূলক কাজ’, এই শব্দগুলো। বর্তমানে যে রাষ্ট্রদ্রোহ আইন চালু আছে, তাতেও যাবজ্জীবন বা তিন বছরের সাজার কথা রয়েছে, সাথে জরিমানাও হতে পারে অপরাধীর। ব্রিটিশ আমলের রাষ্ট্রদ্রোহ সংক্রান্ত আইন প্রত্যাহার করে নতুন রাষ্ট্রদ্রোহ আইন আনার প্রস্তাব দিয়েছে ভারত সরকার। প্রস্তাবিত আইনে রাষ্ট্রদ্রোহের সংজ্ঞা যেমন চলতি আইনের থেকে অনেকটা প্রসারিত হয়েছে, তেমনই ন্যূনতম সাজার মেয়াদেও বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। শুধু যে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনেই পরিবর্তন আনার কথা বলা হচ্ছে, তা নয়। ভারতের ফৌজদারী বিচার প্রক্রিয়াতেও পরিবর্তন আনার কথা বলা হয়েছে সংসদে পেশ করা বিলগুলোতে। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে রাষ্ট্রদ্রোহ সংক্রান্ত আইন পরিবর্তন নিয়ে। চলতি রাষ্ট্রদ্রোহ দমন আইনের কারণে বাক-স্বাধীনতাক্ষুণœ হচ্ছিল বলে সরকার যুক্তি দেখালেও আইনজীবীরা মনে করছেন প্রস্তাবিত আইনে সেই স্বাধীনতা আরো খর্ব হওয়ারই আশঙ্কা থাকছে। তাদের মতে প্রস্তাবিত রাষ্ট্রদ্রোহ আইনটি কঠোরতর। চলতি রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের যে অপব্যবহার হচ্ছে, সেটা একাধিক মামলার রায়ে উঠে এসেছে এবং আইনটির যে পরিবর্তন দরকার, সেটা কেন্দ্রীয় সরকারও সুপ্রিম কোর্টে জমা দেয়া এক হলফনামায় জানিয়েছিল। তারপরেই, গত বছর ভারতের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানার নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের এক বেঞ্চের নির্দেশে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে দায়ের করা সব বিচারাধীন মামলা, আপিল এবং সব আইনি প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হয়েছে। যতদিন না ওই আইনটির পুনর্বিবেচনা শেষ করছে সরকার। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারকে চলতি রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে নতুন মামলা দায়ের করা থেকেও বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের ওই বেঞ্চ। অনলাইন পোর্টাল ‘আর্টিকেল ১৪’ তাদের এক প্রতিবেদনে দেখিয়েছে যে ২০১০ সাল থেকে আট শ’টি রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ১৩ হাজার মানুষের বিরুদ্ধে। আবার জাতীয় অপরাধ রেকর্ড ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী ২০১৪ সালে যেখানে ৪৭টি মামলা হয়েছিল রাষ্ট্রদ্রোহের, তার পাঁচ বছর পরে ২০১৯ সালে ৯৩টি মামলা দায়ের করা হয়। যদিও বিচারের পরে সাজা হয়েছে মাত্র তিন শতাংশ মামলায়। বিবিসি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
খুশদীলের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে রংপুরের আটে আট
বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অনেক দেশের ভিসা
মেডিকেল কলেজে শিক্ষক বাড়ানোর কথা ভাবছে সরকার
ছাত্রদলের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি আজ
গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুনর্গঠনে ১০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন
অন্তর্বর্তী সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর দিকে তাকিয়ে ইইউ
ভারতের উদ্বেগের মধ্যে হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হচ্ছে পাকিস্তান
সান্ত¡না খুঁজে পাচ্ছেন না, দুই দেশে কলঙ্কিত টিউলিপ
দুর্নীতির মামলায় ইমরান খান ও বুশরা বিবির কারাদণ্ড
বিদেশে টাকা পাচারের রাজনীতি মানুষ চায় না : পীর সাহেব চরমোনাই
শেখ পরিবারের রক্তের জন্যই দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন টিউলিপ -রিজভী
নামাজ মু’মিনের জন্য মেরাজস্বরূপ
ক্রেডিট কার্ডে বিদেশে বাংলাদেশিদের লেনদেন কমেছে
স্বনির্ভর অর্থনীতির পথে দেশ
বগুড়ার বিমানবন্দর দ্রুত চালুর দাবি
আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বাংলাদেশকে মানবাধিকার লংঘন বন্ধ করতে হবে : হিউম্যান রাইটস ওয়াচ
হাজারীবাগের ট্যানারির গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
জুলাই বিপ্লব ঘোষণাপত্র দেওয়া জরুরি : নুরুল হক নুর
গণঅভ্যুত্থানের ইশতেহারে বিএনপির ভূমিকা লিখতে হবে : জয়নুল আবদিন
নির্বাচনে রাজনৈতিক নেতাদের পরিবেশ রক্ষায় প্রতিশ্রুতি দিতে হবে