নিকৃষ্টতম স্বৈরতান্ত্রিক দেশের তালিকায় ভারত
১০ মার্চ ২০২৩, ০২:৩৭ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৪০ পিএম
ভারত যখন মহা আড়ম্বরে জি-২০ সম্মেলনের আয়োজন করছে, সেই সময় আন্তর্জাতিক মহলে মুখ পুড়ল নরেন্দ্র মোদি সরকারের। ‘সামনের দিন’-এর ঢক্কানিনাদ বাজানো মোদি সরকারের শাসনকাল অর্থাৎ গত দশ বছরের নানা ঘটনা ভারতকে ‘সবচেয়ে খারাপ স্বৈরতান্ত্রিক’ দেশগুলোর তালিকায় স্থান পাইয়ে দিলো।
সম্প্রতি ‘ডেফিয়েন্স ইন দ্য ফেস অফ অটোক্র্যাটাইজেশন’ শীর্ষক একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে এমনই দাবি করেছে সুইডেনের ভ্যারাইটিজ অফ ডেমোক্রেসি ইনস্টিটিউট। সেখানকার রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সময়ের মধ্যে ভারতবাসী রাজনৈতিক মেরুকরণের ঘটনাতেও নাটকীয় উত্থান দেখেছে। আর এই গোটা ঘটনার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেই বিঁধেছে প্রতিষ্ঠানটি। সারা বিশ্বের সামনে এই রিপোর্ট প্রকাশ হতেই মুখ পুড়েছে কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের।
নিকৃষ্টতম স্বৈরতান্ত্রিক দেশগুলির তালিকায় ভারতের পাশাপাশি রয়েছে আফগানিস্তান, ব্রাজিল, মিয়ানমারের নামও। বছর কয়েক আগে এই ইনস্টিটিউট ভারত ‘নির্বাচিত স্বৈরতন্ত্রে’ পরিণত হয়েছে বলেও একটি রিপোর্টে দাবি করেছিল। এবার সুইডেনের প্রতিষ্ঠানটির প্রকাশিত রিপোর্টে নির্বাচিত স্বৈরতান্ত্রিক দেশগুলির তালিকায় ভারত ১০৮তম স্থানে রয়েছে। যা মোটেই গৌরব বৃদ্ধি করল না মোদি সরকারের। সবচেয়ে দুঃখের, এই বিভাগে ভারতের স্থান হয়েছে সিঙ্গাপুর, মেক্সিকো, নাইজেরিয়া, তানজানিয়ার মতো দেশগুলোরও পিছনে।
১৭৮৯ থেকে ২০২২ পর্যন্ত ২০২টি দেশের গণতান্ত্রিক অবস্থা নিয়ে সমীক্ষা চালিয়ে গ্লোবাল ডেটাসেট তৈরি করেছে ভি-ডেম ইনস্টিটিউট। প্রায় ৪০০ বিশেষজ্ঞ ও বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা ৩১ মিলিয়নের বেশি তথ্য যাচাই করে ৩ মার্চ রিপোর্টটি প্রকাশ করে। নাম না করে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ও মোদির স্বৈরাচারিতাকে লক্ষ্য করে এই রিপোর্টটিতে আরো বলা হয়েছে, দেশের মানুষ রাজনৈতিক মেরুকরণে কার্যত সম্মোহিত হয়ে গণতান্ত্রিক নীতি থেকে সরে আসছেন। মেরুকরণের জেরে গত দশ বছরে ভারতে সহযোগিতার পরিবেশ নষ্ট হয়ে অসহিষ্ণুতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই রিপোর্টের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই সরব হয়েছে বিজেপি। তাদের দাবি, ওই ইনস্টিটিউটটি মার্কিন শিল্পপতি জর্জ সোরেসের টাকায় চলে। সম্প্রতি জর্জ আদানি কাণ্ডে মোদির সমালোচনা করেছিলেন। ভারতের মতোই স্বৈরতন্ত্র বেড়েছে তুরস্ক, সার্বিয়া, হাঙ্গেরি, থাইল্যান্ডে। চাঞ্চল্যকর তথ্য হলো, গত বছরের শেষ থেকে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার (৫.৭ বিলিয়ন) ৭২ শতাংশই স্বৈরতান্ত্রিক সরকারের অধীনে বসবাস করছে। যা গত দশ বছরে ৪৬ শতাংশ বেড়েছে। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির কাউন্সিলে প্রত্যক্ষ ভোটে সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত
আওয়ামী লীগকে কবর দিয়েছেন শেখ হাসিনা
রোচ-গ্রেভস জুটি ভাঙতে পারছে না বাংলাদেশ
মোমবাতি প্রজ্বলনে তাজরীন ট্র্যাজেডিতে নিহতদের স্মরণ
সিসিকের সাবেক কাউন্সিলর ১৩ মামলার আসামী আ‘লীগ নেতা লায়েক গ্রেফতার
যার হাত ধরে পরীমনি এসেছিলেন চলচ্চিত্রে,তার মরণ দিনে করলেন খাসি জবাই
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবর্তন হচ্ছে লেকের নাম, নতুন নাম ‘মুগ্ধ সরোবর’
সোনারগাঁয়ে বিএনপির কার্যালয় উদ্বোধন
সেনবাগে ইসলামী আন্দোলনের গণ সমাবেশে আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধের দাবী
পঞ্চগড়ে সিন্ডিকেট ভাঙতে তেঁতুলিয়ায় ৫৫ টাকায় আলু বিক্রি
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের দাবী অত্যন্ত যৌক্তিক ধর্ম উপদেষ্টা ড.খালিদ হোসেন
সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মেরে আ.লীগ নিজেদের ভাগ্য গড়েছে : এমরান সালেহ প্রিন্স
মাদক শুধু ব্যক্তিকে নয় পরিবারকেও ধ্বংস করে
অ্যাম্বাসেডর কাপ উশুতে সেনাবাহিনী চ্যাম্পিয়ন
সিলেটে মাজিদের ফিফটি
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই হবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফের খেলা
বাংলাদেশে খেলা নিয়ে অনিশ্চিয়তায় হামজা!
ফের বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা
বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথের কাছে ২৭ রেফারির চিঠি
দিনের শুরুতেই হাসানের জোড়া আঘাত