অমিত শাহকে অভিযুক্ত করলেন কানাডার মন্ত্রী, কোনপথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক?
০১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১৬ এএম | আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১৬ এএম
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে কানাডায় খালিস্তান-বিরোধী অভিযানে ‘অনুমোদন’ দেয়ার অভিযোগ তুললেন সে দেশের ডেপুটি ফরেন অ্যাফেয়ার্স মিনিস্টার (উপ-পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী) ডেভিড মরিসন।
কানাডার ‘সিভিল ডিফেন্স অ্যান্ড ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমিটি’কে মরিসন জানিয়েছেন, ভারত সরকারের একজন প্রবীণ মন্ত্রী কানাডায় খালিস্তানপন্থীদের বিরুদ্ধে অভিযানের ‘অনুমোদন’ দিয়েছিলেন এবং সে বিষয়ে এক মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে তথ্য জানিয়েছিলেন তিনি। কানাডার ‘সিভিল ডিফেন্স অ্যান্ড ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমিটি’র (নাগরিক সুরক্ষা ও জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির) শুনানি ছিল মঙ্গলবার। ওই কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কনজারভেটিভ এমপি রাকেল ডানচো কানাডার নাগরিক ও জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন করছিলেন।
সেই সময়, ডেভিড মরিসনকে প্রশ্ন করা হয়, সম্প্রতি এক মার্কিন সংবাদমাধ্যমে কানাডায় খালিস্তান বিরোধী অভিযান সম্পর্কে যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে সেখানে শাহ সম্পর্কে তিনি কোনও তথ্য দিয়েছিলেন কি না। শুনানি চলাকালীন বিষয়টা স্বীকার করে নেন মরিসন। শাহ সম্পর্কে কানাডার এই অভিযোগের বিষয়ে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি ভারত সরকার। তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, কানাডার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ভারত।
শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যা মামলাকে কেন্দ্র করে ভারত এবং কানাডার সম্পর্কের যে টানাপোড়েন শুরু হয়েছিল গত বছর, সাম্প্রতিক সময়ে তা আরও বেড়েছে। এই হত্যার পিছনে ভারতের হাত রয়েছে বলে আগেই অভিযোগ তুলেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
চলতি মাসেই একটা সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যা মামলা ভারতের বিরুদ্ধে সহযোগিতা না করার অভিযোগও তুলেছিলেন। একইসঙ্গে দাবি করেছিলেন, এই মামলা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তার এই দাবি নস্যাৎ করে দিয়ে সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দেয় ভারত।
মঙ্গলবার সিভিল ডিফেন্স অ্যান্ড ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমিটির শুনানিতে ট্রুডো প্রশাসনের মন্ত্রীর এই স্বীকারোক্তির পর ভারত-কানাডার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ফাটল আরও গভীর হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কোন প্রতিবেদনের কথা বলা হয়েছে?
কানাডায় খালিস্তানপন্থী অভিযান এবং তার বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থান নিয়ে গত ১৪ই অক্টোবর মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’ একটা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। সেখানে উচ্চপদস্থ কানাডিয়ান কর্মকর্তার বরাত দিয়ে উল্লেখ করা হয়েছিল যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ অমিত শাহ খালিস্তান বিরোধী অভিযানের নেপথ্যে ছিলেন। শুধু তাই নয়, তার ‘অনুমোদনেই’ কানাডার মাটিতে খালিস্তান বিরোধী অভিযান চলেছে।
এরপর প্রশ্ন উঠতে থাকে কানাডা সরকারের কোন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এই বিষয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। সিভিল ডিফেন্স অ্যান্ড ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমিটির মঙ্গলবারের শুনানিতে এই প্রসঙ্গ উঠে আসে। কমিটির শুনানি চলাকালীন কনজারভেটিভ এমপি রাকেল ডানচো কানাডার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা নাথালি ড্রুইনকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, মি. শাহের বিষয়ে কোনও তথ্য কানাডার সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হয়নি বরং মার্কিন সংবাদমাধ্যমে (ওয়াশিংটন পোস্টে) প্রকাশ হয়েছিল- এই তথ্য সঠিক কি না। একই সঙ্গে জানতে চাওয়া হয়েছিল, কানাডা সরকার গণমাধ্যমকে মি. শাহের বিষয়ে কোনও তথ্য দিয়েছিল কি না।
শুনানিতে যা হয়েছে
শুনানির সময় কমিটিকে মিজ ড্রুইন জানান, এই তথ্য সঠিক যে বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে তা মার্কিন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছিল, কানাডিয়ান গণমাধ্যমে নয়। তবে কানাডা সরকারের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোনও সাংবাদিককে কিছু জানানো হয়নি। শুনানির সময় উপস্থিত ছিলেন ডেভিড মরিসনও।
ডানচো এরপর ডেভিড মরিসনের উদ্দেশে জিজ্ঞাসা করেন, “মরিসন, আপনি কি এই বিষয়ে কিছু বলতে পারেন? আপনি কি এই তথ্য দিয়েছেন?” এর জবাবে ডেভিড মরিসন কমিটিকে বলেন, “অবশ্যই… একজন সাংবাদিক আমাকে ফোন করেছিলেন এবং জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তিনি (সাংবাদিক) যে ব্যক্তির (অমিত শাহ) কথা উল্লেখ করছেন, তিনিই সেই ব্যক্তি কি না। আমি তা কনফার্ম (শিলমোহর দিয়েছিলাম) করেছিলাম।”
এরপর. মরিসন যোগ করেন, “ওই সাংবাদিক এই বিষয়ে অনেক (প্রতিবেদন) লিখেছেন। সাংবাদিকের বিভিন্ন সোর্স (তথ্যের উৎস) রয়েছে। তিনি আমার কাছে জানতে চান, যার কথা তিনি বলছেন, সেই ব্যক্তিই সঠিক কি না। আমি তা কনফার্ম করি।”
এমপি ডানচো মন্তব্য করেন, “তা হলে আপনি স্বীকার করছেন এই বিষয়ে আপনি তথ্য দিয়েছেন এবং প্রধানমন্ত্রী কোনও তথ্য প্রকাশ করেননি।” এরপর এমপি ডানচো মিজ ড্রুইনকে প্রশ্ন করেন, কেন এই তথ্য কানাডিয়ান গণমাধ্যমকে না জানিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছিল?
নাথালি ড্রুইন এই প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “ওয়াশিংটন পোস্টকে সাক্ষাৎকার দেয়ার পিছনে কারণ হলো যাতে এই তথ্য আন্তর্জাতিক স্তরে প্রকাশ পায়।” নাথালি ড্রুইন এবং ডেভিড মরিসনের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে আরও একবার বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
মাইক ডুহমের সাক্ষ্য
কানাডার সরকারের দাবি ছিল, ভারতীয় এজেন্টরা সে দেশের মাটিতে সংগঠিত অপরাধের সঙ্গে যুক্ত। তাদের অভিযোগ, এই অপরাধের তালিকায় রয়েছে হত্যা, জোর জুলুম ও হুমকি।
ভারতের বিরুদ্ধে কানাডার পুলিশ রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের (আরসিএমপি) প্রধান মাইক ডুহমে অভিযোগ করেন কানাডায় হত্যাসহ ‘বড় সড় সহিংসতার’ ঘটনায় ভারতের ভূমিকা রয়েছে যা সে দেশের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য গুরুতর ঝুঁকির শামিল।
সেই বিষয়েও মঙ্গলবারের শুনানিতে তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। সেই সময় তিনি জানান পুলিশের সাক্ষ্যপ্রমাণে দেখা গিয়েছে ভারতীয় কূটনীতিক ও হাইকমিশনের কর্মীরা ভারত সরকারের হয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছেন।
কানাডায় সহিংসতামূলক কাজকর্ম চালাতে অপরাধী সংগঠনগুলোকে নির্দেশ দিতে সেই তথ্য ব্যবহার করা হয়েছিল।
সম্প্রতি কানাডার সরকারি নিউজ চ্যানেল সিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাইক ডুহমে আরও বলেন, “আমাদের কাছে কোনো গোয়েন্দা তথ্য নেই বরং জোরালো প্রমাণ রয়েছে যে এই মামলায় (নিজ্জর হত্যাকাণ্ড) ভারতের ভূমিকা- এতে উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা জড়িত।”
ডুহমে জানিয়েছেন পুলিশ ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ১৩ জন কানাডিয়ান নাগরিককে সতর্ক করেছে যে তারা ভারতীয় এজেন্টদের নিশানা হতে পারেন।
তবে এই বিষয়ে মঙ্গলবারের আগে কানাডিয়ান কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসা করলে তাদের শুধুমাত্র বলতে শোনা গিয়েছিল, ভারত সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে এ বিষয়ে আরও তথ্য পাওয়া যেতে পারে।
এদিকে, ভারতের পাল্টা দাবি, এমন গুরুতর অভিযোগের প্রমাণ হিসাবে কোনও তথ্যই ভারতকে দেয়নি কানাডা। তাদের তোলা সমস্ত অভিযোগই ‘ভিত্তিহীন’।
ভারতের অবস্থান
মঙ্গলবারের শুনানির পর ভারতের পক্ষ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক বক্তব্য আসেনি। তবে 'ওয়াশিংটন পোস্ট'-এ নিজ্জরের হত্যা মামলা সংক্রান্ত খবর প্রথমবার প্রকাশিত হওয়ার পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছিল।
সংবাদপত্রের প্রতিবেদন সম্পর্কে একটি বিবৃতি জারি করে তারা বলেছে, “ওই প্রতিবেদনে একটা গুরুতর বিষয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হয়েছে।”
কানাডার অভিযোগের উত্তরে জানানো হয়েছিল, “সংগঠিত অপরাধ এবং সন্ত্রাসীদের নেটওয়ার্ক নিয়ে মার্কিন সরকারের তরফে উদ্বেগ প্রকাশের পরে, ভারত সরকার একটা উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে যা এই বিষয়ে তদন্ত করছে। অনুমানের উপর ভিত্তি করে দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য দিয়ে কোনও লাভ হবে না।”
সম্প্রতি নিজ্জর হত্যা মামলায় ভারতীয় হাইকমিশনারের নাম উল্লেখ করার প্রসঙ্গে তীব্র আপত্তি জানিয়েছিল ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভারতের পাল্টা অভিযোগ, পুরো বিষয়টি এখন রাজনীতির সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে, কারণ একাধিক ‘চ্যালেঞ্জের’ সঙ্গে যুঝছেন প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল “ভারত সরকার বরাবরই এ জাতীয় ভিত্তিহীন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। কানাডার ট্রুডো সরকার ভোট পাওয়ার জন্য এসব করছে।”
প্রসঙ্গত, কানাডায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত মানুষের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। কানাডার জনসংখ্যার ২.১% শিখ সম্প্রদায়ভুক্ত। গত ২০ বছরে কানাডায় শিখদের সংখ্যা বেড়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই শিক্ষা, ক্যারিয়ার, চাকরির মতো কারণে পাঞ্জাব থেকে কানাডায় পাড়ি দিয়েছেন।
গত চৌঠা সেপ্টেম্বর নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) নেতা জগমিত সিং জাস্টিন ট্রুডো সরকারের ওপর থেকে তার সমর্থন প্রত্যাহার করার ঘোষণা করেন। এনডিপির সমর্থন নিয়েই চলছিল ট্রুডোর সরকার। তবে এনডিপি থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিলেও সংসদে আস্থা প্রস্তাবে জয় লাভ করতে সক্ষম হন প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো।
২০২৫ সালের অক্টোবরে কানাডায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ভারতের যুক্তি কানাডায় বসবাসকারী শিখদের ভোট হারাতে চান না প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো, তাই খালিস্তানপন্থীদের পক্ষে কথা বলছেন তিনি এবং ভারতের বিরুদ্ধে এই অবস্থান।
কোন দিকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক?
ভারত ও কানাডার অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্কে ফাঁটল স্পষ্ট। কানাডা সরকার জানিয়েছিল থেকে ছয়জন ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে।
অন্যদিকে কানাডার অভিযোগ নস্যাৎ করে ভারত পাল্টা দাবি জানিয়েছিল ট্রুডো সরকারের প্রতি ভারতের আস্থা নেই। তাই, কানাডা থেকে হাইকমিশনার সঞ্জয় কুমার ভার্মা ও অন্যান্য কূটনীতিকদের ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, কানাডার ছয় কূটনীতিককে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তও নিয়েছে ভারত।
একইসঙ্গে জানানো হয়েছিল, কানাডা তার দাবির পক্ষে প্রমাণ দেয়ার দাবি করলেও বাস্তবে ‘একটাও তথ্য প্রমাণও’ দিতে পারেনি তারা। এদিকে, প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো এখনও তার দাবিতে অনড়। এর আগে তিনি যখন ভারতের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অভিযোগ তুলেছিলেন তখন জানানো হয়েছিল কানাডার কাছে শুধু গোয়েন্দা তথ্য ছিল।
পরে ফরেন ইন্টারফেয়ারেন্স কমিশনের সামনে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে তিনি স্বীকার করেন যে কানাডা ভারতের সঙ্গে কোনও প্রমাণ ভাগ করে নেয়নি। শুধুমাত্র এই মামলায় একসঙ্গে কাজ করতে চেয়েছিল। কিন্তু ভারত প্রমাণ চাইতে থাকে।
তিনি বলেন, “(এর উত্তরে) আমাদের প্রতিক্রিয়া ছিল- ঠিক আছে, এটা (তথ্যপ্রমাণ) আপনার সুরক্ষা সংস্থাগুলোর কাছেই রয়েছে।” পরে কনজারভেটিভ দলের দুই আইনপ্রণেতার ওপর নজরদারির বিষয়ে তদন্তকারী প্যানেলকে তিনি বলেন, “ভারত যে কানাডার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে তার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে।”
প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর এই অবস্থানকে কেন্দ্র করে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতির বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা। তার উপর মঙ্গলবার মরিসনের সাক্ষ্যের পর দুই দেশের মধ্যে যে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা।
ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?
সাম্প্রতিক এই ঘটনা ভারত-কানাডার সম্পর্কে আরও চিড় ধরাতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভারতের স্ট্র্যাটেজিক অ্যাফেয়ার্স বিশেষজ্ঞ ব্রহ্মা চেলানি তার মতামত জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স হ্যান্ডেলে কানাডার সিভিল ডিফেন্স অ্যান্ড ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমিটির শুনানির ভিডিও কিছু অংশ পোস্ট করে মি. চেলানি লিখেছেন, “ট্রুডোর এনএসএ (ন্যাশানাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার), নাথালি ড্রুইন এবং ডেপুটি ফরেন মিনিস্টার ডেভিড মরিসন স্বীকার করে নিয়েছেন যে তারা ভারতের বিরুদ্ধে গল্পটা রোপণ করেছিলেন।”
এই ঘটনা দুই দেশের সম্পর্কের ফাটলকে আরও গভীর করতে পারে বলেও মনে করেন তিনি।
ভারত-কানাডার সম্পর্ক উন্নতির ক্ষেত্রে কোনও আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন না ব্রুকিংস ইনস্টিটিউটের সিনিয়র ফেলো তনভি মদন। তার মতে, “অটোয়া ভেবেছিল যে এইভাবে ভারতের কাছ থেকে কম-সম নয় বরং আরও বেশি করে সহযোগিতা পেতে পারে! আকর্ষণীয়!”
মরিসনের স্বীকারোক্তির দিকে ইঙ্গিত করে মিজ মদন বোঝাতে চেয়েছেন, যে এই রকম পরিস্থিতিতে কানাডা ভারতের কাছ থেকে কীভাবে সহযোগিতার প্রত্যাশা করতে পারে।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন
না.গঞ্জে ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গুতে আরও ৫০ জন আক্রান্ত
উত্তরায় ডেঙ্গু সচেতনতা লিফলেট বিতরণ করেন বিএনপি নেতা মোস্তফা জামান
ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক উত্তেজনার মধ্যে সামরিক বাজেট দ্বিগুণ বাড়াচ্ছে ইরান
ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে সিলেটে প্রথম শহীদ জিলুর মৃত্যু বার্ষিকীতে সিলেট যুবদলের দোয়া মাহফিল
বগুড়ায় স্ত্রী হত্যার দায়ে ১৯ বছর পর স্বামীর মৃত্যুদন্ড
ইসরায়েল-লেবানন যুদ্ধবিরতি চুক্তি শিগগিরই হচ্ছে : লেবাননের প্রধানমন্ত্রী
সাবেক ছাত্রলীগ নেতার মুজেজায় সিলেটে (এক লাফে) অধ্যক্ষ হয়ে যান হাকিম মুহিব বুল্লাহ
আদর্শিক ছাত্র জনতার ভূমিকা রাখতে হবে -মাওলানা ইমতিয়াজ আলম
গাড়িতে অগ্নিসংযোগকারীরা পতিত সরকারের প্রেতাত্মা- মাওলানা ইউনুছ আহমাদ
জকিগঞ্জকে স্বধীন বাংলাদেশের প্রথম মুক্তাঞ্চল হিসেবে ঘোষণার দাবী
ফ্যাসিবাদ হাসিনা গত ১৫ বছরে দেশটাকে তার পৈত্রিক সম্পত্তি মনে করেছিল -আমতলীতে ভিপি নুরুল হক নুর
সায়মা ওয়াজেদের সাথে কাজ করতে চায় না অন্তর্বর্তী সরকার
রেঞ্জ কর্মকর্তার (এসিএফ) বদলীর আদেশ প্রত্যাহারের দাবীতে শরণখোলায় সুন্দরবনের জেলে মৎস্যজীবিদের মানববন্ধন
তূণমূল নেতাকর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে এসেছে দেশের স্বাধীনতা : সিলেট মহানগর বিএনপি সেক্রেটারী ইমদাদ চৌধুরী
মাদকসেবীদের আড্ডাস্থল বাকৃবির রেলস্টেশন
মানব কল্যাণে চাই সকলের একত্রিত প্রচেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব দ্রুত সংস্কার ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন
সেন্টমার্টিনের অস্তিত্ব ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে হবে
অদ্ভুত লাইবেরিয়া