অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব দ্রুত সংস্কার ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন
০১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১৬ এএম | আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১৬ এএম
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ তিন মাস হতে চলেছে। ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে গঠিত এই সরকারকে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও মোদির দোসরদের নানা ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। এই সরকার এমন সময়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে, যখন শেখ হাসিনা দেশকে সবদিক থেকে ধ্বংস করে দিয়েছে। সাড়ে ১৫ বছরে কোনো নিয়মনীতির ধার না ধেরে দেশকে নিজের ইচ্ছামতো যেমন খুশি তেমন চালিয়েছেন। এটা কোনো সুস্থ মানুষের কাজ ছিল না, যদিও তাকে অনেকে ‘সাইকোপ্যাথ’ হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকেন। ’৯৬ সালে তিনি ক্ষমতায় থাকতেই উচ্চ আদালত তাকে ‘রং হেডেড’ বা পাগল বলে মন্তব্য করেছিলেন। তবে ‘সাইকোপ্যাথ’ ও ‘পাগলের’ মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। ‘সাইকোপ্যাথ’ জ্ঞানের মধ্যে থেকেই ভয়াবহ ঘটনা ঘটিয়ে থাকে। অমানবিক হয়ে প্রচ- প্রতিশোধপরায়ন হয়ে উঠে। নির্দ্বিধায় খুন করতে পারে। কোনো শোচনা থাকে না। অন্যদিকে, পাগলের কোনো ‘সেন্স’ বা জ্ঞান থাকে না। সজ্ঞানে কিছু করতে পারে না। অর্ধপাগল বা পাগলাটে ধরনের হলে সেটাও ভয়ংকর বিষয় হয়ে উঠে। তবে শেখ হাসিনা পাগল ছিলেন না, ছিলেন সাইকোপ্যাথ। এই সাইকোপ্যাথ মানুষের উপর প্রতিশোধপরায়ন হয়ে দেশ শাসন করেছে। তার কুফল যেমন দেশের মানুষ ভোগ করেছে, তেমনি জীবন দিয়ে তার পতন ঘটিয়ে দেশছাড়া করেছে। তবে সাইকোপ্যাথ যেখানেই থাকুক না কেন, তার প্রতিশোধপরায়নতাও তার মধ্যে থেকে যায়। দেড় হাজারের বেশি মানুষ হত্যা এবং বিশ হাজারের বেশি পঙ্গু ও চিরতরে অন্ধ করে দিয়েও তার মধ্যে কোনো অনুতাপ দেখা যায়নি। বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে, দেশে তার অনুসারি, দোসর এবং নেতাকর্মীর মধ্যেও গণহত্যা নিয়ে বিন্দুমাত্র অনুশাচনা দেখা যায় না। তাদের নেত্রী যে এত মানুষ হত্যা করেছে, তা নিয়ে তাদের মধ্যে কোনো বিকার নেই। তাদের ভাবসাব দেখে মনে হয়, তাদের নেত্রী যা করেছে, সঠিক করেছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ এ যুক্তি দাঁড় করাতে চায়, একটি হত্যা যা, হাজারটাও তা। অর্থাৎ একটি হত্যা দিয়ে হাজার হত্যাকে জায়েজ করতে চাচ্ছে। তারা কী ভয়ংকর মানসিকতা ধারন করে আছে! তারাও যেন ‘সাইকোপ্যাথ’ হয়ে গেছে। এমন অসংখ্য সাইকোপ্যাথ যখন থাকে, তখন অন্তর্বর্তী সরকারের সুখে থাকার কোনো কারণ নেই। তারা নানাভাবে তাকে ফেলে দিতে নিরন্তর ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত করছে এবং করবে, এটাই স্বাভাবিক। তবে অন্তর্বর্তী সরকারকে এই ভয়ংকর সাইকোপ্যাথ শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের হাত থেকে দেশ এবং দেশের মানুষকে বাঁচাতে তাদের দ্রুত বিচার করে শাস্তি দিতে হবে। এটাই তার প্রথম ও অগ্রাধিকারভিত্তিক কাজ।
দুই.
অন্তর্বর্তী সরকারের উপর ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সাড়ে ১৫ বছরের স্বৈরশাসনের যে বোঝা চেপেছে, তা স্বল্প সময়ে হালকা করা সহজ নয়। দুই-তিন মাসে তো নয়ই। এটা আশা করাও ঠিক নয়। তবে এই সরকার যেহেতু জরুরি পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে দায়িত্ব নিয়েছে, তাই তাকে জরুরিভিত্তিতেই কাজ করতে হবে। রাষ্ট্রের যেসব মৌলিক কাঠামো এবং প্রতিষ্ঠানগুলো হাসিনা ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে, তা মেরামতে দ্রুত কাজ করতে হবে। সরকার যে ছয়টি মৌলিক বিষয়ে সংস্কারে উদ্যোগ নিয়েছে, সেটা দ্রুত শেষ করতে হবে। সংবিধান, বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ প্রশাসন এবং জনপ্রশাসন সংস্কারে যে কমিশন গঠন করা হয়েছে, তাদের কাজ দ্রুত ও সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে হবে। এমন সংস্কার করা ঠিক হবে না, যাতে পরবর্তীতে তার বৈধতা, ত্রুটি বা আইনগত ভিত্তি নিয়ে সমালোচনা ও বির্তকের সৃষ্টি হয়। তবে অবশ্যই এসব সংস্কারে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের চেতনা এবং আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন থাকতে হবে। গণতন্ত্রসহ জনগণের মৌলিক অধিকার সমুন্নত থাকতে হবে। এটাও নিশ্চিত করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক না কেন, সে যাতে শেখ হাসিনার মতো ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে না পারে। সে যাতে জনগণের কাছে জবাবদিহির মধ্যে থাকে। গণতন্ত্র, আইনের শাসন, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, সুশাসনের মধ্যে থাকে। অন্তর্বর্তী সরকারকে এমন ব্যবস্থা করে যেতে হবে, যাতে আগামী সরকার মানুষের এসব মৌলিক অধিকার নিশ্চিতে বাধ্য হয়। রাজনীতির মধ্যে যাতে অপরাজনীতির সুযোগ না থাকে। নতুন সরকারকে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিভীষিকা ও ভয়-আতঙ্কের শাসনকে ভুলিয়ে দিতে হবে। আমরা দেখেছি, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা কীভাবে সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করে শুধু নিজের পরিবার, দলের নেতাকর্মী, প্রশাসন দলীয় ও পারিবারিকীরণসহ একশ্রেণীর ব্যবসায়ীকে নিয়ে একটি চক্রের মাধ্যমে দেশকে দানবের মতো শাসন করেছে। বড় বড় প্রকল্প নিয়ে সেগুলোকে তাদের ব্যবসা ও লুটপাটের কেন্দ্রে পরিণত করেছে। উন্নয়নের কথা বলে তার চক্রের লোকজনের উন্নয়ন করেছে। সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করেছে। সামন্তযুগ ফিরিয়ে এনে সাধারণ মানুষকে প্রজায় পরিণত করে শোষণ করেছে। বলা বাহুল্য, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা এমনভাবে তার ফ্যাসিজম ও ক্ষমতায় থাকা চিরস্থায়ী করার ব্যবস্থা করেছিলেন যে, তিনি এবং তার চক্র মনে করেছিল, তাদেরকে ক্ষমতাচ্যুত করার কোনো শক্তি দুনিয়াতে নেই। ক্ষমতায় থেকেই তিনি মৃত্যুবরণ করবেন এবং তার রেখে যাওয়া পরিবারের লোকজন ও অনুগতরাই ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থেকে যাবে। তিনি দুনিয়ার শক্তির উপর নির্ভর করেই ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার সবধরনের ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। ফলে ছাত্র-জনতার বিপ্লবে হাসিনার পতনকে তারা এখনো বিশ্বাস করতে পারছে না। পতনের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত শেখ হাসিনা যেমন ভাবেননি, তার পতন ঘটতে পারে, তেমনি তার চক্রের লোকজনও বিশ্বাস করতে পারেনি, তার পতন হয়েছে। তারা এখন কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে রয়েছে। কী থেকে কী হয়ে গেছে, এ চিন্তায় অকূল পাথারে পড়ে গেছে। তারা এখনো বিশ্বাস করে, হাসিনা ফিরে আসবে। অন্তর্বর্তী সরকারের পতন ঘটবে। এমন আশা নিয়ে বসে আছে। অন্যদিকে, সাধারণ মানুষ মনে বলছে, মহান আল্লাহ তার পতন ঘটিয়েছেন। তিনি ছাত্র-জনতার বিপ্লব ঘটিয়ে জালেমকে চিরতরে বিদায় করে দিয়েছেন। হাসিনার পতন তাদের কাছে স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে। আল্লাহর পরিকল্পনা যে সূক্ষ্ম এবং তিনি জালেমের জুলুম সহ্য করেন না, তা হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন। তবে হাসিনা যে শয়তানের মতো মিথ্যুক এবং মিথ্যা আশ্বাসে পারদর্শী, এখনো তার কর্মকা- থেকে বোঝা যায়। ভারতে বসেই তিনি তার চক্রকে উজ্জীবিত করতে নানা ছলচাতুরির আশ্রয় নিচ্ছেন। গুজব ছড়াচ্ছেন। তিনি সীমান্তের কাছাকাছি আছেন, যেকোনো সময় চট করে দেশে ঢুকে পড়বেন, তিনি পদত্যাগ করেননি ইত্যাদি নানা কথা বলে তার নেতাকর্মী ও দোসরদের অনুপ্রাণিত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিন.
প্রশ্ন হচ্ছে, মোদি ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে কেন আশ্রয় দিয়ে রেখেছেন? কেন তাকে এত সমাদর ও আদর-যতেœ রেখেছেন? এর উত্তর হচ্ছে, মোদি শেখ হাসিনাকে সবসময়ই তার অনুগত দাসী বা ভৃত্য হিসেবে দেখেছেন। এমন দাসী হারিয়ে তার অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। কারণ, তাকে দিয়ে তিনি তার সব স্বার্থ হাসিল করতে পেরেছেন। বাংলাদেশকে তার হাতের তালুর নিচে রাখতে পেরেছেন। অখ- ভারতের মানচিত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশকে তার অঙ্গরাজ্যে পরিণত করার খায়েশ রয়েছে। তার এই খায়েশ একমাত্র ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে দিয়েই পূরণ করতে পারতেন। ছাত্র-জনতা তাকে বিদায় করায়, তার সে খায়েশ ভেস্তে গেছে। তবে মোদি আশা ছাড়েননি। শেখ হাসিনাকে ঘুঁটি হিসেবে রেখে দিয়েছেন। এ ঘুঁটি ব্যবহার করেই বাংলাদেশকে পুনরায় তার করতলে আনার পরিকল্পনা করছেন। এজন্য তাকে এত সমাদরে আশ্রয় দিয়ে রেখেছেন। এটা যে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি মোদির প্রতিশোধপরায়ন মনোভাব, তা বুঝতে বাকি থাকে না। তা নাহলে, হাসিনাকে আশ্রয় দেয়ার কারণ নেই। হাসিনাকে দিয়ে একের পর এক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ ও ফেলে দেয়ার অপচেষ্টা থেকেই তা বোঝা যায়। হাসিনা ও মোদি অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের শুরু থেকেই একের পর এক ষড়যন্ত্র করলেও সরকার ছাত্র-জনতাকে নিয়ে তা রুখে দিয়েছে। তাদের এই ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত থেমে নেই। দুঃখের বিষয়, যে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পথ ধরে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে, তার কোনো কোনো উপদেষ্টার বিরুদ্ধেও ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার প্রতি নরমভাব পোষণ করতে দেখা গেছে। প্রশাসন থেকে শুরু করে সর্বত্র ছড়িয়ে থাকা হাসিনার দোসরদের অপসারণে গড়িমসি ভাব পরিলক্ষিত হয়েছে। এখনো প্রশাসনে হাসিনার দোসর কর্মকর্তারা আশায় আছেন, তারা হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনবে। আমার পরিচিত একজনের সাথে প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তার সম্পর্ক রয়েছে। তিনি কথায় কথায় বলেছেন, প্রশাসনের ঐসব কর্মকর্তারা বলাবলি করছেন, তারা শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনবেন। অন্যদিকে, ইসলামকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা একটি দলের প্রধান তো বিপ্লবের পরপরই আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করে দেয়ার কথা বলছেন। যদিও সমালোচনার মুখে তিনি বলেছেন, কথাটি এভাবে বলিনি। তবে তার কথা থেকে জনগণ যা বোঝার বুঝে গেছে। এরশাদের শাসনামলে বিএনপি নির্বাচনে না গেলেও দলটি আওয়ামী লীগের সাথে নির্বাচনে গিয়েছে। ’৯৬ সালে বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সাথে যুগপৎ আন্দোলন করেছে। ফলে আওয়ামী লীগের প্রতি তার সফট কর্ণার থাকা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
চার.
আমাদের দেশে কোনো নতুন সরকারকে অন্তর্বর্তী সরকারের মতো এতো সমস্যার মধ্যে পড়তে দেখা যায়নি। ধ্বংসস্তুপের মধ্যে দায়িত্ব পালন করতে হয়নি। ক্ষমতায় এসে স্মুথলি এগিয়ে যেতে পেরেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের মতো এতো সংস্কার কাজে হাত দিতে হয়নি। এমনকি, এরশাদের পতনের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি ছাড়া অন্য কোনো সংস্কার কাজে হাত দিতে হয়নি। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা তার সাড়ে ১৫ বছরে দেশের শাসন ব্যবস্থাকে এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে, তার সংস্কার না করলে, নতুন যে সরকারই আসুক না কেন, সে দেশ চালাতে পারবে না। ফলে অন্তর্বর্তী সরকারকে ধ্বংস হয়ে যাওয়া দেশের শাসন ব্যবস্থা সংস্কারে হাত দিতে হয়েছে। এই সংস্কার না করে আগামী নির্বাচন করা অসম্ভব। কারণ, বিদ্যমান শাসন ব্যবস্থায় নির্বাচন হলে, ফ্যাসিবাদের আশঙ্কা থেকেই যাবে। ফলে প্রত্যেক রাজনৈতিক দলকে সংস্কার কাজে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকার যাতে নিরবচ্ছিন্নভাবে এই সংস্কার কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে পারে, এজন্য সজাগ থাকতে হবে। কারণ, এই সরকার যাতে কাজ করতে না পারে, এজন্য হাসিনা ও মোদির ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। নানা ষড়যন্ত্র করে তারা দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে চাইছে। এই ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সরকারের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোকেও সক্রিয় থাকতে হবে। প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারেরও উচিৎ, দ্রুত সংস্কার কাজ শেষ করে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। নির্বাচনের মাধ্যমে বিজয়ী দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। যত বেশি সময় লাগবে, হাসিনা ও মোদির দোসররা পুনরায় সংগঠিত হওয়ার সময় পাবে এবং তাদের ষড়যন্ত্রের ডালপালা বিস্তৃত হতে থাকবে। তখন অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে তা সমাল দেয়া কঠিন হয়ে পড়বে। কারণ, অন্তর্বর্তী সরকারের রাজনৈতিক সাংগঠনিক কাঠামো নেই। জনপ্রতিনিধিও নেই। ফলে রাজনৈতিক সরকার তার জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় যেভাবে সাংগঠনিক তৎপরতার মাধ্যমে শান্তি-শৃঙ্খলা বাজায় রাখতে পারে, সেভাবে অন্তর্বর্তী সরকারের মতো অরাজনৈতিক সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়।
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
অমিত শাহকে অভিযুক্ত করলেন কানাডার মন্ত্রী, কোনপথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক?
টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন
না.গঞ্জে ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গুতে আরও ৫০ জন আক্রান্ত
উত্তরায় ডেঙ্গু সচেতনতা লিফলেট বিতরণ করেন বিএনপি নেতা মোস্তফা জামান
ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক উত্তেজনার মধ্যে সামরিক বাজেট দ্বিগুণ বাড়াচ্ছে ইরান
ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে সিলেটে প্রথম শহীদ জিলুর মৃত্যু বার্ষিকীতে সিলেট যুবদলের দোয়া মাহফিল
বগুড়ায় স্ত্রী হত্যার দায়ে ১৯ বছর পর স্বামীর মৃত্যুদন্ড
ইসরায়েল-লেবানন যুদ্ধবিরতি চুক্তি শিগগিরই হচ্ছে : লেবাননের প্রধানমন্ত্রী
সাবেক ছাত্রলীগ নেতার মুজেজায় সিলেটে (এক লাফে) অধ্যক্ষ হয়ে যান হাকিম মুহিব বুল্লাহ
আদর্শিক ছাত্র জনতার ভূমিকা রাখতে হবে -মাওলানা ইমতিয়াজ আলম
গাড়িতে অগ্নিসংযোগকারীরা পতিত সরকারের প্রেতাত্মা- মাওলানা ইউনুছ আহমাদ
জকিগঞ্জকে স্বধীন বাংলাদেশের প্রথম মুক্তাঞ্চল হিসেবে ঘোষণার দাবী
ফ্যাসিবাদ হাসিনা গত ১৫ বছরে দেশটাকে তার পৈত্রিক সম্পত্তি মনে করেছিল -আমতলীতে ভিপি নুরুল হক নুর
সায়মা ওয়াজেদের সাথে কাজ করতে চায় না অন্তর্বর্তী সরকার
রেঞ্জ কর্মকর্তার (এসিএফ) বদলীর আদেশ প্রত্যাহারের দাবীতে শরণখোলায় সুন্দরবনের জেলে মৎস্যজীবিদের মানববন্ধন
তূণমূল নেতাকর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে এসেছে দেশের স্বাধীনতা : সিলেট মহানগর বিএনপি সেক্রেটারী ইমদাদ চৌধুরী
মাদকসেবীদের আড্ডাস্থল বাকৃবির রেলস্টেশন
মানব কল্যাণে চাই সকলের একত্রিত প্রচেষ্টা
সেন্টমার্টিনের অস্তিত্ব ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে হবে
অদ্ভুত লাইবেরিয়া