রোজা পালনে পরস্পরে সহযোগী হই-৩
০৭ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৫১ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৩০ পিএম
সন্তানদেরকে ইবাদত ও আমলের প্রতি উদ্বুদ্ধ করা এবং ছোট থেকেই তাদের আমলের অভ্যাস গড়ে তোলা পিতা-মাতার দায়িত্ব। এটা পিতা-মাতার জন্য সাদাকায়ে জারিয়া। যদিও প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত শিশুর ওপর শরীয়তের কোনো আমলই ফরজ হয় না, তবে আমলের অভ্যাস করার জন্য আগ থেকেই তাদেরকে আমলের প্রতি উৎসাহী করে তোলা ভালো। যেমন, রোজা ফরজ হওয়ার পূর্বে দুই-একটা করে রোজা রাখলে ফরজ হওয়ার পর তাদের জন্য রোজা সহজ হয়ে যায়। নিজেদেরকে সহজেই রোজার সাথে মানিয়ে নিতে পারে।
তাছাড়া রোজা রাখার দ্বারা শিশুরাও সংযমী হয়ে উঠে। নামাজ ও অন্যান্য নফল ইবাদতের প্রতিও আগ্রহী হয়ে উঠে। দেখবেন, যে শিশুটি অন্য সময় নামাজ পড়ে না, সে যদি রোজা রাখে তখন সেও নামাজ পড়া শুরু করে। বাজে আড্ডায় সময় নষ্ট করে না। অযথা দুষ্টুমিতে মেতে উঠে না। এই যে সংযমীভাব এটাও রোজার বরকত। তাই বড়দের উচিত শিশুদেরকে রোজার ফজিলত শুনিয়ে তাদের রোজার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা। সাহরির সময় একটু কষ্ট করে হলেও তাদেরকে জাগিয়ে দেওয়া। এটা অবশ্যই তাদের প্রতি কল্যাণকামনা।
দেখুন সাহাবায়ে কেরাম কীভাবে শিশুদেরকে রোজা রাখাতেন। আসলে নেক আমলের যে কী লাভ তা তারাই পূর্ণরূপে উপলব্ধি করেছেন। এক হাদিসে আছে, আমরা আমাদের শিশুদেরকে রোজা রাখাতাম এবং তাদের জন্য উনের খেলনা বানিয়ে দিতাম। যখন তারা খাদ্যের জন্য কাঁদত তাদের সেই খেলনা দিতাম। এভাবে ইফতারের সময় হয়ে যেত। (সহিহ বুখারী : ১৯৬০)।
এটা ছিল ইবাদাতের প্রতি সাহাবায়ে কেরামের আগ্রহ ও সন্তানদের প্রতি কল্যাণকামনার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তারা চাইতেন সন্তানরাও রমাজানের বরকত লাভ করুক। তবে রোজা রাখতে গিয়ে যেন শিশুদের অতিরিক্ত কষ্ট না হয়, সেদিকে অভিভাবকদের খেয়াল রাখতে হবে।
দানশীলতা একটি মহৎ গুণ। দানের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার দেওয়া সম্পদের শুকরিয়া আদায় হয়। দানে সম্পদ বাড়ে। মাহে রমাজানের দানের ফজিলত অনেক বেশি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও মাহে রমাজানে অধিক হারে দান করতেন। এক হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ছিলেন মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দানশীল আর রমাজানে তাঁর দানশীলতা আরো বেড়ে যেত। (সহিহ মুসলিম : ৫০)।
দান-সদকার হকদার যে কাউকেই দান করলে এ মাসে দানের বরকত ও সওয়াব লাভ করা যাবে। তবে মাহে রমজানে সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতার করার জন্য একটু পানি ছাড়া যাদের কিছুই জুটে না, রাতে সাহরির খাবারে যারা ভালো কিছু খেতে পায় না, যারা কারো সামনে হাতও বাড়াতে পারে না, এমন লোকদেরকে গোপনে দান করলে অবশ্যই অধিক সওয়াব পাওয়া যাবে। তা যে কেউ হোক, আপনার নিকটাত্মীয়, পাড়া-প্রতিবেশী অথবা পরিচিতজন।
এমন অসহায় ও গরীবকে দান করলে একসাথে দান ও রোজাদারের কষ্ট লাঘব, উভয় সওয়াবই পাওয়া যাবে। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সহমর্মিতা, সহানুভূতি ও সহযোগিতার এ মাসে রোজাদারের সহায়তা করে, যেদিন আল্লাহ ব্যতিত কেউ সহায় থাকবে না, সেদিন আল্লাহর সাহায্যের ভাগী হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমীন।
বিভাগ : শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ ইসলাম
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বাংলাদেশের বিপক্ষে যে একাদশ দিয়ে মাঠে নামছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
কিশোরগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার কামালসহ তিনজন গ্রেফতার
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ
বেইজিং সংস্কৃতি ও পর্যটন ব্যুরো ও আটাবের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত
উইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
গাজায় যুদ্ধবিরতি ছাড়া বন্দী বিনিময় হবে না : হামাস
শান্তিরক্ষা মিশন মোতায়েন করতে চায় জাতিসংঘ হাইতিতে
চকরিয়ার বিএনপি নেতা আবু তাহের চৌধুরীর মৃত্যুতে সালাহউদ্দিন আহমদ ও হাসিনা আহমদের শোক
পুতিন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে দ্বিধা করবেন না : সার্বিয়া
ক্লাইমেট অর্থায়ন ইস্যুতে দেশগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব
লালমোহনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত যুবদল নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু
ট্রাম্পের অ্যাটর্নির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন আটকে গেল
‘ফিলিস্তিনের পর ইরান, সউদী ও তুরস্ক হবে পরবর্তী টার্গেট’
প্রতি বছর ৩ লাখ নথিবিহীন অভিবাসীকে বৈধতা দানের ঘোষণা স্পেনের
প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে সবচেয়ে অসুখী দেশ জাপান-কোরিয়া
মুসলিম চিকিৎসক
শীর্ষে দিল্লি
সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সংবর্ধনা
ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বোর্ড অব গভর্নর সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সম্বর্ধনা
বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান