সবুজায়নে নবীজির অভিনব পদ্ধতি
১৯ মে ২০২৩, ১১:৩৫ পিএম | আপডেট: ১৯ মে ২০২৩, ১১:৩৭ পিএম
মানুষের কল্যাণেই বেশি বেশি গাছ লাগানো প্রয়োজন, সবুজ ভূমির প্রয়োজন, ফলে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গাছ লাগানোর প্রতি উৎসাহিত করেই ক্ষান্ত হননি বরং সবুজায়নের নতুন পথও উদ্ভাবন করেছেন। অনাবাদী জমি পরে আছে সেগুলো যেন আবাদ হয়, সবুজ ভূমি বৃদ্ধি পায়, তাই নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অভিনব পদ্ধতি অবলম্বন করলেন।
তিনি ঘোষণা করলেন, যে ব্যক্তি কোনো পতিত ভূমি আবাদ করবে তা তার মালিকানায় চলে আসবে। (জামে তিরমিজি : ১৩৭৮)। এ সংক্রান্ত বিধিবিধান ফিকহের কিতাবে বিস্তারিত রয়েছে। বৃক্ষরোপণের বিভিন্ন ফজিলতের ঘোষণার সাথে সাথে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সর্বোচ্চ গুরুত্বের বিষয়টিও তুলে ধরেছেন। এক হাদিসে তিনি ইরশাদ করেন : যদি কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার আগ মুহূর্তেও তোমাদের কারো হাতে একটি চারাগাছ থাকে, তাহলে সে যেন তা রোপণ করে দেয়। (মুসনাদে আহমাদ : ১২৯০২; বুখারি : ৪৭৯)।
যে বৃক্ষ আমার এত উপকার করে, বিনা প্রয়োজনে আমরা যেন তা না কাটি, তাতে নিজের ক্ষতি ডেকে আনা হবে। কারণ, বৃক্ষ যত কমতে থাকবে পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে। খরা, অনাবৃষ্টি দেখা দেবে। পৃথিবীর আবাদী-অনাবাদীতে পরিণত হবে। মানুষসহ পশু-পাখি বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে। সুতরাং বিনা প্রয়োজনে আমরা গাছ কাটব না।
এক হাদিসে ইরশাদ হয়েছে : যে ব্যক্তি কোনো বড়ই গাছ কাটবে আল্লাহ তাকে অধোমুখে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন। আবু দাউদ (রহ.)-কে এ হাদিসের অর্থ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, এ হাদিসের বক্তব্যটি সংক্ষিপ্ত। এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, যে ব্যক্তি অকারণে বা না-হকভাবে মরুভূমির কোনো বড়ই গাছ কাটবে, যেখানে পথিক বা কোনো প্রাণী ছায়াগ্রহণ করে, আল্লাহ তাকে অধোমুখে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন। (দ্র. সুনানে আবু দাউদ : ৫২৩৯)।
তবে কেউ কেউ বলেন, এ হাদিস হরম অঞ্চলের বড়ই গাছ কাটার সাথে সম্পৃক্ত। তো যাই হোক অকারণে গাছ কাটা যে নিজেদের ক্ষতি ও সওয়াব থেকে মাহরুমিÑ উপরের আলোচনায় আশা করি তা স্পষ্ট হয়েছে। সুতরাং আমরা বেশি বেশি গাছ লাগাব, অকারণে গাছ কাটব না।
দুনিয়াবী অনেক কাজের ক্ষেত্রেই, সে কাজের প্রতি গুরুত্বারোপের সাথে সাথে- নবীজি তাঁর সাহাবিদের মানসিকতাকে আখেরাতমুখি করেছেন। বৃক্ষরোপণের ক্ষেত্রেও নবীজি এমনটি করেছেন। তাঁর প্রিয় সাহাবি গাছ লাগাচ্ছে তো তাকে জান্নাতে গাছ লাগানোর পথও বাতলে দিচ্ছেন : হযরত আবু হুরাইরা (রা.) একদিন গাছ লাগাচ্ছিলেন। এমন সময় নবীজি পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। নবীজি জিজ্ঞেস করলেন, আবু হুরাইরা! কী লাগাচ্ছো? তিনি বললেন, একটি চারা রোপণ করছি।
নবীজি বললেন, আমি কি তোমাকে এর চেয়ে উত্তম রোপণের কথা বলে দেব? আবু হুরায়রা বললেন, আল্লাহর রাসূল! অবশ্যই বলুন। তখন নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : বলো, ‘সুবহানাল্লা ওয়াল হামদুলিল্লাহ ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার’। এর প্রতিটির বিনিময়ে জান্নাতে তোমার জন্য একটি করে গাছ লাগানো হবে। (সুনানে ইবনে মাজাহ : ৩৮০৭)।
বিভাগ : শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ ইসলাম
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বাংলাদেশের বিপক্ষে যে একাদশ দিয়ে মাঠে নামছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
কিশোরগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার কামালসহ তিনজন গ্রেফতার
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ
বেইজিং সংস্কৃতি ও পর্যটন ব্যুরো ও আটাবের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত
উইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
গাজায় যুদ্ধবিরতি ছাড়া বন্দী বিনিময় হবে না : হামাস
শান্তিরক্ষা মিশন মোতায়েন করতে চায় জাতিসংঘ হাইতিতে
চকরিয়ার বিএনপি নেতা আবু তাহের চৌধুরীর মৃত্যুতে সালাহউদ্দিন আহমদ ও হাসিনা আহমদের শোক
পুতিন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে দ্বিধা করবেন না : সার্বিয়া
ক্লাইমেট অর্থায়ন ইস্যুতে দেশগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব
লালমোহনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত যুবদল নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু
ট্রাম্পের অ্যাটর্নির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন আটকে গেল
‘ফিলিস্তিনের পর ইরান, সউদী ও তুরস্ক হবে পরবর্তী টার্গেট’
প্রতি বছর ৩ লাখ নথিবিহীন অভিবাসীকে বৈধতা দানের ঘোষণা স্পেনের
প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে সবচেয়ে অসুখী দেশ জাপান-কোরিয়া
মুসলিম চিকিৎসক
শীর্ষে দিল্লি
সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সংবর্ধনা
ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বোর্ড অব গভর্নর সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সম্বর্ধনা
বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান