বিপদ-আপদ-মুসিবতে অনুযোগ নয় প্রত্যাবর্তন ও অনুতাপই শেষ কথা-১
০৫ জুন ২০২৩, ১১:১৫ পিএম | আপডেট: ০৬ জুন ২০২৩, ১২:০৪ এএম
যেকোনো মানুষের জীবনে বিপদ-আপদ, দুর্ভোগ হঠাৎ নেমে এলে কিংবা চলতে থাকলে মানুষের স্বাভাবিক জীবনে ছন্দপতন ঘটে, স্বাচ্ছন্দ্য ও প্রশান্তি ব্যহত হয়Ñ এটা সবাই অনুভব করি। অনেক সময় বিপদ বা সংকটের সঙ্গে বিপদগ্রস্ত ও সংকটগ্রস্ত ব্যক্তির বিশেষ কোনো দায়-দায়িত্ব সম্পর্কও থাকে না। তারপরও বিপদ-আপদ আসে, দুর্ঘটনাও ঘটে। এতে মানুষ মর্মাহত হয়, বিষন্ন ও পেরেশান হয়। কোনো বিপদ ও সংকট আসলে এ পর্যন্ত প্রতিক্রিয়া হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু তারপরও আরও কিছু ঘটে মানুষের অন্তরে ও বোধে।
যদি মানুষটি আল্লাহভীরু হন, তাকওয়া অবলম্বনকারী হন, নিজের আমল ও কৃতকর্ম সম্পর্কে সুবিবেচক হন তাহলে তিনি ধৈর্য ধরেন এবং আল্লাহর তায়ালার দরবারে সাহায্যের হাত তুলে ধরেন ও অনুতপ্ত হন। অনুশোচনা ও অন্তরশুদ্ধির চেষ্টায় নিয়োজিত হন। পক্ষান্তরে যারা তাকওয়াহীন জীবন ও মন লালন করেন, জীবনের শেষ গন্তব্য ও পরিণতি সম্পর্কে গভীরভাবে ভাবতে অনীহা প্রকাশ করে থাকেন, তারা ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন। অভিযোগ-অনুযোগের তুফান ছুটিয়ে দেন।
অন্য কাউকে না ধরে বিপদ ও সংকট ‘তার মতো নির্দোষ’ মানুষকে কেন ধরল এ নিয়ে অন্তহীন জিজ্ঞাসা ও আফসোসের পাকে ক্রমাগত হারিয়ে যেতে থাকেন। আর এটি যে শুধু কিছু প্রকাশ্যে গোনাহগার কিংবা ফাসেক, ফাজেরের বেলাতেই ঘটে এমন নয়। দুঃখজনক হলেও বাস্তব যে, দ্বীনদার হিসেবে গণ্য মুসলমানকেও বিপদ-আপদে অভিযোগ, অনুযোগ, আফসোস ও জিজ্ঞাসার ধ্বংসাত্মক ভ্রান্তিতে ডুবে যেতে দেখা যায়। শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে এটা এক মারাত্মক ক্ষতিকর মনোভাব ও আচরণ।
কোনো মুসিবত, কোনো বিপদ-আপদ আসলে অভিযোগপ্রবণ মানসিকতার সৃষ্টি হওয়া, নিজের নিভুর্লতা ও নির্দোষিতা ব্যক্ত করতে থাকা, নিজের সম্পর্কে উঁচুমন্যতায় ভোগা শরীয়তের চোখে এক সর্বনাশা গোনাহ। এই অনুভূতি ও আচরণ মানুষকে আরও বহু ক্ষতিকর চিন্তা ও পরিণতির শিকার বানিয়ে থাকে। সেজন্যই এ বিষয়ে শরীয়তের দৃষ্টিকোণ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত একটি ধারণা থাকা সঙ্গত।
মুসলমানের স্থায়ী আবাস হচ্ছে পরকালে। এই দুনিয়ার জীবন অতিবাহিত করেই তাকে পরকালের জীবনে যেতে হয়। দুনিয়ায় মুসলমানের জীবনে কখনো কখনো নেমে আসা বিপদ-দুর্যোগ ও দুর্ঘটনাকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। এক. কখনো কখনো বিপদ নেমে আসে মন্দ কৃতকর্মের শাস্তি হিসেবে। যেমন কুরআন মজীদে ইরশাদ হয়েছে : জলে-স্থলে বিপর্যয় প্রকাশিত হয়েছে মানুষের কৃতকর্মের কারণে। (সূরা রূম : ৪১)।
দুই. কখনো এই বিপদ-আপদ ও সংকটের কারণ হয় মানুষকে পরীক্ষা করা। যেমন: কুরআন মজীদে ইরশাদ হয়েছে : এবং আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব ভীতি ও ক্ষুধা দিয়ে এবং ধন-সম্পদের হ্রাস ঘটিয়ে। (সূরা বাকারা : ১৫৫)।
তিন. কখনো কখনো মুসলমানের সম্মান-মর্যাদা বা দারাজাত বুলন্দ করার উদ্দেশ্যে আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছায় এসব ঘটনা ঘটে থাকে। যেমন মুসলিম শরীফের একটি হাদিসে রয়েছে, ...মুমিনের সব কর্মকা-ই উত্তম। যদি কোনো আনন্দ তাকে স্পর্শ করে তবে সে কৃতজ্ঞ হয়। তখন সেটা তার জন্য কল্যাণকর হয়। আর যদি কোনো বিপদ-আপদ তাকে স্পর্শ করে তবে সে ধৈর্য ধরে। তখন সেটাও তার জন্য কল্যাণকর হয়।
বিভাগ : শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ ইসলাম
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বাংলাদেশের বিপক্ষে যে একাদশ দিয়ে মাঠে নামছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
কিশোরগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার কামালসহ তিনজন গ্রেফতার
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ
বেইজিং সংস্কৃতি ও পর্যটন ব্যুরো ও আটাবের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত
উইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
গাজায় যুদ্ধবিরতি ছাড়া বন্দী বিনিময় হবে না : হামাস
শান্তিরক্ষা মিশন মোতায়েন করতে চায় জাতিসংঘ হাইতিতে
চকরিয়ার বিএনপি নেতা আবু তাহের চৌধুরীর মৃত্যুতে সালাহউদ্দিন আহমদ ও হাসিনা আহমদের শোক
পুতিন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে দ্বিধা করবেন না : সার্বিয়া
ক্লাইমেট অর্থায়ন ইস্যুতে দেশগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব
লালমোহনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত যুবদল নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু
ট্রাম্পের অ্যাটর্নির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন আটকে গেল
‘ফিলিস্তিনের পর ইরান, সউদী ও তুরস্ক হবে পরবর্তী টার্গেট’
প্রতি বছর ৩ লাখ নথিবিহীন অভিবাসীকে বৈধতা দানের ঘোষণা স্পেনের
প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে সবচেয়ে অসুখী দেশ জাপান-কোরিয়া
মুসলিম চিকিৎসক
শীর্ষে দিল্লি
সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সংবর্ধনা
ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বোর্ড অব গভর্নর সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সম্বর্ধনা
বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান