হজ্ব-উমরার আমলসমূহ মর্তবা ও ফযীলত-৩
২৭ মে ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ২৭ মে ২০২৪, ১২:০২ এএম
জামরায় রমীর ফযীলত : আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন : তুমি জামরায় রমী করলে তা তোমার জন্য কিয়ামতের দিন নূর হবে। (মুসনাদে বাযযার : ৬১৭৭)। হাদী নিয়ে যাওয়া ও কুরবানী করার ফযীলত : আবু বকর সিদ্দীক রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) কে জিজ্ঞাসা করা হল, উত্তম হজ্ব কী? তিনি বললেন : উচ্চৈঃস্বরে তালবিয়া পাঠ করা এবং পশু কুরবানী করা। (জামে তিরমিযী : ৮২৭)। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা.-এর সূত্রে এক দীর্ঘ হাদীসে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন : ...আর তুমি কুরবানী করলে তা তোমার প্রতিপালকের নিকট সঞ্চিত থাকবে। (মুসনাদে বাযযার : ৬১৭৭)।
হজ্ব থেকে হালাল হওয়ার জন্য হলক ও চুল কাটার ফযীলত : আবু হুরায়রা রা. বলেন, আল্লাহর রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন : হে আল্লাহ! আপনি হলককারীকে ক্ষমা করুন। সাহাবায়ে কেরাম আরয করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! যারা চুল কাটবে তাদের? তিনি বললেন, হে আল্লাহ! আপনি হলককারীকে ক্ষমা করুন। সাহাবায়ে কেরাম আবার আরয করলেন, যারা চুল কাটবে তাদের? তিনি বললেন, হে আল্লাহ! আপনি হলককারীকে ক্ষমা করুন। সাহাবায়ে কেরাম তৃতীয়বার আরয করলে তিনি বললেন, আর যারা চুল কাটবে তাদেরকেও। (সহীহ বুখারী : ১৭২৮)।
হজ্বে যাওয়ার পথে মৃত্যুবরণকারীর ফযীলত : আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত। জনৈক ব্যক্তি ইহরাম অবস্থায় আল্লাহর রাসূল (সা.)-এর সাথে ছিলেন। হঠাৎ সওয়ারী থেকে পড়ে তার মৃত্যু হলে রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন : তোমরা তাকে বড়ই পাতার পানি দ্বারা গোসল দাও এবং তার কাপড় দুটি দিয়েই তাকে কাফন পরাও। তবে তার মাথা ও চেহারা ঢাকবে না। কেননা, কিয়ামতের দিন সে তালবিয়া পাঠ করতে করতে উঠবে। (সহীহ মুসলিম : ১২০৬)।
ছোটদেরকে হজ্ব করানোর ফযীলত : আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, আল্লাহর রাসূল (সা.) রাওয়াহা নামক স্থানে (কিছু লোকের সাথে) সাক্ষাৎ হলে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা কারা? তারা বলল, মুসলিম। এরপর তারা জিজ্ঞাসা করল, আপনি কে? তিনি বললেন, আল্লাহর রাসূল। তখন তাঁর নিকট একজন মহিলা (একটি ছোট বাচ্চার দিকে ইশারা করে) বলল, এর জন্য কি হজ্ব আছে? তিনি বললেন : হাঁ। আর তুমি এর প্রতিদান পাবে। (সহীহ মুসলিম : ৭৯৪)।
হাজ্বীদেরকে পানি পান করানো ও তাদের খেদমতের ফযীলত : আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) পান করার স্থানে এসে পান করাতে বললেন। তখন আব্বাস রা. বললেন, হে ফযল! তোমার মায়ের নিকট গিয়ে তার কাছ থেকে পানীয় নিয়ে এস। এরপর তিনি বললেন, আমাকে পান করাও। তিনি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! লোকেরা এর ভেতরে হাত প্রবেশ করিয়ে থাকে।
তিনি বললেন, আমাকে পান করাও। এরপর তিনি তা থেকে পান করলেন। অতঃপর তিনি যমযমের নিকট এলেন। লোকেরা সেখানে পান করাচ্ছিল ও কাজ করছিল। তিনি বললেন, তোমরা কাজ করতে থাক। কেননা, তোমরা নেক কাজই করছ। এরপর তিনি ইরশাদ করলেন : যদি এ আশঙ্কা না হত যে, লোকেরা তোমাদের থেকে এ কাজ ছিনিয়ে নেবে, তাহলে আমি নেমে আসতাম আর রশি এর ওপর (অর্থাৎ কাঁধের ওপর) রাখতাম। তিনি হাত দ্বারা কাঁধের দিকে ইশারা করলেন। (সহীহ বুখারী : ১৬৩৪)। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে হজ্বের পরিপূর্ণ ফযীলত ও বরকত দান করুন- আমীন।
বিভাগ : শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ ইসলাম
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বাংলাদেশের বিপক্ষে যে একাদশ দিয়ে মাঠে নামছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
কিশোরগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার কামালসহ তিনজন গ্রেফতার
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ
বেইজিং সংস্কৃতি ও পর্যটন ব্যুরো ও আটাবের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত
উইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
গাজায় যুদ্ধবিরতি ছাড়া বন্দী বিনিময় হবে না : হামাস
শান্তিরক্ষা মিশন মোতায়েন করতে চায় জাতিসংঘ হাইতিতে
চকরিয়ার বিএনপি নেতা আবু তাহের চৌধুরীর মৃত্যুতে সালাহউদ্দিন আহমদ ও হাসিনা আহমদের শোক
পুতিন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে দ্বিধা করবেন না : সার্বিয়া
ক্লাইমেট অর্থায়ন ইস্যুতে দেশগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব
লালমোহনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত যুবদল নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু
ট্রাম্পের অ্যাটর্নির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন আটকে গেল
‘ফিলিস্তিনের পর ইরান, সউদী ও তুরস্ক হবে পরবর্তী টার্গেট’
প্রতি বছর ৩ লাখ নথিবিহীন অভিবাসীকে বৈধতা দানের ঘোষণা স্পেনের
প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে সবচেয়ে অসুখী দেশ জাপান-কোরিয়া
মুসলিম চিকিৎসক
শীর্ষে দিল্লি
সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সংবর্ধনা
ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বোর্ড অব গভর্নর সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সম্বর্ধনা
বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান