মনসুর আজিজের অনুবাদগ্রন্থ কিশোর থ্রিলার ‘লৌহদানব’
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:৪৯ পিএম | আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:৪৯ পিএম

ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম দিকপাল কবি ও শিশুসাহিত্যিক টেড হিউজ। শিশুসাহিত্যে তার ভাণ্ডার সমৃদ্ধ। পরিবেশ, জীবজন্তু পশুপাখি ও শিশুদের ভালোবাসতেন প্রচণ্ড রকমের। পরিবেশকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য তিনি আজীবন কাজ করেছেন। হিউজ ইংল্যান্ডের রাজকবি ছিলেন। ১৯৬৮ সালে তিনি আয়রন ম্যান বা আয়নর জায়ান্ট লিখে তাক লাগিয়ে দেন। সারা দুনিয়াতে সাড়া ফেলে আয়রন জায়ান্ট। অনেকগুলো ভাষায় অনুবাদ হয় বইটি। এরপর অনেক সংস্করণ হয়। চলচ্চিত্র নির্মাণ হয় আয়রন জায়ান্টের কাহিনি নিয়ে।
একটি রহস্যময় প্রাণী ক্ষেতের ফসল, ডালপালা মাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। চিপসের মতো কুড়মুড় করে চিবিয়ে খাচ্ছে কাঁটাতার, জমিচষার ট্রাক্টর, লাঙ্গল। কৃষকেরা রহস্যময় প্রাণীর ভয়ে ভীত। কে এই তাণ্ডব চালাচ্ছে; কেউ জানে না! ভয়ে সবাই ঘরে বন্দি। তারপর এক রাতে দেখতে পায় একটি দৈত্যাকার প্রাণী। লৌহ দানব।
আকাশ থেকে নেমে আসে এক ড্রাগন দৈত্য। কেন ড্রাগন দৈত্য পৃথিবীতে নেমে আসলো? জানতে চাইলে বলে- আমি গানের আসরে যোগ দিতে এসেছি। কিসের গান? এক দেশ আরেক দেশকে, এক জাতি আরেক জাতিকে ধ্বংস করার যে মহোৎসবে লিপ্ত, সেই গান আমি শুনতে পেয়েছি। অস্ত্রের গান। বারুদের গান। কামানের গান। এটমের গান। পৃথিবীর শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো এই গানের শিল্পী। যুদ্ধের কনসার্টের আয়োজন করে তারা। যুদ্ধবাজ রাষ্ট্রগুলো সব এক হয়। ড্রাগনদৈত্যকে শেষ করার জন্য শুরু হয় সম্মিলিত যুদ্ধ। যুদ্ধবিমান, রকেট, কামান কিছুই করতে পারে না এই দৈত্যের। সেই সময় এগিয়ে আসে হোগার্থ। সঙ্গে লৌহদানব। শুরু হয় তুমুল লড়াই। কে জেতে সেই যুদ্ধে? কে নায়ক? কে খলনায়ক? হোগার্থ? ড্রাগন দৈত্য? নাকি, লৌহ দানব?
বইটির অনুবাদ করেছেন বর্তমান সময়ের অন্যতম কবি ও শিশুসাহিত্যিক মনসুর আজিজ। সম্পূর্ণ চার রঙের অসাধারণ প্রচ্ছদ ও অলঙ্করণ করছেন বর্তমান সময়ের শ্রেষ্ঠ প্রচ্ছদশিল্পী মোমিন উদ্দীন খালেদ। গ্রন্থটি প্রকাশ করছেন তরুণ শিশুসাহিত্যিক ও ছোটদের সময়ের কর্ণধার প্রিয়ভাজন মামুন সারওয়ার। মূল্য ৩৫০ টাকা। বইমেলার স্টল নং ৮৮৯।
মনসুর আজিজের লেখালেখির বয়স তিন দশক পার হয়েছে। কবিতা, গল্প, উপন্যাসের পাশাপাশি ছোটদের জন্য লিখছেন সমান তালে। অনুবাদও করছেন সেইসাথে। দেশের প্রথম শ্রেণির দৈনিক, মাসিক, সাহিত্যপত্রিকা, ছোটদের পত্র-পত্রিকায় লিখে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়েছে। সম্পাদনা করছেন সাহিত্যের ছোটকাগজ ‘আড্ডাপত্র’।
তিনি ১৯৭৪ সালের ১৫ আগস্ট চাঁদপুর জেলার হাইমচরে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মোহাম্মদ আজিজুল হক মা আনোয়ারা বেগম। বর্তমানে বসবাস করছেন ঢাকার মিরপুরে। পড়াশোনা করেছেন ব্যবস্থাপনায় স্নাতক সম্মানসহ স্নাতকোত্তর। এরপর এমবিএ করেছেন।
কবিতা, কিশোরকবিতা, গল্প, উপন্যাস, শিশুসাহিত্য ও গবেষণা মিলিয়ে তার প্রকাশিত গ্রন্থ পঁচিশ। লেখালেখির স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন সাহিত্য সংস্কৃতি কেন্দ্র লেখক সম্মাননা ২০০৮, 'এখন প্রতিচ্ছবি' পুরস্কার ২০১৪ (ভারত), পদ্মরাগ সাহিত্য পুরস্কার ২০১৫, অগ্রণী ব্যাংক শিশু একাডেমি শিশুসাহিত্য পুরস্কার লাভ ১৪২১, পলাশী সম্মাননা ২০১৯ (ভারত), দেশজ পুরস্কার ২০১৯, সৈয়দ আলী আহসান পদক ২০২০ ও মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন পুরস্কার ২০২১।
বিভাগ : সাহিত্য
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

সউদীতে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন ট্রাম্প

ভারতের চেয়ে বেশি কেউ বাংলাদেশের মঙ্গল চায় না

জার্মানিতে গঠিত হচ্ছে নতুন জোট সরকার

সদরঘাটের ব্যবসায়ীকে হত্যা: স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

সান্দা বিশ্বকাপে স্বর্ণপদক জিতেছেন ইরানের দারিয়াই

সবুজ প্রবৃদ্ধির জন্য অংশগ্রহণমূলক বাণিজ্য ও কৌশলগত অংশীদারিত্বে জোর দিলেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে শুল্কের মাধ্যমে শেয়ার বাজারে ‘কারসাজির’ অভিযোগ

ট্রাম্পের শুল্ক নীতি স্থগিতের পরে ঘুরে দাঁড়াল এশিয়ার শেয়ার বাজার

বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চায় ঢাকা-মস্কো

ইসরাইলী বর্বরতার বিরেদ্ধে বরিশালে বিএনপি’র বিক্ষোভ

‘গাজা ও রাফা ইসরায়েলের নৃশংস গণহত্যা’র প্রতিবাদে গণসংহতি আন্দোলনের বিক্ষোভ সমাবেশ কাল

পোল্যান্ডে বাংলাদেশের দূত সাবেক আইজিপি ময়নুল ইসলাম

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে যুবলীগ নেতাসহ গ্রেফতার ৮

মানবাধিকার নিয়ে ইউসিবিডি আয়োজিত সেমিনারে মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর গুরুত্বারোপ

ইসরাইলি নৃশংস গণহত্যার প্রতিবাদে গাজীপুরে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

ফিলিস্তিনি মুসলমানদের হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে যারা রুখে দাঁড়াচ্ছে না, তাদের ধ্বংস অনিবার্য : মির্জা আব্বাস

বোয়ালমারীতে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত দেলোয়ার হোসেন মারা গেছেন

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল হলেও স্বাভাবিক বাংলাবান্ধা, নেপালে গেল ১৪৭ টন আলু

‘এনসিপি বাংলাদেশকে বিনিয়োগের স্বর্গরাজ্য বানাতে চায়’

সংস্কার কমিশনে ইসলামী আন্দোলনের প্রস্তাব- বাংলাদেশ জনকল্যাণ রাষ্ট্র