ঢাকায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ
৩১ জুলাই ২০২৩, ১২:২০ এএম | আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২৩, ১২:২২ এএম
জনগণের ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি আদায়ে রাজধানীর প্রবেশ মুখে অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবার সকাল থেকেই ঢাকার মাতুয়াইল, ধোলাইখাল, উত্তরা, গাবতলীতে দফায় দফায় এই সংঘর্ষ হয়। এসময় পুলিশের লাঠিচার্জ, গুলি, টিয়ালশেলের আঘাতে এবং সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের হামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানসহ অন্তত ৫০০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। ঘটনার সময় এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন স্থান থেকে পুলিশ ৭০০ বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সংবাদ সম্মেলনে জানান তাদের ১৪৯জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত শুক্রবার নয়াপল্টনে লাখো মানুষের মহাসমাবেশ থেকে এক দফা দাবি আদায়ে শনিবার রাজধানীর চারটি প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কিন্তু ঘোষিত স্থানগুলোতে আগে থেকেই লাঠিসোটা নিয়ে অবস্থান নেয় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। মোতায়েন করা হয় বিপুল সংখ্যক পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। তবে মহাসমাবেশের তুলনায় অবস্থান কর্মসূচিতে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপস্থিতি ছিল অনেক কম। বিএনপি বেলা ১১টা থেকে পাঁচ ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দিলে তাঁরা কোনো কোনো জায়গায় আধা ঘণ্টা এবং কোনো জায়গায় এর কিছু বেশি সময় ছিল। এর মধ্যে গাবতলীতে অবস্থান নিতেই পারেনি বিএনপি নেতাকর্মীরা। উত্তরায় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঘটে ধাওয়া পল্টা ধাওয়া। তবে ধোলাইখাল ও মাতুয়াইলে পুলিশের সঙ্গে চলে ব্যাপক সংঘর্ষ। এর মধ্যে ধোলাইখাল এলাকায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে পুলিশ ব্যাপক পিটিয়ে আহত করে এবং গাবতলীতে দলের ঢাকা মহানগর উত্তরের নেতা আমানউল্লাহ আমান আহত হন। এছাড়া দলের কেন্দ্রীয় নেতাসহ অঙ্গসংগঠনের ৫ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
এই ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার সন্ধ্যায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ সোমবার সারাদেশের জেলা ও বিভাগীয় শহরে জনসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। ঢাকায় বেলা ৩টায় নয়াপল্টনে এই জনসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ যেহেতু রোববার বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়েছে, সে জন্য তাঁরা একই দিনে কর্মসূচি দিচ্ছেন না। কারণ, তাঁরা সংঘাত এড়াতে চান।
মাতুয়াইলে দফায় দফায় সংঘর্ষ: ঢাকার প্রবেশমুখ শনিরআখড়ায় অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিলে সেখানে শনিবার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয়। একারণে বিএনপি নেতাকর্মীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মাতুয়াইলে অবস্থান নেয়। পুলিশ তাদের সরে যেতে বললে পুলিশের দফায় দফায় ধাওয়া-পল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয় বিএনপি নেতাকর্মীদের। এতে মহাসড়কে প্রায় ১ ঘণ্টা যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারশেল, পুলিশ রাবার বুলেট ছোড়ে। এ সময় বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হন।
উত্তরা: উত্তরায় বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি কেন্দ্র করে শনিবার সকাল থেকেই দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে মহড়া দেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের কয়েক’শ নেতাকর্মী। বেলা সাড়ে ১১টার পর উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীরা অবস্থান কর্মসূচি পালনের জন্য জড়ো হলে পুলিশ তাদের বাধা দেয় বলে অভিযোগ করা হয়। এ সময় পুলিশ শব্দবোমা ও কাঁদনে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সড়কে নামেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে।
সরেজমিন দেখা যায়, বিএনপির নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার পর দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের ২৮ নম্বর সড়কে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন। এ সময় পুলিশ বিএনএস সেন্টারের সামনে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে ১২টা ২৩ মিনিটে দক্ষিণ দিক থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ধরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনএস সেন্টারের সামনে আসেন। তাঁদের অনেকের হাতে দা, ছোরা, চাপাতি, লম্বা ছুরি, রড, পাইপ ও লাঠিসোঁটা ছিল। তাঁরা অস্ত্র উঁচিয়ে মহাসড়ক ধরে হাঁটছিলেন, দৌড়াচ্ছিলেন। একপর্যায়ে পুলিশের সামনেই দুই ভাগ হয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের বিভিন্ন সড়কে অস্ত্র নিয়ে ছোটাছুটি করেন। দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের অস্ত্রের মুখে দৌড়ে পালান বিএনপির নেতাকর্মীরা। প্রায় আধা ঘণ্টার জন্য ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বন্ধ হয়ে যায় যানবাহন চলাচল। বেলা একটার দিকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা রাস্তা ছেড়ে চলে যান। এরপর আবার বিএনএস সেন্টারের সামনে অবস্থান নেয় পুলিশ। সংঘর্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকসহ বেশকয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন।
ধোলাইখাল: পূর্বঘোষণা অনুযায়ী পুরান ঢাকার নয়াবাজারে অবস্থান কর্মসূচি পালনের কথা ছিল কিন্তু শনিবার সকাল থেকেই সেখানে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ফলে বিএনপি নেতাকর্মীরা ধোলাইখালে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। এসময় তারা সরকার বিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। প্রথমে পুলিশের ধাওয়ায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা পিছিয়ে যান। পরে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সংঘটিত হয়ে পুলিশকে ধাওয়া দেন। ঘটনাস্থলে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালামসহ অন্য নেতারা ছিলেন। তাঁরা নেতা-কর্মীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে তা সম্ভব হয়নি। পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের সময় পুলিশ গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আবদুস সালাম আজাদকে বেধড়ক লাঠিপেটা করে। পুলিশের লাঠিপেটার সময় গয়েশ্বর চন্দ্র মাটিতে পড়ে গেলেও পুলিশ তাকে পেটাতে থাকে বলে অভিযোগ করেন তিনি নিজেই। পরবর্তীতেপুলিশ তাঁকে একটি দোকানের ভেতরে নিয়ে যায়। পরে তাঁকে একটি পুলিশ ভ্যানে করে সরিয়ে নেওয়া হয়। আব্দুস সালামকেও পুলিশ এখান থেকে আটক করে নিয়ে যায়। গয়েশ্বর চন্দ্রকে পুলিশ প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তার কার্যালয়ে নামিয়ে দিয়ে যায়।
এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ধোলাইখালে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। এর পৌনে এক ঘণ্টা পর লাঠিসোঁটা হাতে সেখানে এসে মিছিল করেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা হাতে যখন মিছিল করেন, তখনো ধোলাইখালে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বেলা সোয়া একটার দিকে ধোলাইখাল মোড়ে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীকে নিয়ে মিছিল বের করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করে তাঁরা বিএনপি বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। পরে চলে যান।
গাবতলী: গাবতলীতে সকাল ১০টার দিকে খালেক পরিবহনের বাস কাউন্টারের সামনে বিএনপির কিছু নেতা-কর্মী জড়ো হন। তখন যুবলীগ-ছাত্রলীগের কর্মীরা তাঁদের কয়েকজনকে ধরে পুলিশে দেন। পুলিশও কয়েকজনকে ধরে। তাঁদের মাইক কেড়ে নেওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের নেতৃত্বে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সড়কের এক পাশে অবস্থান নেন। কাছাকাছি দূরত্বে হানিফ বালুর মাঠের কাছে অস্থায়ী মঞ্চ করে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। বেলা ১১টার কিছু পরে আমানউল্লাহ আমানকে সরে যেতে বলে পুলিশ। সেখানে উপস্থিত ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) নাজমুল ফিরোজ তাঁকে (আমান) বলেন, ‘আপনাদের এখানে অবস্থানের অনুমতি নেই। পাঁচ মিনিট সময় দেওয়া হলো আপনারা চলে যান।’ আমানউল্লাহ বলেন, ‘আমি কোথাও যাচ্ছি না।’ এরপর পুলিশ সদস্যরা দুবার তাঁকে পুলিশের গাড়িতে তোলার চেষ্টা করেন। এরপর পুলিশ ধাক্কা দিয়ে আমানউল্লাহ আমানসহ বিএনপির নেতা-কর্মীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে মাজার রোডের নাবিল পরিবহনের সামনের সড়কে আমানউল্লাহ আমান শুয়ে পড়েন। পুলিশ তাঁকে সরানোর চেষ্টা করে। পরে সেখান থেকে আমানউল্লাহকে একটি পুলিশ ভ্যানে তোলা হয়। দুপুর ১২টার দিকে বিএনপি নেতা-কর্মীদের একটি দল বেড়িবাঁধের দিক থেকে মিছিল নিয়ে এলে সরকারি দলের কর্মীরা তাঁদের ধাওয়া দেন। এ সময় পুলিশ কয়েকজনকে আটক করে।
বাসে আগুন: শনিবার বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ চলাকালে বিভিন্ন স্থানে ৬টি বাসে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি পরস্পরকে দায়ী করেছেন। তবে মাতুয়াইলে আগুন দেয়া তিশা পরিবহন বাসের চালক মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, তিন যুবক মোটরসাইকেলে করে এসে তার গাড়ীতে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে চলে যায়। তিনি বলেন, তারা তিন জন আসে এবং ২ জন বাসে উঠে বলে ‘তাড়াতাড়ি নাম। নইলে তোর শরীরে ঢাইলা দিলাম।’ এ কথা বলে তিন যুবক বাসে উঠে আগুন দিয়ে চলে যায়। সানাউল্লাহ বলেন, তাঁদের কাছে একটি বোতলে পেট্রল ও দেশলাই ছিল। তাঁদের হুমকির পর তিনি (বাসচালক) লাফ দিয়ে নেমে যান। যখন বাসে আগুন দেওয়া হয়, তখন কিছুটা দুরেই দুইপাশেই পুলিশ ছিল। দুই মিনিটের মধ্যে আগুন দিয়ে মোটরসাইকেলে যুবকেরা চলে যান। শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সামনে ধাওয়া চলার সময় আরও দুটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এছাড়া রাজধানীর শ্যামলীতে পুলিশের গাড়িতে আগুন ও একাধিক যানবাহন ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পরবর্তীতে রাতে উত্তরায় আরেকটি বাসে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে।
বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা: ঢাকার প্রবেশমুখে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় রাজধানীর ৭ থানায় ১১টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় ৫৪৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৬৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আসামিদের বেশির ভাগই বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ের নেতা-কর্মী। বিস্ফোরক উদ্ধার, বাস পোড়ানো, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় এসব মামলা করা হয়েছে। মামলাগুলোর বাদী পুলিশ।
ডিএমপি সূত্র জানায়, মাতুয়াইলে বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় কদমতলী থানায় পুলিশ বাদী হয়ে যে মামলা করেছেন, সেখানে ৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে আসামিরা অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছেন। সরকারি কাজে বাধা দিয়েছেন। সংঘর্ষের ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় দুটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে বাস পোড়ানোর ঘটনায় করা একটি মামলায় ৬১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জুম্মন হোসেনসহ ১০৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় করা আরেকটি মামলায় ওই ১০৯ জনকেই আসামি করা হয়েছে।
ডিএমপি সূত্র আরও জানায়, উত্তরায় সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় দুটি মামলা হয়েছে। পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে এ মামলা দুটি করা হয়েছে। একটি মামলায় গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন সরকারসহ ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলায় আসামি করা হয়েছে ১৬ জনকে। ধোলাইখাল এলাকায় সংঘর্ষ ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় সূত্রাপুর থানায় একটি মামলা করেছে পুলিশ। ওই মামলায় কেন্দ্রীয় যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদসহ ২৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা হয়েছে। এই মামলায় অজ্ঞাত ৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে বংশাল থানায়। সেখানে আসামি করা হয়েছে ২৫ জনকে। উত্তরা পূর্ব থানায় মোট মামলা হয়েছে তিনটি। এই তিনটি মামলায় মোট আসামি করা হয়েছে ১০০ জনকে।####
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
সচিবালয়ের গেটে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া-পুলিশের ফাঁকা গুলি
ফ্রান্সের উগ্র ডানপন্থী রাজনীতিবিদ মারি লা পেনের মৃত্যু
দুদক কার্যালয় থেকে গ্রেপ্তার তিন ভুয়া কর্মকর্তা রিমান্ডে, হত্যা মামলায় যুবলীগ নেতা সোহাগ রিমান্ডে,
শিগগিরই চালের দাম কমে আসবে : বাণিজ্য উপদেষ্টা
কুরস্কে ২৪ ঘন্টায় ইউক্রেনের ৪৮৫ সেনা নিহত
পশ্চিম তীরে বন্দুক হামলায় ৩ ইসরাইলি নিহত
ঢাবিতে হাসিনার ‘ডামি নির্বাচন’ প্রদর্শনী
জুলাই গণহত্যা: হাসিনাসহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল
শিগগিরই চালের দাম কমে আসবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
গাজায় ফিলিস্তিনিদের ত্রাণ সহযোগিতা দিচ্ছে হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি
ট্রাম্প প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতি যুদ্ধ নাকি বন্ধুত্বের পক্ষে
মিথ্যা ন্যারেটিভ ভেঙ্গে দেয়া আমাদের ইতিহাসের দায়বদ্ধতার অংশ
বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে
এক-পঞ্চমাংশ এইচ-১বি ভিসাই ভারতীয় সংস্থাগুলোর কাছে
গ্রীনল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন ট্রাম্প জুনিয়র
মক্কা-মদিনায় ভারী বৃষ্টিতে বন্যা
ভারতে চীনের পরিবর্তে বাড়ছে জাপানি বিনিয়োগ
পশ্চিম তীরে ৩ ইসরাইলি নিহত
যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা একীভূত করার প্রস্তাব ট্রাম্পের
অস্ট্রিয়ায় সরকার গঠন করছেন অতি ডানপন্থি নেতা কিকল