পুতিন ও শি’র অনুপস্থিতি জি-২০ সম্মেলনকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৩ এএম
ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ নিয়ে বিভক্ত বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশগুলো খাদ্য নিরাপত্তা, ঋণ সংকট এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার জন্য এ সপ্তাহান্তে নয়াদিল্লিতে মিলিত হবে।
যুদ্ধের বিষয়ে কঠোর অবস্থান চলতি বছর জি-২০ এবং আরও কিছু দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে কোন ঐক্যমতে আসতে বাধা দিয়েছে। ফলে এ বিষয়ে সম্ভব হলে একটি পথ খুঁজে বের করার জন্য দেশগুলো শীর্ষ নেতাদের উপর এবার দায়িত্ব বর্তাচ্ছে। কিন্তু তাতেও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বদলে এবার চীনের প্রতিনিধিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং, যখন রাশিয়া প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের অনুপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এর ফলে এবারও কোনও ঐক্যমতে আসার সম্ভাবনা নেই।
অর্থাৎ ৯ সেপ্টেম্বর থেকে দুই দিনের শীর্ষ সম্মেলনে পশ্চিমা ও তার মিত্রদের আধিপত্য থাকবে। জি ২০ নেতাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ, সউদী আরবের মোহাম্মদ বিন সালমান এবং জাপানের ফুমিও কিশিদা উপস্থিত থাকবেন। একটি ব্যর্থ শীর্ষ সম্মেলন পশ্চিমা এবং অ-পশ্চিমা শক্তিগুলির মধ্যে সহযোগিতার সীমা উন্মোচন করবে এবং দেশগুলিকে তারা যে গোষ্ঠীগুলির সাথে আরও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে সেগুলিকে দ্বিগুণ করতে প্ররোচিত করবে, বিশ্লেষকরা বলেছেন।
ওয়াশিংটনের উইলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান বলেছেন, বৈশ্বিক হুমকি মোকাবেলা করার জন্য ‘পশ্চিমা এবং অ-পশ্চিমা ব্লকে বিভক্ত হওয়া সঙ্কটজনক পরিস্থিতি থৈরি করবে।’ একটি ঐকমত্য তৈরি করতে ব্যর্থ হলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কূটনৈতিক প্রচেষ্টাও ক্ষতিগ্রস্থ হবে, যিনি চেষ্টা করছেন বিশ্ব দক্ষিণের নেতা হিসাবে নয়াদিল্লির অবস্থানকে শক্তিশালী করতে।
কুগেলম্যান বলেন, ‘নেতাদের সম্মেলন যদি ফ্লপ হয়, তাহলে নয়াদিল্লি এবং বিশেষ করে মোদি একটি বড় কূটনৈতিক এবং রাজনৈতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে।’ ভারত এখনও ইউক্রেনে রাশিয়ার আভিযানের নিন্দা করেনি। কিন্তু এবারের সম্মেলনের সভাপতি হিসাবে তাদেরকে হয় ব্লকের দেশগুলোকে একটি যৌথ বিবৃতিতে সম্মত হতে রাজি করতে হবে, যাকে বলা হয় ‘লিডারস ডিক্লারাশেন’ অথবা ২০০৮ সালের পর এই প্রথম এই ধরনের কোনো ঘোষণা ছাড়াই তার সভাপতির মেয়াদ শেষ করতে হবে।
ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত ২০২২ সালের শীর্ষ সম্মেলনের কথা উল্লেখ করে ভারতের একজন সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘বালি শীর্ষ সম্মেলনের পর থেকে অবস্থানগুলি কঠোর হয়েছে। রাশিয়া এবং চীন তখন থেকে তাদের অবস্থান কঠোর করেছে, ফলে একটি ঐক্যমত্য খুব কঠিন হবে।’ সূত্র : রয়টার্স।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ব্যাংকিং সেবা খাতে এখনো ভারতীয় আধিপত্য
পরিষ্কার বার্তা চায় জনগণ
অবশেষে টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগ
কারাগারে এস কে সুর
‘গ্রিনল্যান্ডকে সামরিক এলাকা বানাতে চান ট্রাম্প’
ছাত্রলীগ নেত্রী নিশি দুই দিনের রিমান্ডে
অভি খালাস! তাহলে খুনী কে?
জল্পনা উড়াল চীনা সংস্থা টিকটক কিনছেন না মাস্ক
ধামরাইয়ে খাদ্যদ্রব্য তৈরির কারখানায় ফের আবার ডাকাতির চেষ্টা
রাজউক জোনাল অফিস স্থানান্তর আদেশের প্রতিবাদে মানববন্ধন
দ্বিতীয় দিনের মতো অনশনে অব্যাহতি পাওয়া এসআইরা
বন্ধ বেক্সিমকো খুলে দেয়ার দাবিতে শ্রমিকদের মানববন্ধন
আধুনিক ডেটা ওয়্যারহাউজ স্থাপন করবে বিবিএস
পরিবারসহ জ্যাকব ও ছেলেসহ সাবেক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন শুনানির নতুন তারিখ
সামাজিক ও আচরণ পরিবর্তনের বিষয় পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্তির আহ্বান ইউজিসি’র
চুক্তিতে নিয়োগের দৌড়ে নওফেলের জালাল উদ্দিন চৌধুরী
পুলিশের চাকরি হারিয়ে ছিনতাইয়ে নামেন হাকিম
ভোটার তালিকা হালনাগাদে সহায়তা করবে ইউএনডিপি
সাকরাইনে মেতেছে পুরান ঢাকা