অস্ত্রের ঝনঝনানিতে শঙ্কা
০৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৫ এএম | আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৫ এএম

চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া এক্সেস রোডে চলন্ত প্রাইভেটকারে গুলি করে জোড়া খুনের ঘটনায় সরাসরি অংশ নিয়েছে কমপক্ষে ১২ জন। তাদের মধ্যে অন্তত সাত জনের হাতে ছিল আগ্নেয়াস্ত্র। জোড়া খুনের ঘটনাটি ঘটে গত শনিবার রাতে। ওই রাতে রুপালি রঙের একটি প্রাইভেট কার কর্ণফুলী সেতু এলাকা থেকে বাকলিয়া এক্সেস রোডে আসতে থাকে। পাঁচটি মোটরসাইকেল সেটিকে ধাওয়া করে। একপর্যায়ে গাড়ি লক্ষ্য করে শুরু হয় গুলিবর্ষণ।
সিনেমা স্টাইলে চলন্ত গাড়িতে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে গুলি করা হয়। প্রাইভেটকারের ভেতর থেকেও মোটরসাইকেল আরোহীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। বাইক আরোহিরা গুলি থেকে রক্ষা পেলেও এলোপাথারি গুলিতে অনেকটা ঝাঁঝরা হয়ে যায় প্রাইভেটকারটি। কারে থাকা বখতিয়ার হোসেন (৩০) ও মো. আবদুল্লাহ (৩২) গুলিতে মারা যান। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন আরো দুই জন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে ওই ঘটনায় দুই পক্ষ কমপক্ষে ডজনের বেশি আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছে।
ওই জোড়া খুনের মতো চট্টগ্রামে বিভিন্ন অপরাধের ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার বেড়েই চলেছে। ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দলীয় কলহ বিরোধ, আধিপত্য বিস্তার কিংবা এলাকায় প্রভাব বিস্তারেও ব্যবহার হচ্ছে অস্ত্র। কোথাও আবার খুন-ছিনতাইয়ের ঘটনায় থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সময়ে একাধিক খুনোখুনিতেও ভারী অস্ত্রের ব্যবহার দেখা গেছে। একের পর এক অস্ত্রবাজির ঘটনায় জনমনে শঙ্কা বিরাজ করছে, বাড়ছে নিরাপত্তাহীনতা। এসব অস্ত্রধারীদের গ্রেফতার এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে র্যাব-পুলিশের ব্যর্থতায় জনমনে উদ্বেগ-শঙ্কা বেড়েই চলেছে।
জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা। প্রকাশ্যে তারা গুলি করে ১২ জনকে হত্যা করেছে। আন্দোলন দমনে পুলিশের পাশাপাশি শতাধিক অস্ত্রধারী ক্যাডার খুনিকে রাস্তায় নামানো হয়। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর তার দলের খুনিরাও দেশে-বিদেশে পালিয়ে এবং আত্মগোপনে চলে যায়। খুনিদের অনেকে ধরা পড়েছে। তবে ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় ব্যবহৃত আগ্নোয়াস্ত্রের প্রায় পুরোটাই অধরা থেকে যায়।
এছাড়া ৫ আগস্ট হাসিনার পলায়নের পর জনতার উল্লাসের সুযোগে থানায় হামলার ঘটনায় বিপুল অস্ত্র-গুলি লুট হয়ে যায়। লুন্ঠিত এসব অস্ত্রের একটি অংশও উদ্ধার করা যায়নি। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর পেশাদার অপরাধীদের বেশ কয়েকজন জামিনে বের হয়ে আসে। আবার আত্মগোপনে থাকা অনেকেও সক্রিয় হয়ে উঠে। ফলে অপরাধ জগতে নতুন মেরুকরণ শুরু হয়। এই মেরুকরণে অবৈধ অস্ত্রের হাতবদল হয়। সীমান্ত পথেও আসে আগ্নেয়াস্ত্র।
বিপ্লব পরবর্তী অস্থির সময়ে পুলিশ বাহিনীর নিস্ক্রিয়তার সুযোগে অস্ত্রধারীদের দাপট বেড়ে যায়। যে কোন ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নেমে পড়ে অপরাধীরা। সর্বশেষ নগরীর বাকলিয়ায় ঘটে যাওয়া ভয়াবহ সন্ত্রাসী ঘটনায় ব্যবহৃত হয় বিপুল অস্ত্র। ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও অস্ত্রধারীদের গ্রেফতার কিংবা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে কোন সাফল্য দেখাতে পারেনি পুলিশ। ওই ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী তাদের একজন সরাসরি খুনের অংশ নিয়ে গুলিবর্ষণ করেছে। আর অপরজন খুনের পরিকল্পনায় জড়িত ছিলো। পুলিশ বলছে ওই ঘটনায় হামলাকারীরা কমপক্ষে দশটি অস্ত্র ব্যবহার করেছে। আবার যারা হামলার শিকার তারাও অস্ত্র ব্যবহার করে। তবে কোন অস্ত্রই এখনও উদ্ধার হয়নি।
আলোচিত এই জোড়া খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের তথ্য অনুযায়ী সন্ত্রাসী সরোয়ার হোসেনকে মারতেই মোটরসাইকেল থেকে প্রাইভেট কারে গুলি করা হয়। সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেনকে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে তারা এই কাজ করেন। গ্রেফতার মো.বেলাল (২৭) ও মো. মানিক (২৪) ছোট সাজ্জাদ ওরফে সাজ্জাদ হোসেনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। পুলিশ বলছে, ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে হামলায় অংশ নেওয়াদের শনাক্ত করা হয়। এর মধ্যে দুজনকে করা হয়েছে। ঘটনার দিন তাদের মোটরসাইকেল থেকে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলিবর্ষণ করতে দেখা গেছে।
এই ঘটনায় নিহতের পরিবারের করা মামলায় বলা হয়েছে, দুই সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদ ও সরোয়ার হোসেনের বিরোধের জের ধরে আলোচিত জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে। সাজ্জাদকে ধরিয়ে দেয়ায় জন্য দায়ী করে ক্ষুব্ধ হয়ে সরোয়ার ও তার অনুসারীদের ওপর এই হামলা চালানো হয়। সন্ত্রাসী সাজ্জাদ, তার স্ত্রী তামান্না শারমিনকে হুকুমের আসামিসহ সাতজনর নাম উল্লেখ করে গত মঙ্গলবার বাকলিয়া থানায় মামলা করেন নিহত বখতিয়ারের মা ফিরোজা বেগম।
সাজ্জাদ ও সরোয়ার দুজনই বিদেশে পলাতক আট খুনের মামলার আসামি চট্টগ্রামের একসময়ের শীর্ষ সন্ত্রসী সাজ্জাদ আলীর অনুসারী ছিলেন। দুজনের বিরুদ্ধে ১৫টি করে মামলা রয়েছে। তবে এক দশক ধরে সরোয়ার সাজ্জাদ আলীর গ্রুপ থেকে বেরিয়ে আসেন। এরপর সরোয়ার ও ছোট সাজ্জাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। ৫ আগস্টের পর দুজনই জামিনে বেরিয়ে আসেন। জোড়া খুনসহ সরোয়ারের পাঁচজন অনুসারী গুলিতে মারা যান গত কয়েক মাসে। এজন্য সরোয়ারের লোকজন ছোট সাজ্জাদ ও তার বাহিনীর সদস্যদের দায়ী করেন। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে বায়েজিদ ও চান্দগাঁও এলাকায় চাঁদাবাজি শুরু করেন ছোট সাজ্জাদ। চাঁদা না দিলেই কথায় কথায় প্রকাশ্যে গুলি ছুড়েন সাজ্জাদ ও তার বাহিনীর ক্যাডারেরা। গেল বছরের ২১ অক্টোবর বিকালে চান্দগাঁও থানার অদুরপাড়া এলাকায় দোকানে বসে চা পানের সময় কালো রংয়ের একটি গাড়িতে করে গিয়ে তাহসিন নামে এক যুবককে গুলি করে খুন করা হয়। ওই ঘটনায় চান্দগাঁও থানায় তাহসিনের বাবার করা মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদকে।
তার আগে জোড়া খুনের মামলাও সাজ্জাদ এবং তার ক্যাডারদের আসামি করা হয়। এছাড়াও চাঁদার জন্য বিভিন্ন ভবনে প্রকাশ্যে অস্ত্রবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে সাজ্জাদ জড়িত বলে পুলিশের ভাষ্য। সাজ্জাদকে ধরতে বেশ কয়েকবার অভিযান চালায় পুলিশ। এক অভিযানে পুলিশের উপর গুলিবর্ষণ করে পালাতে সক্ষম হয় এই শীর্ষ সন্ত্রাসী। এরপর আত্মগোপনে থাকা সাজ্জাদ ফেইসবুক লাইভে এসে বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি আরিফ হোসেনকে পেটানোর হুমকি দেন। হুমকির ঘটনায় ওসি আরিফ হোসেন থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। ওসিকে মারার হুমকি দেওয়ার পর গত ২৯ জানুয়ারি সাজ্জাদকে ধরতে পুরস্কার ঘোষণা করে পুলিশ।
পরে গত ১৫ মার্চ ঢাকার একটি শপিং মল থেকে এক দম্পতি তাকে পুলিশে ধরিয়ে দেন। হুমকির পর তারাও থানায় মামলা করেন সাজ্জাদ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে। সাজ্জাদকে গ্রেফতার করা হলেও তার বাহিনীর অন্য সদস্যরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। তাদের অস্ত্রভান্ডারও থেকে যায় অক্ষত। আর এই কারণেই তারা বাকলিয়ার ওই জোড়া খুনের ঘটনা ঘটায়। সাজ্জাদের মতো সরোয়ারও এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তাদের কাউকে পুলিশ গ্রেফতার করছে না।
এদিকে রাজনৈতিক বিরোধেও অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে। নগরীর লালখান বাজারে ঈদ শুভেচ্ছা ব্যানার টাঙানো নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় আহত এক যুবদল কর্মী বৃহস্পতিবার চমেক হাসপাতালে মারা যান। তার নাম জিহাদুর রহমান। ২১ মার্চ খুলশী থানার কুসুমবাগ আবাসিক এলাকায় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে জিহাদুরসহ দুজন গুলিবিদ্ধ ও একজন ছুরিকাহত হন। এর আগে লালখান বাজার ও খুলশি এলাকায়ও আধিপত্য বিস্তারের একাধিক ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার হয়েছে। কুসুমবাগ আবাসিক এলাকায় যুবদল কর্মী নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হলেও কোন অস্ত্র উদ্ধার হয়নি।
অপরদিকে থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্রও নানা অপরাধে ব্যবহার করা হচ্ছে। সাতকানিয়ায় ডাকাতির গুজব ছড়িয়ে দুই জামায়াত কর্মীকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। রাতের আধারে ওই জোড়া খুনের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় একটি রিভলবার। যা নগরীর কোতোয়ালী থানা থেকে ‘লুট’ হয়। পরে জানা যায় সে অস্ত্রটি এক পুলিশ সদস্য অপরাধীদের কাছে বিক্রি করে দেন। তার আগে নগরীতে ছিনতাইকারী ধরতে গিয়ে থানা থেকে লুট হওয়া দুটি বিদেশি রিভলবার ও ১৬টি বুলেট উদ্ধার করে পুলিশ। পরে পুলিশ নিশ্চিত হয় ঝোপের মধ্যে থেকে উদ্ধার হওয়া এসব অস্ত্র ও বুলেট পাহাড়তলী থানা থেকে লুট করা হয়েছিল। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিজয় উল্লাসের সময় দুর্বৃত্তরা নগরী এবং জেলার বিভিন্ন থানায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায়। থানা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিভিন্ন সরঞ্জাম লুটের ঘটনা ঘটে।
এরপর থেকে বিভিন্ন এলাকায় অস্ত্র উদ্ধার করতে অভিযান চালায় পুলিশ। নগরীর ছয়টি থানা থেকে বিভিন্ন ধরনের মোট ৮১৫টি অস্ত্র লুটের তথ্য পাওয়া যায়। এরমধ্যে বিভিন্ন সময়ে ৬১৭টি অস্ত্র উদ্ধার হয়। বিপুল সংখ্যক অস্ত্র এখনও উদ্ধার হয়নি। এসব অস্ত্র অপরাধীদের হাতে চলে গেছে। জানা গেছে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হাতে থাকা অস্ত্রের হাতবদলও হচ্ছে। তবে এসব অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশ কোন সাফল্য দেখাতে পারছে না। তাতে সামনের দিনগুলোতে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ হলে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ##
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

জনতা ব্যাংকের নতুন ডিএমডি মো. নজরুল ইসলাম

চাকরি হারানোর ভয় পাচ্ছেন না আনচেলত্তি

আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক চেয়ারম্যান’স অ্যাওয়ার্ড প্রদান

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশীদের জন্য মক্কা ও মদিনায় চালু হচ্ছে ‘হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার’

লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আটক

নিবন্ধন আবেদনের সময় বাড়াতে ইসিকে চিঠি দিলো এনসিপি

আমদানি বন্ধের অজুহাতে হিলিতে বেড়েছে চালের দাম,বিপাকে পাইকাররা

হাজীগঞ্জে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদানের করুণ চিত্র তুলে ধরলেন বাসিন্দারা

শর্ত পূরণে জুনে মিলতে পারে আইএমএফ এর ঋণের দুই কিস্তি

গ্রামীণ ব্যাংক থেকে কমানো হয়েছে সরকারের মালিকানা: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে তামাক ব্যবহারে প।রতি বছর ১ লক্ষ ৬১ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করে

আলোচনা ফলপ্রসূ, বার্তা দিলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব

বন্যহাতির অত্যাচারে অতিষ্ঠ পাহাড়িবাসী

মাদক সেবনের ভিডিও ধারণ করায় যুবককে কুপিয়ে যখম

চীনের সব পণ্যের উপর ২৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের খবর ‘বিভ্রান্তিকর’: হোয়াইট হাউস

টঙ্গীবাড়ীত বজ্রপাতে ১ কিশোর নিহত, আহত ৩

খুলনায় অপহৃত স্কুল ছাত্রী উদ্ধার

চীনের বিরল মৃত্তিকা রপ্তানি বিধি-নিষেধ কেন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ধাক্কা?