এপ্রিলে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান
১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৫ এএম
প্রায় ১৭ বছর আওয়ামী লীগের স্বৈরশাসনামলে দলকে ঐক্যবদ্ধ রেখে ধারাবাহিক আন্দোলন চালিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আসন ভাগাভাগি, মামলা থেকে অব্যাহতি, মায়ের (বেগম খালেদা জিয়া) চিকিৎসার সুযোগসহ নানা প্রলোভন ও প্রস্তাবেও মাথা নত করেননি তিনি। বরং ২০২৪’র জানুয়ারির নির্বাচনে যখন অনেকেই হতাশ হয়ে পড়েছিলেন তখনও নেতাকর্মীদের মনে সাহসের সঞ্চার করেছিলেন তারেক রহমান। জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনেও তার নির্দেশনায় জীবন বাজী রেখে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন দলের নেতাকর্মীরা। সেই আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট প্রধান শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই বিএনপি নেতাকর্মী থেকে শুরু করে দেশের সাধারণ মানুষও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন তারেক রহমানের দেশে ফেরার। সকলের একই প্রশ্ন কবে দেশে আসবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান? দলটির নেতারাও তার দেশে ফেরা নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য দিতে পারছেন না। তবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ট সূত্র ও বিএনপির অন্যতম শীর্ষ নেতৃত্ব সূত্রে জানা গেছে আগামী এপ্রিলে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান। ওই দুই সূত্র একই তথ্য জানিয়ে বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এপ্রিলেই দেশে ফিরবেন বলে এখন পর্যন্ত জানা গেছে। সে অনুযায়ী প্রস্তুতিও চলছে। তবে এতো আগে থেকে সেটি ঘোষণা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। কারণ বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার এখন জন্য লন্ডনে অবস্থান করছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসার সার্বিক বিষয় ঠিক থাকলে তিনি নির্ধারিত ওই সময়েই ফিরতে পারেন।
বিএনপির অন্যতম এক শীর্ষ নেতা জানান, এপ্রিলে তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়টি ইতোমধ্যে দলের শীর্ষ কয়েকজন নেতাকে জানানো হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে মার্চের শেষ দিকে দিনক্ষণ আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।
এদিকে সম্প্রতি তারেক রহমানের দেশে ফেরা প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেব মুক্ত হবে কিছুদিনের মধ্যে। পুরোপুরি সব মামলা থেকে মুক্ত হয়ে তিনিও আমাদের মাঝে উপস্থিত হবেন ইনশাল্লাহ।
১/১১’র তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সময়ে তৎকালীন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ১৭টি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এসব মামলায় তাকে ২০০৭ সালের ৭ মার্চ তাকে গ্রেফতার করে অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়। নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে পড়লে ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তাকে মুক্তি দেয়া হয় এবং তিনি চিকিৎসার জন্য লন্ডনে চলে যান। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর আরো শতাধিক মামলা দায়ের এবং বিভিন্ন মামলায় তাকে সাজা দেয়া হয়। তখন থেকেই তিনি যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থান করছেন। এর মধ্যেই বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান এবং ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রæয়ারি বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দী করা হলে তিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে বিএনপির দায়িত্ব পালন করছেন। সুদূর প্রবাসে থেকেই তিনি বিগত দিনে আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী সকল আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দল ও দলের নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ ও চাঙ্গা রেখেছেন। সর্বশেষ জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে তার নেতৃত্বেই বিএনপি নেতাকর্মীরা সারাদেশে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। ####
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ব্যাংকিং সেবা খাতে এখনো ভারতীয় আধিপত্য
পরিষ্কার বার্তা চায় জনগণ
অবশেষে টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগ
কারাগারে এস কে সুর
‘গ্রিনল্যান্ডকে সামরিক এলাকা বানাতে চান ট্রাম্প’
ছাত্রলীগ নেত্রী নিশি দুই দিনের রিমান্ডে
অভি খালাস! তাহলে খুনী কে?
জল্পনা উড়াল চীনা সংস্থা টিকটক কিনছেন না মাস্ক
ধামরাইয়ে খাদ্যদ্রব্য তৈরির কারখানায় ফের আবার ডাকাতির চেষ্টা
রাজউক জোনাল অফিস স্থানান্তর আদেশের প্রতিবাদে মানববন্ধন
দ্বিতীয় দিনের মতো অনশনে অব্যাহতি পাওয়া এসআইরা
বন্ধ বেক্সিমকো খুলে দেয়ার দাবিতে শ্রমিকদের মানববন্ধন
আধুনিক ডেটা ওয়্যারহাউজ স্থাপন করবে বিবিএস
পরিবারসহ জ্যাকব ও ছেলেসহ সাবেক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন শুনানির নতুন তারিখ
সামাজিক ও আচরণ পরিবর্তনের বিষয় পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্তির আহ্বান ইউজিসি’র
চুক্তিতে নিয়োগের দৌড়ে নওফেলের জালাল উদ্দিন চৌধুরী
পুলিশের চাকরি হারিয়ে ছিনতাইয়ে নামেন হাকিম
ভোটার তালিকা হালনাগাদে সহায়তা করবে ইউএনডিপি
সাকরাইনে মেতেছে পুরান ঢাকা