বিশ্ব শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ ইসলাম
৩১ মে ২০২৩, ০৮:৩২ পিএম | আপডেট: ০১ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম
শান্তির গ্যারান্টি একমাত্র ইসলামেই দিতে পারে। বিশ্ব¯্রষ্টা আল্লাহতায়ালা সৃষ্টির সেরা জীব মানুষকে চিন্তা ও কর্মের স্বাধীনতা দিয়েছেন। এই স্বাধীনতা কোন খাতে প্রয়োগ করলে পার্থিব শান্তি ও পরকালীন মুক্তি পাওয়া যাবে তাও তিনি জানিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু মানুষ প্রায়ই আল্লাহকে ভুলে যায়। ফলে মানব প্রকৃতি হয়ে ওঠে স্বেচ্ছাচারী। নীতি-নৈতিকতা পরিত্যক্ত হয়। শঠতা, প্রতারণা,দুর্নীতি ইত্যাদি সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে পড়ে। রাজনৈতিক জুলুম,অর্থনৈতিক শোষণ, সামাজিক ভেদাভেদ, সাংস্কৃতিক নোংরামি ও অশ্লীলতা,পাপ-পংকিলতা এবং মানবাধিকার দলন অগণিত মানুষের জীবন থেকে শান্তি কেড়ে নেয়। বঞ্চিত মানুষ অসহায়ত্ব থেকে মুক্তি পেতে চাইলে আল্লাহ প্রদত্ত ও রাসূল (সা:) প্রদর্শিত পথের কোন বিকল্প নেই। শান্তি কাকে বলে: শান্তি বলতে বুঝায়-স্থিরতা, প্রশান্তি,দুশ্চিন্তাহীনতা, হিংসা মারামারি ও শত্রুতা না থাকা ইত্যাদি। ইংরেজিতে শান্তিকে বলা যেতে পারে- চবধপব, অনংবহপব ড়ভ ঢ়ধংংরড়হ, ংধঃবং-ভধপঃরড়হ, মৎধঃরভরপধঃরড়হ, বিষভধৎব, ঢ়ৎড়ংঢ়বৎরঃু, পড়সভড়ৎঃ যধঢ়ঢ়রহবংং ইত্যাদি। ‘ইসলাম’ শব্দের এক অর্থ শান্তি: ইসলাম পরিভাষার মূল শব্দ হলো ’ সিলমুন বা সিন, লাম, মীম। ‘সীন’ দ্বারা ‘সালামত’ বা সুস্থতা, শান্তি, স্বস্তি, শালীনতা ইত্যাদি বোঝায়। ‘লাম’ দ্বারা ‘লিনাত’ বা ন¤্রতা, ভদ্রতা, বিনয়, সহমর্মিতা ও সৌহার্দ্য ইত্যাদি বোঝায়। আর ‘মীম’ দ্বারা বোঝায় ভালোবাসা, সম্প্রীতি, প্রেম-প্রীতি ইত্যাদি। কাজেই ‘ইসলাম’ শব্দের মাঝেই লুকিয়ে আছে শান্তি, স্বস্তি, সুস্থতা, সহমর্মিতা, সৌহার্দ্য, ন¤্রতা, বিনয়, পারস্পরিক ভালোবাসা, সম্প্রীতি ইত্যাদি মানবীয় গুণ, যা মানুষকে প্রকৃত ‘মানুষ’ হতে শেখায়। কাজেই ইসলাম নিঃসন্দেহে শান্তির ধর্ম। ইসলাম শান্তি এ অর্থে যে, ‘ইসলামহীনতাই অশান্তি।’ মানবাধিকারে প্রবক্তা ইসলাম : মানবাধিকার বলতে সেই অধিকারকে বোঝায় যা নিয়ে মানুষ জন্মায় এবং যা তাকে বিশিষ্টতা দেয় এবং যা হরণ করলে সে আর মনুষ্যত্ব নিয়ে টিকে থাকতে পারে না। বিশ্বরাজনীতিতে অত্যন্ত তাৎপর্যের সাথে আলোচিত ঋঁহফধসবহঃধষ জরমযঃং. ইধংরপ ঐঁসধহ জরমযঃং, ইরৎঃয জরমযঃং ড়ভ গধহ-এ জনপ্রিয় শব্দগুচ্ছ প্রকৃতপক্ষে মানবাধিকারের অর্থেই ব্যবহৃত হয় (মানবাধিকার ভাষ্য, গাজী শামছুর রহমান, পৃ ১১)। রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত মদিনা রিপাবলিকে ৬২২ ঈসায়ী সনে প্রণীত ৪৭টি শর্ত সংবলিত ‘মদিনা সনদ’ বা ঈযধৎঃবৎ ড়ভ গধফরহধ ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথ লিখিত সংবিধান (ঋরৎংঃ ৎিরঃঃবহ পড়হংঃরঃঁঃরড়হ ড়ভ ঃযব ড়িৎষফ)। এ সনদে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলের অধিকার ও মর্যাদার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। খ্রিস্টান, ইহুদি, পৌত্তলিক ও ‘মুসলিম সমভিব্যাহারে গঠিত মদিনার বহু ধর্মভিত্তিক সমাজে প্রণীত উক্ত সনদে উল্লেখ ছিল-‘মনিায় ইহুদি, নাসারা (খ্রিস্টান), পৌত্তলিক এবং মুসলিম সকলেই এক দেশবাসী, সকলেরই নাগরিক অধিকার সমান।’ বিশ্বনবী (সা.)। সমানাধিকারের ভিত্তিতে বিভিন্ন জাতি, ধর্ম ও বর্ণের মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের এমন উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত পৃথিবীর বুকে এটিই ছিল প্রথম। পাশ্চাত্যের মানবাধিকার সংক্রান্ত চিন্তা-চেতনা পরিবর্তনশীল সংকীর্ণ, পক্ষপাত দোষে দুষ্ট এবং তা প্রামাণ্য বা দলিলভিত্তিক নয়। অপরদিকে ইসলামের মানবাধিকার সংক্রান্ত আইন অসংশোধনযোগ্য, সার্বজনীন, প্রামাণ্য ও দলিলভিত্তিক এবং পক্ষপাতহীন। কাজেই, ইসলামই গোঁড়ামী পরিহার করে সহনশীলতা, ধীর-স্থিরতা, উদারতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সর্বোচ্চ অবদান রাখতে পারে। আল কুরআন বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার অনন্য গাইড বুক : ইসলাম শোষণ-বঞ্চনা দূর করে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এ বিষয়ে আল কুরআনের নির্দেশ হলো-দুষ্টকে দমন করে শিষ্টের লালন করতে হবে। অর্থাৎ সৎ ব্যক্তিদের পৃষ্ঠপোষকতা দান করতে হবে এবং অপরাধী ও অসৎ লোকদের অন্যায় ও অবিচারকে প্রতিহত করতে হবে। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইসলাম নির্দেশিত মৌলিক ৪টি দায়িত্ব সম্পর্কে আল কুরআন ঘোষণা করেছে-‘‘যদি আমি তাদেরকে ( বা মুসলমানদের) কোনো ভূখ-ে প্রতিষ্ঠা দান করি তাহলে তারা সালাত কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা করে ও অন্যায়ের প্রতিরোধ করে। সকল কর্মের পরিণাম আল্লাহর ইখতিয়ারে।’ (২২/সূরা আল হাজ্জ: ৪১) অর্থাৎ কুরআন নির্দেশিত দায়িত্বগুলো হলো : ১. সচ্চরিত্র জাতি গঠনের জন্য নামায প্রতিষ্ঠিত করা (২৯/সূরা আনকাবুত-৪৫ দ্রষ্টব্য) ২.ন্যায়বিচারপূর্ণ অর্থব্যবস্থা চালুর লক্ষ্যে যাকাত আদায়ের রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা (৯/তাওবা-৬০) ৩. জনকল্যাণমূলক সকল কাজ চালু করা এবং ৪. অনিষ্টকর সকল কাজ বন্ধ করা। আল্লাহপাক যে বিধান আল কুরআনের মাধ্যমে দিয়েছেন আল্লাহর দৃষ্টিতে তা প্রতিষ্ঠিত করার সংগ্রাম করাই একজন প্রকৃত শান্তিকামী মানুষের পরিচয়। রাজনৈতিক অঙ্গনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইসলাম : ইসলাম নিছক নেতার পবির্তন কামনা করে না। নেতা পরিবর্তন করার মধ্যে ব্যক্তিগত বা দলীয় স্বার্থ জড়িত। ইসলামের লক্ষ্য হলো নীতির পরিবর্তন করা। ইসলামের মূল চাওয়া হচ্ছে, সব মানুষ আল্লাহর গোলাম হয়ে যাক, মানুষ যেন একে-অপরের গোলামি না করে। তাইতো আল্লাহ বলেন, ‘জেনে রেখ, তাঁরই কাজ সৃষ্টি করা ও আদেশ দান করা।’’ (৭/সূরা আলাফ-৫৪) আল্লাহর অনুগত বান্দার নেতৃত্ব ছাড়া অন্যের গোলামিতে বাধ্য হতে হয় বলেই ইসলামের লক্ষ্য সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা। আর সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার মধ্যেই নিহিত আছে শান্তি। ইসলামের মতে, ঐড়হবংঃু রিঃযড়ঁঃ বভভরপরবহপু রং ড়িৎঃযষবংং. ঊভভরপরবহপু রিঃযড়ঁঃ যড়হবংঃু রং ফধহমবৎ-ড়ঁং. অর্থাৎ দক্ষতা ছাড়া সততা অকেজো এবং সততা ছাড়া দক্ষতা বিপদজনক। হাদীসে আছে, দেশ শাসনভার আল্লাহতায়ালার নিকট হতে পবিত্র আমানত । এ আমানতের খিয়ানাত হতে বিরত থাকলে শান্তি প্রতিষ্ঠা অত্যন্ত সহজ। বিচার ব্যবস্থা অশান্তি দূরীকরণে ইসলাম : শান্তি প্রতিষ্ঠায় আইনের শাসনের বিকল্প নেই। আল কুরআনে আমাদেরকে যেকোনো মূল্যে সুবিচার প্রতিষ্ঠা করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং এতে যদি আত্মীয়-স্বজনদের বিরুদ্ধেও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়, তবে তাও করতে হবে বিনা দ্বিধায়। আল্লাহ বলেন ‘‘যারা আল্লাহ যা নাজিল করেছেন সে অনুযায়ী বিধান (বা বিচার-ফায়সালা বা সিদ্ধান্ত) দেয় না তারাই অবিশ্বাসী।’ (৫/সূরা আল মায়িদাহ-৪৪) আর, আল্লাহর দেয়া বিধানে কোনোরূপ পক্ষপাতিত্ব নেই। এ বিধান অনুযায়ী সুবিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই ইসলাম শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করেছিল। সামাজিক ক্ষেত্রে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইসলাম- সমাজের মানুষকে কষ্ট দেয়ার নাম ইসলাম নয়। রাসূল (সা.) আমাদেরকে মানুষের হৃদয়কে সন্তুুষ্ট করতে, ক্ষুধার্তকে আহার করাতে, বিপদগ্রস্তকে সাহায্য করতে, ব্যথিত লোকের ব্যথার উপশম করতে ও অন্যায়ভাবে কষ্টপ্রাপ্ত লোকের কষ্টের প্রতিকার করতে নির্দেশ দিয়ে একাজগুলোকে সর্বোত্তম কাজ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তিনি আমাদেরকে চরিত্রবান হতে উৎসাহিত করেছেন। কেননা সামাজিক শান্তির জন্য প্রয়োজন উত্তম চরিত্রসম্পন্ন মানুষ। এ সম্পর্কে হাদীসে এসেছে : আবদুল্লাহ বিন আমর হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসূল (সা.) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তিই উত্তম যার স্বভাব উত্তম।’’ (বুখারী, মুসলমি) উত্তম চরিত্রবান তাকেই বলে যিনি ব্যক্তি, পরিবার ও গোষ্ঠীর স্বার্থের প্রতি নয় বরং সার্বজনীন স্বার্থের দিকে অধিক গুরুত্ব দেয়। সমাজের অন্যায় নির্মূল করতে ইসলাম দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থাও করেছে। (৫/সূরা আল মায়িদাহ-৩৮ দ্রষ্টব্য)। অর্থনৈতিক অসাম্য দূরীকরণে ইসলাম : পূঁজিবাদী অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্য ইসলাম সুদভিত্তিক শোষণব্যবস্থার পরিবর্তে যাকাতভিত্তিক অর্থ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে বলেছে। হালাল রুজি সন্ধান করা সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, ‘নামায শেষ হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে, এবং আল্লাহ অনুগ্রহ (রিযক) সন্ধান করবে।’ (৬২/সূরা জুমুআ-১০) ধন সঞ্চয়ের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আল কুরআনে বলা হয়েছে-‘যাতে এ সম্পদ শুধুমাত্র ধনীদের কুক্ষিগত না হয়ে পড়ে।’ (৫৯/সূরা হাশর-৭) ইসলাম এমন অর্থব্যবস্থা প্রদান করেছে যা গরীবকে অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা অর্জনে সহায়তা করে, ধনী-দরিদ্রের মধ্যে সুসম্পর্ক সৃষ্টি এবং সার্বিকভাবে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে। নৈতিক ও আত্মিক অশান্তি দুরীকরণে ইসলাম-ইসলাম মানুষের মন-মানসিকতার পরিবর্তন ও আত্মশুদ্ধিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে। মানুষ যখন কুরআনকে মূলমন্ত্ররূপে এবং মহানবীকে আদর্শ হিসেবে মেনে নেবে এবং ঈমানের কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টির নিয়তে সমাজের কাছে সত্যের বাস্তব রূপ হিসেবে উপস্থাপিত হবে, তখনই জনমানুষ তাদের উপর আস্থা অর্জন করবে। এরকম আস্থাবান ও উত্তম মানুষ তৈরি করতে না পারলে শান্তিপূর্ণ কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন কোনোক্রমেই সম্ভব নয়। সেজন্য ইসলাম মানুষের নৈতিক ও আত্মিক চরিত্রকে বিকশিত করার লক্ষ্যে মানুষের মধ্যকার সকল মৌলিক মানবীয় গুণ সৃষ্টি করতে চায় এবং মানব মন থেকে যাবতীয় মুনাফিকি দূর করতে চায়। নৈতিক ও আত্মিক পরিশুদ্ধিকে ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো আদর্শ এত গুরুত্ব দেয়নি। ইসলাম প্রতিশোধে নয় প্রতিকারে বিশ্বাসী : ইসলামের দৃষ্টি, কেউ অন্যায় আচরণের শিকার হলে যতটুকু অন্যায় করা হয়েছে, সর্বোচ্চ ততটুকু পরিমাণই প্রতিশোধ নেয়া যাবে। ক্ষমা যদি অন্যায়কারীর সংশোধনে সহায়ক হয় তবে ক্ষমা করা অতি উত্তম। গুনাহের প্রতিশোধ গুনাহ দ্বারা না নেয়ার শিক্ষা দিয়েছে ইসলাম। সূরা আশ শুরার ৪১-৪৩নং আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘‘আর যে উৎপীড়িত হওয়ার পর সমান প্রতিশোধ গ্রহণ করে, এরূপ লোকদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। অভিযোগ কেবল তাদের বিরুদ্ধে যারা মানুষের উপর অত্যাচার করে এবং পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে বিদ্রোহ করে বেড়ায়। এরূপ লোকদের জন্যই রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আযাব। আর যে ব্যক্তি ধৈর্যধারণ করে এবং ক্ষমা করে দেয়, তা অবশ্যই দৃঢ় সংকল্পেরই কাজ।’ যখন কেউ উদারতাকে কাপুরুষতা মনে করে এবং অন্যায় বাড়িয়ে দেয় তাহলে কেবল তখনই আত্মরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেয়ার অনুমতি দিয়েছে ইসলাম। হযরত সোলায়মান (আ.) বলেন, ‘‘নিজেই প্রতিশোধ নিও না, আল্লাহর অপেক্ষা কর। তিনি তোমাকে রক্ষা করবেন।’ শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজে হতাশা নয়, প্রয়োজন মজবুত ঈমান ও ঐক্য : মুসলমানদের দায়িত্ব হলো ইসলাম তথা শান্তি প্রতিষ্ঠা করার সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাওয়া। পার্থিব সফলতা-ব্যর্থতার চিন্তা বান্দাকে করতে বলা হয়নি। বান্দা যদি মনে-প্রাণে ইসলাম নামক নিয়ামতের প্রসার কামনা করে ও সে লক্ষ্যে তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে তখন ইসলামের ব্যাপ্তি দান করার দায়িত্ব আল্লাহর । ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদেরকে ভালোবাসেন যারা সীসানির্মিত প্রাচীরের ন্যায় আল্লাহর পথে (অর্থাৎ ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য) সারিবদ্ধভাবে চেষ্টা করে।’ (৬১/সূরা আস সফ-৪) কাজেই পার্থিব জীবনে ও পরকালীন অনন্তসময়ের চিরস্থায়ী শান্তির লক্ষ্যে মুসলমানদেরকে সকল হতাশা থেকে মুক্ত হয়ে নিজেদের মধ্যে সীসাঢালা প্রাচীরের ন্যায় ঐক্য ও সম্প্রীতি গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই বিশ্বের প্রতিটি রাষ্ট্রে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।
লেখক: গবেষক কলামিস্ট
বিভাগ : ধর্ম দর্শন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ঘণকুয়াশায় আরিচা-কাজিরহাট, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ
আওয়ামী লীগ যা করেছে, বিএনপি তার বিপরীত কাজ করে সুন্দর সমাজ গড়বে- কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের নেতা ইয়াকুব চৌধুরী
রোমাঞ্চকর ম্যাচে বার্সাকে হারিয়ে শীর্ষে আতলেটিকো
জেসুসের জোড়া গোলের রাতে আর্সেনালের বড় জয়
বিলুপ্তির পথে মাটির ঘর
চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
প্রতিবন্ধী স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ
কেরু চিনিকলে আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন
বিহারিরা কেমন আছে
লক্ষ্মীপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি
আসাদ সরকারের পতন : নতুন সিরিয়ায় ইসরাইলি আগ্রাসন
মেটলাইফ বাংলাদেশের গ্রাহকরা ডিসকাউন্ট পাবেন ওশান প্যারাডাইস হোটেলস ও রিসোর্টে
১৫ নারী ও শিশুকে হস্তান্তর
আবাসন ও গার্মেন্ট খাতের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে
মেহেরপুরে বেড়েছে গরম কাপড় বিক্রি
কাশিয়ানীর হাট-বাজার নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব
অ্যানুয়াল বিজনেস কন্টিনিউয়িটি প্ল্যান ড্রিল ২০২৪ আয়োজন করলো ব্র্যাক ব্যাংক
সমস্যায় জর্জরিত আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
সবুজ গালিচায় হলুদের সমারোহ
আখাউড়ায় ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত