বিহারিরা কেমন আছে
২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ এএম
সম্প্রতি বাংলাদেশ মুহাজির কল্যাণ ও উন্নয়ন কমিটির (বিএমডব্লিউডিসি) সহ-সভাপতি মো. আব্দুল কুদ্দুস শাওন ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত উর্দুভাষী সংখ্যালঘু কাউন্সিল, বাংলাদেশ-এর সেক্রেটারি জেনারেল মো. আফজাল ওয়ার্সীর আমন্ত্রণে গিয়েছিলাম ঢাকা মোহাম্মদপুরস্থ জেনেভা ক্যাম্প ও মিরপুরের বেনারসি পল্লীতে বসবাসরত বিহারীদের জীবনমান স্বচক্ষে দেখতে। ক্যাম্পের মধ্যে প্রবেশমাত্রই ক্যাম্পবাসী বিহারীদের ইটনির্মিত ঝুপড়ি ঘরগুলো আর পাশেই বাঙালিদের দন্ডায়মান সুউচ্চ ভবনগুলো দেখে আমার মনে পড়ে যায় প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক মানিক বন্দোপাধ্যায়ের ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ উপন্যাসের সেই বিখ্যাত উক্তি, ‘ঈশ্বর থাকেন ওই ভদ্র পল্লীতে, এখানে তাহাকে খুঁজিয়া পাওয়া যাইবে না।’ এ যেন ঠিক পদ্মাপারের সেই কেতুপুর গ্রাম। এখানেও দারিদ্র্য আর দুঃখ-শোকে কাটে অসংখ্য কুবের, মালা আর কপিলার নিত্যদিন। ক্যাম্প না বলে দান্তের নরক বলাই ভালো। অবর্ণনীয় পরিস্থিতির মধ্যে কোনো রকমে টিকে থাকা আরকি! পাশেই আছেন হোসেন মিয়ারা।
ইতিহাসবিদেরা বলেন যে, গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং বা নোয়াখালী ম্যাসাকারের পরও মুহম্মদ আলী জিন্নাহ ‘পাকিস্তান’ নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত ছিলেন না। কিন্তু বিহারের ভয়াবহ মুসলমানবিরোধী দাঙ্গার পরে তিনি আর দেরী করলেন না। মুসলমানদের রক্ষায় পাকিস্তান আদায় করলেন অনেকটা ত্বরিত গতিতেই। পরে অনেকবার, অনেক জায়গায় সখেদে তিনি বলেছেন যে, ‘বিহারের মুসলিম হত্যাকা-ই ভারত ভাগকে চূড়ান্ত করে দিল। পাকিস্তানের প্রয়োজনীয়তাও ব্রিটিশরাজ টের পেল।’ অথচ, সেই বিহার নিয়ে চর্চা এদেশে নিতান্তই কম।
ধর্মীয় জাতিসত্তার ভিত্তিতে ভারত বিভাজিত হলে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য হিসেবে বিহার ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়। ভারত বিভাগের সময় বিহারের তিন কোটিরও কিছু বেশি জনসংখ্যার মধ্যে ৪০ লক্ষাধিক ছিল মুসলিম। ’৪৬ সালে বিহারে ভয়াবহ হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় অন্তত ৫০ হাজার মুসলিম প্রাণ হারায়। বিহারের মুসলিমরা মূলত উর্দু ভাষাভাষী। পাকিস্তান সৃষ্টির পর প্রায় ৩০ লাখ বিহারি পাকিস্তানে পাড়ি জমান; যার মধ্যে ২০ লক্ষাধিক পশ্চিম পাকিস্তানে আর অবশিষ্ট ১০ লাখের কাছাকাছি পূর্ব পাকিস্তানে। পশ্চিম পাকিস্তানে যেসব বিহারি আবাসন গড়ে তোলে তাদের অধিকাংশই সিন্ধুর রাজধানী করাচিতে বসবাস করে এবং সেখানে তারা ‘মুহাজির’ হিসেবে পরিচিত।
পাকিস্তান সৃষ্টিতে বিহারের মুসলমানদের আত্মত্যাগ বিষয়ে মুহম্মদ আলী জিন্নাহ এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, ‘আমি প্রকৃতই বিহারের মুসলমানদের জন্য গর্ববোধ করি, যারা অনেক আত্মত্যাগ করেছেন, তাদের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না। পাকিস্তানের গন্তব্যকে তারা কাছাকাছি নিয়ে আসেন এবং এটি অর্জনে যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকেন।’ জিন্নাহ দক্ষ ও শিক্ষিত বিহারি মুসলমানদের পূর্ব পাকিস্তানে পুনর্বাসনের আহ্বান জানিয়ে নতুন দেশটি পরিচালনা ও গঠনে সহায়তা করার আবেদন জানান।
নিখিল ভারত মুসলিম লীগের পতাকাতলে ভারতের সকল ভাষার মুসলমানগণকে সীমাহীন ত্যাগ ও অবিরত সংগ্রামের মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত ও ঐক্যবদ্ধ করে ১৯৪৭ সালে মুহম্মদ আলী জিন্নাহ তাদের জাতীয় আবাসভূমি হিসেবে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বলাবাহুল্য যে, পৃথিবীতে অনেকগুলো মুসলিম দেশ থাকলেও পাকিস্তানই হচ্ছে একমাত্র দেশ, যা সৃষ্টি হয়েছিল মুসলিম জাতিসত্তার ভিত্তিতে। ভারতের বিহার, পশ্চিম বাংলা ও উত্তর প্রদেশের মতো মুসলিম সংখ্যালঘু এলাকার মুসলমানরা নিশ্চিতভাবে জানতো যে, তারা কখনোই পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে না, অথচ তারাও পাকিস্তান প্রতিষ্ঠায় শুধু ছেচল্লিশের নির্বাচনে নিজেদের ভোটই নয় বরং শ্রম, ঘাম, রক্ত এমনকি জীবনও বিলিয়ে দেয়। তাদের প্রত্যাশা ছিল যে, স্বতন্ত্র মুসলিম রাষ্ট্র গঠিত হলে সেখানে হিন্দুরা মুসলমানদের শোষন-পীড়ন করতে পারবে না। ভারতে সংখ্যালঘু মুসলমানরা হিন্দুদের দ্বারা নির্যাতিত হলে তাদের আশ্রয়গ্রহণের একটা জায়গা থাকবে। বলার অপেক্ষা রাখে না, মুসলমানদের জীবনের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছিল আজকের পাকিস্তান ও বাংলাদেশ। ইতিহাস বলে যে, পাকিস্তান প্রতিষ্ঠায় বর্তমান পাকিস্তানের নাগরিকদের পূূর্বপুরুষদের চেয়ে বর্তমান বাংলাদেশের মুসলমানদের পূর্বপুরুষদের অবদানই বেশি ছিল ।
ছেচল্লিশের দাঙ্গা ও সাতচল্লিশের ভারতভাগের ফলে বাংলাদেশ সংলগ্ন ভারতের বিহার, পশ্চিমবাংলা ও আসামসহ বিভিন্ন অঞ্চলের মুসলমানরা মুহাজির হিসেবে এদেশে আসলেও ভারতের চক্রান্তে ও শাসকগোষ্ঠীর ব্যর্থতায় ১৯৭১ সালে মুসলমানদের রক্তমূল্যে অর্জিত পাকিস্তান ভেঙ্গে যায়, অভ্যুদয় হয় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের। উল্লেখ্য বাহুল্য, মুহাজিররা সঙ্গতকারণেই একাত্তরে পাকিস্তানের অখ-তার পক্ষে দাঁড়ালে তাদেরকে এদশের বৃহৎ বাঙালি সমাজ প্রতিপক্ষ হিসেবে গণ্য করে। স্বাধীনতার পর স্বভাবতই তারা বিপন্ন হয়ে পড়ে। সেই বিপন্নতারর জের এখনো চলছে।
একটু পেছনে ফিরে দেখা যাক, ১৯৪৭ সালের ভারতভাগ যদি চূড়ান্ত পরিণতি হয়, তবে তার পিছনে কলকাতা, নোয়াখালী ও বিহারের ভয়াবহ দাঙ্গার ভূমিকা বিরাট। ভারতভাগ নিয়ে যেটুকু যা চর্চা করেছি, তাতে আমার অন্তত মনে হয়েছে, ’৪৭ সালে একটি স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র লাভের মধ্য দিয়ে আমাদের যা অর্জন বা প্রাপ্তি, তাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বিহারের মুসলমানেরা। দাঙ্গার ইতিহাসে বিহারের মতো এতো ব্যাপক, হিং¯্র ও নৃশংস গণহত্যা বিরল। কলকাতার দাঙ্গা ঘটে ’৪৬-এর ১৬ আগস্ট। নোয়াখালীতে দাঙ্গা শুরু হয় ১৯৪৬ সালের অক্টোবরে। তার অনেক আগে ১৯৪৬-এর এপ্রিলে শ্রীকৃষ্ণ শাহ বিহারের কংগ্রেস সরকারের প্রধান হিসেবে রাজ্যের কুরসিতে বসেন। তার দুই মাস বাদেই জুন থেকে গোটা বিহারে ইতস্তত বিক্ষিপ্ত দাঙ্গা শুরু হয়ে যায়। তারপর কলকাতা। তার প্রতিক্রিয়ায় নোয়াখালী। মনে রাখতে হবে, তখন বিহার অগ্নিগর্ভ হয়েই ছিল। বলা যেতে পারে যে, আগুনে ঘি পড়ে নোয়াখালীর দাঙ্গায়।
১৯৪৬ সালে কলকাতাভিত্তিক হিন্দু সংবাদপত্রগুলো নোয়াখালীতে ঘটে যাওয়া হিন্দু হত্যাকা-কে এতোটা ফলাও করে এবং ঘটনার সাথে কাল্পনিক গল্প জুড়ে দিয়ে এমনভাবে করে যে, এর ফলে বিহারের পাটনায় হিন্দুদের দ্বারা ব্যাপক নিধনের পটভূমি তৈরি হয়। নোয়াখালী যাত্রার আগে থেকেই গান্ধীজির কাছে খবর আসতে থাকে বিহারে দাঙ্গা শুরু হয়েছে। কিন্তু তখন তার ভূমিকা বদলে গেছে। কারণ বিহারে আক্রমণকারী হিন্দু আর আক্রান্ত মুসলমান। এখানে রক্তপাত হচ্ছে মুসলমানের, পূর্ব পুরুষের ভিটে থেকে উৎখাত হচ্ছে মুসলমান। বিহারের প্রবীণ কংগ্রেস নেতা ও মন্ত্রী ডা. সৈয়দ মাহমুদের লেখা বিবরণ থেকে মুসলমানদের উপর অবর্ণনীয় অত্যাচারের বৃত্তান্ত পড়ে গান্ধী ‘স্তম্ভিত’ হয়ে যান। মনে হয়,Happenings of Noakhali seemed to pale into insignificance. ডা. মাহমুদ অনুরোধ করেন, ‘গান্ধীজি নোয়াখালী ছেড়ে এবার বিহারে চলে আসুন ও বিহারি মুসলমানদের বাঁচান।’
শহীদ সোহরাওয়ার্দী তাঁর স্মৃতিকথায় লেখেন যে, ‘অমৃতবাজার পত্রিকা এবং কংগ্রেসের অন্যান্য পত্রিকা বঙ্গীয় প্রাদেশিক পরিষদের সম্পাদকের নামে অকস্মাৎ একটি বিবৃতি ছাপে যে, নোয়াখালীতে ৫০ হাজার হিন্দুকে হত্যা করা হয়েছে এবং অগণিত নারীকে অপহরণ করা হয়েছে। এ খবরে উত্তেজিত হয়ে যুক্ত প্রদেশের গারমুখতেশ্বারে হিন্দুরা মুসলিমদের লাঞ্ছিত করে এবং গণহত্যা চালায় এবং বিহার প্রদেশের সর্বত্র এক লাখ মুসলমান নারী, পুরুষ ও শিশুকে অবিশ্বাস্য বর্বরতার সঙ্গে হত্যা করা হয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয়। চারদিন ধরে বিহারের পল্লী অঞ্চলে হিন্দু দাঙ্গাকারীরা হত্যা, অগ্নি সংযোগ, লুটপাট, ধর্ষণ ও অঙ্গহানি করার মাধ্যমে ত্রাসের সঞ্চার করেছিল এবং স্পষ্টতই বেশ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করা হয় যে, এর পেছনে বিহার সরকার ও হিন্দু পুলিশ সদস্যদের মদদ ছিল।’ (মোহাম্মদ এইচ আর তালুকদার, ‘মেমেয়ারস অব হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী উইথ অ্যা ব্রিফ অ্যাকাউন্ট অব হিজ লাইফ এন্ড ওয়ার্ক’, ইউনিভাসির্টি প্রেস লিমিটেড, পৃষ্ঠা- ১০৫)।
একটা মিথ আছে যে, নোয়াখালীর হিন্দু হত্যার বদলা নিতেই বিহারের দাঙ্গা। অর্থাৎ নোয়াখালী না হলে বিহার শান্ত থাকত। ভাবটা হচ্ছে, তুমি আগে ঢিল মেরেছ, ফলে পাটকেল তো তোমাকে খেতেই হবে। পারস্পরিক দোষারোপ না করে ইতিহাসের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বলা যায়, কোনো না কোনো কারণে বিহার দাঙ্গা ঘটতোই। ফলে যা বলছিলাম যে ওই মিথ, যা ভারতের হিন্দুত্ববাদী ও এদেশীয় মুসলিম জাতিসত্তাবিরোধী রাজনীতির সযতেœ নির্মিত ‘বিহার, নোয়াখালীর প্রতিক্রিয়া,’ তা আদৌ সঠিক নয়। সর্বৈব মিথ্যে ধারণাটি বছরের পর বছর আমরা বিশ্বাস করে আসছি। প্রকৃতপক্ষে এই সবের মূলে ছিল উগ্র হিন্দুদের ভারতের মাটি থেকে মুসলমানদের সমূলে উৎপাটিত করে রামরাজত্ব কায়েম করার মতো সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা। সেই পরিকল্পনা মোতাবেক কলকাতা ও বিহারে মুসলমানদের উপরে চালানো হয় বর্বর ও ভয়াবহ গণহত্যা আর লুট করা হয় মুসলমানদের জমিজমা ও সম্পত্তি।
শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে গান্ধী দিল্লী থেকে নোয়াখালীর উদ্দ্যেশে যাত্রা শুরু করেন। কলকাতায় পৌঁছানোর পর তাকে বিহারের হত্যাযজ্ঞ সম্পর্কে অবগত করে একদল মুসলিম যুবক আগে সেখানে পরিদর্শন করার আহ্বান জানায়। গান্ধী তাদের আহ্বান প্রত্যাখান করেন এই যুক্তিতে যে, ‘তিনি যখন দিল্লী থেকে নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন, তখন বিহারে কোন দাঙ্গা ছিল না। সুতরাং মাঝপথে এসে তিনি পূর্বে মনঃস্থির করা গন্তব্য পরিবর্তন করতে পারবেন না।’
কমরুদ্দিন আহমদ এ বিষয়ে লেখেন যে, বিহার যাওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় মুসলিম যুবকরা মনে করেছিল গান্ধী বিশ্বের দৃষ্টি বিহারের হত্যাযজ্ঞ থেকে সরিয়ে নোয়াখালীর দিকে নিতে চাচ্ছেন। ফলে তারা পরোক্ষভাবে গান্ধীকে কপটতার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছিল। গান্ধী তাদের এই অভিযোগের উত্তরে স্মিতহাস্যে বলেছিলেন, ‘ইতিহাস ওই যুবকদের নয়, বরং আমার পদক্ষেপকেই মূল্যায়ন করবে।’ ১৯৪৬ সালের ১৪ নভেম্বর গান্ধী তার সেক্রেটারি মহাদেব দেশাই, নাতনী মুন্নি গান্ধী এবং পালিত নাতনী আভা গান্ধীকে নিয়ে নোয়াখালীর দত্তপাড়ায় পৌঁছান। সেখানে তিনি ‘বাংলার প্রাদেশিক সরকারের অতিথি’ হিসেবে অবস্থান করেন। (চলবে)।
লেখক: সাধারণ সম্পাদক, নবাব সলিমুল্লাহ একাডেমি, ঢাকা।
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ঢাকার বায়ুমানে উন্নতির কোনো লক্ষণ নেই, বিপজ্জনকের কাছাকাছি
উগ্রবাদী সন্ত্রাসী 'সাদ' পন্থীদের কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন
বাংলাদেশ সীমান্তে অত্যাধুনিক ড্রোন মোতায়েন ভারতের
নরসিংদীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে ছাত্রদলকর্মী নিহত
সিনেটে প্রার্থী হতে সরে দাঁড়ালেন লারা ট্রাম্প
আমাদেরকে আর স্বৈরাচার হতে দিয়েন না : পার্থ
মার্চের মধ্যে রাষ্ট্র-সংস্কার কাজ শেষ হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
জামালপুরে দুই ইজিবাইকের চাপায় সাংবাদিক নুরুল হকের মৃত্যু
বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাখাইনের সামরিক সদর দফতরের দখল নিয়েছে আরাকান আর্মি
ব্রাজিলে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৩২
নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়োগ সিরিয়ায়
ঘনকুয়াশায় ৩ ঘন্টা পর আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ফেরি সার্ভিস চালু
গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে
কনসার্ট মঞ্চে স্বৈরাচার হাসিনার বিচার দাবি
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ১৪ ফিলিস্তিনি
ঘনকুয়াশায় আরিচা-কাজিরহাট, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ
আওয়ামী লীগ যা করেছে, বিএনপি তার বিপরীত কাজ করে সুন্দর সমাজ গড়বে: ইয়াকুব চৌধুরী
রোমাঞ্চকর ম্যাচে বার্সাকে হারিয়ে শীর্ষে আতলেটিকো
জেসুসের জোড়া গোলের রাতে আর্সেনালের বড় জয়
বিলুপ্তির পথে মাটির ঘর