ইসলামের দৃষ্টিতে শ্রম ও শ্রমিকের মর্যাদা
১১ জুলাই ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৪, ১২:০৩ এএম
পূর্বে প্রকাশিতের পর)
শ্রমিকের গুণাবলী : ইসলাম মালিকের উপর অনেক দায়িত্ব যেমন অর্পণ করেছেন তদ্রুপ শ্রমিকের ওপরও আবশ্যক কিছু নিয়মনীতি আরোপ করেছে। যেমন আমানতদারিতা সংশ্লিষ্ট কাজের দক্ষতা ও যোগ্যতা, নিজের কাজ হিসেবে করা ইত্যাদি এ প্রসঙ্গে কুরআনুল কারীমের সে সুবিখ্যাত ঘটনা যখন হযরত শুআইব (আ:) তাঁর খামারের জন্য লোক খুঁজছিলেন, তখন তাঁর মেয়ে বলে দিলেন নিশ্চয় আপনি এমন লোক কাজে নিয়োগ দিবেন, যে দক্ষ ও বিশ্বস্ত। (সূরা: কাছাছ-২৬)
হযরত ইউসূফ (আ:) কে যখন মিশর স¤্রাট খাদ্য ও কৃষি বিভাগের দায়িত্ব দিতে চাইলেন, তখন তিনি বলে ছিলেন, নিশ্চয় আমি এ বিষয়ে প্রশিক্ষিত ও আমানতদার। (সূরা: ইউসুফ-৫৫)
শ্রমিকের অধিকার : একজন শ্রমিকের সবচেয়ে বড় অধিকার হলো, উপযুক্ত পারিশ্রমিক। ইসলাম দ্রততম সময়ে তা আদায়ের নির্দেশ দিয়েছে। রাসুল (সা:) বলেন, তোমরা শ্রমিককে তার শরীরের ঘাম শুকানোর আগেই পারিশ্রমিক দিয়ে দাও। (বায়হাকী, মিশকাত-২৮৭)
শ্রমিকের মজুরী পরিশোধ না করার শাস্তি: যারা শ্রমিকের মজুরী আদায়ে টালবাহানা করে তাদের ব্যাপারে মহানবী (সা:) বলেছেন- সামর্থবান ব্যক্তি পাওনা পরিশোধে গড়িমসি করা জুলুম বা অবিচার। (বুখারী) হাশরের দিনে জুলুম অন্ধকার রুপে আর্বিভূত হবে। (মুসলিম) যারা কাজ করিয়ে শ্রমিকের ন্যায্য পাওনা পরিশোধ না করে তাদের ব্যাপারে হাদীসে কুদসীতে আছে, আল্লাহ তা’আলা বলেন- কিয়ামতের দিন আমি তাদের বিরুদ্ধে থাকবো, যারা (১) বিশ্বাস ঘাতকতা করে (২) মানুষকে বিক্রি করে এবং ঐ ব্যক্তি যে কাউকে কাজে নিয়োগ করলো, সে তার কাজ পূরণ করলো, কিন্তু সে তার ন্যায্য মজুরী দিল না (বুখারী) হাদীস শরীফে আরো আছে: যদি কেউ কারো ন্যায্য পাওনা অস্বীকার করে, আল্লাহ তা’আলা তার উপর বেহেশত হারাম করে দেন। (মুসলিম)
শ্রমিকের বিপদে পাশে থাকা : শ্রমিক ও শ্রমজীবী মানুষের প্রাপ্য অধিকার প্রদানে ইসলাম কঠোর নির্দেশ দিয়েছে। এ ছাড়া দুর্যোগ ও দুর্দিনে তাদের পাশে দাঁড়ানোর কথা বলেছে। প্রধানত এ দায়িত্ব নিয়োগদাতা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের এরপর রাষ্ট্র ও সমাজের ।
সময়মতো বেতনভাতা পরিশোধ করা : বেতন ও পারিশ্রমিক কর্মজীবীর অধিকার। ইসলাম দ্রুততম সময়ে তা আদায়ের নির্দেশ দিয়েছে। রাসুল (সা:) বলেছেন, ঘাম শুকানোর আগেই শ্রমিকের পারিশ্রমিক দিয়ে দাও। (ইবনে মাজহা-২৪৪৩০) ঠুকনো অজুহাতে বেতন ভাতা ও প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা আরও ভয়ংকর অপরাধ। এ ব্যাপারে রাসুল (সা:) সতর্ক বানী উচ্চারণ করে বলেছেন, যে জাতির দুর্বল লোকের জোর জবরদস্তি ছাড়া তাদের পাওনা আদায় করতে পারে না, সে জাতি কখনও পবিত্র হতে পারে না। (ইবনে মাজহ-২৪২৬) পরিশেষে বলা যায় যে, ইসলাম শ্রম ও শ্রমিকের মর্যাদা যথাযথ প্রদান করেছে। আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে বুঝার তাওফিক দান করুন, আমীন।
লেখক: শিক্ষাবিদ, ইসলামী গবেষক, কলামিষ্ট।
বিভাগ : ধর্ম দর্শন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
রোমাঞ্চকর ম্যাচে বার্সাকে হারিয়ে শীর্ষে আতলেটিকো
জেসুসের জোড়া গোলের রাতে আর্সেনালের বড় জয়
বিলুপ্তির পথে মাটির ঘর
চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
প্রতিবন্ধী স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ
কেরু চিনিকলে আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন
বিহারিরা কেমন আছে
লক্ষ্মীপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি
আসাদ সরকারের পতন : নতুন সিরিয়ায় ইসরাইলি আগ্রাসন
মেটলাইফ বাংলাদেশের গ্রাহকরা ডিসকাউন্ট পাবেন ওশান প্যারাডাইস হোটেলস ও রিসোর্টে
১৫ নারী ও শিশুকে হস্তান্তর
আবাসন ও গার্মেন্ট খাতের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে
মেহেরপুরে বেড়েছে গরম কাপড় বিক্রি
কাশিয়ানীর হাট-বাজার নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব
অ্যানুয়াল বিজনেস কন্টিনিউয়িটি প্ল্যান ড্রিল ২০২৪ আয়োজন করলো ব্র্যাক ব্যাংক
সমস্যায় জর্জরিত আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
সবুজ গালিচায় হলুদের সমারোহ
আখাউড়ায় ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
নিউ ইয়র্কের আদালতে অভিযুক্ত লুইজি
কিউবায় সমাবেশ