জহির উদ্দীন বাবর : দিগি¦জয়ের বাঘ-১৪
৩০ মার্চ ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৪, ১২:০৩ এএম
এরপর ব্রিটিশদের প্রত্যাশিত পথ ধরেই হিন্দুত্বাদীরা রামমন্দির ফিরে পেতে আন্দোলন শুরু করলো। হিন্দু-মুসলিম রক্তারক্তি ঘটতে থাকলো, যা অতীতে ছিলো অভাবনীয়। তারপরের ঘটনাচক্র হলো ১৮৮৫ সালে ফৈজাবাদ জেলা আদালতে বাবরি মসজিদের বাইরে চাঁদোয়া টাঙানোর আবেদন জানান মহান্ত রঘুবর দাস। আদালতে আবেদন নাকচ হয়ে যায়। ১৯৪৯ সালের ২ ডিসেম্বর বিতর্কিত ধাঁচার মূল গম্বুজের মধ্যে নিয়ে আসা হল রাম লালার মূর্তি। পরমহংস রামচন্দ্র দাস নামক দিগম্বর আখড়ার এক তরুণ মহন্তকে দিয়ে মূর্তিটি সেখানে নেওয়ার বন্দোবস্ত করেন ফয়জাবাদের তখনকার জেলাপ্রশাসক কে ডি নায়ার। সেদিন সকাল সাড়ে দশটায় তিনি উত্তরপ্রদেশের তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী গোবিন্দবল্লভ পন্থ রাজ্যের মুখ্য সচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে এক বেতারবার্তায় জানান, ২২ ডিসেম্বর রাতে যখন মসজিদ জনশূন্য ছিল, কয়েকজন হিন্দু তখন মসজিদে মূর্তি রেখে গেছে। রাতে যে ১৫ জন পুলিশ পাহারায় ছিল তাঁরা এই কাজে বাধা দেয়নি।’
পাহারাদার পুলিশ অফিসার মিডিয়াকে জানালেন, ‘আকাশপথে আলোর ঝর্ণাধারায় নেমে আসে রামলালার মূর্তি এবং মসজিদের ছাদ ভেদ করে ভিতরে ঢুকে পড়ে।’
১৯৫০ সালে রামলালার মূর্তিগুলোর পূজার অধিকারের আবেদন জানিয়ে ফৈজাবাদ জেলা আদালতে আবেদন করলেন গোপাল শিমলা বিশারদ।
১৯৫০ সালে মূর্তি রেখে দেয়ার এবং পূজা চালিয়ে যাওয়ার জন্য মামলা করলেন পরমহংস রামচন্দ্র দাস।
১৯৫৯ সালে ওই স্থানের অধিকার চেয়ে মামলা করল নির্মোহী আখড়া।
১৯৬১ সালে একই দাবি জানিয়ে মামলা করল সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড।
১৯৮৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় আদালত সরকারকে নির্দেশ দেয়, হিন্দু তীর্থযাত্রীদের প্রবেশাধিকার দিতে। সে সময়ে রাজীব গান্ধী ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
অযোধ্যা রামজন্মভূমির রামলালা বিরাজমনের নিকট বন্ধু তথা এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি দেবকী নন্দন আগরওয়ালের মাধ্যমে মামলা দায়ের করে।
১৯৮৯ সালের ১৪ আগস্ট এলাহাবাদ হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, বিতর্কিত স্থানে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে হবে।
১৯৯০ সালের ২৫ ডিসেম্বর বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদভানি গুজরাটের সোমনাথ থেকে রথযাত্রা শুরু করেন।
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর করসেবকরা বাবরি মসজিদ গুঁড়িয়ে দেয়। (সমাপ্ত)
বিভাগ : বিশেষ প্রতিবেদন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
পাঠাগার ছেড়ে মাঠে বই পড়ে পুরষ্কার পেলেন ১২ শিক্ষার্থী
সিলেটে প্রতিদিন উৎপাদন ৪ লাখ, ঘাটতি রয়েছে ২৫ লাখ ডিমের
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রহস্যজনক লুকোচুরি
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বিশাল শোভাযাত্রা করলো সিলেট স্বেচ্ছাসেবক লীগ
নানা চ্যালেঞ্জ নিয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব দায়িত্ব নিচ্ছেন
জাবিতে নিয়োগ বোর্ড ঘিরে ছাত্রলীগের 'শোডাউন', চাপে ভিসি!
আশুলিয়ায় ২৪ ঘন্টায় ছয় জনের মরদেহ উদ্ধার
ফায়ার সার্ভিস ও আবহাওয়া অধিদপ্তরকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ স্থায়ী কমিটির
বিএনপি তাদের শাসনামলে পাকিস্তানের দালাল হয়ে জনগণকে শোষন ও অত্যাচার করত-আইনমন্ত্রী
সোনালী আঁশ পাটের সুদিন ফিরিয়ে আনতে চাই : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী
আখাউড়ায় শঙ্কায় থাকা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর আকুতি
বসুন্ধরায় নান্দনিক বানিজ্যিক ভবন নির্মাণ করছে জেসিএক্স
প্রিমিয়ার লিগের মৌসুম সেরা খেলোয়াড় ফিল ফোডেন
স্মার্ট দেশ উপহার দিতে নিরন্তর কাজ করছে সরকার : পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী
যে কোন মূল্যে জীবন দিয়ে দেশ বিরোধী অপশক্তিকে মোকাবেলা করবো : নাছিম
দালালীকে পেশা হিসাবে নেওয়া প্রসঙ্গে।
ইসলামী আন্দোলনের নেতা অধ্যাপক বেলায়েত হোসেনের দাফন সম্পন্ন
সুনামগঞ্জে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামের দাফন সম্পন্ন
যক্ষা রোগ প্রতিরোধে ওয়ার্ডভিত্তিক প্রচারণা
ভালুকার সেই শিশু দত্তক নিতে ৪ আবেদন, সিদ্ধান্ত রোববার