শায়খ নাসির উদ্দীন মাহমুদ চেরাগ-ই-দেহলভী-৩
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৮ এএম | আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৮ এএম

শায়খ নাসির উদ্দীন মাহমুদ চেরাগ-ই-দেহলভীর (রহ.) সর্বশক্তিমান আল্লাহর ভালবাসার খাতিরে, আসরের নামাজের পর পাঁচবার সূরা আম পাঠ করতেন। চোখের জ্যোতির জন্য: তিনি, এশার নামাযের পর দুই রাকাতে সূরা ফাতিহার পর তিনবার ইন্না আয়তানা পাঠ করতেন। তিনি বলেন, ‘দরিদ্রের পুঁজি হলো মুজাহাদা (সাধনা), তাও আন্তরিক চিত্তে, সৃষ্টির উদ্দেশ্য তাকে একজন উপাসক, তপস্বী, সাহেব-ই-মুজাহাদা হিসেবে জানার জন্য নয়, বরং এই মুজাহাদা বিশেষভাবে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এবং যখন মুজাহাদা আন্তরিক হবে, তখন তা ফলপ্রসূ হবে এবং আল্লাহ তাকে তার গন্তব্যে নিয়ে যাবেন, বালিগ হওয়ার পর থেকে মৃত্যু অবধি তিনি কখনও ফরজ নামাজ কাজা করেননি।’
খাজা নাসির উদ্দীন মাহমুদ চেরাগ-ই-দেহলভী (রহ.) বলেন, আল্লাহর প্রতি মানুষের চারটি বাধ্যবাধকতা রয়েছে এবং তার উচিত সেগুলি পূরণ করার জন্য আন্তরিকভাবে এবং তার সর্বোত্তম সাধ্যমত চেষ্টা করা :
১. হক-ই-তাকওয়া অর্থাৎ আল্লাহকে যেমন ভয় করা উচিত, তেমনি ভয় করার বাধ্যবাধকতা;
২. হক-ই-ইবাদাত অর্থাৎ তাঁর ইবাদত করার বাধ্যবাধকতা যেমন তাঁর উপাসনা করা উচিত;
৩. হক-ই-তিলাওয়াত অর্থাৎ কুরআন অধ্যয়ন করার বাধ্যবাধকতা যেমন তেলাওয়াত করা উচিত এবং
৪. হক-ই-মারিফাত অর্থাৎ আধ্যাত্মিক জ্ঞান অর্জনের জন্য প্রচেষ্টা করা বাধ্যতামূলক।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, একজন মানুষের কর্মের উদ্দেশ্য হতে হবে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অন্বেষণ করা। ঐশ্বরিক অনুমোদন দ্বারা নির্ধারিত বিষয়গুলো মেনে চলা এবং যা তিনি নিষেধ করেছেন তা থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকা। আল্লাহ প্রেমের পথ হলো দুর্ভাগ্য ও কষ্টের মধ্য দিয়ে, যা প্রয়োজন তা হল আদর্শের প্রতি পূর্ণ নিবেদন। কারণ এক মুহূর্তের অবহেলা কখনো কখনো মানুষকে তার লক্ষ্য থেকে দূরে নিয়ে যায়। যখন একজন মানুষ আধ্যাত্মিক অনুশাসন গ্রহণ করে, তখন তাকে তার মাথা কামানো এবং তার হাতা ছোট করতে হয়। এগুলো তাঁকে উপলব্ধি করার জন্য তাঁর সমস্ত কিছু দেওয়ার এবং অন্যদের সামনে হাত প্রসারিত করা বা অবাঞ্ছিত স্থান পরিদর্শন থেকে বিরত থাকা তাঁর সংকল্পের প্রতীক। চিন্তায়, কথায় এবং কাজে নবী (সা.)-কে অনুসরণ না করে আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা গড়ে উঠতে পারে না। প্রেম তিন প্রকার:
১. মহব্বত-ই-ইসলাম অর্থাৎ প্রেম যা ইসলামে ধর্মান্তরিত একজন নতুন ধর্মান্তরিত হওয়ার কারণে আল্লাহর জন্য তার বিশ্বাসে রূপান্তরিত হয়।
২. মহব্বত-ই-মুওয়াহিবি অর্থাৎ ভালোবাসা, যা একজন মানুষ তার নবী (সা.)-কে অনুসরণ করার প্রচেষ্টার ফলে গড়ে ওঠে।
৩. মহব্বত-ই-খাস অর্থাৎ প্রেম, যা মহাজাগতিক আবেগের ফল।
বিভাগ : বিশেষ প্রতিবেদন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

এক অজু দিয়ে আসর মাগরিব ও এশার নামাজ পড়া প্রসঙ্গে?

আন্তঃধর্মীয় সংলাপের গুরুত্ব

ভেজালের দৌরাত্ম্য

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন না হলে দেশে স্বৈরাচারী শাসক তৈরি হতেই থাকবে ; অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপ ও ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে অস্বস্তি

মেঘনা আলমের আটকাদেশ : সরকারের সঠিক সিদ্ধান্ত

সংক্ষিপ্ত বিশ্বসংবাদ

দিল্লিতে ধূলোঝড়ের তাণ্ডবে ২শ’ ফ্লাইট বিঘ্ন

আল-আকসার ইমামকে ৭ দিনের নিষেধাজ্ঞা ইসরাইলের

পর্যটকদের কাছে টিকিট বিক্রি ইসরাইলের

ইউক্রেনকে রেকর্ড ২১ বিলিয়ন ইউরো সামরিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি মিত্রদের

মার্কিন শুল্ক বিরোধ মোকাবিলায় প্রতিবেশী দেশে নজর চীনের

জনসংখ্যা হ্রাস রোধে হাইস্পিড রেললাইন

১৭ ঘণ্টা পর আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট চালু

হাজার সেনা বরখাস্ত করেছে ইসরাইল

যুক্তরাষ্ট্রে ডিমের দামে সংকটে সাধারণ মানুষ

পশ্চিমবঙ্গে বিক্ষোভ চলছেই মোদির কুশপুতুল দাহ

তহবিলের অভাবে শ’ শ’ কর্মী ছাঁটাই করছে ওচা

পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করলে চরম মূল্য দিতে হবে ইরানকে : ট্রাম্প

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম, নতুন রেকর্ড