শের শাহ শুরি : প্রজ্ঞার প্রতাপ-১
২১ জুন ২০২৪, ১২:১৯ এএম | আপডেট: ২১ জুন ২০২৪, ১২:৩০ এএম

শাসক শের শাহর খ্যাতির নিচে তলিয়ে গেছে তার আসল নাম। মা-বাবা তার নাম রেখেছিলেন ফরিদুদ্দীন খান। সেনাপতি ও শাসক হিসেবে প্রথমে তিনি ছিলেন শের খান। ১৫৪০ খ্রিষ্টাব্দে সম্রাট হুমাযূনকে পরাজিত করার পরে তিনি হলেন ‘শের শাহ শুরি’।
যেহেতু তিনি পশতুন শুর উপজাতি থেকে এসেছিলেন, তাই তার উপাধী শুরী। ফার্সি ভাষায় শের কথাটির মানে সিংহ বা বাঘ। উপাধিটি তিনি লাভ করেন অসাধারণ সাহসের জন্য। যুবক ফরিদ একটি বাঘকে হত্যা করেছিলেন, যেটি হঠাৎ বিহারের গভর্নর বাহার খান লোহানীর ওপর লাফিয়ে পড়েছিল।
তার দাদা ও বাবা ছিলেন সামন্তপ্রভু। ছোট্ট জায়গীর ছিল তাদের। তার দাদা ইব্রাহিম খান শুর ঘোড়া ব্যবসায়ী হিসাবে শুরু করেছিলেন, এক পর্যায়ে নার্নৌল এলাকায় (বর্তমান হরিয়ানা) জমিদারি লাভ করেন। তার পৃষ্ঠপোষক জামাল খান লোদি তাকে হিসার ফিরোজায় কয়েকটি গ্রাম অর্পণ করেছিলেন। শের শাহের পিতা হাসান খান শুর জামাল খানের চাকরিতে প্রবেশ করেন। ১৪৯৪ সালে, জামাল খান পদোন্নতি লাভ করেন এবং তারপর সিকান্দার খান লোদি বিহারে প্রতিষ্ঠিত হন। জামাল খানের আদেশে সিকান্দার খান হাসানকে বিহারের খোয়াসপুর, সাসারাম এবং হাজিপুরের জমিদারি দেন।
হাসান খান শুরের ছিলেন চার স্ত্রী। প্রত্যেকের দু‘টি করে আট সন্তান। ফরিদ খান সবার বড়, সবচেয়ে যোগ্য। শুধুমাত্র নিজাম খা ছিলেন শেরশাহের সহোদর ভাই। চতুর্থ স্ত্রী তাদের সহ্য করতে পারতেন না। তিনি ছিলেন নিষ্ঠুর। কিন্তু হাসান খান সেই স্ত্রীর প্রভাব থেকে বের হতে পারতেন না। ফলে পিতার বিরাগভাজন হন ফরিদ। পিতা-পুত্রের দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। পারিবারিক কলহের কারণে ফরিদকে বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতে হয়। তিনি জৌনপুরে শিক্ষা লাভ করেন এবং নিজেকে আরো দক্ষ করে তোলেন। অবশেষে বাবার তরফে জমিদারির ব্যবস্থাপক পদের প্রস্তাব পান তিনি। এর মধ্য দিয়ে তার ক্ষমতার উত্থান শুরু। পিতার অঞ্চলগুলিকে শাসন করতেন তিনি। সেখানে আনেন বহুবিধ সংস্কার। যা তাকে খ্যাতি দিয়েছিলো এবং এই অঞ্চল সমৃদ্ধি দেখেছিল। পারিবারিক চক্রান্ত চলমান ছিলো। ফরিদ খান জায়গিরদারের কাছে তার অবস্থান ছেড়ে যান এবং আগ্রা চলে যান। পিতার মৃত্যু অবধি তিনি সেখানেই ছিলেন।
মুগলরা তখন আগ্রার শাসনগ্রহণ করছেন। ফরিদ খান আগ্রায় অবস্থান করে পরিবর্তনগুলোকে খুব কাছ থেকে পাঠ করতে লাগলেন। বাবরের অধীনে মুগলদের নেতৃত্ব গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। সম্রাট বাবরের নজর পড়েছিলো শের শাহের প্রতি। তিনি দেখেছিলেন তার মধ্যে বিশেষ কিছু, যা মুগল ক্ষমতাকে হুমকিতে ফেলে দেবে।
বিভাগ : বিশেষ প্রতিবেদন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

এক অজু দিয়ে আসর মাগরিব ও এশার নামাজ পড়া প্রসঙ্গে?

আন্তঃধর্মীয় সংলাপের গুরুত্ব

ভেজালের দৌরাত্ম্য

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন না হলে দেশে স্বৈরাচারী শাসক তৈরি হতেই থাকবে ; অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপ ও ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে অস্বস্তি

মেঘনা আলমের আটকাদেশ : সরকারের সঠিক সিদ্ধান্ত

সংক্ষিপ্ত বিশ্বসংবাদ

দিল্লিতে ধূলোঝড়ের তাণ্ডবে ২শ’ ফ্লাইট বিঘ্ন

আল-আকসার ইমামকে ৭ দিনের নিষেধাজ্ঞা ইসরাইলের

পর্যটকদের কাছে টিকিট বিক্রি ইসরাইলের

ইউক্রেনকে রেকর্ড ২১ বিলিয়ন ইউরো সামরিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি মিত্রদের

মার্কিন শুল্ক বিরোধ মোকাবিলায় প্রতিবেশী দেশে নজর চীনের

জনসংখ্যা হ্রাস রোধে হাইস্পিড রেললাইন

১৭ ঘণ্টা পর আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট চালু

হাজার সেনা বরখাস্ত করেছে ইসরাইল

যুক্তরাষ্ট্রে ডিমের দামে সংকটে সাধারণ মানুষ

পশ্চিমবঙ্গে বিক্ষোভ চলছেই মোদির কুশপুতুল দাহ

তহবিলের অভাবে শ’ শ’ কর্মী ছাঁটাই করছে ওচা

পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করলে চরম মূল্য দিতে হবে ইরানকে : ট্রাম্প

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম, নতুন রেকর্ড