শের শাহ শুরি : প্রজ্ঞার প্রতাপ-৪
২৯ জুন ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ২৯ জুন ২০২৪, ১২:০২ এএম
রাস্তাগুলো তৈরি হয়েছিলো এমন শৃঙ্খলায়, যার ফলে দূরবর্তী গ্রাম-গঞ্জেও নিয়ন্ত্রণ জারি রাখা সহজ হয়। সড়ক-ই আজম (মহারাজপথ) ছিলো তার বৃহত্তর যোগাযোগ প্রকল্প, যার পশ্চিম প্রান্তে ছিলো সিন্ধু নদী, আর পূর্বে ছিলো নারায়ণগঞ্জের সোনার গাঁ। তিন হাজার মাইল দীর্ঘ এই মহাসড়কের দু’পাশে ছিল ছায়াদানকারী বৃক্ষশ্রেণি। ব্রিটিশরা এই রাস্তার নাম দেয় গ্রান্ডট্রাঙ্ক রোড। শের শাহের আরেক বৃহত্তর যোগাযোগ প্রকল্প ছিলো আগ্রা-যোধপুর ও চিতোর সড়ক, যার মাধ্যমে দিল্লী-আগ্রা ও গুজরাটের সমুদ্র বন্দরগুলো সংযুক্ত হয়। তৃতীয় বড় প্রকল্প ছিলো লাহোর ও মুলতান থেকে মধ্য এশিয়া অবধি আন্তঃসীমান্ত সংযোগ সড়ক। এসব বিশ্বরোড কেবল নির্মিত হয়নি, বরং তার নিরাপত্তাও নিশ্চিত করে সরকার।
যাত্রীরা যাতে খাবার-পানীয় ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণ পেতে পারে, তাও নিশ্চিত করা হয়। প্রতি চার মাইল পরে তৈরি করা হয় সুরম্য সরাইখানা। যেখানে ছিলো রাত্রি যাপনের উন্নত ব্যবস্থা। হিন্দু ও মুসলিম যাত্রীদের আলাদা ভবন। সেখানে মসজিদ ও মন্দিরের ব্যবস্থাও ছিল। এমনকি উভয় সম্প্রদায়ের যার যার নিয়মে খাবারের ব্যবস্থা করার জন্য পৃথক মুসলিম ও ব্রাহ্মণ রাঁধুনি নিয়োগ দেওয়া হয়। হিন্দুদের বিভিন্ন সম্প্রদায় ও বর্ণের খাদ্যনিয়মের প্রতি খেয়াল রেখে প্রত্যেকের জন্য থাকতো নিজস্ব ব্যবস্থা। কিন্তু এই খাবারের জন্য কারো থেকে কোনো অর্থ নেওয়া হতো না। সরকারি খরচে কেবল খাবার দেওয়া হতো, তা নয়, বরং ঘোড়া, উট, গাধা এমনকি হাতির খাবারের ব্যবস্থাও ছিল। এটা জানাচ্ছেন ঐতিহাসিক আব্বাস খান শেরওয়ানী। প্রত্যেক সরাইখানায় থাকতেন প্রহরী বা শাহনা, যার কাজ ছিলো নিরাপত্তার দেখভাল করা।
শের শাহের বৃহত্তর সরাই ছিলো প্রচুর। শেরওয়ানী ১৭০০ সরাইয়ের বিবরণ দিয়েছেন, যা ছিলো অত্যন্ত মজবুত, সুরম্য, নিরাপদ ও সুবিধাবিস্তারী। সরাইগুলোকে ঘিরে গড়ে উঠে নতুন বাজার ব্যবস্থা। কৃষকরা নিজেদের কৃষিপণ্য নিয়ে আসতো, শ্রমিকরা আসতো উৎপাদিত জিনিস বিক্রয়ের জন্য। সরাইগুলো পরে হয়ে উঠে মাণ্ডি বা বাজার। ব্যবসা-বাণিজ্যের নিরাপদ কেন্দ্র হিসেবে এগুলো অর্থনৈতিক বিকাশের নতুন পথ খুলে দেয়।
বিভাগ : বিশেষ প্রতিবেদন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্র বৈঠক, হাসিনাকে ফেরানো নিয়ে আলোচনা থাকবে
রামু সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত
এক সপ্তাহে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ল ৬ কোটি ১০ লাখ ডলার
প্রবাসীদের যে জন্য সুখবর দিলো মালয়েশিয়া
জাবি শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় মামলা, তদন্ত কমিটি গঠন, ফটকে তালা, মশাল মিছিল
মাদকের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে থাকবে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল
"নতুন সিনেমা নিয়ে ফিরছেন গ্লোবাল তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি"
ড. ইউনূসকে নিয়ে খালেদা জিয়ার পুরোনো যে বক্তব্য ভাইরাল
নতুন নির্বাচন কমিশনের প্রতি ইসলামী আন্দোলনের শুভ কামনা
আলোচনায় ফ্যাসিস্ট হাসিনার ‘টুস করে ফেলে দেয়ার’ হুমকি
দীর্ঘ ১৫ বছর সাংবাদিকরা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে পারেনি: খোকন
'ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে রয়েছে অভিনেতা তারিক আনাম খানের নাটক'
বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান
ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বোর্ড অব গভর্নর সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সম্বর্ধনা
সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সংবর্ধনা
লালমোহনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত যুবদল নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু
চকরিয়ার বিএনপি নেতা আবু তাহের চৌধুরীর মৃত্যুতে সালাহউদ্দিন আহমদ ও হাসিনা আহমদের শোক
উইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
বেইজিং সংস্কৃতি ও পর্যটন ব্যুরো ও আটাবের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ