শের শাহ শুরি : প্রজ্ঞার প্রতাপ-৫
০৫ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম | আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম

এর সাথে যুক্ত ছিলো ডাকচৌকী। প্রত্যেক সরাইয়ে থাকতো কিছু ঘোড়া ও ঘোড়সওয়ার, যারা এক সরাই থেকে আরেক সরাইয়ে নিয়ে যেতো চিঠি-পত্র। সেখান থেকে গ্রামে-গঞ্জে তা মানুষের হাতে হাতে পৌঁছে যেতো। শের শাহ এভাবে ডাক ব্যবস্থা গড়ে তোলেন এবং ডাকঘরের চল প্রতিষ্ঠা করেন উপমহাদেশে।
জননিরাপত্তা ছিলো শের শাহের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। জননিরাপত্তার দায়িত্ব কেবল সরকারের নয়, সমাজকেও এর সাথে যুক্ত করেন শের শাহ। পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে করেন মজবুত। গ্রামপ্রধান নিয়োগ দেওয়া ও নির্বাচন করা হতো। এতে গ্রাম ও প্রশাসনের যৌথতা থাকতো। গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানকে বলা হতো মুকাদ্দাম। তিনি সামাজিক শক্তিকে ব্যবহার করতেন জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। পথচারী, বাণিজ্যকাফেলা, পণ্যবাহী বাহন, পশু, ফল-ফসল, গ্রাম্য বাজার ও দোকান ইত্যাদির সুরক্ষায় ভূমিকা থাকতো তাদের। জমিদার ও মুকাদ্দমদের সহায়তা করতো প্রশাসন। প্রত্যেকের এলাকা ও দায়িত্ব নির্ধারিত ছিলো। এই সীমানার ভেতরে কোনো নিরাপত্তাহানির ঘটনা ঘটলে জমিদার ও মুকাদ্দমগণ দায়ী। নিরাপত্তা বিনষ্টে জড়িতদের গ্রেফতারের দায়িত্ব তাদের। যদি তারা কাজটি না করতে পারতো, তাহলে তাদের শাস্তি পেতে হতো। বিষয়টি কঠোর বটে, কিন্তু এর ফলে অপরাধের পরিমাণ নেমে এসেছিলো নি¤œতম মাত্রায়। জননিরাপত্তা হয়েছিলো অবাধ ও নির্বিঘœ।
এমনকি বেওয়ারিশ কোনো সম্পদ কোথাও পড়ে থাকলে হাত দেওয়া যাবে না তাতে। পণ্য বিক্রিতে যথেচ্ছ দাম বৃদ্ধির সুযোগ ছিল না আদৌ। বাজার তদারকির কর্তা ছিলেন। তিনি পাকড়াও করতেন এবং সব অপরাধেই শাস্তি হতো।
বহু সরকারে বিভাজিত সাম্রাজ্যের সর্বত্র ছিল চেইন অব কমান্ড। প্রতিটি সরকারে ছিলেন প্রশাসনিক কর্তা। উচ্চতর কর্তা হলেন ‘শিকদার-ই-শিকদারান’ (মুখ্য শিকদার) ও ‘মুন্সিফ-ই-মুন্সিফান’ (মুখ্য মুন্সিফ)। তাদের অধীনে কাজ করতেন বহু শিকদার, আমিন, মুন্সিফ, কারকুন, পাটোয়ারী, চৌধুরী ও মুকাদ্দাম। এরা সরকারসমূহের কাছে জবাবদিহি করতেন এবং অধিনস্ত পরগনার কর্মকর্তাদের থেকে জবাবদিহি নিতেন। তৃণমূল অবধি এই প্রশাসন ব্যবস্থা সঠিকভাবে কাজ করছে কি না, তা তদারকি করতেন স্বয়ং শের শাহ।
বিভাগ : বিশেষ প্রতিবেদন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

এক অজু দিয়ে আসর মাগরিব ও এশার নামাজ পড়া প্রসঙ্গে?

আন্তঃধর্মীয় সংলাপের গুরুত্ব

ভেজালের দৌরাত্ম্য

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন না হলে দেশে স্বৈরাচারী শাসক তৈরি হতেই থাকবে ; অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপ ও ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে অস্বস্তি

মেঘনা আলমের আটকাদেশ : সরকারের সঠিক সিদ্ধান্ত

সংক্ষিপ্ত বিশ্বসংবাদ

দিল্লিতে ধূলোঝড়ের তাণ্ডবে ২শ’ ফ্লাইট বিঘ্ন

আল-আকসার ইমামকে ৭ দিনের নিষেধাজ্ঞা ইসরাইলের

পর্যটকদের কাছে টিকিট বিক্রি ইসরাইলের

ইউক্রেনকে রেকর্ড ২১ বিলিয়ন ইউরো সামরিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি মিত্রদের

মার্কিন শুল্ক বিরোধ মোকাবিলায় প্রতিবেশী দেশে নজর চীনের

জনসংখ্যা হ্রাস রোধে হাইস্পিড রেললাইন

১৭ ঘণ্টা পর আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট চালু

হাজার সেনা বরখাস্ত করেছে ইসরাইল

যুক্তরাষ্ট্রে ডিমের দামে সংকটে সাধারণ মানুষ

পশ্চিমবঙ্গে বিক্ষোভ চলছেই মোদির কুশপুতুল দাহ

তহবিলের অভাবে শ’ শ’ কর্মী ছাঁটাই করছে ওচা

পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করলে চরম মূল্য দিতে হবে ইরানকে : ট্রাম্প

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম, নতুন রেকর্ড