শের শাহ শুরি : প্রজ্ঞার প্রতাপ-৭
১২ জুলাই ২০২৪, ১২:০১ এএম | আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৪, ১২:০১ এএম
অত্যন্ত শক্তিশালী এবং সুশৃঙ্খল সেনাবাহিনী বিন্যস্ত করেন শের শাহ। সেনাবাহিনীর পদায়ন, আনুগত্য, চেইন অব কমান্ড এবং কাজকর্মের তদারকি নিশ্চিত করেন। সেনাদের তিনি মোতায়েন করেন দেশের নানা প্রান্তে, শহরে ও জনপদে। সেখানে তৈরি হতো উন্নত সেনানিবাস। সেনানিবাসের কর্তা হতেন একজন ফৌজদার। এই সেনাশৃঙ্খলা প্রবর্তনের পথ রচনা করেন সম্রাট আলাউদ্দিন। রাজধানীকে অনিরাপদ রাখার বিপদ নিয়ে সচেতন ছিলেন শের শাহ। সম্রাটের অধীনে তাই সবল, বিশাল একটি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকতো। সেখানে পদাতিক পঁচিশ হাজার আর অশ্বারোহী দেড় লক্ষ সৈন্য থাকতো।
বিচ্ছিন্ন-বিভক্ত নানা অঞ্চলে ডাকাতি ছিলো ভারতের পুরনো সমস্যা। বিশেষত জঙ্গল ছিলো ডাকাতদের অভয়ারণ্য। তাদের সাথে যুদ্ধ ছিলো নিত্যনৈমিত্তিক। ছোটখাট বিদ্রোহ, আঞ্চলিক শক্তির হুমকি ইত্যাদির সাথেও লড়াই ছিলো চলমান। যুদ্ধ হতো তীব্র। কৌশলে সম্রাট ছিলেন অগ্রণী। কিন্তু জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা সকল কৌশলের বড় কৌশল। সেনাবাহিনীর যুদ্ধযাত্রার ফলে ফসল বা সম্পত্তির ক্ষতি হলে অবশ্যই ক্ষতিপূরণ করা হতো এবং তা সরাসরি শের শাহের রাজতহবিল থেকে।
তথ্য সংরক্ষণের উপর শের শাহের ছিলো বিশেষ দৃষ্টি। সেনাবাহিনীর সদস্যদের নাম ও কর্মকা-ের রিপোর্ট তো থাকতে হবেই, সাথে সাথে সংরক্ষিত হবে সকলের দৈহিক বিবরণ। এই ব্যবস্থার নাম হলো হুলিয়া।
সেনাবাহিনীতে ছিলো ঘোড়া ও হাতি। যাদের সংখ্যা বাড়ানো হয় এবং ব্যবহারের উন্নত কৌশল প্রবর্তন করা হয়। প্রত্যেকের ঘোড়ায় থাকতো বিশেষ চিহ্ন। আজকের গাড়ির নাম্বারের মতো তা দিয়ে আলাদাভাবে শনাক্ত করা যেতো। এ ব্যবস্থার নাম ছিলো দাগ বা শনাক্তকরণ।
আইনশৃঙ্খলা ও অভ্যন্তরীণ শান্তিরক্ষা করতো পুলিশ। গ্রামে গ্রামে তারা নিয়োজিত ছিলো। গ্রামে শান্তি ও নিরাপত্তার তদারকি করতো গ্রাম প্রশাসন। পঞ্চায়েত ও গ্রামপ্রধানগণ পুলিশের কাছ থেকে জবাবদিহি নিতো আর তাদের থেকে জবাবদিহি নিতো স্থানীয় সরকার। গোটা ব্যাপারটা কঠোর তদারকির আওতায় ছিলো। এর ফলাফল ছিলো অসাধারণ। আবুল কাশেম ফেরেশতার ভাষায়, জননিরাপত্তা ছিলো অবারিত। পথের ধারে ঘুমিয়ে থাকা অচেনা মুসাফিরের সম্পদ কেউ চুরি করবে না, এই নিশ্চয়তা জন্মেছিলো পথচারীদের মনেও।
বিভাগ : বিশেষ প্রতিবেদন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্র বৈঠক, হাসিনাকে ফেরানো নিয়ে আলোচনা থাকবে
রামু সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত
এক সপ্তাহে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ল ৬ কোটি ১০ লাখ ডলার
প্রবাসীদের যে জন্য সুখবর দিলো মালয়েশিয়া
জাবি শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় মামলা, তদন্ত কমিটি গঠন, ফটকে তালা, মশাল মিছিল
মাদকের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে থাকবে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল
"নতুন সিনেমা নিয়ে ফিরছেন গ্লোবাল তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি"
ড. ইউনূসকে নিয়ে খালেদা জিয়ার পুরোনো যে বক্তব্য ভাইরাল
নতুন নির্বাচন কমিশনের প্রতি ইসলামী আন্দোলনের শুভ কামনা
আলোচনায় ফ্যাসিস্ট হাসিনার ‘টুস করে ফেলে দেয়ার’ হুমকি
দীর্ঘ ১৫ বছর সাংবাদিকরা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে পারেনি: খোকন
'ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে রয়েছে অভিনেতা তারিক আনাম খানের নাটক'
বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান
ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বোর্ড অব গভর্নর সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সম্বর্ধনা
সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সংবর্ধনা
লালমোহনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত যুবদল নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু
চকরিয়ার বিএনপি নেতা আবু তাহের চৌধুরীর মৃত্যুতে সালাহউদ্দিন আহমদ ও হাসিনা আহমদের শোক
উইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
বেইজিং সংস্কৃতি ও পর্যটন ব্যুরো ও আটাবের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ