ভারতের সভ্যতায় মুসলমানদের অবদান
২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:০২ এএম
কুচক্রীরা আকবরকে ক্ষেপিয়ে তুলছিলো বৈরামের বিরুদ্ধে। যুদ্ধ বাঁধিয়ে বন্দি করা হলো তাকে। তারা চাইলো কঠিন শাস্তি। আকবর বৈরামের কৃতজ্ঞতা স্বীকার করলেন। আদেশ দিলেন বিশ্রামের জন্য। বৈরাম বুঝেছিলেন তাকে পদচ্যুত করা হচ্ছে। আসলে নির্বাসিত করার ইচ্ছা ছিলো আকবরের। তিনি তাকে বললেন, মক্কায় চলে যান। সেখানে গিয়ে বিশ্রাম নেন।
ভগ্ন হৃদয় নিয়ে ভেঙে পড়া বর্তমানের ওপর দিয়ে অনিশ্চিত আগামীর দিকে যাত্রা করলেন বৈরাম। কিন্তু মক্কায় তার যাওয়া হলো না। মুগল সাম্রাজ্যের জন্য সারা জীবন উজাড় করে যে অপরাজেয় বীর সাম্রাজ্যকে নবজীবন দিলেন, তিনি গুজরাটের কাছেই নিহত হলেন। এক গুপ্তঘাতক হত্যা করলো তাকে।
এরপর বিদ্রোহ ও যুদ্ধ অবশ্য আকবরের পিছু ছাড়েনি। জীবনের অধিকাংশ সময় তাকে কাটাতে হয়েছে অভিযানে, অভিযানে। মালবের সুলতান বায়েজিদ খান বাজ বাহাদুর ছিলেন প্রভাবশালী বিদ্রোহী। তাকে দমনের জন্য ১৫৬০ সালে নিজের পালক ভাই ও সেনাপতি আদম খাঁকে পাঠান আকবর। আতকা খান ও পীর মুহম্মদকে সাথে নিয়ে আদম খাঁ বিজয়ী হলেন। মালব রাজধানী মানডু দখল করা হলো। কিন্তু আদম খাঁ লিপ্ত হলেন অনৈতিক নারী-লোভে। আকবর তাকে পদচ্যুত করলে আদম খাঁ হয়ে উঠলেন বিদ্রোহী। ফলে আকবর তার বিরুদ্ধে অভিযানে নামলেন। তাকে করলেন পরাজিত। গুজরাটের মালব ছিলো শক্তিশালী এক রাজ্য। এর শাসক হিসেবে নিয়োগ পান পীর মুহম্মদ। দুর্বল মানসিকতার এই শাসক রাজনীতিতে ছিলেন অপ্রস্তুত। তার বিরুদ্ধে আবারো মাঠে নামলেন বাজ বাহাদুর। তিনি মালব দখল করে নিলেন। আবারো বসলেন উজ্জয়িনি ও মানডুর ক্ষমতায়। কিন্তু বেশিদিন তা ধরে রাখতে পারেননি। মুগল সুবেদার আব্দুল্লাহ খান মালব পুনরুদ্ধার করেন। বাজ বাহাদুর কিছু দিন পালিয়ে থেকে অবশেষে আকবরের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। তিনি ছিলেন শিল্প-সাহিত্য ও সঙ্গীতবোদ্ধা। একই সাথে দক্ষ তীরন্দাজ, সুনিপুণ পলো খেলোয়াড় এবং সুদক্ষ অশ্বারোহী। আকবর তাকে মুগল বাহিনীতে দুই হাজার সওয়ার, দুই হাজার জাট বাহিনী এবং এক হাজার পদাতিক বাহিনীর সেনাপতির পদমর্যাদা দেন।
আকবর দরবারী ষড়যন্ত্র ও আভ্যন্তরীণ প্রতিপক্ষদের থেকে মুক্ত হতে পারেননি। মুগল দরবারে পুরোনো অভিজাতদের ক্ষমতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছিল এবং তা নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি ছিল। মুগল সেনাপতি ও সৈন্যবর্গের অনেকেই ছিল স্বার্থান্বেষী ও লোভী। সুযোগ পেলেই তারা বিদ্রোহে শামিল হতো।
বিভাগ : বিশেষ প্রতিবেদন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্র বৈঠক, হাসিনাকে ফেরানো নিয়ে আলোচনা থাকবে
রামু সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত
এক সপ্তাহে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ল ৬ কোটি ১০ লাখ ডলার
প্রবাসীদের যে জন্য সুখবর দিলো মালয়েশিয়া
জাবি শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় মামলা, তদন্ত কমিটি গঠন, ফটকে তালা, মশাল মিছিল
মাদকের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে থাকবে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল
"নতুন সিনেমা নিয়ে ফিরছেন গ্লোবাল তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি"
ড. ইউনূসকে নিয়ে খালেদা জিয়ার পুরোনো যে বক্তব্য ভাইরাল
নতুন নির্বাচন কমিশনের প্রতি ইসলামী আন্দোলনের শুভ কামনা
আলোচনায় ফ্যাসিস্ট হাসিনার ‘টুস করে ফেলে দেয়ার’ হুমকি
দীর্ঘ ১৫ বছর সাংবাদিকরা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে পারেনি: খোকন
'ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে রয়েছে অভিনেতা তারিক আনাম খানের নাটক'
বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান
ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বোর্ড অব গভর্নর সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সম্বর্ধনা
সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সংবর্ধনা
লালমোহনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত যুবদল নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু
চকরিয়ার বিএনপি নেতা আবু তাহের চৌধুরীর মৃত্যুতে সালাহউদ্দিন আহমদ ও হাসিনা আহমদের শোক
উইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
বেইজিং সংস্কৃতি ও পর্যটন ব্যুরো ও আটাবের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ