আকবর দ্য গ্রেট-৬
২৩ আগস্ট ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ২৩ আগস্ট ২০২৪, ১২:০২ এএম
১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দে আকবর ধর্মপ্রবর্তক হবার সিদ্ধান্ত নিলেন। নতুন ও সমন্বিত ধর্ম। ধর্মের নাম দেওয়া হলো দ্বীনে ইলাহী। আগের মুদ্রায় ইসলামের কালিমা লেখা ছিলো। তা তুলে দেওয়া হলো। ফরমান ও শিলালিপিতে আরবির বদলে ফারসি ভাষার ব্যবহার চালু হলো। চান্দ্র মাসের বদলে শুরু হলো সৌর মাস, সৌর বছর। প্রথম দিকে এই বছর গণনারীতির নাম দেওয়া হলো তারিখে ইলাহী বা সন্নে ইলাহী।
পূর্ববর্তী সম্রাটরা হিজরি পঞ্জিকা অনুসারে কৃষিপণ্যের খাজনা আদায় করতেন। হিজরি সন চাঁদের ওপর নির্ভরশীল। ফলে তা কৃষিফলনের সঙ্গে মিলত না। কৃষকদের অসময়ে খাজনা পরিশোধ করতে হতো। নানা সমস্যা দেখা দিত।
সম্রাট আকবর এ সমস্যার সমাধান করতে চাইছিলেন। ৯৯২ হিজরিতে এই বর্ষরীতিকে ভারতীয় বাস্তবতায় ঢেলে সাজানোর দায়িত্ব দেওয়া হলো প-িত ও জ্যোতির্বিদ আমির ফতেউল্লাহ শিরাজীর উপর। তিনি গ্রেগরিয় সৌর সন ও হিজরি সনের উপর নির্ভর করে নতুন সন ব্যবস্থা বিন্যস্ত করেন, যাকে আজ আমরা বঙ্গাব্দ বা বাংলা সন নামে জানি।
আকবর ৯৬৩ হিজরি, ১০ রবিউল আউয়াল, শুক্রবার অনুসারে ১৪৭৯ শকাব্দ ও ইংরেজি ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি দিল্লির সিংহাসনে আরোহণ করেছিলেন। যেহেতু তখন ছিলো হিজরি ৯৬৩ সাল, তাই সেই সালকে ৯৬৩ বঙ্গাব্দ ধরে সন গণনা শুরু হয়। অর্থাৎ বাংলা সন শুরু হয়েছে ৯৬৩ হিজরি থেকে।
চান্দ্রমাসের পাশাপাশি সৌর মাসের প্রচলন রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হলো ৯৯২ সালে। তারিখটা ছিলো ৮ রবিউল আউয়াল। মোতাবেক ১০ মার্চ ১৫৮৫ খ্রিস্টাব্দ। আকবরের দাপ্তরিক কাজে সাধারণত হিজরি ও ইলাহী, দুই সনই আলাদা করে লেখা হতো।
যদিও আকবরের সিংহাসন আরোহণের দিন থেকে ইলাহি বর্ষের শুরু হওয়ার আদেশ জারি হয়েছিল, কিন্তু পারস্যের পঞ্জিকা অনুসারে বছর শেষ হতে ২৫ দিন বাকি রয়ে গিয়েছিলো। এই সমস্যা সমাধানে ইলাহি সন চালু হলো আকবরের সিংহাসন আরোহণের ২৫ দিন পর। সিদ্ধান্তটি কার্যকর হয় ২৮ রবিউল ৯৬৩ হিজরি, ১১ মার্চ, ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দ। ৯৬৩ হিজরি সনের মহরম মাস ছিল বাংলা বৈশাখ মাস। এজন্য বৈশাখ মাসকেই বঙ্গাব্দ বা বাংলা বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস এবং ১ বৈশাখকে নববর্ষ ধরা হয়।
সম্রাট আকবর যে নতুন সনের প্রবর্তন করেন তার পূর্বে এ অঞ্চলে বিভিন্ন নামে বিভিন্নভাবে বর্ষ গণনার প্রচলন ছিল। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল- মল্লাব্দ, শকাব্দ, বিক্রমাব্দ, হর্ষাব্দ, বুদ্ধাব্দ, পালাব্দ, চৈতন্যাব্দ, গুপ্তাব্দ, নশরত শাহী সন, শালিবাহন সন, জালালী সন, সেকান্দর সন, ভাতর সন ইত্যাদি। তখনকার প্রচলিত সনগুলোর অধিকাংশই গণনা করা হতো চান্দ্র মাসের হিসেব অনুযায়ী।
বিভাগ : বিশেষ প্রতিবেদন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
রাইখালীতে পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যা
বাঘায় রত্নগর্ভা হাসনা-হুদা দম্পতির ১২ সন্তান উচ্চ শিক্ষায় সফল
শহীদ জিয়ার মিঠাছড়া খাল খননে হাজারো কৃষকের ভাগ্য খুলেছিল ' - মীর হেলাল
ঝিনাইগাতীতে আইন শৃঙ্খলা কমিটিসহ ৪ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
গফরগাঁওয়ে ভিজিডির ৫১ বস্তা চুরি
গোলাপগঞ্জে মাদক সেবনের অপরাধে দুই জনকে জরিমানা ও কারাদণ্ড
ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়ন থেকে রাজনৈতিক দলগুলো শিক্ষা নেয়নি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
ঢাকাকে উড়িয়ে আসর শুরু রংপুরের
নিজ জমিতে যাওয়া হলো না সিলেটে এক ব্যবসায়ীর : হামলা করলো যূবদলনামধারী ভূমিখেকো চক্র
প্রতারণার দায়ে অনন্ত জলিলের বিরুদ্ধে সমন জারি
রেকর্ড পুনরুদ্ধার করে শাহিদির ২৪৬, রেকর্ড গড়ল আফগানিস্তানও
‘ইসলাম প্রচার প্রসারে সউদী সরকার ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে’
টেলিটকের দুটি স্পেশাল ডাটা প্যাকেজের উদ্বোধন করলেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র তৈরি করবে সরকার: প্রেস সচিব
এসিআই লিমিটেড ২০ শতাংশ নগদ এবং ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে
এবার ছাত্রদল সভাপতির পাশে দাঁড়ালেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
কোয়ালিফাইয়ারের বাধা টপকাতে চায় রংপুর
খুশদিলের শেষের ঝড়ে রংপুরের বড় সংগ্রহ
চোখের চিকিৎসায় স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ও ইস্পাহানী চক্ষু হাসপাতালের যৌথ উদ্যোগ
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সব তথ্য প্রকাশ করা হবে: প্রধান উপদেষ্টা