ব্রিটিশ সরকারের তত্বাবধানে বাহদুর শাহ জাফর ও তাঁর বংশধরদের অবস্থা !
০৭ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩১ এএম | আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৭ এএম

দিল্লির লাল কেল্লা ছেড়ে তিনি মেহবুব-এ-ইলাহির দরগাহতে এসে পৌঁছেছেন - এ খবর পেয়েই তড়িঘড়ি বাদশাহর সামনে হাজির হয়েছিলেন হজরত খাজা শাহ গুলাম হাসান।সেটাই ছিল তৈমুর বংশের উত্তরসূরি – সম্রাট বাবর, শাহজাহানদের বংশধর - বাহাদুর শাহ জাফরের শেষ বারের মতো দিল্লির লাল কেল্লা ছেড়ে বেরিয়ে আসা।
দিনটা ছিল ১৮৫৭ সালের ১৯শে সেপ্টেম্বর।তার ‘নানা’-র বর্ণনা করা ওই ঘটনা নিজের মায়ের মুখে অনেকবার শুনেছেন খাজা হাসান নিজামি।তার ‘নানা’ বা মায়ের বাবা খাজা শাহ গুলাম হাসান চিশতী ছিলেন শেষ মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের আধ্যাত্মিক পথ-প্রদর্শক।আর যে মেহবুব-এ-ইলাহির দরগাহর কথা লিখে গেছেন খাজা হাসান নিজামি, সেটি খাজা নিজামুদ্দিন চিশতীর দরগাহ।হাসান নিজামি লিখেছেন, "তার চেহারায় তখন হতাশা আর উদ্বেগের ছাপ স্পষ্ট।তার পোশাক ধুলোমলিন। তার সফেদ দাড়িতেও ময়লা লেগে ছিল।"
সম্রাট তিন দিন অভুক্ত
“সম্রাট দরগাহ-তে এসেছেন শুনেই আমার নানা তার সামনে নিজেকে পেশ করলেন।আমার নানাকে দেখে তার মুখে একটা মলিন হাসি ফুটে উঠল। সম্রাটের সামনে বসে তার শরীর স্বাস্থ্যের অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ নিলেন তিনি,” লিখেছেন হাসান নিজামি।তার লেখা বইটি হিন্দিতে অনুবাদ করেছিলেন উমরাও সিং কার্ণিক, আর ইতিহাসবিদ রাণা সাফভিও বইটির ইংরেজি অনুবাদ করেছেন।হাসান নিজামি লিখেছেন, “আমার নানা জবাব দিয়েছিলেন, মৃত্যুর কিনারায় দাঁড়িয়ে কেউই রান্না করে উঠতে পারেনি। তবুও যা আছে, আমি এখনই নিয়ে আসছি।
“নিজের ঘরে গিয়ে শাহ গুলাম হাসান চিশতী জানতে পারেন যে ঘরে কয়েকটি বেসনের রুটি আর মুলোর আচার ছাড়া অন্য কিছুই নেই।সেটাই সম্রাটের সামনে হাজির করেছিলেন তিনি।সেই খাবার খেয়ে সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে হজরত নিজামুদ্দিনের দরগাহ থেকে বেরিয়ে হুমায়ূনের সমাধির দিকে রওয়ানা হয়েছিলেন বাহাদুর শাহ জাফর।
এদিকে, বাহাদুর শাহ জাফর, তার স্ত্রী ও কয়েকজন সন্তান হুমায়ুনের সমাধিতে রয়েছেন, সে খবর পেয়ে ব্রিটিশ বাহিনীর মেজর উইলিয়াম হডসন তার বাহিনী নিয়ে ঘিরে ফেলেন সমাধি।ব্রিটিশ বাহিনী তার এবং তার স্ত্রী-সন্তানদের জীবনহানি ঘটাবে না, এই শর্তে আত্মসমর্পণে রাজী হন বাহাদুর শাহ।হুমায়ুনের সমাধি থেকে পরিবার সহ বেরিয়ে আসেন তিনি, ১৮৫৭ সালের ২০শে সেপ্টেম্বর।
জাফর-পুত্রদের হত্যা
ভারতের শেষ মুঘল সম্রাটকে গ্রেফতার করে যখন দিল্লির দিকে নিয়ে আসা হচ্ছে, তখনই মেজর হডসনের কাছে খবর আসে যে সম্রাটের আরও কয়েকজন পুত্র এবং এক নাতি তখনও হুমায়ুনের সমাধিতে অথবা তার কাছাকাছি লুকিয়ে রাখা হয়েছে।কর্নেল ম্যালেসন সম্পাদিত, ১৮৯৭ সালে প্রকাশিত ছয় খণ্ডের ‘ইন্ডিয়ান মিউটিনি অফ ১৮৫৭-৮’ নামক বইয়ে লেখা হয়েছে, “সম্রাটের পুত্র ও নাতিদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে মেজর হডসনের মধ্যে একটা পাশবিক প্রবৃত্তি জেগে উঠল। তার মনে হয়েছিল যে এরা ক্ষমার যোগ্য হতে পারে না।"সেখানে সম্রাটের দুই পুত্র মির্জা মুঘল, মির্জা খিজর সুলতান এবং নাতি মির্জা আবু বকর্-এর সন্ধান পাওয়া গেল।
আগের দিনই সম্রাট নিজে আত্মসমর্পণ করেছেন, তাই পরের দিন খুব বেশি বেগ পেতে হয় নি ব্রিটিশ বাহিনীকে।এই তিনজনকে গ্রেফতার করে মেজর হডসনের বাহিনী যখন প্রায় দিল্লিতে পৌঁছে গেছে,তখন এক সৈনিকের কাছ থেকে পিস্তল নিয়ে নিজে গুলি করে সম্রাটের দুই পুত্র আর নাতিকে হত্যা করেন মেজর হডসন।এরা ছাড়া মির্জা কোয়াইশ,মির্জা আবদুল্লা সহ সম্রাটের কয়েকজন পুত্র-কন্যা দিল্লি থেকে
বিভাগ : বিশেষ প্রতিবেদন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

সংঘর্ষে দুই ফুটবল সমর্থকের মুত্যু, ম্যাচ বাতিল

সখিপুরের তিন গৃহবধূর আত্মহত্যা

আধুনিক বাংলাদেশ গড়তে তারেক রহমানের বিকল্প নাই : হাবিব

বাণিজ্য যুদ্ধে কেউ জিকবে না: চীনের প্রেসিডেন্ট

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত
৬৪ দলের বিশ্বকাপ চায় কনমেবল

সেদিন প্রাণ নিয়ে ফিরেছিলাম, নয়তো আজ শহিদের তালিকায় থাকতাম

সাভারে আবারও বাস যাত্রীদের জিম্মি করে মোবাইল স্বর্ণালংকার লুট

‘ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠিত হলে দেশবিরোধী কোন ষড়যন্ত্রই সফল হবে না’

কোটচাঁদপুর কপোতাক্ষ ট্রেন থেকে সাড়ে ৫ কোটি টাকার কোকেন উদ্ধার

ঈর্ষণীয়ভাবে জামায়াতে ইসলামীর কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে: নূরুল ইসলাম বুলবুল

জামায়াত নেতাদের সাথে সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনারের বৈঠক

লালপুরে দাখিল পরিক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে যুবক গ্রেপ্তার

লিটন-রিশাদ-নাহিদদের লিগ শুরু হচ্ছে আজ

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে জাতীয় নাগরিক কমিটির নেত্রী আটক

ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে রাজশাহী বিক্ষোভ

মুন্সীগঞ্জে ইসরায়েলী বর্বর আগ্রাসন ও গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ

শীঘ্রই সিরিয়ায় সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালু করবে সউদী আরব

বিশ্ব মুসলমানের প্রতি ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান- মাওলানা মো. আল-আমিন দেওয়ান

‘বিয়ে ছাড়াও একসঙ্গে থাকতে পারেন প্রাপ্ত বয়স্করা’, বিতর্কিত রায় ভারতে