ময়মনসিংহের বড় মসজিদ
০৪ জুন ২০২৪, ১২:১৮ এএম | আপডেট: ০৪ জুন ২০২৪, ১২:১৮ এএম

ময়মনসিংহ নগরীর প্রাণকেন্দ্র কোতোয়ালি মডেল থানার পাশে চকবাজার নামক স্থানে আনুমানিক পৌনে ২০০ বছর আগে এই অঞ্চলের গণ্যমান্য মুসলমানরা নামাজ আদায়ের জন্য টিনের ছাপরা দিয়ে একটি মসজিদ নির্মাণ করে। এই মসজিদটিই এখন ময়মনসিংহের বড় মসজিদ নামে খ্যাত। ইতিহাস-ঐতিহ্য সমৃদ্ধ এই জেলা শহরে ইসলাম প্রচার ও প্রসারে এই মসজিদটি ঐতিহ্যের স্মারক হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে সগৌরবে। এটি ময়মনসিংহ বিভাগের কেন্দ্রীয় দ্বীনি প্রতিষ্ঠান হিসাবেও পরিচিত। ময়মনসিংহের ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে লেখা বিভিন্ন গ্রন্থে বড় মসজিদের কথা উল্লেখ করা আছে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে। ঈদ ও জুমায় অসংখ্য মানুষ বাস-ট্রেনে চড়ে, হেঁটে বহুদূর থেকে নামাজ পড়তে আসে বড় মসজিদে।
জানা যায়, ১৯৩৫ সালের বেঙ্গল ওয়াকফ অ্যাক্টের অধীনে এই মসজিদটি পাবলিক এস্টেটে পরিণত হয়। প্রায় শূন্য এক দশমিক ৯ একর জমির ওপর নির্মিত তিনতলার সুরম্য স্থাপত্যের নিদর্শন এ বড় মসজিদ। মসজিদটির দৈর্ঘ্য ১০৫ ফুট ও প্রস্থ ৮৫ ফুট। এখানে পাঁচ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারে। ঐতিহ্য ও আধুনিকতার সমন্বয়ে অপূর্ব অলংকরণে সুশোভিত মসজিদের ১২৫ ফুট উঁচু দুইটি মিনার ও একটি কেন্দ্রীয় সুবৃহৎ গম্বুজে ব্যবহৃত হয়েছে চীনামাটির তৈজসপত্রের টুকরো দিয়ে তৈরি নান্দনিক নকশাকৃত আস্তরণ।
মসজিদের পশ্চিম দিকে রয়েছে দুইটি অনুচ্চ ফাঁপা গম্বুজ। ছাদের রেলিং দেওয়া হয়েছে মিনার-গম্বুজের আদলে ঢেউ খেলানো শোভায়। মসজিদের প্রধান তিনটি প্রবেশমুখেও আছে অনুচ্চ গম্বুজ শোভিত ফটক। এছাড়াও প্রবেশমুখেই রয়েছে জলকেলিরত মাছের শোভামন্ডিত স্বচ্ছ-পবিত্র পানির দুইটি হাউস ও আলাদা অজুখানা। মসজিদের অভ্যন্তরে মূল্যবান মোজাইক পাথরের মেঝে, দেয়ালজুড়ে শ্বেতশুভ্র মনোরম টাইলস, সুদৃশ্য ঝাড়বাতি, অত্যাধুনিক শব্দ নিয়ন্ত্রণ ও তাপানুকূল ব্যবস্থা।
জানা যায়, মসজিদটির প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত মিশর থেকে আগত প্রখ্যাত কারি ও আলেম মাওলানা আবদুল আওয়াল (রহ.) ইমামের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ১৯৪১ থেকে ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত টানা ৫৬ বছর হাকিমুল উম্মত মাওলানা আশরাফ আলী থানবি (রহ)-এর খলিফা, মুজাদ্দিদে মিল্লাত, জামানার কুতুব হজরত মাওলানা ফয়জুর রহমান (রহ.) ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব পালন করেন। এ মহান আধ্যাত্মিক সাধকের পবিত্র ফায়েজ, খেদমত ও মেহনতে ‘বড় মসজিদে’র দ্যুতি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে আল্লামা শায়খ আবদুল হক অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সঙ্গে ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব পালন করছেন। বড় মসজিদের পাশে মসজিদকেন্দ্রিক একটি মাদরাসা গড়ে তোলা হয়েছে।
লেখক: বিশেষ সংবাদদাতা ও ব্যুরো চিফ, দৈনিক ইনকিলাব, ময়মনসিংহ।
বিভাগ : বিশেষ সংখ্যা
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

হাজীগঞ্জে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদানের করুণ চিত্র তুলে ধরলেন বাসিন্দারা

শর্ত পূরণে জুনে মিলতে পারে আইএমএফ এর ঋণের দুই কিস্তি

গ্রামীণ ব্যাংক থেকে কমানো হয়েছে সরকারের মালিকানা: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে তামাক ব্যবহারে প।রতি বছর ১ লক্ষ ৬১ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করে

আলোচনা ফলপ্রসূ, বার্তা দিলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব

বন্যহাতির অত্যাচারে অতিষ্ঠ পাহাড়িবাসী

মাদক সেবনের ভিডিও ধারণ করায় যুবককে কুপিয়ে যখম

চীনের সব পণ্যের উপর ২৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের খবর ‘বিভ্রান্তিকর’: হোয়াইট হাউস

টঙ্গীবাড়ীত বজ্রপাতে ১ কিশোর নিহত, আহত ৩

খুলনায় অপহৃত স্কুল ছাত্রী উদ্ধার

চীনের বিরল মৃত্তিকা রপ্তানি বিধি-নিষেধ কেন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ধাক্কা?

তালতলীতে সড়ক নির্মাণে অনিয়ম,প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল

ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ব্যবসায়িকে তুলে নেয়ার চেষ্টা, যুবক আটক

বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু সেতু নির্মিত চীনে, জুনেই উদ্বোধন

ভারতে মুসলমানদের উপর নির্যাতনে জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের নিন্দা ও জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ কামনা

হঠাৎ করেই কি একটি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়?

ভারতের ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল চেয়ে আইনি নোটিশ

কেউ যখন সংস্কারের কথা ভাবেনি তখন শহীদ জিয়া ১৯ দফা কর্মসূচি দিয়েছেন: নজরুল ইসলাম খান

রাবির ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ: পাশের হার মাত্র ২০.৪৩%, দেখুন আপনার ফল