ইসলামোফোবিয়া
১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০১ এএম | আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০১ এএম
ইসলামোফোবিয়া বা ইসলামভীতি শব্দটির উৎস নিয়ে নানা মুনির নানা মত রয়েছে। অক্সফোর্ড ইংলিশ ডিকশনারি অনুযায়ী, এই টার্মটির প্রথম ব্যবহার দেখা যায় ১৯২৩ সালে, ইংরেজি জার্নাল ‘থিউরোজিক্যাল স্টাডিজে’। ১৯৯৭ সালে রানিমেড ট্রাস্ট রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর শব্দটির ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ করা যায়। জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান ২০০৪ সালে এক সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসলামভীতি প্রতিরোধে পদক্ষেপের কথা বলেন। সেই থেকে শব্দটি ক্রমবর্ধমান ইসলামোফোবিয়া বা ইসলামভীতি, বৈরিতা, শত্রুতা ইত্যাদি অর্থে আন্তর্জাতিকভাবে গৃহীত হয়ে আসছে। ২০০১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলা তথা ৯/১১-এর পর শব্দটির ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সাম্প্রতিককালে এটি ব্যবহারে সতর্কতা লক্ষ করা যায়। অন্তত একাডেমিকভাবে ইসলামভীতির ধারণাকে অন্যায়, অযৌক্তিক ও অতিশয়োক্তি বলে প্রকাশ করার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। মোদ্দা কথা, বিষয়টি বিতর্কিত। অধিকাংশ বুদ্ধিজীবী এই ধারণাকে বিদ্বেষপ্রসূত বলে মনে করেন। পাশ্চাত্যের নেতিবাচক বুদ্ধিজীবীগণ নানা যুক্তিতর্কে এর বৈধতা প্রমাণ করার চেষ্টা করেন। এর প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় ব্যবহার ধর্মীয় ডিসকোর্স বা ব্যাখ্যা বিশ্লেষণে সীমিত ছিল। সাম্প্রতিককালে এর ব্যাপ্তি রাষ্ট্র, রাজনীতি, কূটনীতি ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বলয়কে অতিক্রম করেছে। এর কারণ হলো, ৯/১১-এর পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তথা পাশ্চাত্য কূটনীতির ভাষায় সৌজন্যমূলক শব্দ ব্যবহার করলেও কার্যত তারা ইসলাম, মুসলিম সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থার মধ্যে যেসব কার্যক্রম গ্রহণ করেছে তা মুসলিম জনগোষ্ঠী তথা ইসলামী বিশ্বকে ক্ষুব্ধ করেছে। ফলে ন্যায়-অন্যায়, যৌক্তিক-অযৌক্তিক ও মানবিক-অমানবিক বিষয়টি না দেখে একদল মুসলিম সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। উত্থান ঘটেছে তথাকথিত ইসলামিক স্টেটের। হামলা হয়েছে ইউরোপ আমেরিকার অনেক শহর ও প্রতিষ্ঠানে। ইসলাম ও মুসলিমবিরোধী শক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন রাষ্ট্রে মুসলমানদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতিকে দায়ী করেছে। রাষ্ট্র ও জনগোষ্ঠী হিসেবে মুসলমানদের ক্রমবর্ধমান প্রভাবকে পাশ্চাত্যের একটি অংশ তাদের সভ্যতার জন্য বিপদজনক হিসেবে চিহ্নিত করেছে। প্রখ্যাত ইহুদি রাষ্ট্রবিজ্ঞানী এসপি হান্টিংটন ‘সভ্যতার দ্বন্দ্ব’ তত্ত্বের আলোকে পৃথিবীর ভবিষ্যৎ নির্ণয় করেছেন।
৯/১১-এর ঘটনাবলী, ওসামা বিন লাদেনের মতো ব্যক্তিত্বের পাশ্চাত্যবিরোধী কার্যক্রম ও বিশ্বব্যাপী বিরোধী প্রচারণার ফলে ইসলাম, মুসলিম, পবিত্রগ্রন্থ ও এর নেতৃবৃন্দ মারাত্মক ঘৃণা-বিদ্বেষের শিকার হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পাশ্চাত্যে ব্যক্তিগতভাবে আক্রান্তের ঘটনা ঘটে। মসজিদও হামলার শিকারে পরিণত হয়। মুসলমানদের পবিত্র গ্রন্থ কোরআনকে জ্বালিয়ে দেওয়ার মতো বহু ঘটনা ঘটে। ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক রাসুলে করিম হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর বিরুদ্ধে অবমাননাকর ঘটনাবলী লক্ষ করা যায়। মুসলিম নারীদের হেজাব নিয়ে অমুসলিম বিশ্বে মারাত্মক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। পাশ্চাত্যের ঘৃণা নতুন রূপে আবির্ভূত হয় ভারত, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার ও নিউজিল্যান্ডে। অন্যান্য বিশ্বশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো প্রকাশ্যে বিরোধী ভূমিকা গ্রহণ না করলেও পরোক্ষভাবে ইসলামোফোবিয়াকে বিপজজনকই মনে করে। প্রাচ্যের চীন দৃশ্যত ফোবিয়ার বিপক্ষে কথা বলে। অথচ তারাই আবার চীনের মুসলিম জনগোষ্ঠীর উপর নির্মম নির্যাতন চালায়। রাশিয়ার নেতা পুতিন কখনও কখনও মুসলমানদের পক্ষে কথা বললেও তার দেশে মুসলিমরা অপমানিত হয় অনেক ক্ষেত্রে। অতীতের জার সম্রাট, কমিউনিস্ট নেতৃত্বের মতো পুতিনও মুসলিম নিপীড়নের নীতি গ্রহণ করেন। এতসব ঘটনার পর জাতিসংঘ তথা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসলামোফোবিয়াজনিত ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তুর্কি নেতা এরদোগান এর মতো নেতারা জাতিসংঘে খুবই কঠিন ভাষায় ক্রমবর্ধমান ইসলামোফোবিয়ার বিপদ-আপদ সম্পর্কে সতর্ক করেন। এরই প্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ১৫ মার্চ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একটি প্রস্তাব উত্থিত হয়। গৃহীত প্রস্তাবে ইসলামোফোবিয়া বা ইসলামভীতিকে প্রতিরোধ করার স্বার্থে ১৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক ইসলামভীতি মোকাবেলা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৫ মার্চ ২০২৪ অর্থাৎ ইসলামভীতি মোকাবেলার আন্তর্জাতিক দিবসে বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একটি পর্যালোচনামূলক অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। ‘মেজার টু কমব্যাট ইসলামোফোবিয়া’ তথা ‘ইসলামোফোবিয়া মোকাবেলায় পদক্ষেপ’ শিরোনামে একটি নতুন প্রস্তাব গৃহীত হয়। উত্থাপিত প্রস্তাবে ইসলামোফোবিয়া মোকাবেলায় জাতিসংঘের একজন বিশেষ দূত নিয়োগ করতে সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ১১৫টি দেশ। তবে পক্ষে ছিল না ভারত, ব্রাজিল, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, ইউক্রেন ও ব্রিটেনসহ ৪৪টি দেশ। এসব দেশ প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট না দিয়ে ভোট দানে বিরত থাকে। উল্লেখ্য যে, ভোটদানে বিরত থাকা এইসব দেশে ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে ব্যাপক হিংসাত্মক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ফ্রান্সে অনবরত নবীজিকে নিয়ে আপত্তিকর ও অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে মুসলমানরা ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিপীড়নের শিকার হয়েছে। একই কাতারে রয়েছে জার্মানি, ইতালি ও ইউক্রেন। ব্রিটেন এক সময়ে সহঅবস্থানে থাকলেও ক্রমশ মুসলিমবিরোধী কার্যক্রমে শরীক হচ্ছে। ভারতের বিরোধিতার ব্যাপারটি এখন স্পষ্ট। সেখানে মুসলমানরা রীতিমত ভয়ংকর ভীতির মধ্যে বসবাস করছে। নতুন নাগরিকত্ব আইন পাস করে তাদের নাগরিকত্ব হরণের চেষ্টা চলছে। তাদের মসজিদগুলো আর নিরাপদ নয়। এই তো সেদিন বিদেশি কয়েকজন মুসলিম ছাত্র গুজরাটে নামাজ পড়ার অপরাধে হামলার শিকার হয়েছে। সম্ভবত পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় বসবাস করছে ভারতের মুসলমানরা। জাতিসংঘ প্রস্তাবে সদস্য দেশগুলোকে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে বিশেষ করে ইসলামফোবিয়াকে টার্গেট করে অনুকূল পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। পাকিস্তানের উত্থাপিত এই প্রস্তাবে সমর্থক ছিলো সকল মুসলিম দেশ। মজার ব্যাপার চীন এই প্রস্তাবের সহযোগী দেশ হিসেবে ভূমিকা পালন করে। ১৯৩ সদস্যের সাধারণ পরিষদ একরকম বিনা বাধায় প্রস্তাবটি গ্রহণ করে। জাতিসংঘে ভারতের প্রতিনিধি তার বিরত অবস্থান থেকে বিরোধিতায় অবতীর্ণ হন। তিনি প্রস্তাব করেন যে, সহিংসতা ও বৈষম্যের শিকার হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ ও অন্যান্য ধর্ম বিশ্বাসের ব্যাপারেও ‘ধর্মভীতি’ রয়েছে। তাই শুধু একটি ধর্মের মধ্যে ঐ প্রস্তাব সীমাবদ্ধ না রেখে সব ধর্মের প্রেক্ষিতেই তা বিবেচনা করতে হবে। জাতিসংঘে ভারতের প্রতিনিধি অবশ্য ইহুদি বিদ্বেষ ও ইসলামভীতি নিয়ে অনুপ্রাণিত সব ধরনের কর্মকা-ের নিন্দা জানান। ভারতের এই প্রতিনিধি আরও যুক্তি দেন যে, ঐ প্রস্তাব গ্রহণ করে এমন নজির স্থাপন করা উচিত হবে না, যাতে কোনো নির্দিষ্ট ধর্মের ভীতিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। জাতিসংঘের বিভক্ত হয়ে পরার শঙ্কার সৃষ্টি হয়, এরকম ধর্মীয় বিষয়ের ঊর্ধ্বে উঠে নিজের অবস্থান বজায় রাখা জাতিসংঘের জন্য জরুরি। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস তার বক্তৃতায় ইসলামী ভীতিকে কঠোর ভাষায় নিন্দা জানান। তিনি বলেন, ইসলামভীতির প্রেক্ষিতে পৃথিবীর সকল ইহুদি, খ্রিস্টান ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরাও ভীতির মধ্যে রয়েছে। মহাসচিব আরো বলেন যে, মুসলমানরা সারাবিশ্বে প্রাতিষ্ঠানিক পক্ষপাতিত্ব, বাধা-বিপত্তি, সম্মান-মর্যাদা ও অমানবিকতার শিকারে পরিণত হচ্ছে। তারা অপব্যাখ্যা, অপমান এবং ডিজিটাল ঘৃণার সম্মুখীন হচ্ছে। গুতেরেস সব ধরনের ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি উপস্থিত প্রতিনিধিদের ঘৃণাসূচক বক্তব্য পরিহার, ধর্মীয় স্বাধীনতায় বিশ্বাসী হওয়ার এবং পারস্পরিক সম্মান প্রদর্শনের আহ্বান জানান। গণমাধ্যম এবং অন্যত্র তিনি ঘৃণা না ছড়ানোর আবেদন জানান। স্মরণ করা যেতে পারে যে, মহাসচিব গুতেরেস ২০১৯ সালে ইসলামভীতি প্রতিরোধে বাস্তব পরিকল্পনা গ্রহণ ও আইন প্রণয়নের কথা বলেন। এদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার টার্ক ইসলামভীতি, ইহুদিভীতি অবসানের আহ্বান জানান। তিনি ইসরায়েল কর্তৃক ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় অব্যাহত হামলার নিন্দা জানান। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ কর্মকর্তা নাজিলা ঘানি তার বার্ষিক প্রতিবেদনে মন্তব্য করেন যে, এ ধরনের ঘৃণা প্রতিহতকরণে রাষ্ট্রের ভূমিকা রয়েছে। তিনি আরও বলেন যে, রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বৈচিত্র্যের মাধ্যমে ঐক্য অর্জন করতে হবে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। রাষ্ট্র ও সরকারকে তিনি পরামর্শ দেন ঘৃণা-বিদ্বেষ সম্পর্কে তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহের। আস্থা ও বিশ্বাস নির্মাণে রাষ্ট্র ও সরকারকে সহায়তা দিতে হবে। শাসন ব্যবস্থার পর্যালোচনা করতে হবে। রাষ্ট্র যেনো হিংসা-বিদ্বেষ ছড়ানো ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বিচারের সম্মুখীন করতে ভয় না পায়।
পৃথিবী থেকে ঘৃণা-বিদ্বেষের অবসান না হলে তা বাসযোগ্য থাকবে না। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকার সে লক্ষ্যে বিবিধ কার্যব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ঘৃণাবিরোধী মনোভাব দূরীকরণে নাগরিক সাধারণের ভালো ভূমিকা পালন করতে হবে। সময়ান্তরে গবেষণা ও সমীক্ষার মাধ্যমে বাস্তব কৌশল গ্রহণ করতে হবে। সন্ত্রাস ও ভায়োলেন্সের বিষয়সমূহকে কেবলমাত্র ধর্মের সাথে সংযুক্ত করলে বড় ধরনের ভুল করা হবে। রাষ্ট্র ও সমাজের পারিপার্শ্বিক অবস্থা, গণতন্ত্র ও বৈশ্বিক নিরাপত্তার বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে ভারসাম্যপূর্ণ নীতিমালা গ্রহণ করলে, আলোকিত সমাজ আভির্ভূত হলে সুশাসন ও নাগরিক কল্যাণ নিশ্চিত হবে।
লেখক: অধ্যাপক (অব.), জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়
বিভাগ : বিশেষ সংখ্যা
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
মাদারীপুরে যৌতুকের জেরে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ
চাঁদপুরে জাহাজে খুন হওয়া ২ জনের বাড়ী লোহাগড়ায়
শ্রীনগরে রানা কাজীর লাশের অপেক্ষায় বাড়িতে চলছে স্বজনদের আহাজারি
উত্তরবঙ্গে একটি আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হবে
রূপালী ব্যাংকের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলাম
বই আত্মার মহৌষধ
তরুণদের সামরিক প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে হবে
গোয়ালন্দে নবাগত ইউএনও নাহিদুর রহমানের যোগদান
সারবাহী জাহাজে ৭ খুন : দ্রুত তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে হবে
প্রত্যেক ধর্মের শান্তির বাণী নিজের মধ্যে স্থাপন করতে হবে: ড. ইউনূস
গণতন্ত্র ও সাম্যের পথে এগিয়ে চলা বাংলাদেশ রুখে দেয়া আর সম্ভব নয়
আটঘরিয়ায় দলীয় পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ
রাইখালী যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
মানিকগঞ্জে আগামীকাল তিনদিন ব্যাপী বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে পুলিশের কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ
‘চাঁদাবাজ দখলবাজরা জুলাই অভ্যূত্থানের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করছে’
কুষ্টিয়ায় ভেড়ামারায় দুই প্রতিষ্ঠানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জরিমানা ও কারাদন্ড
ফরিদগঞ্জে গো-খাদ্যের তীব্র সঙ্কট
লক্ষ্মীপুরে চুরির অপবাদে যুবককে বেঁধে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল
প্রকৃত তথ্য দিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সংবাদ করুন: প্রেস সচিব
ধামরাইয়ে ফসলি জমির মাটি কাটায় ৬ ভেকু ও ৩ ড্রেজার জব্দ