ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ৯ মাঘ ১৪৩১

কবিতায় জুলাই বিপ্লব

Daily Inqilab সায়ীদ আবুবকর

০১ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০২ এএম | আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০২ এএম

কবি-সাহিত্যিকরা একটি জাতির সবচেয়ে সংবেদনশীল মানুষ। সাম্প্রতিক ঘটনাবলি রচনা করা কবিদের কাজ না হলেও অতি-বেদনাদায়ক, অতি-আনন্দপ্রদ, অতি-লোমহর্ষক ঘটনাবলি কবিদেরও আলোড়িত করে এবং তার প্রভাব তাঁদের কবিতায় লক্ষ্য করা যায়। আইরিশ কবি ডাব্লিউ বি ইয়েটসকে বলা হতো ওয়েস্ট ব্রিটন। তাঁর অবস্থা ছিলো অনেকটা রবীন্দ্রনাথের মতো। রবীন্দ্রনাথ যেরকম ইংরেজদের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন, তিনিও তেমনি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র আইরিশ স্বাধীনতাসংগ্রামের ঘোর বিরোধী ছিলেন। বলা যায়, আইরিশ মুভমেন্টের তিনি স্রেফ দর্শক ছাড়া আর কিছুই ছিলেন না। কিন্তু এ আন্দোলনের তীব্রতা ও ভয়াবহতা তাঁর কবিমানসকে তীব্রভাবে নাড়া দেয় এবং তিনি ‘ইস্টার ১৯১৬’ নামে একটি কবিতা রচনা করেন, যা তাঁর উৎকৃষ্ট কবিতাসমূহের একটি বলে গণ্য করা হয়। ব্যর্থ হয়ে যাওয়া আইরিশ রিভোলুশানকে সমালোচনা করলেও একে তিনি ‘টেরিবল বিউটি’ বলে অভিহিত করেন, যার সৌন্দর্য তাঁর দুচোখকে ধাঁধিয়ে দেয়।

কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্যের বড় একটা অংশ ইংরেজ খেদাও আন্দোলন দ্বারা প্রভাবিত, যদিও তিনি রূপকের মাধ্যমে তা প্রকাশ করেছেন সবসময়। তিনি যখন বলেন ‘ভগবান বুকে এঁকে দেবো পদচিহ্ন’ তখন তিনি ভগবান বলতে যে অত্যাচারী ব্রিটিশরাজজেই ইঙ্গিত করেন, তা বুঝা যায়। ‘শিকল পরা ছল মোদের এই শিকল পরা ছল/ শিকল পরেই শিকল তোদের করবো রে বিকল’Ñ এখানে তোদের বলতে যে ইংরেজদের বুঝানো হচ্ছে, বুঝা যায়। ‘কারার ঐ লৌহকপাট/ ভেঙে ফেল, কর রে লোপাট’Ñএখানে এ-কারা যে জুলুমবাজ ব্রিটিশরাজেরই কারাগার, তাও স্পষ্ট। কিন্তু নজরুল তাঁর প্রতিবাদের ভাষা প্রতীকী করায় এটা শাশ্বত ও কালজয়ী হয়ে উঠেছে। নজরুলের কবিতার শক্তি এখানে।

পাকিস্তান আন্দোলন যখন হলো, তখনও কবি-সাহিত্যিকরা কিন্তু আন্দোলিত হয়েছিলেন। কবি ফররুখ আহমদকে পাকিস্তানপন্থী বলে অভিযুক্ত করা হয় পাকিস্তানের পক্ষে কবিতা লেখার কারণে। তখন তো দেশ ছিলো পাকিস্তান। সুতরাং এটা কোনো অপরাধ হতে পারে না। স্বদেশের জন্য কবিতা লেখা একজন কবির জন্যে খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। পাকিস্তানের পক্ষে তখন কলম ধরেননিই বা কে? যে সুফিয়া কামাল স্বাধীন বাংলাদেশে ইসলামবিরোধী আন্দোলনে কঠোর ভূমিকা রাখেন, তিনিই ১৯৫৪ সালে কায়েদে আজম জিন্নাহর জন্মদিন উপলক্ষে ‘হে মহান নেতা’ শিরোনামে একটি কবিতা লেখেন। কবিতাটি প্রকাশিত হয়েছিল পূর্ব পাকিস্তানের সচিত্র বাংলা মাসিক পত্রিকা মাহে নও-এর সে বছরের ডিসেম্বর সংখ্যায়। কবিতাটি নিচে তুলে দেয়া হলো-
কায়েদে আজম! হে মহান নেতা সাড়া দাও, দাও সাড়া,
তোমারে ভোলেনি, আজিও ডাকিছে বঞ্চিত সর্বহারা
তোমারে হেরেনি, শুনেছিল শুধু তোমার কন্ঠবাণী;
জেনেছিল তারা, তুলেছে পতাকা তোমার বজ্রপাণি
অবিচল ন্যায়ে, সত্যের আলো ইসলামী ছায়াতল
বহু যুগান্ত আঁধার অন্তে আবার সমুজ্জ্বল
হয়ে এল, নীল নভ হতে হাসে অর্ধচন্দ্র-তারা
শ্যামা বসুমতী বিছায়ে আঁচল নিশীথ তন্দ্রাহারা
হেরিল দিনের দীপ্তরবির আলোক বিথারি পথ
ভরে জনতায় তব জয়গানে পুরাইয়া মনোরথ
দৃপ্ত স্বাধীন বক্ষের বলে লাখো লাখো তাজা প্রাণ-
কায়েদে আযম! তোমারে স্মরিয়া করিয়াছে কোরবান।
এনেছে আযাদী শতাব্দী শেষে, তোমার মহান দান
অঞ্জলী পাতি করেছে গ্রহণ, রাখিয়াছে সন্মান সর্বহারার দল।
আর যারা লোভী, ক্রুর শয়তান, তাহারা করেছে ছল।

ভাষা আন্দোলন নিয়ে অনেক কবিতা রচিত হয়েছে। গল্প হয়েছে, প্রবন্ধ হয়েছে, নাটক হয়েছে। ভাষা আন্দোলন নিয়ে, কবিদের মধ্যে সর্বপ্রথম যিনি সরব হয়েছিলেন, তিনি ফররুখ আহমদ। ছড়া-কবিতায় তিনি বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠত্ব উচ্চারণ করে গেছেন বলিষ্ঠ কণ্ঠে। ‘ভাষার গান’ তাঁর এক অমর সৃষ্টি:

ডালে ডালে পাখির বাসা
মিষ্টি মধুর পাখির ভাষা
সাত সাগরে নদীর বাসা
কুলুকুলু নদীর ভাষা।
হাজার সুরে হাজার ভাষায় এই দুনিয়া ঘেরা
আর মাতৃভাষা বাংলা আমার সকল ভাষার সেরা।
এই ভাষাতে শিশু দোলে
ছড়ার সুরে মায়ের কোলে
এই ভাষারি কলরোলে
কিসসা কথা দুয়ার খোলে,
ব্যঙ্গমী আর ব্যঙ্গমারা করে চলাফেরা
ও ভাই মাতৃভাষা বাংলা আমার সকল ভাষার সেরা।

এরপর ১৯৭১-এ দেশ স্বাধীন হলো। বাংলাদেশের কবিরা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অজস্র কবিতা লিখলেন, প্রচুর ছোটগল্প হলো, উপন্যাস হলো। আধুনিক কালে বাংলা ভাষার একজনও কবি-সাহিত্যিক পাওয়া যাবে না, যিনি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে দু-চরণ লেখেননি। বাস্তবিকই ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ আমাদের সাহিত্যে বিশেষ স্থান দখল করে আছে। পঞ্চাশের শামসুর রাহমান-আল মাহমুদ থেকে শুরু করে নব্বইয়ের দশকের কবি-সাহিত্যিকরা অমর সাহিত্য রচনা করে গেছেন ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে।

২০২৪-এর জুলাই বিপ্লব গোটা বাঙালি জাতিকে নাড়া দিয়ে গেছে গভীরভাবে। একাত্তরে অর্জিত স্বাধীনতা হারিয়ে যেতে বসেছিল জাতির ঘাড়ে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসা স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের হাতে। গুম-খুন-নৈরাজ্যের নরকপুরীতে পরিণত হয়েছিল সারাদেশ। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান আধুনিক কালের নারী-রামেসেস হাসিনা। দুই হাজার ছাত্র-জনতার শাহাদাতের বিনিময়ে অর্জিত হয় বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা। ৫ আগস্ট জাতির জীবনে এক অবিস্মরণীয় দিন। জুলাই বিপ্লব নিয়ে বাংলাদেশের কবি-সাহিত্যিকরা যেভাবে সরব হন, তা সত্যিই এক বিস্ময়কর ব্যাপার। পত্র-পত্রিকার উপর স্বৈরাচারী সরকারের প্রবল নিয়ন্ত্রণ থাকা সত্ত্বেও কবিরা পত্রিকার পাতায় উগরে দেন তাঁদের প্রতিবাদ ও ক্ষোভ। যারা দেশ ও মানুষকে সত্যিকার অর্থে ভালবাসেন না, যারা ছিলেন স্বৈরাচারের নির্লজ্জ দোসর, তারা বাদে প্রায় সকল কবিÑ জুলাই বিপ্লবের অংশ হয়ে যান। এঁদের মধ্যে যাঁরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন মাহবুব হাসান, আবদুল হাই শিকদার, জাহাঙ্গীর ফিরোজ, মোশাররফ হোসেন খান, তমিজ উদদীন লোদী, জগলুল হায়দার, সায়ীদ আবুবকর, জাকির আবু জাফর, মনসুর আজিজ, সৈয়দ সাইফুল্লাহ শিহাব, নয়ন আহমেদ, রেদওয়ানুল হক, ফজলুল হক তুহিন, তাজ ইসলাম, হাসান নাজমুল প্রমুখ।

১৬ জুলাই ২০২৪ তারিখে রংপুরের আবু সাইদ শহীদ হওয়ার পর সমস্ত বাংলাদেশ অগ্নিগিরির মতো ফুঁসে ওঠে। আমি নিজেও সামান্য একজন কবি হওয়ায় কবিতার বোমা ফাটিয়ে বেগবান করতে চাই স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনকে। ভয় ছিলো আক্রান্ত হওয়ার ও চাকরি হারানোর। কিন্তু তখনও আমরা ধারণাই করতে পারিনি নতুন ইতিহাসের একটা অংশ হতে যাচ্ছি আমরা। ১৬ জুলাই রাতে কবি-বন্ধু ও নয়াগিন্তের সাহিত্য-সম্পাদক জাকির আবু জাফরকে ফোন করে জানাই দ্রুত একটি দ্রোহের কবিতা সংখ্যা করার জন্য। তিনি তাৎক্ষণিক আমার ডাকে সাড়া দেন এবং ওই সপ্তাহেই একটি জমকালো দ্রোহের কবিতা সংখ্যা প্রকাশ করেন, যা ছিলো বাংলাদেশে প্রথম। আমি সরকারি চাকরি করি বিধায় ভিতরে ভিতরে আতংকে ছিলাম কারণ কবিতাতে আমি স্বৈরাচারী হাসিনাকে ফারাও বলে অভিহিত করেছিলাম; কবিতার কারণে রহমান হেনরী চাকরি হারিয়েছিলেন, আমারও কী দশা হয়, কে জানে, এরকম একটা ভাবনা সবসময়ই ছিলো। ‘ঝরা পাতার নৃত্য’ কবিতাটিতে আমি যা আঁচ করেছিলাম, তা যে সত্য হবে, তা আমার ধারণাতেই ছিলো না। কবিতাটি নি¤œরূপ:

পুকুরের পানির মতো এ নিস্তরঙ্গ মৃত্যুর শহরে আচমকা এ-কি
জীবনের উন্মাদনা! যে ছিলো অচল, ছুটছে সে উল্কার গতিতে।
যে ছিলো নিথর, উড়ছে সে ঈগলের অধীর ডানায়। কী হলো হঠাৎ
এই ভূতের শহরে, বয়সের ভারে নুব্জ বৃদ্ধ ও বৃদ্ধারা ফিরে পেয়ে
হারানো যৌবন, ছুটছে ক্ষিপ্রবেগে যেন ষাঁড়; তরুণ ও তরুণীরা যেন ঝড়,
ভেঙেচুরে ফেলছে সব হারকিউলিসের মতো— মুখ থুবড়ে পড়ছে স্ফিংস,
কারুনের বালাখানা, ফারাওয়ের মসনদ। এভাবে হঠাৎ করে কোথা থেকে
নেমে এলো জীবনজোয়ার মরে কাঠ হয়ে পড়ে থাকা শুকনো পদ্মায়?
আমি হতবাক হয়ে চেয়ে চেয়ে দেখি আদনান, ফারহান, শাকিল ও
আবু সাইদের রক্তে লাল হয়ে ঈগলের মতো উড়ছে আকাশে আমাদের
প্রাণের পতাকা আর বিশ কোটি বাঙালি ছুটছে ঊর্ধ্বশ্বাসে, কে জানে কোথায়।
থরথর করে কাঁপছে স্বৈরাচার; শুকনো বোঁটায় ঝুলতে থাকা পাকা
সিঁদূরে আমের মতো দুলছে দুঃশাসন যৌবনের ঝড়ে। এ-কি জীবনের
উন্মাদনা দিকে দিকে! যে ছিলো নিষ্প্রাণ, আজ সে জীবন্ত, যে ছিলো নিশ্চল,
আজ সে ঝটিকা হয়ে ছুটছে অশ্বের মতো। তাই দেখে মৃত্তিকায় পড়ে থাকা
ঝরা পাতারাও জীবন্ত ফড়িং হয়ে নৃত্য জুড়ে দেছে একসাথে উন্মত্ত বাতাসে।

আমি বলেছিলাম, ‘থরথর করে কাঁপছে স্বৈরাচার; শুকনো বোঁটায় ঝুলতে থাকা/ পাকা সিঁদূরে আমের মতো দুলছে দুঃশাসন যৌবনের ঝড়ে।’ সিঁদুরে আমটি সত্যিসত্যিই যে ৩৬ জুলাই অর্থাৎ ৫ আগস্টে ঝরে যাবে, কেই বা বুঝতে পেরেছিল তা!

মাহবুব হাসান তাঁর ‘বোবা-কালা জনগণ’ কবিতায় বলেন:
জনগণ কি বোবা-কালা হয়ে গেছে?
আমি ভাবছি মানুষের সহ্য ক্ষমতা
বা প্রতিবাদের গৌরব কি মিথ?
চৌদিকে সন্ত্রাস ওঁৎ পেতে আছে চিতার চৌকিতে
রাজনৈতিক ছত্রপতির ছায়ার ভেতরে!
ৃৃৃৃৃৃ..
তারা ভুলে গেছে
মিছিলের মানে, স্লোগানের মর্ম-ধর্ম,
প্রতিবাদের শব্দগুলো কি গ্রীষ্মের ছুটিতে বেড়াতে গেছে?

আবদুল হাই শিকদার তাঁর ‘শহীদ আবু সাইদ’ কবিতায় বলেন:
সাইদ সাইদ বলে ডেকে ডেকে পাড়া মাত করি ,
ও পুত্র, বাপ আমার, ফিরে আয় ফ্যাসিবাদ উৎখাত করি।
সমস্ত বাংলা আজ সাইদ সাইদ
সাইদের রক্ত আনে রাহু মুক্ত ঈদ।

তমিজ উদ্দীন লোদী তাঁর ‘ফেটে পড়ুক আশার গরিমা’ কবিতায় বলেন:
ঝড়ের পর মানুষ ঊর্ধ্বমুখি
বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করছে
অপেক্ষমান মানুষেরা
বৃষ্টির জন্য , বৃষ্টিতে ধুয়ে যাবার পর
ঝকঝকে রৌদ্রকরোজ্জ্বল দিবসের প্রতীক্ষায় রয়েছে।
এতো এতো আলো কোথায় ছিল
আলোর পাখিরা নিয়ে এলো আলো
ঘোরতর অন্ধকারে জ্বলে ওঠা , ফিনিক দেয়া আলো
ক্রমশ বিস্তৃত হলো

জাকির আবু জাফর তাঁর ‘দীপ্ত বাংলাদেশ’ কবিতায় বলেন:
স্বৈরাচারীর জগদ্দল আজ শেষ
নতুন স্বপ্নে হাসছে বাংলাদেশ।।
সংকট আর সংগ্রামে দৃঢ বল
অনড় অটল বিশ্বাসে উচ্ছ্বল।
আত্মগর্বা উচ্চকণ্ঠ-রব
মানেনি কখনো, মানবে না পরাভব।
বীর-বীরত্বে বিস্ময় অনিঃশেষ
হাজার যুগের মুক্ত বাংলাদেশ।

ফজলুল হক তুহিন তাঁর ‘গণজোয়ার’ কবিতায় বলেন:
পূঞ্জীভূত মেঘের ভেতর অনেক খরার ক্ষোভ গর্জনের জন্য একত্রে প্রস্তুত
পৃথিবী কাঁপিয়ে বাঁক ফেরার বর্ষণে আজ প্লাবনের নতুন আশ্বাস
তাই বুঝি চারদিক আগ্নেয় লাভার মতো সুনামির মতো গণজোয়ারের বাঁধভাঙা ঢেউ
আছড়ে পড়েছে রাজপথে ফুটপাতে অলিতে গলিতে
মায়ের আদর সবুজের সমারোহ বন্ধুদের আড্ডা-
সব ভুলে আবু সাঈদের হাত দুটি
হয়ে গেছে দোয়েলের ডানা- অলৌকিক ডানার উড়াল
বুক তার বাংলাদেশের রক্তাক্ত পতাকা!

দেশ পুনরায় স্বাধীন হওয়ার পরপরই একের পর এক ‘দ্রোহের কবিতা’ সংকলন প্রকাশিত হতে দেখা যায়। জুলাই বিপ্লব নিয়ে বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করতে থাকে বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিন। এর মধ্যে সীমান্ত আকরামের ‘দ্রোহের কবিতা’ সংকলনটি উল্লেখযোগ্য। পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের কবিদের কবিতা নিয়ে প্রথম ও একমাত্র কবিতা ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে অমলকুমার ম-লের কবি-তীর্থ পত্রিকা। বাংলা একাডেমি জুলাই বিপ্লবের কবিতা ও ছোটগল্প নিয়ে আলাদা আলাদা সংকলন করার পরিকল্পনা নিয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। ৫ আগস্ট বেশি দিন আগের ঘটনা নয়। কয়েক মাসের মধ্যে বাংলা সাহিত্য-জগতে জুলাই বিপ্লব যে যুগান্তকারী প্রভাব বিস্তার করেছে তা বুদ্বুদের ন্যায় হারিয়ে যাবে না বলে আমার বিশ্বাস কারণ এটা বাঙালীর জীবনকে পুরোপুরি বদলে দিয়েছে, উপহার দিয়েছে সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক আগ্রাসন থেকে মুক্ত এক নতুন বাংলাদেশ।

লেখক: কবি, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক ও অধ্যাপক।


বিভাগ : বিশেষ সংখ্যা


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও জিয়ার বাংলাদেশ
শহীদ জিয়ার বিএনপির সাথে কি আজকের বিএনপির মিল আছে?
জিয়াউর রহমানের রাজনীতি
ফিরে দেখা রাজশাহী ২০২৪
বিচারবিভাগ ওলটপালটের বছর
আরও

আরও পড়ুন

নতুন কমিটির উদ্দেশ্যে সাবেক সভাপতি তিন টাকার কমিটি রুখে দেয়া কঠিন কিছু হবে না

নতুন কমিটির উদ্দেশ্যে সাবেক সভাপতি তিন টাকার কমিটি রুখে দেয়া কঠিন কিছু হবে না

মির্জাপুরে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার

মির্জাপুরে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার

উদ্বোধনের ৪দিন পরও সেচ পানি মিলেনি মেঘনা - ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের কৃষকের

উদ্বোধনের ৪দিন পরও সেচ পানি মিলেনি মেঘনা - ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের কৃষকের

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৪ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৪ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

বিশ্বনাথে সিনিয়র সাংবাদিককে খুন-গুমের হুমকি

বিশ্বনাথে সিনিয়র সাংবাদিককে খুন-গুমের হুমকি

সুবর্ণচরে অনুমোদনহীন কীটনাশক ও ভেজাল সার খালে ফেলে নষ্ট করলো প্রশাসন

সুবর্ণচরে অনুমোদনহীন কীটনাশক ও ভেজাল সার খালে ফেলে নষ্ট করলো প্রশাসন

ফেসবুকে ভুয়া তথ্য প্রতিরোধে মেটাকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান ড. ইউনূসের

ফেসবুকে ভুয়া তথ্য প্রতিরোধে মেটাকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান ড. ইউনূসের

ঈশ্বরদীর ৩ অবৈধ ইটভাটায় অভিযান ২ লাখ টাকা জরিমানা আদায়

ঈশ্বরদীর ৩ অবৈধ ইটভাটায় অভিযান ২ লাখ টাকা জরিমানা আদায়

‘বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে তারুণ্যের উৎসব অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে’

‘বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে তারুণ্যের উৎসব অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে’

সিংগাইরে অজ্ঞাত বৃদ্ধের লাশের পরিচয় মিলেছে

সিংগাইরে অজ্ঞাত বৃদ্ধের লাশের পরিচয় মিলেছে

শাহরাস্তিতে ট্রাক চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

শাহরাস্তিতে ট্রাক চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

বেনাপোলে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক

বেনাপোলে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক

শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদের সহ ১৬৬ জনের বিরুদ্ধে ফের হত্যা মামলা বগুড়ায়

শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদের সহ ১৬৬ জনের বিরুদ্ধে ফের হত্যা মামলা বগুড়ায়

ছাগলনাইয়ায় ছাত্র শিবিরের প্রকাশনা সামগ্রী প্রদর্শনী ও বিক্রয় উৎসব

ছাগলনাইয়ায় ছাত্র শিবিরের প্রকাশনা সামগ্রী প্রদর্শনী ও বিক্রয় উৎসব

ছাগলনাইয়ায় 'মুফতি মাহমুদুর রহমান আল্ খিদমা ফাউন্ডেশন' এর আত্মপ্রকাশ

ছাগলনাইয়ায় 'মুফতি মাহমুদুর রহমান আল্ খিদমা ফাউন্ডেশন' এর আত্মপ্রকাশ

কচুয়ায় ফুলকপির ভালো ফলনেও লাভের মুখ দেখছে না কৃষকরা

কচুয়ায় ফুলকপির ভালো ফলনেও লাভের মুখ দেখছে না কৃষকরা

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অর্ধযুগপূর্তি উৎযাপন

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অর্ধযুগপূর্তি উৎযাপন

পটুয়াখালীতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কম্বল বিতরণ

পটুয়াখালীতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কম্বল বিতরণ

শিবালয়ে চালকের গলা কেটে অটোরিক্সা ছিনতাই চক্রের ৩ সদস্য আটক

শিবালয়ে চালকের গলা কেটে অটোরিক্সা ছিনতাই চক্রের ৩ সদস্য আটক

প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটিতে ‘পিঠা উৎসব-১৪৩১’ উদযাপন

প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটিতে ‘পিঠা উৎসব-১৪৩১’ উদযাপন