ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ৯ মাঘ ১৪৩১

নতুন বছরে জনগণের প্রত্যাশা

Daily Inqilab সাকিরা তাসনিম

০১ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০২ এএম | আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০২ এএম

রংপুরের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের আত্মত্যাগের পথ ধরে শিক্ষার্থী, শ্রমিক, মজুরসহ শত শত মানুষ বন্দুকের নলের সামনে বুকে পেতে দাঁড়ানোর নজিরবিহীন সাহস দেখান, যার পরিপ্রেক্ষিতে সাড়ে ১৫ বছরের দোর্দ- প্রতাপে শাসনের পর ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে শেখ হাসিনা ভারতে চলে যান। দেশের ইতিহাসে ২০২৪ খুবই তাৎপর্যপূর্ণ একটি বছর। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী থেকে স্বাধীনতা লাভ করলেও ২০২৪ সালে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের হাত থেকে দ্বিতীয়বার স্বধীনতা লাভ করে। ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে সৃষ্টি হয় গণঅভ্যূত্থান। বাংলাদেশ পায় স্বাধীনতা। গত ৫ আগস্ট দেশের আকাশে উদিত হয় বিজয়ের রক্তিম সূর্য। হাজার হাজার জনতার ত্যাগ-তিতিক্ষায় বাংলাদেশ আবারো পায় মুক্তির স্বাদ। ফিরে পায় বাকস্বাধীনতা। ছাত্র-জনতার সর্বসম্মতিত্রমে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয় দেশ পরিচালনার। দায়িত্ব নেয়ার পর সরকারের সামনে এসে দাঁড়ায় রাষ্ট্র সংস্কারের বিরাট চ্যালেঞ্জ। বছরের শেষ কয়েকমাস সরকার দেশের বিভিন্ন সঙ্কট মোকাবিলায় চেষ্টা করছে। কিন্তু পতিত সরকারের দোসররা প্রতিনিয়ত তৈরি করছে নানান প্রতিবন্ধকতা। বিভিন্ন অধিকার আন্দোলনের নামে আওয়ামী লীগের দোসররা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। এতসব চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যে ২০২৪ সাল শেষ হলেও নবাগত ২০২৫ সাল নিয়ে সাধারণ জনগণের প্রত্যাশার কোনো কমতি নেই। নতুন বছরে দেশের জনগণ চায় ঢেলে সাজানো একটি দেশকে। মানুষ চায় একটি সুসজ্জিত-সুপরিকল্পিত বাংলাদেশ।

নতুন বছরে জনগণ চায় একটি দলীয় সরকার ব্যবস্থা। এ জন্য প্রয়োজন একটি গ্রহণযোগ্য অবাধ-সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে আনতে হবে। সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে তৈরি করতে হবে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ। টানা সাড়ে ১৫ বছর আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামল ছিল স্বৈরতান্ত্রিক। ছিল না পরমতসহিষ্ণুতা, ছিল নির্যাতন-দমননীতি। অবাধ-সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে প্রবর্তন করা হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা। কিন্তু ২০১১ সালের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে বিলুপ্ত করা হয় এটি। এরপর পরবর্তী তিনটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় দলীয় সরকারের অধীনে। আওয়ামী দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত তিনটি নির্বাচনই ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৩ জন এমপি হয়। ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে চুরি হয়। ২০২৪ সালের নির্বাচন হয় আমি আর ডামির মধ্যে। জনগণ তাদের ভোটাধিকার ফিরে পেতে চায়।

নতুন বছরে জনগণ চায় এমন একটি বাংলাদেশের যেখানে থাকবে না কোনো প্রকার দুর্নীতি। পতিত আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন দেশের অর্থনীতিকে করেছে পঙ্গু। দায়িত্ব নেওয়ায় অন্তর্বর্তী সরকারের সামনে আসে রিজার্ভ সঙ্কট, মূল্যস্ফীতি, রাজনৈতিক প্রভাবে সঙ্কটাপন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ সামাজিক-অর্থনৈতিক নানামুখী সঙ্কট।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের তথ্যানুযায়ী, গত ১৫ বছরে ব্যাংক খাতে অন্তত ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। ফলে আর্থিক প্রতিষ্ঠান সাধারণ মানুষের কাছে স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। এসব লুটপাটের মূল হোতা তথা রাজনৈতিক ব্যক্তি কিংবা প্রভাবশালীদের কাছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো জিম্মি হয়ে পড়ে। বিগত সরকারের এমপি-মন্ত্রীসহ তাদের ঘনিষ্ঠজনদের কেউ কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে ঋণ খেলাপি হয়েছেন। তাদের অনেকে নামে-বেনামে বড় অঙ্কের ঋণ নিয়ে বিদেশে পাচার করেছেন। ২০০৮ থেকে ২০২৪ সালে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৮ গুণ। ২০০৮ সালে খেলাপি ঋণ ছিল প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা।

‘শিক্ষা জাতির মেরুদ-’। জাতির এই মেরুদ- ভেঙে দেশকে দাসত্বে পরিণত করতে ফ্যাসিস্ট সরকার বার বার করেছে শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন। ফলে বর্তমান শিক্ষা কারিকুলাম নিয়ে চরম হতাশা ও ক্ষোভ রয়েছে শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে। কো-কারিকুলামের প্রতি অধিক জোর দিয়ে মূল কারিকুলামকে করেছে অবজ্ঞা। ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসকে সংযুক্ত করে ধনী-গরিব ও শহর-গ্রামের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে। নতুন নতুন পদ্ধতি যুক্ত করা হলেও শিক্ষকদের দেওয়া হয়নি সে অনুযায়ী পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ। তাই সাধারণ জনগণের প্রত্যাশা নতুন বছরে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়ে, শিক্ষা খাতে সকল প্রকার দুর্নীতি রোধ করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জ্ঞানঅর্জনের পথ সুগম করে দেওয়া।

বিগত সরকারের আমলে বাজার সিন্ডিকেটের কবলে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। হতদরিদ্র থেকে শুরু করে মধ্যবিত্তের জীবন হয়ে পড়েছে দুর্বিসহ। গত ১০ বছরে মাথাপিছু আয় দ্বিগুণ হলেও দেওয়া হয়নি নতুন কোনো পে স্কেল। বাজার সিন্ডিকেটের কারণে নিত্যপণ্যের দাম দিন দিন বৃদ্ধি পেয়ে চলে গেছে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। অর্ধাহারে-অনাহারে জীবন অতিবাহিত করেছে নিম্ন আয়ের মানুষ। এ সরকারের সময়ে অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। জনসাধারণের প্রত্যাশা, নতুন বছরে নিত্যপণ্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতায় আসুক। মানুষের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি। ছিনতাই, চুরি-ডাকাতি, হত্যা এগুলো নিত্যদিনের অপরাধে পরিণত হয়েছে। নতুন বছরে জনগণ চায় তার জীবন ও সম্পদের পূর্ণাঙ্গ নিশ্চয়তা।

দেশব্যাপী সড়কে যানবাহন বৃদ্ধির সাথে সাথে বেড়েছে দুর্ঘটনাও। যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ ও মনিটরিংয়ের জন্য যথেষ্ট মাত্রায় প্রযুক্তির ব্যবহার না থাকায় এ সকল দুর্ঘটনা ঘটছে প্রতিদিন। সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা সংগঠন রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের প্রথম ৯ মাসে সড়কে নিহত হয়েছে ৫ হাজার ৫৯৬ জন। যার মধ্যে ৩৪ শতাংশের বেশি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। এছাড়া আহত হয়েছে প্রায় ৯ হাজার ৬০ জন। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, সবচেয়ে বেশি আঞ্চলিক সড়কে ৩৮.৯ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে। জাতীয় মহাসড়কে ৩৩.৭১ শতাংশ এবং গ্রামীন সড়কে ১৪ শতাংশের বেশি। এছাড়া ফাউন্ডেশনের হিসাব অনুযায়ী ২০২৩ সালে সড়কে নিহত হয় ৬ হাজার ৫২৪ জন। ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন বন্ধ, বেপরোয়া গতি রোধ, শক্তিশালী ট্রাফিক ব্যবস্থা প্রবর্তন, সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ, সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর সাঠিক বাস্তবায়ন এবং দক্ষ চালক তৈরির পাশাপাশি সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি।

যানজট নিয়ে রাজধানীবাসীর ভোগান্তি দিনদিন বেড়েই চলছে। রাজধানীর সবগুলো গুরুত্বপূর্ণ সড়কে সকাল থেকেই মধ্যরাত পর্যন্ত লেগে থাকে এখন যানজট। ফলে কার্যদিবসগুলোতে অফিস, স্কুল-কলেজসহ প্রয়োজনীয় কাজে বের হওয়া প্রতিটি মানুষকে পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। দশ মিনিটের দুরত্ব যেতে সময় লাগে ঘণ্টাখানেক বা এর চেয়েও বেশি। নতুন বছরে এসব ভোগান্তি থেকে মুক্তি চায় সাধারণ জনগণ।

সমাজের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সর্বক্ষেত্রে প্রশাসন ব্যবস্থাকে পুনরায় গঠন করা অতীব জরুরি। জনগণের প্রত্যাশা পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে দেশের সরকারি বেসরকারি প্রতিটি ক্ষেত্রে শক্তিশালী প্রশাসনিক ব্যবস্থা তৈরি করা, যেন তারা জনস্বার্থে সঠিকভাবে কাজ করে। বিচার বিভাগকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়ে সকল অমীমাংসিত মামলার বিচার কার্যসম্পাদন করে দোষীদের উপয্ক্তু শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। জুলাই আগস্টের গণহত্যাসহ বিগত সাড়ে ১৫ বছরে ঘটে যাওয়া প্রতিটি হত্যাকা- তথা অপরাধের সঠিক বিচার এখন সাধারণ মানুষের প্রাণের দাবি।

লেখক: সহ-সম্পাদক, দৈনিক ইনকিলাব


বিভাগ : বিশেষ সংখ্যা


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও জিয়ার বাংলাদেশ
শহীদ জিয়ার বিএনপির সাথে কি আজকের বিএনপির মিল আছে?
জিয়াউর রহমানের রাজনীতি
ফিরে দেখা রাজশাহী ২০২৪
বিচারবিভাগ ওলটপালটের বছর
আরও

আরও পড়ুন

নতুন কমিটির উদ্দেশ্যে সাবেক সভাপতি তিন টাকার কমিটি রুখে দেয়া কঠিন কিছু হবে না

নতুন কমিটির উদ্দেশ্যে সাবেক সভাপতি তিন টাকার কমিটি রুখে দেয়া কঠিন কিছু হবে না

মির্জাপুরে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার

মির্জাপুরে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার

উদ্বোধনের ৪দিন পরও সেচ পানি মিলেনি মেঘনা - ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের কৃষকের

উদ্বোধনের ৪দিন পরও সেচ পানি মিলেনি মেঘনা - ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের কৃষকের

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৪ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৪ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

বিশ্বনাথে সাংবাদিককে খুন-গুমের হুমকি

বিশ্বনাথে সাংবাদিককে খুন-গুমের হুমকি

সুবর্ণচরে অনুমোদনহীন কীটনাশক ও ভেজাল সার খালে ফেলে নষ্ট করলো প্রশাসন

সুবর্ণচরে অনুমোদনহীন কীটনাশক ও ভেজাল সার খালে ফেলে নষ্ট করলো প্রশাসন

ফেসবুকে ভুয়া তথ্য প্রতিরোধে মেটাকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান ড. ইউনূসের

ফেসবুকে ভুয়া তথ্য প্রতিরোধে মেটাকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান ড. ইউনূসের

ঈশ্বরদীর ৩ অবৈধ ইটভাটায় অভিযান ২ লাখ টাকা জরিমানা আদায়

ঈশ্বরদীর ৩ অবৈধ ইটভাটায় অভিযান ২ লাখ টাকা জরিমানা আদায়

‘বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে তারুণ্যের উৎসব অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে’

‘বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে তারুণ্যের উৎসব অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে’

সিংগাইরে অজ্ঞাত বৃদ্ধের লাশের পরিচয় মিলেছে

সিংগাইরে অজ্ঞাত বৃদ্ধের লাশের পরিচয় মিলেছে

শাহরাস্তিতে ট্রাক চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

শাহরাস্তিতে ট্রাক চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

বেনাপোলে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক

বেনাপোলে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক

শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদের সহ ১৬৬ জনের বিরুদ্ধে ফের হত্যা মামলা বগুড়ায়

শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদের সহ ১৬৬ জনের বিরুদ্ধে ফের হত্যা মামলা বগুড়ায়

ছাগলনাইয়ায় ছাত্র শিবিরের প্রকাশনা সামগ্রী প্রদর্শনী ও বিক্রয় উৎসব

ছাগলনাইয়ায় ছাত্র শিবিরের প্রকাশনা সামগ্রী প্রদর্শনী ও বিক্রয় উৎসব

ছাগলনাইয়ায় 'মুফতি মাহমুদুর রহমান আল্ খিদমা ফাউন্ডেশন' এর আত্মপ্রকাশ

ছাগলনাইয়ায় 'মুফতি মাহমুদুর রহমান আল্ খিদমা ফাউন্ডেশন' এর আত্মপ্রকাশ

কচুয়ায় ফুলকপির ভালো ফলনেও লাভের মুখ দেখছে না কৃষকরা

কচুয়ায় ফুলকপির ভালো ফলনেও লাভের মুখ দেখছে না কৃষকরা

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অর্ধযুগপূর্তি উৎযাপন

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অর্ধযুগপূর্তি উৎযাপন

পটুয়াখালীতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কম্বল বিতরণ

পটুয়াখালীতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কম্বল বিতরণ

শিবালয়ে চালকের গলা কেটে অটোরিক্সা ছিনতাই চক্রের ৩ সদস্য আটক

শিবালয়ে চালকের গলা কেটে অটোরিক্সা ছিনতাই চক্রের ৩ সদস্য আটক

প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটিতে ‘পিঠা উৎসব-১৪৩১’ উদযাপন

প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটিতে ‘পিঠা উৎসব-১৪৩১’ উদযাপন