‘আমেরিকান ড্রিম’ গুড়িয়ে সিনারের ইতিহাস
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১৪ এএম | আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১৪ এএম
দর্শকে ঠাসা গ্যালারি ম্যাচজুড়ে তুমুল সমর্থন দিয়ে গেল ঘরের ছেলে টেইলর ফ্রিটসকে। পপ মেগাস্টার টেইলর সুইফট গলা ফাটালেন, রক তারকা জন বন জোভি উৎসাহ জোগালেন। কিন্তু ফ্রিটসের প্রতিপক্ষ যে এ দিন ছিলেন অদম্য! ম্যাচজুড়ে অসাধারণ টেনিসের প্রদর্শনীতে আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামের গ্যালারিকে হতাশ করে, গোটা যুক্তরাষ্ট্রের আশা পিষ্ট করে ইউএস ওপেনের শিরোপা জিতলেন ইয়ানিক সিনার। টুর্নামেন্টজুড়ে দারুণ পারফর্ম করে আসা সিনার সেরাটা জমা রেখেছিলেন যেন ফাইনালের জন্যই। ফ্রিটসকে তিনি সেভাবে দাঁড়াতেই দেননি। প্রবল সমর্থন পাওয়া ঘরের ছেলেকে হারিয়ে দেন তিনি ৬-৩, ৬-৪, ৭-৫ গেমে। তার নাম খোদাই হয়ে যায় ইতিহাসেও।
ইউএস ওপেন জয় করা প্রথম ইতালিয়ান সিনারই। আরেকটি অনন্য কীর্তিও তিনি গড়েছেন, যেখানে তিনি ছাড়িয়ে গেছেন নিজ দেশের সীমানা। একই বছরে হার্ড কোর্টের দুটি গ্র্যান্ড সø্যামজয়ী সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় এখন ২৩ বছর বয়সী এই তারকাই। বছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনও জিতেছিলেন তিনি।
ম্যাচ শেষ হতেই দু হাত উঁচিয়ে চোখ বন্ধ করে আকাশের দিকে মাথা উঁচু করে কিছুক্ষণ থাকেন সিনার। খুব খ্যাপাটে কিংবা বাঁধনহারা উদযাপন দেখা যায়নি। গ্যালারিতে গিয়ে সাপোর্ট স্টাফের সবাইকে আলিঙ্গনে জড়িয়ে অবশ্য উপভাগ করেন মুহূর্তটি। তার সঙ্গিনী রুশ টেনিস তারকা আনা কালিনস্কেয়ার ঠোঁটে এঁকে দেন চুম্বনচিহ্ন। গোটা স্টেডিয়াম তখন তাকে অভিবাদন জানায়, ‘ব্রাভো... ব্রাভো...’ গর্জনে। ফ্রিটস তখন কোর্টের পাশে চেয়ারে বসে হতাশায় ভেঙে পেছন মাথা হাত দিয়ে। তার হারে আরও দীর্ঘায়িত হলো যুক্তরাষ্ট্রের অপেক্ষাও। সেই ২০০৩ সালে অ্যান্ডি রডিকের ইউএস ওপেন জয়ের পর আর কোনো গ্র্যান্ড সø্যাম জিততে পারেননি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো পুরুষ খেলোয়াড়। হলো না এবারও।
মেয়েদের ফাইনালে আরিনা সাবালেঙ্কার কাছে জেসিকা পেগুলার হারের পর ছেলেদের ফাইনালে ফ্রিটসের এই পরাজয়ে ইউএস ওপেনের শেষটা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হলো হতাশাময়। ম্যাচ শেষে ট্রফি তুলে দেন দুটি ইউএস ওপেনসহ আটটি গ্র্যান্ড সø্যামজয়ী মার্কিন তারকা আন্দ্রে আগাসি। চ্যাম্পিয়ন সিনারের প্রাইজমানি ৩৬ লাখ ডলার, রানার্স আপ ফ্রিটসের প্রাপ্তি ১৮ লাখ ডলার।
ঐতিহাসিক জয় চোখে অশ্রু নিয়ে গুরুতর অসুস্থ স্বজনকে উৎসর্গ করেছেন তিনি, ‘আমার অ্যান্টি খুবই অসুস্থ। আমি জানি না তিনি আর কতদিন বাঁচবেন। তিনি আমার জীবনের খুব গুরুত্বপূর্ণ মানুষ। আমার একটাই চাওয়া তার সুস্থতা। যদিও দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেটা সম্ভব না।’ পরে টুর্নামেন্টের ট্রফি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বসে সিনার বললেন, অনুশীলনের পাশাপাশি মানসিক শক্তির জোরেই তিনি শিরোপার স্বাদ পেয়েছেন। কৃতিত্ব দিলেন তিনি সাপোর্ট স্টাফের সবাইকে, ‘প্রতিটি দিন আমরা চেষ্টা করেছি, ভালো করে অনুশীলন করেছি, এমনকি ছুটির দিনগুলিতেও... নিজেদের ওপর ভরসা রেখেছি, সবচেয়ে জরুরি যেটা। উপলব্ধি করতে পেরেছি, বিশেষ করে এই টুর্নামেন্টে যে, এই খেলায় মানসিক দিকটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।’
বিভাগ : খেলাধুলা
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
শেষ বিকেলে লুইস-অ্যাথানেজের 'আক্ষেপে' ম্যাচে ফিরল বাংলাদেশে
রানআউট হজ,লুইসের ব্যাটে এগোচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
জমকালো 'কনটেনন্ডার সিরিজ',কে কার বিপক্ষে লড়বেন?
তারেক রহমানের আর্থিক সহায়তা নিয়ে সিয়ামের বাড়িতে মীর হেলাল
অবশেষে ২৬ মামলার আসামি কুমিল্লার শীর্ষ সন্ত্রাসী আল-আমিন গ্রেফতার
'জুলাই অনির্বাণ’ এ রক্তপিপাসু হাসিনার নির্মমতা দেখে কাঁদছেন নেটিজেনরা
দেশনেত্রীর প্রতি অপরিসীম শ্রদ্ধা ও সম্মান
বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনসহ সরকারের কাজের পরিধি বিশাল
অদক্ষ ফার্মাসিস্ট দ্বারাই চলছে ফার্মেসি
নির্বাচন কমিশন গঠন : গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু
বেনাপোল দিয়ে যাত্রী পারাপার কমেছে অর্ধেক, রাজস্ব আয় ও ব্যবসা বাণিজ্যে ধস
দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম
মসজিদে পরে এসে ঘাড় ডিঙিয়ে সামনের কাতারে যাওয়া জায়েজ নেই
দুনিয়া ও আখেরাতের জন্য সুন্দর জীবন এবং কৃতজ্ঞতাবোধ
যুগে যুগে জুলুম ও জালিমের পরিণতি
সালাম ইসলামী সম্ভাষণ রীতির এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ
করিমগঞ্জের নাম কি আদৌ শ্রীভূমি দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ?
বিশাল স্বর্ণখনির সন্ধান পেলো চীন
মাছ ধরার নৌকার সঙ্গে ভারতীয় সাবমেরিনের সংঘর্ষ
যৌন পর্যটনের নতুন কেন্দ্র হয়ে উঠছে টোকিও : বাড়ছে ভিড়