রেলের জমি নামজারি ব্যক্তির নামে
০৪ আগস্ট ২০২৩, ০৮:৫৮ পিএম | আপডেট: ০৫ আগস্ট ২০২৩, ১২:০২ এএম
সৈয়দপুর উপজেলায় রেলওয়ের ৪২৭ একর জমি অবৈধ দখলদারদের হাতে চলে গেছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের ভূমি ব্যবস্থাপনার কমপ্লায়েন্স নিরীক্ষা প্রতিবেদন অনুসারে ইতোমধ্যে এসব জমির ১৫ দশমিক ২১৮৩ একর সিএস, এসএ, আরএস ও বিএস জরিপের সময় ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তি নামে ও প্রতিষ্ঠানের নামে রেকর্ডভুক্ত এবং নামজারি করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, এসবের সঙ্গে খোদ স্থানীয় ভূমি অফিস ও রেলের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত। তাই প্রতিবেদন জমার ছয় মাস পার হলেও দখলদারদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি রেল কর্তৃপক্ষ।
সৈয়দপুর রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা শহরে রেলওয়ের ৮০০ একর ভূ-সম্পত্তির মধ্যে ১৮৭০ সালে ১১০ একর জমিতে দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে কারখানা গড়ে ওঠে। অবশিষ্ট জমির মধ্যে আছে রেলওয়ের বিভিন্ন স্থাপনা ও কর্মচারীদের জন্য বসতবাড়ি। অব্যবহৃত জমির মধ্যে ৫৫ একর কৃষি, ২১ দশমিক ৩৮ একর জলাশয়, ১ একর বাণিজ্যিক হিসেবে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ২৫ দশমিক ২৫ একর জমি পৌরসভার কাছে আছে। আর স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত রেলওয়ের বাদবাকি ৪২৭ একর জমি বেহাত বা বেদখল হয়ে গেছে।
রেলওয়ে সূত্র আরও জানায়, ফিল্ড কানুনগো ৭ নম্বর কাচারী সৈয়দপুর কার্যালয়ের অধীনে বিমান বন্দর সংলগ্ন নিচু কলোনি নির্মাণের জন্য ১৯ দশমিক ২৪ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়, যা ৩২টি সিএস দাগে রেলওয়ের রেকর্ডভুক্ত। কিন্তু ২০১২ থেকে ২০২২ সালে সেই জমির মধ্যে ১৫.২১৮৩ একর ভূমি বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে রেকর্ডভুক্ত হয়েছে। এসব জমির নিবন্ধন আর পুনঃনবায়ন করা হচ্ছে না। ফলে বছরে প্রায় ২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
কমপ্লায়েন্স নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমি ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ২০০৬-এর নির্দেশনা প্রতিপালন না করা এবং অধিগ্রহণ করা সব ভূমির স্বত্ব রেকর্ড সংরক্ষণ না করা, জমির সীমানা চিহ্নিত না করা, কৃষি, মৎস্য, বাণিজ্যিক প্রভৃতি জমির রেকর্ড সংরক্ষণ না করা এবং সব ধরনের জমির হিসাব রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ না করায় রেলের প্রকৃত জমির হিসাব সংরক্ষণে অনিয়ম হয়েছে।
রেলওয়ে শ্রমিক ইউনিয়ন কারখানা শাখার সাধারণ সম্পাদক শেখ রোবায়েতুর রহমান বলেন, শুধু জমি নয়, রেলওয়ের ১ হাজার ৪০০ বসতবাড়ির মধ্যে অর্ধেকের বেশি বেদখল হয়ে গেছে। রেল কোয়ার্টার ভেঙে অনেক দখলদার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। এগুলোতে নেসকো বিদ্যুৎ-সংযোগও দিয়েছে। আর সংশ্লিষ্ট দপ্তরের গাফিলতি ও যোগসাজশেই রেলওয়ে ভূমি অন্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে নামজারি হয়েছে।
রাবায়েতুর রহমান আরও বলেন, যারা রেলওয়েতে চাকরি করেন, তাদের মধ্যে সিংহভাগেরই নিজস্ব ঘরবাড়ি নেই। অবসর নেওয়ার পর তারা যে পরিমাণ টাকা পান, তা দিয়ে এক শতক জমিও কিনতে পারেন না। তাই রেলওয়ের অব্যবহৃত বা দখল হওয়া জমি উদ্ধার করে ও বসবাস অনুপযোগী বসতবাড়িগুলো ভেঙে ফ্ল্যাট করে স্বল্প কিস্তিতে রেলওয়ে কর্মচারীদের মধ্যে বরাদ্দ দেয়া হোক। এতে রেলওয়েরও আয় হবে।
এ বিষয়ে ৭ নম্বর কাছারি সৈয়দপুর কার্যালয়ের কানুনগো জিয়াউল বলেন, বেদখল জমির তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া রেলওয়ের জমি ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের নামে রেকর্ডভুক্তি ও নামজারির বিষয়টি অডিট বিভাগকে জানানোসহ রেকর্ড সংশোধনী মামলা করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সব খতিয়ান সংগ্রহের কাজ শেষ হলেই মামলা করা হবে।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
আমরা একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র গঠনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই: হাসনাত আবদুল্লাহ
যুবদল কর্মী হত্যার ঘটনায় ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যাচার ও শিবির সভাপতির উপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ
এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ
টাঙ্গাইলে ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
শিক্ষা ও গবেষণায় তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার
মানুষের দুর্দশা মোচনে সরকারকে মনোযোগ দিতে হবে
সেনাবাহিনী ক্ষমতার বিকল্প সত্তা নয়
লিভ টুগেদার ইস্যুতে এবার স্বাগতাকে উকিল নোটিশ
ফিলিস্তিনের সমর্থনে ইস্তাম্বুলে লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ
ব্যাপক গোলাগুলিতে নিউইয়র্কে আহত ১০
গাজায় জনসংখ্যা কমেছে ৬ শতাংশ
আইএসের পতাকা উড়িয়ে হামলা, নিহত বেড়ে ১৫
নোয়াখালীতে কৃষি জমির মাটি কাটায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
ইসরাইলি পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগ করলেন ইয়োভ গ্যালান্ট
ঝিনাইদহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত
আশা জাগানিয়া প্রত্যাশা করা বড়ই কঠিন : গুতেরেস
মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে নববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে উন
শেনজেন অঞ্চলের পূর্ণ সদস্য হলো রোমানিয়া ও বুলগেরিয়া
প্লাস্টিক দূষণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে : পরিবেশ উপদেষ্টা
১৫% ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল করুন: মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ