ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪ আশ্বিন ১৪৩১
দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে পথচারী ও যানবাহন

কুমিল্লা-মিরপুর সড়কে মরা গাছ

Daily Inqilab মো. আবদুল আলীম খান, ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) থেকে

০৫ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৫ এএম

কুমিল্লা-মিরপুর সড়কের দু’পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মরা গাছ দুর্ঘটনার হুমকি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে বহুদিন থেকেই। ফলে সামান্য ঝড়ো বাতাসে এসব গাছ ভেঙে পড়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে রয়েছে পথচারী, সড়কে চলাচলরত যানবাহন, সড়কের পাশের বসতবাড়িতে বসবাসরত লোকজন ও সড়কের পাশের দোকান ঘর। দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে এসব ঝুঁকিপূর্ণ মরা গাছ কেটে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসীসহ ওই সড়কে যাতায়াত করা পথচারী ও যানবাহন যাত্রীরা।

সরেজমিনে স্থানীয় বাসিন্দা, পরিবহন চালক ও যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কুমিল্লার শাসনগাছা থেকে বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়া হয়ে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে ওঠা কুমিল্লা-মিরপুর সড়কটির দুইপাশে দাঁড়িয়ে আছে অগণিত মৃত, অর্ধমৃত ও শুকিয়ে যাওয়া গাছ। সড়ক ও জনপথ বিভাগের অন্তর্ভুক্ত ওই সড়কের দুই পাশে লাগানো কড়ই ও শিশু প্রজাতির এসব বড় গাছ মারা গেছে অনেকদিন আগেই। এসব মরা গাছ ও গাছের ডালপালা সামান্য বাতাস বা ঝড়েই ভেঙে পড়ছে সড়কের ওপর। আর এতে দুর্ঘটনায় পড়ছে সড়কের পাশের দোকানঘর, বসতবাড়ি, পথচারী ও ওই সড়কে চলাচলকারী যাত্রীবাহী বিভিন্ন যানবাহন। এসব মরা গাছগুলো কেটে নিয়ে এসব স্থানে নতুন করে গাছের চারা রোপণের কথা বলছেন স্থানীয়রা।

ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করা সিএনজি চালক শাহ আলম জানান, দীর্ঘদিন হয়ে গেছে সড়কের পাশের গাছগুলো মরে গেছে। এসব গাছ বাতাসে প্রায়ই রাস্তার ওপর ভেঙে পড়ে। ছোটখাটো দুর্ঘটনাও মাঝে মাঝে ঘটে। বড় কোনো দুর্ঘটনার আগেই এসব মরা গাছ অপসারণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করা বিপদজনক হয়ে উঠেছে।

এই ব্যপারে বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়ার দায়িত্বে থাকা উপজেলা বন কর্মকর্তা মাহবুবুল হক বলেন, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিভিন্ন সড়কের পাশের মরা গাছ কাটার বিষয়ে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে উপস্থাপন করা হবে। আশা করছি শিগগিরই সড়কের মরা গাছগুলো কেটে নেয়া সম্ভব হবে এবং মরা গাছের জায়গায় নতুন করে গাছের চারা রোপণের উদ্যোগও নেয়া হবে।


বিভাগ : অভ্যন্তরীণ


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

মেসির ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে যা বললেন দে পল

মেসির ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে যা বললেন দে পল

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ গ্রেপ্তার

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ গ্রেপ্তার

জাবিতে গণপিটুনির শিকার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শামীম মারা গেছেন

জাবিতে গণপিটুনির শিকার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শামীম মারা গেছেন

দক্ষিণ সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা পদক পেলেন নৌ-বাহিনীর ২০০ সদস্য

দক্ষিণ সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা পদক পেলেন নৌ-বাহিনীর ২০০ সদস্য

দুইবার এগিয়ে গিয়েও জেতা হলো না মায়ামির

দুইবার এগিয়ে গিয়েও জেতা হলো না মায়ামির

ইত্তিহাদেই সিটিকে রুখে দিল ইন্টার

ইত্তিহাদেই সিটিকে রুখে দিল ইন্টার

রোনালদোদের নতুন কোচ পিওলি

রোনালদোদের নতুন কোচ পিওলি

দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুড়িয়ে আফগানদের ঐতিহাসিক জয়

দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুড়িয়ে আফগানদের ঐতিহাসিক জয়

যেই গৌরব কেবল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের

যেই গৌরব কেবল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের

রিট করে ‘খেলাপি ঋণ স্থগিত’ বন্ধ চান ব্যাংক-মালিকরা

রিট করে ‘খেলাপি ঋণ স্থগিত’ বন্ধ চান ব্যাংক-মালিকরা

বিদেশি ঋণ ফের ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে

বিদেশি ঋণ ফের ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে

টাকা উদ্ধারের নামে ‘ঘুষ’ চাওয়ার অভিযোগ জিএম শাহজাহান চৌধুরীর’র বিরুদ্ধে

টাকা উদ্ধারের নামে ‘ঘুষ’ চাওয়ার অভিযোগ জিএম শাহজাহান চৌধুরীর’র বিরুদ্ধে

জাতীয় ঐক্য বিনষ্টকারী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে

জাতীয় ঐক্য বিনষ্টকারী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে

৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার, ব্যয় ২৩৬ কোটি টাকা

৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার, ব্যয় ২৩৬ কোটি টাকা

আইকনিক লিডার তারেক রহমান ও বাংলাদেশের রাজনীতি

আইকনিক লিডার তারেক রহমান ও বাংলাদেশের রাজনীতি

পতিত স্বৈরাচার ও ভারতের চক্রান্ত চলছেই

পতিত স্বৈরাচার ও ভারতের চক্রান্ত চলছেই

তারেক রহমানের রাষ্ট্রনায়কোচিত বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা

তারেক রহমানের রাষ্ট্রনায়কোচিত বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা

ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের প্রস্তাব বিবেচনা জাতিসংঘের

ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের প্রস্তাব বিবেচনা জাতিসংঘের

উত্তপ্ত মণিপুরে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন করে গোলাগুলি

উত্তপ্ত মণিপুরে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন করে গোলাগুলি

২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট

২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট