ঢাকা   রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েন করবে দ. কোরিয়ায়

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

২৭ এপ্রিল ২০২৩, ০৮:২০ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৫৫ পিএম

উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকি মোকাবেলায় ‘যুগান্তকারী’ এক চুক্তিতে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া। এর আওতায় ওয়াশিংটন এশিয়ার দেশটিতে পরমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েন করবে। পাশাপাশি নিজেদের পারমাণবিক কার্যক্রমে সিউলকে যুক্ত করবে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, এ সহযোগিতার বিনিময়ে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি না করতে সম্মত হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। বুধবার যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া চুক্তির ঘোষণা দেয়। সম্প্রতি জো বাইডেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৭০তম বার্ষিকী উদযাপনে হোয়াইট হাউজে আমন্ত্রণ জানান। নতুন চুক্তির বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, ওয়াশিংটন ঘোষণা উত্তর কোরিয়ার আক্রমণ প্রতিরোধে মিত্রদের সহযোগিতা জোরদার করবে। উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকি নিয়ে দুই দেশেই উদ্বেগ বাড়ছে। দক্ষিণ কোরিয়াকে লক্ষ্যবস্তু করতে পারে এমন কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র ও মার্কিন মূল ভূখ-ে পৌঁছাতে সক্ষম দূরপাল্লার এমন অস্ত্র নিয়ে অনেক দিন ধরে কাজ করছে পিয়ংইয়ং। কয়েক দশকের পুরোনো চুক্তি বলেই দক্ষিণ কোরিয়াকে রক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু কেউ কেউ নতুন প্রতিশ্রুতিকে সন্দেহ করে বলছে, সিউলের নিজস্ব পারমাণবিক কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া উচিত। এ দিকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল বলেছেন, ওয়াশিংটন ঘোষণাটি প্রতিরক্ষা বৃদ্ধি, আক্রমণ প্রতিরোধ ও পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করে মিত্রদের সুরক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ‘অভূতপূর্ব’ প্রতিশ্রুতি। প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার জানান, নতুন চুক্তিটি বেশ কয়েক মাস ধরে চলা আলোচনার ফলাফল। নতুন চুক্তির অধীনে ৪০ বছরের মধ্যে প্রথমবার দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি পারমাণবিক সশস্ত্র সাবমেরিন পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র। যা তাদের প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতিকে আরো দৃশ্যমান করবে। পাশাপাশি পারমাণবিক সক্ষমতা আছে এমন বোমারু বিমানসহ অন্যান্য কৌশলগত কাঠামো এর সঙ্গে যুক্ত। এদিকে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, উত্তর কোরিয়াকেও আলোচনার টেবিলে ফিরিয়ে আনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। রয়টার্স।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

গোল উৎসবে নেশন্স কাপে উড়ন্ত সূচনা জার্মানির

গোল উৎসবে নেশন্স কাপে উড়ন্ত সূচনা জার্মানির

জয়ে ইংল্যান্ডের সাউথগেট-পরবর্তী অধ্যায় শুরু

জয়ে ইংল্যান্ডের সাউথগেট-পরবর্তী অধ্যায় শুরু

পোপের ১৫৪ রানের পরেও ইংল্যান্ডের ৩২৫,কামিন্দু-সিলভায় লংকানদের লড়াই

পোপের ১৫৪ রানের পরেও ইংল্যান্ডের ৩২৫,কামিন্দু-সিলভায় লংকানদের লড়াই

স্কটল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করলো অস্ট্রেলিয়া

স্কটল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করলো অস্ট্রেলিয়া

মানিকগঞ্জে ইছামতী নদীতে থেকে মরদেহ উদ্ধার

মানিকগঞ্জে ইছামতী নদীতে থেকে মরদেহ উদ্ধার

‌'শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের কঠাগড়ায় দাঁড় করাতে হবে'

‌'শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের কঠাগড়ায় দাঁড় করাতে হবে'

শেষ ম্যাচও জিততে চায় বাংলাদেশ

শেষ ম্যাচও জিততে চায় বাংলাদেশ

সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় জামায়াতকে পাহারাদারের ভূমিকা পালন করতে হবে

সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় জামায়াতকে পাহারাদারের ভূমিকা পালন করতে হবে

আইওসির কোচিং কোর্সে বাংলাদেশের মাহফিজুল

আইওসির কোচিং কোর্সে বাংলাদেশের মাহফিজুল

নাটোরে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ শুরু

নাটোরে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ শুরু

পটিয়ায় জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদ্ন্নুবী অনুষ্ঠিত

পটিয়ায় জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদ্ন্নুবী অনুষ্ঠিত

মীরসরাইয়ে কমছে পানি তীব্র হচ্ছে নদীভাঙন

মীরসরাইয়ে কমছে পানি তীব্র হচ্ছে নদীভাঙন

বিএনপিতে কোনো সন্ত্রাসী চাঁদাবাজের ঠাঁই হবে না

বিএনপিতে কোনো সন্ত্রাসী চাঁদাবাজের ঠাঁই হবে না

নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেয়াই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব

নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেয়াই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব

নেমে গেছে বানের পানি স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষতচিহ্ন

নেমে গেছে বানের পানি স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষতচিহ্ন

সভাপতি শওকত সম্পাদক মানিক

সভাপতি শওকত সম্পাদক মানিক

সংযোগ সড়ক ভেঙে দুর্ভোগে ৬ গ্রামবাসী

সংযোগ সড়ক ভেঙে দুর্ভোগে ৬ গ্রামবাসী

বাড়িভিটা হারিয়ে দিশেহারা তিস্তা পাড়ের মানুষ

বাড়িভিটা হারিয়ে দিশেহারা তিস্তা পাড়ের মানুষ

ভয়াবহ বন্যায় কৃষি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের সর্বনাশ

ভয়াবহ বন্যায় কৃষি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের সর্বনাশ

মাদরাসা শিক্ষার সংস্কার : একটি পর্যালোচনা

মাদরাসা শিক্ষার সংস্কার : একটি পর্যালোচনা