পাকিস্তানে ওষুধ মাফিয়াদের হাতে, মহাসঙ্কটে রোগীরা
৩০ অক্টোবর ২০২৩, ১২:১৩ এএম | আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২৩, ১২:১৩ এএম
ইয়াসির আলি পেশায় দিনমজুর। তার দৈনিক আয় বাংলাদেশি টাকায় ৪৪০ টাকারও কম। ৩৫ বছর বয়সী এ যুবকের মৃগী রোগ আছে। ফলে তাকে নিয়মিত ওষুধ খেতে হয়। ইয়াসির জানান, মৃগী রোগের ওষুধের একটি পাতার দাম বাংলাদেশি টাকায় ১০০ টাকার মতো। কিন্তু সাম্প্রতিক সঙ্কটের কারণে তাকে বাধ্য হয়েই কালোবাজার থেকে একই ওষুধ কিনতে হচ্ছে পাঁচগুণ বেশি দাম দিয়ে। শুধু ইয়াসির একা নন, এই সঙ্কটে ভুগছে পাকিস্তানের সব সাধারণ মানুষ। দুই দশক ধরে ওষুধের ব্যবসা করা খালিদ আঞ্জুম জানান, মাত্র এক বছরের ব্যবধানে ওষুধের দাম কয়েকগুণ বেড়েছে। দাম কবে কমবে তার কোনো ঠিক নেই। আঞ্জুম বলেন, এই সঙ্কট আমাদের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ। পাকিস্তানে চলমান সংকটের অন্যতম কারণ মুদ্রাস্ফীতি। ওষুধ বা ওষুধের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানি করতে হয় দেশটিকে। কিন্তু পাকিস্তানি রুপির মান কমতে থাকায় বিদেশি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলোর কাছ থেকে ওষুধ কেনা পাকিস্তানি ব্যবসায়ীদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সাবেক সহকারী ড. ফয়সাল সুলতান বলেন, এখন আমরা এমন এক পরিস্থিতিতে রয়েছি, যেখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় বা জীবনরক্ষাকারী ওষুধ বাজারে বাজারে নেই বা থাকলেও খুবই কম আছে। অনেকের মতে, এই সংকটকে আরও কঠিন করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী, যারা ওষুধ মজুত করে সংকটের সময় চড়া দামে বিক্রি করে। এদের বলা হচ্ছে ‘ড্রাগ মাফিয়া’। ২০২৩ সালে গোটা পাকিস্তানজুড়ে এমন বেশ কয়েকটি ওষুধের গুদামে অভিযান চালায় দেশটির ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সবচেয়ে খারাপ সময় আসে এ বছরের এপ্রিলে। তখন পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ জরুরি ওষুধের দাম ১৪ শতাংশ বাড়ায়, অন্যান্য ওষুধের জন্য দাম বাড়ে ২০ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে কার্যকর হওয়া এই নীতির প্রভাবে একলাফে দাম বেড়ে যায় ৮০ হাজারের বেশি ওষুধের। পাকিস্তানে এমন সিদ্ধান্ত অবশ্য নতুন নয়। দেশটিতে গত পাঁচ বছরে ওষুধের দাম বেড়েছে অন্তত ১৫বার। কিন্তু একলাফে এতটা আর কখনোই বাড়েনি। তবে সরকারের এই সিদ্ধান্তে ফল হয়েছে উল্টো। দাম বাড়ানোর পরপরই বাজার থেকে হঠাৎ উধাও হয়ে যায় দুই শতাধিক প্রাণরক্ষাকারী ও জরুরি ওষুধ। আইনজীবী ও সমাজকর্মী নূর মেহের জানান, এই পরিস্থিতির নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে হাসপাতালগুলোতেও। প্রায় ১০০টির মতো প্রাণরক্ষাকারী ওষুধ পাচ্ছেন না হাসপাতালের রোগীরা। পাকিস্তানে প্রায় চার হাজার ফার্মেসির বৈধ কাগজপত্র আছে, কিন্তু ফার্মাসিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, প্রায় এক লাখ ব্যবসায়ী অবৈধভাবে ওষুধের ব্যবসা করছেন। খালিদ আঞ্জুম জানান, পেশোয়ারের মতো শহরে অবৈধ ব্যবসায়ী বা দালালরা যেকোনো ওষুধ এনে দিতে পারে, সঠিক দামের বিনিময়ে। ডয়েচে ভেলে।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব আশরোফা ইমদাদ
আত্মগোপনে থাকা বায়তুল মোকাররমের সেই খতিবকে অপসারণ
এমন হারেও ইতিবাচক অনেক কিছুই দেখছেন শান্ত
বন্যা প্রতিরোধে পরিকল্পিতভাবে বাঁধ নির্মাণ করা হবে : সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
আদিবাসী-সেটলার, পাহাড়ী-বাঙালী বিভাজন বন্ধ করুন, সকলের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করুন : এবি পার্টি
ঘোড়াঘাটে ৪ ডাকাত গ্রেপ্তার, ট্রাক সহ সরঞ্জাম জব্দ
মাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বোমা বিস্ফরনে যুবক নিহত
পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জন কমিটিতে আলেম অন্তর্ভুক্তির আহ্বান জামায়াতে ইসলামীর
বাংলাদেশে আ.লীগের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই : মেজর হাফিজ
নদী দূষণমুক্ত করতে 'নদী আমার মা' শীর্ষক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ
ইসরায়েলি গ্র্যান্ডমাস্টারকে হারালেন বাংলাদেশের ১৪ বছর বয়সী মনন
এভারকেয়ার, ল্যাবএইড, কমফোর্ট, মেডিনোভা, প্রো-অ্যাকটিভ-এ ডেঙ্গু টেস্টে বিকাশ পেমেন্টে ক্যাশব্যাক ও ডিসকাউন্ট
পাহাড়ীদের মধ্যে সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশ গড়ে না উঠলে সমস্যা থেকেই যাবে
স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের আয়োজনে ‘ইনভেস্টমেন্ট অপারেশনস্ অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ
নুন্যতম মজুরি ২৫ হাজার টাকার দাবীতে আশুলিয়ায় বিক্ষোভ, ১৯কারখানা বন্ধ
সিলেটে রাজনৈতিক মামলা থেকে বিএনপি নেতা মাহবুব চৌধুরী সহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীর খালাস
ইরানের ই-কমার্স বাণিজ্যের মূল্য ২ বছরে তিনগুণ বেড়েছে
বাইডেন-মোদি বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা
কাপ্তাই অটোরিকশা চালকদের ১ম দিনের মত অবরোধ, যাত্রীদের দুর্ভোগ
সাকুরা পরিবহনের চাপায় চালকসহ দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত